Dangerous_Villain_Lover part8

1
3106

Dangerous_Villain_Lover
part8
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

কলেজের মাঠে বসে আছি আমি টিয়া জেসি।
চিন্তায় আমি কোন কথা বলছি না স্যার কি শাস্তি দেবে আমাকে কে জানে।

— ছোঁয়া এই ছোঁয়া

কানের কাছে চিৎকার শুনে রেগে তাকালাম জেসির দিকে। এভাবে চিৎকার করে মাথা খাচ্ছে অসহ্য এমনিতেই স্যারের জন্য চিন্তা মরছি আর ওরা। না কিছুতেই না স্যার কে আমি শাস্তি দেবার সুযোগ দেবোই না আমাকে কিছু করতে হবে কিন্তু কি করবো।

– ছোঁয়া।

— কি হয়েছে এভাবে ষাড়ের মতো চিল্লাচিল্লি করছিস কেন? দেখছিস না ভাবছি ওই স্যারকে কি ভাবে আটকাবো তোরা সাহায্য করা বাদ দিয়ে চিল্লাসসিস।

— আমাদের কথা কি শুনেছিস কিছু চুপ মেরে আসিস। আর স্যার কে আটকাবো কি করে তুই কেন কাল ওই কাজটা করলি।

হঠাৎ মাঝখানে থেকে টিয়া বলে উঠল,,, আমার কাছে একটা প্লান আছে।

— বল তারাতারি।

— তুই আজ বাড়ি চলে যা তাহলে আর স্যার শাস্তি দিতৃ পারবে না আগামীকাল ও আসিস না স্যার ভুলে যাবে তোকে শাস্তি দেওয়ার কথা।

আমি টিয়ার কথা গুলো ভালো লাগল আসলেই তাই করি আজ চলে যাই। ভেবেই উঠে দাড়ালাম। টিয়া ঠিক কথায় বলেছে।
ব্যাগ নিয়ে গেটের কাছে এসেছি যেই বের হয়ে যাব হঠাৎ কেউ হাত ধরে ফেলল। হঠাৎ হাত ধরায় চমকে তারাতারি পেছনে তাকিয়ে আতকে উঠলাম এ তো স্যার রাহুল স্যার আমার হাত ধরে মুখে হাসি জুলিয়ে তাকিয়ে আছে। স্যারকে আজ আর ও বেশি কিউট লাগছে নীল শার্ট চোখে সানগ্লাস। নীল রঙটা স্যারের শরীরে অসম্ভব সুন্দর লাগছে হঠাৎ কথায় সম্মতি পেলাম।

— তা মিস আপনি এভাবে পালিয়ে যাচ্ছেন যে।

— কই না তো পালাবো কেন? ( ভয়ে ভয়ে)

— তাহলে ক্লাস না করে চলে যাচ্ছেন যে।

— না মানে হুম আসলে

— কি ভালো করে বলেন নাকি আমার শাস্তির ভয়ে চলে যাচ্ছো।

স্যার কথা বলতে বলতে একদম আমার কাছে চলে এসেছে এতো কাছে এসেছে যে আমি কথা বলতে পারছি না।

— কি হলো বলুন।

— আপনি একটু সরে দাড়ান প্লিজ।

আমার কথায় স্যার বাকাঁ হেসে সরে দাড়ালো….এবার বলুন কোথায় যাচ্ছিলেন।

— বাড়িতে;

— কেন?

— আসলে ( মাথায় হাত দিয়ে ) মাথাটা প্রচুর ব্যাথা করছে তাই ভাবছি আজ চলে যাই। ( বুঝানোর জন্য যে আমি অসুস্থ )

— হুয়াট তোমার মাথা ব্যাথা করছে। আমাকে আগে বলো নি কেন দেখি ( আমার মাথায় হাত দিয়ে ) খুব কি বেশি ব্য আথা করছে চলো চলো হসপিটালে যাই। এতো কেয়ার লেস কেন তুমি মাথা ব্যাথা নিয়ে কেন এসেছো কলেজে ঠিক মতো ঘুমাও না নাকি।

আমি তো হা করে স্যারের কাণ্ড দেখছি। সামান্য মাথা ব্যাথা বলায় স্যার এতো হাইপায় হবে আমি ভাবি নি। এমন ভাবে কথা বলছে যেন আমি তার খুব আপন কেউ স্যারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি কালকেই তো স্যার কে প্রথম দেখলাম তবুও কেন জানি মনে হচ্ছে আগে ও দেখেছি কথা গুলো কেমন জানি মনে হচ্ছে আগে ও শুনেছি। স্যার তো অস্থির হয়ে গেছে নানা কথা বলছে আমার গালে হাত দিচ্ছে মাথায় কপালে কি থেকে কি করবে বুঝতে পারছে না। আমি তো কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না স্যারের বিহেবার কেমন অদ্ভুত লাগছে। হঠাৎ স্যার টেনে নিয়ে যেতে লাগল আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই বিশেষ করে সব মেয়েরা রাগি চোখে তাকিয়ে আছে আসলে স্যারের উপর সবাই একদিনেই ক্রাশিত হয়েছে এখন আমার সাথে দেখে জলছে কিন্তু স্যার আমাকে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সত্যি ডাক্তার এর কাছে নয়তো ও মাই গড এ কোন জামেলায় পরলাম,,,মিথ্যা বলেও দেখছি কেস খেলাম এখন কি হবে। আমি হাত ছুটানোর জন্য টানছি কিন্তু স্যার শক্ত করে ধরে রেখেছ সুটাতে পারছি না।

— স্যার হাত সারুন আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।

— কোন কথা নয় জান তুমি সব সময় কিছু না কিছু বিপদ ঘটাও এটা ঠিক না জানো না তোমাকে নিয়ে আমি কতো টেনশনে থাকি তোমার কিছু হলে।

আমি তো ফ্রিজ হয়ে গেছে এই ব্যাটা কয় কি স্যার কি পাগল হয়লো নাকি আমাকে জান বলছে আবার কি বলল টেনশনে থাকে। ও আল্লাহ নিশ্চিত স্যার পাগল হয়ছে নয়তো আমি সপ্ন দেখছি। কথা গুলো ভাবছিলাম হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলায় ঘোর কাটে তাকিয়ে দেখি স্যার আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিজে ও উঠে পরে।

— একি স্যার আপনি আমায় গাড়িতে উঠালেন কেন?

— তুমি এখন আমার সাথে হসপিটালে যাবে।

— কেন আমি কোথায় ও যাবো না গাড়ি থামান আমি বাড়ি যাবো।

— চুপ করে বসো। আগে ডাক্তারের কাছে যাবো তারপর বাকি জায়গা।

— ডাক্তারের কাছে কেন যাবো আমার তো কিছু হয়নি।( বলেই জ্বিব কাটলাম কথার তালে হাসাকথা বের হয়ে গেল এখন তো আমি শেষ)

— কি বললে কিছু হয়নি মানে।

— আসলে

— তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছো।

ফট করে গাড়ি থেমে গেল তাকিয়ে দেখে স্যার রেগে লাল গেছে। মনে হচ্ছে আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে আমি তো চোখ দেখেই শেষ এতো সুইট একটা ছেলে তার এতো রাগ ভাবা যায়। স্যার আমার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো আমি আর ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। স্যার এমন বিহেভ কেন করছে আমার মাথা আউট হবার উপকম।

— স্যা র কি ক রছে ন কি?

ঠেকে ঠেকে কথা গুলো বললাম স্যার আমাকে এত কাছে নিয়ে ছে যে আমি কথা বলতে পারছি না স্যারের নিশ্বাস আমার মুখে পরছে।

–হুয়াট তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছো তোমার কোন ধারনা আছে আমি কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। তোমার সাহস কি করে হলো মিথ্যা বলার বলো।

চিৎকার করে বলছে। আমি তার চিৎকার শুনে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি।

রাহুল হঠাৎ ছোঁয়া অসুস্থতা কথা শুনে প্রচুর ভয় পেয়ে যায় কি করবে মাথা গরম হয়ে যায়।
গাড়িতে ছোঁয়ার মুখে কথাটা মিথ্যা ছিলো জানার পর আর ও রেগে যায় কারণে ছোঁয়া কে নিয়ে রাহুল অনেক প্রজেটিভ ওর কিছু হলে নিজে বাচতে পারবে না।
রেগে ছোঁয়া কে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।কিছু বলতে যাবে কিন্তু বলতৃ পারেনা ছোঁয়া ভয় মিশ্রিত মুখ দেখে যা রাহুল কে আর্কষন করে অনেক ছোঁয়া ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে আছে আর রাহুল রাগ ভুলে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে।
কিছু চুল ছোঁয়া মুখে এসে পরে রাহুল মুচকি হেসে চুল গুলো কানের পিঠে গুজে দেয়। ছোঁয়া কেপে উঠে হঠাৎ ছোঁয়া ঠোটে উপর চোখ পরে প্রচণ্ড আটছে জায়গা টা আর থাকতে না পেরে যেই ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেবে।

ছোঁয়া চোখ খুলে তাকায় যখন রাহুল কানের পিঠে চুল গুজে দেয় কেপে উঠে ছোঁয়া অদ্ভুত শিহরিত হয় ওর মন আস্তে আস্তে তাকিয়ে দেখে স্যার ওর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে আসছে এটা দেখেই রেগে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে দূরে সরে আসে।
আচমকা ধাক্কা খেয়ে চোখ মেলে তাকায় রাহুল ছোঁয়া রেগে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। এবার রাহুল বুঝলো ও কি করছিল। না না এটা ভুল করছিলাম আমার সমস্ত প্লান এখন ই শেষ হতে যাচ্ছি লো। কিন্তু কি করবে রাহুল ছোঁয়া ওর কাছে থাকলে ও নিজেকে সামলাতে পারে না।

ছোঁয়া নিজের রুমে শুয়ে আছে রাত বাজে আটটা।

চলবে….

[ ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে