হ্যাকারের_লুকোচুরি শেষ পর্ব

8
1826

হ্যাকারের_লুকোচুরি শেষ পর্ব

♥♥সবাইকে অগ্রিম ঈদ মুবারাক।♥♥
এই গল্পে কিছু শেখাতে পেরেছি কিনা জানি না But the mafia girl(The Queen of cyber world) is watching you.. So be carefull before posting anyting which can harm u. Thank you

রাফি জমে বরফ হয়ে যায়। সাইবার দুনিয়ার শত্রুগুলো যদি রাফির রিয়েল লাইফে চলে আসে তাহলে রাফির জন্য বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। আর তার থেকে বড় কথা মাফিয়া গার্লের মত ডেন্জারাস এনটিটিকে নিজের শত্রু বানানো একদমই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এছাড়া মাফিয়া গার্ল এমন সময় রাফিকে সাহায্য করেছে যখন রাফির নিজের এজেন্সিও রাফিকে সাথ দেয় নি।
কিন্তু তাই বলে তোহাকে ডিভোর্স! তোহাকে?
ইয়া আল্লাহ, এ কোন পরিক্ষায় ফেললে আমায়।
চ্যাটবোটে,
– দেখো আতংকিত হবার কিছু নেই, আমি বুড়ি নই আর রিয়েল লাইফে আমার পেছন নেহাৎ কম ছেলেপেলে ঘুরঘুর করে না। তাই বলা যায় আমি মোটামুটি রকমের সুন্দরী। তোমার বৌয়ের থেকে কোন অংশে কম না।
রাফি – তোহার থেকে সবদিক দিয়েও যদি আপনি বেশী হয়ে থাকেন তবুও তোহার সাথে আপনার কেন কারোর তুলনা চলে না।
– তাহলে আমি যে সাহায্য করলাম, তোমার জীবন বাঁচালাম, এগুলো মূল্যহীন?
রাফি – দেখুন, আপনি আমার জন্য যা কিছু করেছেন তা কেউ কারো জন্য করে না। আপনি করেছেন এবং তার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে।
– I told you earlier that I don’t like debts and also I asked my price and its also in your range. So are you going to repay?
রাফি – ……………..
– I know you are there. Answer me.
রাফি – itz not possible.
– is it possible to live with your cyber world enemies in real world? That includes me?
রাফি – …………….
– what its gonna be?
রাফি – let me think.
– take your time, but answer me before tomorrow.
রাফি ঠাশ করে ল্যাপটপের লীডটা নামিয়ে ফেলে। কি হচ্ছে এসব আবার রাফির সাথে। মাফিয়া গার্ল এভাবে রাফিকে ব্লাকমেইল করবে ভাবতেও পারে নি রাফি। আর তোহা? হয়তো অল্প দিনেরই পরিচয়, বিয়ে কিন্তু তোহাকে ডিভোর্স। নিজের মাথা নিজে চেপে ধরে রাফি। এ কোন যাতাকলে ফেঁসে গেল রাফি।

অফিস শেষ করে বাড়ির পথে রওনা দিলো রাফি। নতুন কোয়ার্টারে ফিরে দরজায় নক করার সাথে সাথে দরজা খুলে দেয় তোহা। কপাল গাল গলা ঘামে ভিজে আছে, শাড়ীর। আঁচলটা কোমরে গোঁজা। বোঝাই যাচ্ছে ঘর গোছাতে ব্যস্ত ছিলো এতক্ষণ সে। রাফিকে দেখেই একগাল মায়া ঝরানো হাঁসি ছুঁড়ে দেয় তোহা। বিয়ের পর থেকে প্রতিটা মুহূর্ত খুন হয়ে আসছে রাফি ওই মায়াবী হাসিত। এই মেয়েকে ফুলের আঁচড় লাগতে দেখলেও কষ্ট হবে রাফির। আর ডিভোর্স! ! এতোসবব ভাবতে ভাবতে ঘরে ঢোকে রাফি। ঘরের ৭০% গোছানো শেষ। মেয়েটা একলাই সামলে নিলো সব! তোহার দিকে তাকিয়ে যতটা সম্ভব মিষ্টতা দিয়ে একটা হাঁসি ছুঁড়ে দিয়ে সোজা রুমের দিকে যেতে থাকে রাফি। পেছন থেকে তোহাকে উঁকিঝুঁকি দিতে দেখে ঘুরে দাঁড়ায় রাফি!
রাফি – (কৌতুহল) কি হলো?
তোহা – ( প্রশ্নবোধক কৌতুহল) আনো নি?
রাফি – (কৌতুহল) কি আনবো?
তোহা – ( মলিন হাঁসি দিয়ে) নাহ, কিছু না!
রাফি তোহার মলিন হাসিটা লক্ষ্য করলো কিন্তু নিজের মাথার উপর যে যন্ত্রনা কাজ করছে তা ছাপিয়ে যেতে পারে নি তোহার মলিনতা। রাফি ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। তোহা রুমে এসে দেখে ভেজা তোয়ালেটা আবার বিছানায় ফেলে রেখেছে রাফি। সংসার অল্প কিছু দিনের হলেও তোহা এতটুকু জানে যে তার স্বামী স্বজ্ঞানে ঘরের এই হাল রেখে বিছানায় গা এলাবে না। তোহা বুঝতে পারে হয়তো অনেক বড় কোন সমস্যা সামনে এসেছে, যার জন্য আজ হয়তো মনটা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে নি রাফি। ভেজা তোয়ালেটা তুলে বারান্দায় নেড়ে দেয় তোহা। বারান্দার ভিউটা বেশ সুন্দর। দক্ষিনমুখি, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দুইটাই দেখা যায়। পড়ন্ত বিকালে বরকে নিয়ে বারান্দায় বসে প্রচন্ড আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করলেও রাফির উদাসীনতা দেখে ভুলে যায় তোহা। রাফির মাথার কাছে বসে চুলে বিলি কেটে দিতে থাকে তোহা। রাফি জেগেই আছে কিন্তু চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকলো। নাহ, বৌয়ের মলিন হাসি দেখতে একদমই ভালো লাগে না রাফির। কিন্তু তোহার মুখ মলিন ছিলই বা কেন? কিছু আনার কথা বলেছিলো কি? হঠাৎ চোখ খোলে রাফি। ঝট করে বসে পড়ে বিছানার উপর। বৌ তার আইসক্রিম আনতে বলেছিলো। তার উপর একাই ঘরের কত কাজ করে ফেলেছে। নিজেকে নিজে দুষতে থাকে রাফি। মাথা ঘুরিয়ে তোহাকে দেখতে পায় বিছানার পাশে। লজ্জায় চোখ মেলাতে পারে না রাফি। বৌ তার এত বুঝমান হয়ে গেছে যে স্বামতীর কপালে চিন্তার রেখা দেখে আর আইসক্রিম খাবার বায়না ধরে নি। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রাফি। রাফিকে হঠাৎ উঠে দাড়াতে দেখে চমকে যায় তোহা, নিজেও উঠে দাড়ায় রাফির সাথে সাথে। রাফি কোন কথা না বলে চট করে একটা গেন্জি পরে বের হয়ে যায় ঘর থেকে। তোহা পেছন পেছন দরজা পর্যন্ত আসে রাফির, কিন্তু রাফির গতির সাথে পেরে ওঠে না।
আধাঘন্টা পর,
দরজায় নক শুনে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় তোহা। দরজার ফুটা দিয়া উকি মেরে দেখে রাফি। চট করে দরজা খুলে দেয় তোহা। দরজার সামনে রাফি দাঁড়ানো, একদম ঘামে ভেজা, হাপাচ্ছে ভূতের মত। তোহা ভাবে হয়তো নতুন কোন বিপদ দেখা দিয়েছে তাদের জীবনে। রাফি হাঁপাতে হাঁপাতে পেছন থেকে আইসক্রিমের কার্টুন বের করলো। আইসক্রিম দেখে তোহা ছোটমানুষের মত অবাক আর খুশি হয়ে দুইগালে হাত দিয়ে মৃদু আওয়াজে “আআআআআআ” করে চেচিয়ে ওঠে। তোহার অবাক হওয়াটা খুবই ভালো লাগে রাফির, চোখদুটো তাঁরার মত জ্বলতে থাকে মেয়েটার, হয়তো ভূলেই যায় যে সে একজন প্রাপ্তবয়স্কা যুবতী কিন্তু শৈশবের উৎসাহ এখনো তোহার চোখেমুখে। নাহ, বৌ তার ভয়ংকর সুন্দরী।
কিন্তু রাফির এই হাল দেখে কপালে প্রশ্নের রেখা জাগে তোহার।
তোহা – (আহ্লাদী গলায়) আইসক্রিম আনতে গিয়েছিলে ভালো কথা, এই হাল করেছো কেন নিজের?
রাফি – (ঘরে ঢুকতে ঢুকতে) যাওয়ার সময় গাড়ি নিতে ভূলে গিয়েছিলাম, আসার সময় দৌড়ে না আসলে আমার বৌ কি খেতো? আইসক্রিম নাকি চকলেট মিল্কশেক!
তোহা – ( অবাক) তাই বলে দৌড় দিবা!
রাফি – (শান্ত গলায়) দেবই তো, ১০ টা না, ৫ টা না, একটামাত্র বৌ আমার। আইসক্রিম খেতে চাইলে আমি কি না করতে পারি?
তোহা আনন্দে জড়িয়ে ধরে রাফিকে, কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে ছেড়ে দেয়। হয়তো লজ্জায়, নয়তো আইসক্রিম গলে যাওয়ার মায়ায়ণ
তোহা – (লাজুক উৎসাহ নিয়ে) যাও যাও তাড়াতাড়ি দুইটা চেয়ার পাতাও বারান্দায়। আমি আইসক্রিম নিয়ে আসছি বলেই রান্নাঘরের দিকে ছুটে গেলো।
রাফি চেয়ার পাতাচ্ছে আর ভাবছে, এমন বৌ যে রাফিকে খুঁজে বের করে বিয়ে করেছে এটাই রাফির ৭ জন্মের ভাগ্য। রাফি মাঝে মাঝে অবাক হয়, কলেজ আর ভার্সিটি লাইফে এই মেয়েটাই রাফির পেছন পেছন ঘুরতো! এইসব সাতপাচ ভাবতে ভাবতে তোহা চলে আসে, হালকা সাজুগুজু করেছে মনে হয়, নাহ কোন সাজুগুজু নয়, কপালে একটা মাত্র লালটিপ দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে ফেলেছে রাফির বৌ। রাফি আগে থেকেই একটা চেয়ারে বসে ছিলো। তোহা আইসক্রিম দুটো রাফির হাতে ধরিয়ে দেয়। তারপর দুইটা চেয়ারের মাঝের দূরত্ব যতটা সম্ভব কমিয়ে আনে। তারপর বসে পরে রাফির বাম পাশ ঘেঁষে। রাফির বাম হাতের নীচ দিয়ে নিজের ডান হাত গলিয়ে নেয় রাফির বৌ। কোন কথা না বলে রাফির বাম হাতে মাথা ঠেকিয়ে আইসক্রিম খেতে থাকে। রাফিও কোন কথা না বলে আইসক্রিম খেতে খেতে সূর্যাস্ত দেখতে লাগলো। রাফির মনে হতে লাগলো পৃথিবীর বুকে একটুকরো জান্নাত আজ এই ছোট্ট বারান্দাতে তৈরী হয়েছে।
রাতে খাওয়াদাওয়া করার পর রাফির ফোনে আবারও মেসেজ পেল, আননোন সোর্স থেকে মানে মাফিয়া গার্ল,
“I want the answer tomorrow. Bring your answer with you.”
রাফি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে। একদিকে মাফিয়া গার্ল যাকে এককথায় বলা যায় The Queen of the cyber world, যে কিনা রাফির অজান্তেই সাহায্য করে আসছে। বড় বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে, একপ্রকার ইমপসিবল কেসের মিষ্ট্রি সলভ করে রাফির হারিয়ে যাওয়া সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে, এমনকি এই চাকরিটা পাইয়ে দিতেও মাফিয়া গার্লের ভূমিকা অপরিসীম। আজ রাফি যেখানে তার সিংহভাগই মাফিয়া গার্লের দেয়া।
অন্যদিকে তোহা, যে কিনা বিয়ের পরদিন থেকেই রাফির জন্য সমস্যায় জড়িয়ে পরেছে। কিন্তু একটা বারের জন্য ও কমপ্লেইন করে নি। একটা বারের জন্যও খোঁচা দিয়ে কথা বলে নি। চুপচাপ রাফির পাশাপাশি ছিলো এবং এখনো আছে। চাইলেই সে তার দেশে ফিরে যেতে পারতো, কিন্তু এমন চিন্তাও করে নি সে। তোহার মত বৌ পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার। আর রাফি তো প্রতিনিয়ত তোহার মায়ায় জড়াচ্ছেই। তোহা ছাড়া ঘরকে ঘর মনে হবে না। ভেজা তোয়ালেটা বিছানায় পড়ে থাকতে দেখতে মোটেই ভালো লাগবে না।
রাফি তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এখন শুধু সকালের অপেক্ষা।
সকালে ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছালো রাফি। সাধারন নিয়মে রাফি অফিসে এসে সবার প্রথম ডাইরেক্টর স্যারের রুমে গেলেও নতুন ডাইরেক্টরের থোবড়া দেখে দিনটা শুরু করতে ইচ্ছা করছিলো না। তাই সোজা গিয়ে নিজের ডেস্কে বসলো। কাজ করার মাঝখানে নতুন ডাইরেক্টর স্যার নিজেই রাফির ডেস্কে আসে।
ডাইরেক্টর – (সংকোচ নিয়ে) ইয়ে, রাফি! বাবা যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমার কেবিনে একটু আসতে পারবে?
রাফির খটকা লাগে। যে লোক রাফির এতবড় সাফল্যেও এপ্রিসিয়েশন তো দূর, একটু ভালোভাবে কথা পর্যন্ত বলে নি সেই ডাইরেক্টর স্যার কিনা নিজে এসে রাফিকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে তার কেবিনে তাও আবার বাবা ডেকে!!! ঘটনা ত সুবিধের ঠেকছে না।
রাফি – স্যার, আপনি কেন কষ্ট করতে গেলেন? আমাকে খবর পাঠালেই হতো। আপনি যান আমি কিছুক্ষণের ভেতর আসছি।
ডাইরেক্টর স্যার চলে যাওয়ার পর রাফি স্যারের কেবিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এমন সময় একটা মেসেজ পেলো রাফি, আননোন সোর্স থেকে। রাফির মন চাইলো না তারপরও কি মনে করে ওপেন করে রাফি।
“Your bad boss case solved. He won’t even try to disturb you again”
রাফি আবারো চেয়ারে বসে পড়ে। রাফির লাইফের গার্ডিয়ান এন্জেল হয়ে দাড়িয়েছে এই মাফিয়া গার্ল। না চাইতেও দুই হাত ভরে সাহায্য করছে রাফিকে। কিন্তু বিনিময়ের মূল্য অনেক বেশী চড়া হয়ে গেছে রাফির কাছে।
ডারেক্টর স্যারের রুমে গেলে রাফিকে বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ব্যাপারটা (!) নিজেদের ভেতরে রাখার ইংগিত দিতে থাকলেন। রাফি বুঝলো যে ঘা যখন মাফিয়া গার্ল মেরেছে তখন সেটা মাংশে লাগে নি, সোজা গিয়ে হাড়ে লেগেছে। রাফিও যেহেতু কিছুই জানে না তাই ডাইরেক্টর স্যারের হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে পাশ কাটাতে চাইলো।
রুম থেকে বের হওয়ার পর দুইটা মেসেজ পেলো রাফি, মাফিয়া গার্ল এবং তোহা দুইজনের।
প্রথমে তোহার মেসেজ ওপেন করলো রাফি।
“কখন আসবে? আজ রাতে কি রান্না করবো? তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এসো।”
মাফিয়া গার্লের মেসেজ ওপেন করলো,
“Problem solved. Your time is up Mafia Boy. So what is your choice? ”
রাফি ডেস্কে এসে ল্যাপটপ ওপেন করে, একটা চ্যাটবোট উইন্ডো অপেক্ষা করছে রাফির উত্তর জানার জন্য।
রাফি চ্যাটবোটে টাইপিং পয়েন্টারের লাফানোর দিকে এক নজরে তাকিয়ে থাকে। ভাবনা চিন্তার ফলাফল শুন্য জেনে ঘটঘট করে কীবোর্ডে হাত চালায় রাফি।
রাফি – No, I can’t leave her for you and also I can’t loose you.
– Ha ha ha ha. You can’t be serious. You want both of us!
রাফি – ……………
– ME or Her. Choose now.
রাফি -……………
– NOW, RAFI.
রাফি – তোহা। I choose Toha.
কিছুক্ষণ নীরবতা। ফিরতি মেসেজের কোন তাড়া নেই। হঠাৎ
– you are a good man Rafi. Toha is very lucky to have you.
রাফি – what?
টাইপ শেষ করতেই চ্যাটবোট উধাও হয়ে যায়। রাফিও বুঝতে পারে না কি হলো, আর কি ই বা হতে চলেছে রাফির জীবনে।

সমাপ্ত (???)

সবাই ভাল থাকবেন।

8 মন্তব্য

  1. Puro golpota darun chilo,,just outstanding ??….Season 2 ar jonno wait korbo. Asha kori khub tara tari pabo ??.
    Kano jani na mone hochhe, Tohai holo Mafia girl…..

  2. শেষের পর্বটাতে আরো অনেক কিছুর দরকার ছিলো
    তোহা কি মাফিয়া-গাল
    নাকি রুহি
    আর যদি তোহা,রুহি কেউই মাফিয়া-গাল না হয়ে থাকে
    তবে কে সেই মাফিয়া গাল কেনো সাহায্য করলো
    মাফিয়া -বয়কে’ ?????
    অনেক প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে
    খুব তারাতরি Season 2 আশা করছি,অপেক্ষাও করছি
    দয়া করে তারাতারি দিয়েন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে