My_Mafia_Boss_Husband Part: 16

2
4894

My_Mafia_Boss_Husband Part: 16

Mafia_Boss_Season2

Writer:Tabassum Riana

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসে।রুহী কফি বানিয়ে রোয়েনের পাশে দিয়ে চলে গেলো।রোয়েন রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।কফিতে শেষ চুমুক দিয়ে উঠে বেরিয়ে যায় রোয়েন।রুহী নাস্তা সেরে শুয়ে থাকে।দুপুরে রোয়েন ফিরে আসে।রুহীর সামনে ৪,৫টা ব্যাগ রেখে রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় রোয়েন।রুহীর চোখ ভারি হয়ে আসতে চায় কিন্তু নিজেকে সামলিয়ে নেয়।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বিকেলে আনিলা বেগম, আনাম, আজমল খান পুলিশ দের নিয়ে ঘরে চলে আসে।রোয়েন ওদের সামনে বসে আছে।মুখে শয়তানি হাসি দিয়ে বসে আছে।
স্যার আমার মেয়েকে আটকে রেখেছে এই রোয়েন আহমেদ।আমার মেয়ের মাত্র ১৬বছর।সে নাবালিকা।আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে বলেন।আজমল খান চিৎকার করে বলতে লাগলো।প্রমান কি?চোখ ছোট করে বলে উঠলো রোয়েন।থাকবেনা কেন? অবশ্যই আছে।আজমল খান রোয়েনের সামনে সব সার্টিফিকেট গুলো রাখলো।এই দেখুন আমার মেয়ের সব সার্টিফিকেট। আজমল খান চিৎকার করে বলতে লাগলো।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন মাথা নিচু করে বাঁকা হাসতে থাকে।পুলিশ ফাইল গুলো চেক করে দেখতে থাকে।তো রোয়েন আহমেদ আপনার কি মত?দিয়ে দিবেন রুহীকে ওনার বাবার কাছে?পুলিশ সুপার বলে উঠলো। রোয়েনের কপালের রগ খাড়া হয়ে গেলো।রোয়েন উঠে দাঁড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো।রুহী খাটের ওপর মাথা নিচু করে বসে আছে।রোয়েন রুমে এসে আলমারি থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকায়।ফ্রেশ হয়ে নাও।ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।রুহী চুপচাপ উঠে দাঁড়িয়ে আলমারির কাছে এগিয়ে আসে।রোয়েন বেরিয়ে যায়।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,পুলিশের সামনে এসে বসে রোয়েন।পুলিশের সামনে সার্টিফিকেট গুলো রাখলো রোয়েন।এগুলো হলো রুহীর Birth certificate,Ssc,Hsc certificate. রুহীর এখন ১৮ বছর ৬মাস।রোয়েন শয়তানি হাসি দিয়ে বলল আজমল খানের দিকে তাকিয়ে।এসব অসম্ভব আমার মেয়ের এখনো ১৮বছর হয়নি।চিৎকার করে বলে উঠলো আজমল খান।ইন্সপেক্টর আপনি চাইলে ওর স্কুল কলেজে কল দিয়ে জানতে পারেন।রোয়েন বলে উঠলো।পুলিশ রুহীর স্কুল কলেজে কল দিতে শুরু করলো।মিঃআজমল খান সবার কথা মতো রোয়েন আহমেদের সার্টিফিকেট গুলো ঠিক।তো আপনার মেয়ের ১৮বছর।সে এখন চাইলে ওনার সাথে থাকতে পারে।পুলিশ বলে উঠলো।আরে নাহ এটা এই রোয়েনের কোন চালাকি।আমি মানিনা আমার মেয়ের ১৮হয়নি এখনো।চিৎকার করে বলতে লাগলো আজমল খান।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এখন সত্য প্রমান হওয়ার পর ও বলছেন আমার চালাকি?পুলিশ আছে নাহলে জিন্দা ফিরতে পারতেননা।চিৎকার করে বলে উঠলো রোয়েন।
পার্লার থেকে দুজন মেয়ে এসেছে।ম্যাম আপনাকে রেডি করতে বলল স্যার।একটা মেয়ে বলে উঠলো।রেডি!! কেন?ওদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে উঠে রুহী। সেটাতো জানিনা ম্যাম। রুহীকে ওরা সাজাতে লাগলো।রোয়েন ওদের সামনে থেকে উঠে সিড়ি বেয়ে রুমে চলে আসে।রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে একটা মেয়েকে প্যাকেট গুলো দেখিয়ে বলল পরিয়ে দিতে।রোয়েন ফোন নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।কাজী চলে এসেছেন।আজমল খান আর আনাম অবাক চোখে রোয়েনের কার্যকলাপ লক্ষ করছে।রুহীকে কালো রংয়ের লেহেঙ্গা পরানো হলো।সেই সাথে ম্যাচিং করে কালো স্টোনের গয়না।মাথায় কালো দোপাট্টা।আর গর্জিয়াস সাজ।সব মিলিয়ে রোয়েনের ডার্ক কুইন লাগছে।রোয়েন কালো একটি শেরওয়ানি পরে নিয়েছে।রফিক আর শামীম রুজী নিচে নিয়ে এসে রোয়েনের পাশে বসালো।রুহী চারপাশে তাকিয়ে দেখছে।হঠাৎ আনিলা বেগমের দিকে চোখ পড়লে রুহীর।যেখানে ওর জন্য ঘৃনা থাকতো সেখানে মায়া দরদ মেয়েকে বিদায় দেয়ার কষ্ট ফুঁটে উঠেছে।অানিলা বেগমের চোখে পানি।রুহী চোখ সরিয়ে রোয়েনের দিকে একনজর তাকালো।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বিয়ে পড়ানো শুরু হলো।রুহীর সাক্ষী হিসেবে আজমল খান আর আনিলা বেগম সাইন করবে।রুহী চেঁচিয়ে উঠলো আজমল খান কলম হাতে নিতেই।আপনি আমার কাবিন নামায় সাইন করে অপবিত্র করবেননা।চিৎকার করে বলে উঠলো রুহী।রফিক ভাই আপনি আমার বড় ভাই।ভাই তো বাবার মতো হয়।প্লিজ আপনি সাইন করুন।রুহী বলে উঠলো।রফিকের চোখে পানি চলে এলো।মিস আনিলা আপনি আমার কাবিন নামায় সাইন করবেন না।রুহী কথা টি বলতেই রোয়েন রুহীর দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে তাকালো।চুপ থাকো বলছি।চিৎকার করে বলল রোয়েন।রুহীর সাক্ষী হিসেবে আনিলা বেগম আর রফিক সাইন করলো।অপরদিকে রোয়েনের সাক্ষী হলো শামীম আর ইন্সপেক্টর। বিয়ে পড়ানো শেষে কাজী চলে গেলেন।খাওয়াদাওয়া সেরে সবাই একে একে চলে গেলো।রুহীর পাশ থেকে উঠে উপরে চলে গেলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে উঠে সিড়ির দিকে পা বাড়ালো। রুহী রুমের কাছে আসতেই ধাক্কা দিয়ে বসলো রোয়েন।এ রুমে আসার চেষ্টা করবেনা। চিৎকার করে উঠলো রোয়েন।

,,,,,,,,,,,,,,,পড়ে যেতে নিলে দেয়াল ধরে রুহী।এমন করছেন কেন?কি হয়েছে?কাঁদতে লাগলো রুহী।কিছু হয়নি?ঐদিন কি কি বলেছিলে আমায় কিছু খেয়াল আছে?আমি তোমার কেউ না তাইনা?আমরা তো লিভ টুগেদার করছি তাইনা?নে তোর লিভ টুগেদারকে পবিত্র করে দিলাম বিয়ে করে।আমার সামনে আসবিনা।ধড়াম করে দরজা লাগিয়ে দিলো রোয়েন।
রুহী ফুঁপাতে ফুঁপাতে পাশের রুমে চলে এলো।
চলবে

2 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে