লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৩

0
1994

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৩
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

গাড়িতে বসে রাজ ড্রাইভ করছে আর পাশে বসে আছে মিষ্টি। মিষ্টির দিকে তাকিয়ে রাজ মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে এতো কিউট লাগছে। মিষ্টি আলাদা ঐক সুন্দর লাগছে আজকে আনন্দ ফুটে উঠেছে এর জন্যই তো রাজ বেরাতে এসেছে ও তো আনন্দ দেওয়ার জন্যই এসেছে। কিন্তু কিছু একটা মিস হয়েছে মিষ্টি হালকা সেজেছে চোখে কাজল আর ঠোটে হালকা পিন লিপস্টিক। কানে সাদা পাথরের ছোট দুল । আর পিন কালারের সেলোয়ার কামিজ পরেছে। ওরনা একপাশে চিকন করে অন্য পাশে ছেলে দিয়েছে।হচুল গুলো বেনি করে পেছনে দিয়ে রেখেছে। রাজ বারবার তাকিয়ে মিষ্টি কে পযর্বেক্ষণ করে যাচ্ছে। মিষ্টি আনন্দ মাখা মুখ নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ছোট ছোট কানা ছুল গুলো বার বার চোখে চলে যাচ্ছে মিষ্টি বিরক্ত হয়ে তা সরিয়ে দিচ্ছে। খুব ইচ্ছে ইচ্ছে ওই ছুল গুলো সরিয়ে দিতে রাজের কি হলো কে জানে এক হাতে ড্রাইভ করছে অন্য হাত এগিয়ে নিতে লাগলো মিষ্টির চুল সরাবে তার ফট করে মিষ্টি রাজের দিকে ঘুরে বসলো আর ঘটনা আকষমিক রাজ তারাতারি হাত সরিয়ে নিলো।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকিয়ে ই……

—–গাড়ি থামান !

আচমকা মিষ্টি গাড়ি থামাতে বলতে রাজ ভয় পেয়ে যায়। ” মিষ্টি কি বুঝে গেছে আমি না না তাই কি মিষ্টি গাড়ি থেকে নেমে যেতে চাইছে”

—-কেন কি হয়েছে গাড়ি কেন থামাবো?

—- আমি গাড়ি থামাতে বলেছি তাই কি হলো চলে গেলাম তো থামান।

মিষ্টি আমার হাত ঝাকিয়ে দিলো উপায় না পেয়ে ব্রেক করলাম গাড়ি। মনে ভ য় মিষ্টি কি আমার অনুভূতি বুঝে গেছে। ভয় নিয়ে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে মিষ্টি আমাকে কিছু না বলেই গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে যেতে লাগলো আই এম সিউর মিষ্টি জেনে গেছে না হলে এভাবে বেরিয়ে যেতে চাইতো না। আমি রাজ মিষ্টির হাত শক্ত করে ধরে ফেলল…?

—- কি হয়েছে মিষ্টি তুমি কোথায় যাচ্ছো ঘুরতে যাবে না? তুমি যার জন্য এমন করছো তায জন্য আমি সরি আসলে কি ভাবে যে কি হলো আমি নিজের অজান্তেই তোমাকে…

—কি বলছেন আপনি ছারুন হাত আর সরি বলছেন কেন? আর কে বলল আমি ঘুরতে যাবো না।

—-তাহলে নামছো কেন গাড়ি থেকে আর সরি বলছি কেন জানো না তোমাকে ভাল….

—-[ কথার মাঝে থামিয়ে ] চুপ করবেন আর হাত ছারুন দেখি আমি ফুসকা খাবো কতো দিন পর পেলাম বলুন তো তাই তো গাড়ি থামাতে বলেছি। এখন হাত ছারুন এমন করে ধরে আছেন আবার কি সব বলছেন চলুন ফুসকা খেয়ে আসি।

রাজ মিষ্টি কথা শুনে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না নিজের উপর নিজের ই রাগ হচ্ছে কি হচ্ছে আর ও কি ভাবছিল এখন ই তো সব বলে দিচ্ছি লো।

—- তুমি ওই নোংরা জায়গার ফুসকা খাবে?

—- নোংরা না ওগুলো দেখেন না ডাকা আছে সব।

—-ও সব খেতে হবে না চলো কোন রেস্টুরেন্টে থেকে আমরা অন্য কিছু খাই।

—-না অন্য কিছু কেন খাব আমি তো অন্য কিছু খাবো না আপনার ইচ্ছে হলে খান ফুসকার সাথে অন্য কিছু যায়। ছারুন হাত।

টেনে হাত ছুটিয়ে বেরিয়ে গেল। রাজ ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে নিজে ও বেরিয়ে এলো কি আর করবে মিষ্টি কে এতো হাইপার হতে দেখি নি ফুসকার জন্য এতো রাগ।

—চাচা দুই পিলেট ফুসকা দেন জাল আর টক টা বেশি করে দেবেন।

—-আইচ্ছা

রাজ এসে দুই পিলেট ফুসকার কথা আর জাল দেওয়ার কথা শুনেছে।

— মিষ্টি তুমি দুই পিলেট কেন নিলে আমি এইসব রাস্তায় থেকে কিছু খাই না।

—আমি কি বলেছি আপনার জন্য?

—মানে

—-আমি নিজের জন্য ই দুই পিলেট অর্ডার করেছি। আপনি খেলে অর্ডার করে নিন।

মিষ্টির দিকে হাবাগুবার মতো তাকিয়ে কতো বড় অপমান। অসভ্য মেয়ে কিন্তু বেশিক্ষণ রেগে থাকতে পারলাম না মিষ্টির দিকে তাকিয় আবার হারিয়ে গেলাম এতো সুন্দর করে যে কেউ খেতে পারে জানা ছিলো না আমি ওর খাওয়া দেখছি হঠাৎ মিষ্টি আমার মুখে একটা ফুসকা ঢুকিয়ে দিলো।

ঢুকিয়ে দিয়েই হা হা হা করে হেসে উঠলো।

আমি রাগী চোখে তাকিয়ে আছি কিন্তু কথা বলত পারছি না। ফুসকা এর আগে একবার মাইশার সাথে খেয়েছিলাম আর আজ সেদিন জাল ছিলো না কিন্তু আজ এতো জাল কেন রাজ জাল একদমি খেতে পারে না। কোন রকম ফুসকা গিলে নিলো এখন জালে অবস্থা শেষ।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায় মুখ লাল টকটকে হয়ে গেছে। জর করে দেওয়াটা উচিত হয় নি বুঝলো।

—কি হয়েছে আপনার এমন লাগছে কেন?

–জাল

একটা কথাই বলল শুধু।

মিষ্টি জাল শুনেই মনে পরলো রাজ তো জাল খায় না।জোর করে খাওয়াতে গিয়ে যে জাল খাইয়ে দিয়েছি। তারাতারি গাড়িতে আসলাম দৌড়ে পানির বতল নিয়ে দিলাম। রাজ পানি খেয়ে একটু ঠিক হলো। নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে কেন খাওয়াতে গেলাম।

—মিষ্টি তুমি মন খারাপ করে আছো কেন আমি কিছু মনে করি নি? তুমি হয়তো জানতে না আমি জাল খায় না কিন্তু ফুসকা টা ভালো ছিলো।

— সরি আমার এভাবে করা উচিত হয় নি।

—ইটস ওকে। আর মন খারাপ কর না এখন আমি একদম ঠিক।

সারা বিকেল আমরা ঢাকা শহর ঘুরে বেরালাম গাড়ি করে বেশি সময় কম ছিলো সন্ধ্যায় আগেই ফিরে এলাম আবার কাল পরিক্ষা তাই।
রাজের সাথে আমার বন্ধুত পূর্ণ সম্পর্ক গরে উঠে দিপ ভালো কাটতে লাগে। আবার টেনশন আসে গারে এইচ এস সি রেজাল্ট আসে। ওফ টেনশন ভরে যাবার অবস্থা কী করবো তা নিয়ে মাথা নষ্ট হবার জোগাড়।
বাড়ি যেতে চাইলাম কিন্তু রাজ বলল সে অনলাইনে জানবে তাই থেকে গেলাম। কিন্তু টেনশন তো যাচ্ছে না আমার এক্মাম ভালো হয়েছে কিন্তু তবুও ভয় কাজ করে একটা। রাজ আমাকে সাহস জুগাচ্ছে। সুজয় ও ফোন দিয়ে বলেছে টেনশন কম করতে কোয়েলের সাথে ও কথা বলেছি সুজয় আমাকেই সান্ত্বনা দেয় ওর নিজের কে নিয়ে একটু চিন্তা নেয় ও বলে আমি তো গোল্ডন এ পিলাস পাব সিউর।

এতো সিউর কি করে হয় জানি না। কোয়েল খুব চিন্তা সাথে আমি কলেজের সব ফ্রেন্ড দেরসাথে ফোনে কথা বলে বসে আছি। এখন বারোটা বাজে রেজাল্ট বেরিয়ে যাবার কথা। রাজ দেখছে রুমে আমি জরোসরো হয়ে বসে আছি সোফায় পাশে মামুনি আমাকে চিন্তা কম করতে বলছে আম্মুর সাথে ও কথা বলেছি একটু আগে।

চলবে❤

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে