Dangerous_Villian_Lover part 2

1
4816

Dangerous_Villian_Lover part 2
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

আমার ধুম বন্ধ হয়ে আসছে কিন্তু ছারার কোন নাম ও নিচ্ছে না। হঠাৎ ছেড়ে দিলো এতো টাই ক্লান্ত হয়ে পরেছি যে ঠাস করে বিছানায় পরে গেলাম কে ওই ছেলে আর দেখার শক্তি নেই আমার আর কিছু মনে নেই।
.
.

এদিকে অচেনা ছেলেটি এভাবে ছোঁয়ার পরে যাওয়াতে একটু ভয় পেয়ে যায়। ও ছোঁয়ার কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে ডাকতে লাগে না কোন সারা শব্দ নেই। পালস চেক করে দেখে না সব তো ঠিক আছে এ তো মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে কিন্তু এই ভাবে কেউ ঘুমায়। বলেই বাকাঁ হাসি দিল এইসব আমার মায়াবতীর ধারায় সম্ভব।

লোকটি এক ধ্যানে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,,, যত দেখি শুধু দেখতেই মন চাই কি আছে এই মুখে কেন এতো নেশা লাগে যত দেখি মনে হয় এই তো প্রথম দেখছি। ছোঁয়ার চুল গুলো উড়ে আসে মুখের উপর অচেনা লোকটি খুব যত্ন সহকারে চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দেয়।

প্রতিদিন রাতেই এভাবে ছোঁয়ার রুমে আসে অচেনা লোকটি ভোরের আগে আবার চলে যায়। আজ তাই হলো ভোর হতেই লোকটি ছোঁয়ার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে যায়।

.
.

সকালে—>

ছোঁয়া ফোনের মেসেজ আসায় জেগে যায় ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা সেই নাম্বার এই নাম্বার টা থেকে এক সপ্তাহ ধরে সকালে আর রাতে নিদিষ্ট টাইমে মেসেজ আসে আজ ও তাই হলো ছোঁয়া ভাবতে লাগল কে হতে পারে যত বার ফোন দিয়েছে নাম্বার টায় বন্ধ পেয়েছে। হঠাৎ রাতের কথা মনে পরলো আর সঙ্গে সঙ্গে ছোঁয়া ভয়ে কুকড়ে উঠলো,,,,,

কে ছিলো? কে এসেছিল কয়েকদিন ধরে আমার মনে হচ্ছিল কেউ হয়তো আমাকে খুব কাছে থেকে দেখে কিন্তু কোন প্রমাণ পায় নি। তাই সব সময় মনের ভুল ধারনা ভেবেছি কিন্তু কাল তো তাকে আমি অনুভব করেছি। এটা ঠিক দেখতে পারনি কিন্তু সে আমাকে টাচ করেছে হঠাৎ ছোঁয়ার হাত ঠোটে চলে গেল আর সাথে সাথে চিৎকার করে উঠল,,,,
.
.

?ছোঁয়ার বাবা মাহমুদ হোসেন অনেক বড় বিজনেস ম্যান। সবাই যাকে এক নামে চেনে আর ছোঁয়ার মা তাহমিনা আক্তার হাউজওয়াইফ। ছোঁয়া ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার এ পরে পড়া লেখার মুটামুটি খুব একটা ভালো না। কিন্তু দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর যেমন মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল। গায়ের রং একদম ফর্সা,, লম্বা পাচঁ ফুট। ছোঁয়া অনেক চজ্ঞল টাইপের মেয়ে শান্ত খুব কম থাকে আর অনেক রাগী। মাহমুদ আর তাহমিনা বেগমের চোখের মনি ছোঁয়া মেয়েকে অসম্ভব ভালোবাসা। যখন যা চায় সব দেয় কোন ইচ্ছে অপূর্ণ রাখেনা।?

.
.

ছোঁয়ার মা রান্না ঘরে রান্না করতেছিল হঠাৎ মেয়ের এমন চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো। ছোঁয়ার বাবা রুমে ছিলো অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিল মেয়ের চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে নিজে ও সব বাদ দিয়ে আসে।

— আমার মামুনির কি হয়েছে?( আববু )

— আববু ( ভয়ে কথা বলতে পারছে না)

— কি হয়েছে বলো তোমার কি চাই বল একবার আমি তাই এনে দেবো?( ছোঁয়ার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)

— ( ছোঁয়া ও ওর আববু কে জরিয়ে ধরে ) সব খুলে বলে।

ছোঁয়ার আম্মু পাশেই থাকে বাবা কাছে থাকলে যে সে কখনোই কাছে ঘেষতে পারেনা। সব শুনে ছোঁয়া বাবা যাও একটু বিশ্বাস করতেছিল কিন্তু ছোঁয়ার মার কথা শুনে আর পারলো না।

— ছোঁয়া আমার বিশ্বাস তুমি সপ্ন দেখেছো এমন কখনো হয় নাকি। আমাদের বাড়িতে কতো জন দাড়োয়ান তুমি তো জানে কাক পক্খি ও বাড়িতে ঢুকতে পারবে না। তুমি অযথা ভয় পাচ্ছো!( আম্মু)

— না আম্মু আমি অযথা ভয় পাচ্ছি পা ” বিলিভ মি” আমি সত্যি বলছি আববু তুমি বিশ্বাস করো তো আমার কথা আমি একটু ভুল বলছি না কেউ আসছিল আমার রুমে।( ছোঁয়া )

— মামুনি আমি তোমাকে বিশ্বাস করো কিন্তু এই মূহুর্তে আমার তোমার আম্মুর কথাটাই ঠিক মনে হচ্ছে। তুমি নিশ্চয়ই ভুল দেখেছো কেউ কিভাবে আসবে ভাবো।

দুজন মিলে ছোঁয়া কে অনেক কিছু বুঝিয়ে বলে গেল। যে ছোঁয়া ধারনা ভুল ছোঁয়া বসে ভাবছে। আমি কি এতোটাই ভুল দেখলাম ওফ দেখি নি তো অনুভব করেছি। ছোঁয়ার ঠোঁটে কথা মনে পরে গেল সঙ্গে সঙ্গে আয়নার সামনে গেল হুম ঠোট লাল হয়ে আছে আর মানে আমার ধারনা ভুল না সত্যি কেউ ছিলো কিন্তু কে সে।
আববু আম্মু তো আমার কথা বিশ্বাস ই করলো না। কি করে বিশ্বাস করাবো তাদের হঠাৎ কলেজের কথা মনে পরে গেল কাল ক্লাস করতে পারিনি আজ তো যেতে হবে সব চিন্তা বাদ দিয়ে রেডি হয়ে নিলো।
নিচে এসে হালকা খাবার খেয়ে বেরিয়ে পরলো গেট দিয়ে বের হয়ে হাটছে আর ভাবছে কথা গুলো হঠাৎ মনে হচ্ছে কেউ আমার পেছনে পেছনে আসছে। ছোঁয়া পেছনে তাকালো দেখার জন্য না কেউ নেই কিন্তু আমার কেন মনে হচ্ছে কেউ আমাকে সব সময় ছায়ার মতো ফলো করছে।
আবার তাকালো মনে হলো কেউ সলে গেল এখন ছোঁয়া ভয় করছে না আর হেটে যাব পা কাল থেকে গাড়ি নিয়ে আসবো। এসব ভেবেই কলেজে ঢুকে গেল ছোঁয়া।

.
.

এদিকে গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে ভাবতে লাগলো আমার মায়াবতীর মাথায় তো অনেক বুদ্ধি কতো বার পেছনে ফিরেছে। একটু জন্য আজ ধরা পরা থেকে বেচে গেছি আর একটু হলেই ধরা পরে যেতাম। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো,,,,

— হ্যালো

— বস শফিক কে ধরেছি আপনি তারাতারি চলে আসেন?

— হুম ( বাকাঁ হেসে)

.
.

? এই হচ্ছে রাহুল মাফিয়া বস সমস্ত গুন্ডারা যার ভয়ে কাপেঁ। সবাই রাহুল কে দেখলে ভাথা নিচু করে থাকে প্রচণ্ড রাগি আর বদমেজাজি রাহুল। সব সময় রাগি ভুড নিয়ে থাকে যে কখনো ভুলের জন্য ক্ষমা করে না তার কাছে ভুলের একটাই শাস্তি মৃত্যু। রাহুল দেখতে পুরো হিরো সব মেয়ের ক্রাশ যাকে বলে একবার কথা বলার জন্য হাজার হাজার মেয়ে লাইন ধরে থাকে কিন্তু রাহুলের তাতে কোন ইন্টারেস্ট নেই। রাহুলের উচ্চতা ৬ ফুটের উপরে,,, গায়ের রং দবদবে ফর্সা গালে খোচাখোচা দাড়ি।?

কথা শেষ করে রাহুল গাড়ির কাছে এসে দাড়ালো একজন এসে মাথা নিচু করে গাড়ির দরজা খুলে দিলো রাহুল গাড়িতে গিয়ে বসলো।
বাগান বাড়ি এসে গাড়ি থামলো দরজা খুলে বেরিয়ে এলো রাহুল। সবাই মাথা নিচু করে ফেললো রাহুল কে দেখে রাহুল কালো শার্ট কালো ফান্ট কালো পা পযর্ন্ত লম্বা একটা কোট পরে আছে চোখে কালো সানগ্লাস।

রাহুল কে দেখেই পিয়াস দৌড়ে এলো।

— বস?

রাহুল সোজা রুমে ঢুকে গেল। একটা চেয়ার এ হাত পা বেধে রেখেছে শফিককে। রাহুল যাওয়া সাথে সাথে ভয়ে ওর আত্মা কেপেঁ উঠলো ও যানে রাহুল কতো টা ভয়ংকর ভুল করলে কোন ক্ষমা নেই আর বিশ্বাস ঘাতককে তো একেবারে র্নিশেষ করে দেয়। রাহুল নিজের বসার জায়গায় গিয়ে বসে পরলো পায়ের উপর পা তুলে তারপর চোখে থেকে সানগ্লাস টা খুলে পাশের টেবিলে রাখলো তারপর কোটের পকেটে থেকে তিনটা বন্দুক বের করলো সে গুলো ও টেবিলের উপর রেখে একটা বন্দুক হাতে নিয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরাতে লাগল,,,

হাতে ইশারায় শফিকের মুখের বাধন খুলে দিতে বলল,,

— বস এবারে মতো ক্ষমা করে দেন। আর কখনো এমন ভুল করবু না?

— তুই জানিস না রাহুল কাউকে দ্বিতীয় হুযোগ দেয় না বিশেষ করে বিশ্বাস ঘাতককে তো নয় ই। তুই আমার দলের হয়ে আসিফের সাথে হাত মিলিয়েছিলি আমার খবরাখবর পৌঁছে দিয়েছত তোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যু।

বলেই বাম হাতে বন্দুক নিয়ে ঝাজড়া করে দেয় শফিকের বুক।
শফিক রাহুলের লোক ছিলো কিন্তু শফিক আসিফের হাত মিলিয়ে রাহুলের ক্ষতি করতে চেয়েছিল তাই এই শাস্তি পেত হলো তাকে।

— লাস টা গুম করে দাও।

পিয়াসের দিকে তাকিয়ে।

রাহুল সব গুলো বন্দুক আবার পকেটে বরে নেয় তারপর সানগ্লাস টা চোখে পরে বেরিয়ে যায়।

চলবে………

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে