তুমি কে পর্ব-০৯ এবং শেষ পর্ব

1
1360

#তুমি_কে?
লেখকঃ আবির খান
পর্বঃ ০৯(শেষ পর্ব)

রোহান সাথে সাথে বিশাল বড়ো সক খায়। ও এখন কি করবে? কিভাবে তুবাকে বাঁচাবে? একদিকে তুবা অন্যদিকে ওর পুরো কোম্পানি। যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক, কর্মজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ। রোহান এখন কি করবে? ও আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। রুমে চলে এসে সোফায় বসে পড়ে মাথায় হাত দিয়ে৷ তুবা অস্থির হয়ে কান্না করতে করতে রোহানের পিছু পিছু চলে আসে। মেয়েটা একটু আগেই প্রাণ খুলে খুব হাসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হাসিটুকু কান্নায় পরিণত হয়ে গেল। তুবা খুব চিন্তিত স্বরে বলে,

~ ভাইয়া কি বলেছে প্লিজ একটু বলবেন?
— আগামী বারো ঘণ্টার মধ্যে তোমাকে বাসায় দিয়ে না আসলে ও আমার নাম খারাপ করবে৷ শুধু তাই না আমার কোম্পানিকেও নাকি শেষ করে দিবে।

তুবা চোখদুটো বড়ো বড়ো করে রোহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ও বিশ্বাস করতে পারছে না ওর ভাই এতটা খারাপ। তুবাও রোহানের পাশে নিথর হয়ে বসে পড়ে। নিঃশব্দে মেয়েটা অঝোরে কাঁদতে থাকে। ও বুঝতে পারছে রোহানের অবস্থাটা এখন কেমন। তাই বেশি সময় না নিয়ে রোহানের হাতের উপর হাত রেখে তুবা কান্নাসিক্ত কণ্ঠে বলে,

~ আমি এমনিই আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আর দিতে চাই না৷ আমাকে দিয়ে আসুন বাসায়। আমি আমার জীবনটা একটু হলেও উপভোগ করেছি। জীবনের স্বাদ পেয়েছি। হয়তো এর চেয়ে বেশি আমার ভাগ্যে আর ছিল না। তাই আমি অনেক বেশি খুশি। আপনার মতো একটা মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে, আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন আপনি। তবে আর না৷ হয়তো এবার বিদায়ের পালা এসেছে। আর কিছু ভাবতে হবে না। দিয়ে আসুন প্লিজ৷

কথাটা শেষ হওয়া মাত্রই তুবার দুচোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। রোহান ওর দিকেই তাকিয়ে ছিল। ও এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে তুবাকে ওর বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

— কিভাবে ভাবলে তুমি, যে আমি তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিব? কখনো না। আমার বিষন্ন জীবনের আনন্দ তুমি, আমার অন্ধকার রাতের চাঁদ তুমি, আমার স্নিগ্ধ সকালের আলো তুমি। আমার সবকিছুই তো তুমি। তাহলে কিভাবে আমি তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেই বলো? কখনো না। অসম্ভব এটা আমার জন্য।
~ আপনি কেন এসব বলছেন? আমার জন্য আপনার অনেক বড়ো ক্ষতি হবে৷
— হবে না৷ আমি অনেক ভেবে একটা বুদ্ধি বের করেছি।

তুবা মাথা তুলে রোহানের দিকে তাকিয়ে বলে,

~ কি বুদ্ধি?
— আমি তোমাকে নিয়ে তোমার বাসায় যাবো। তোমার ভাই আর মা তোমার সম্পত্তিই তো চায় তাই না? তুমি তাদের সব লিখে দিয়ে আমার সাথে একেবারে চলে আসবে৷ দরকার নেই কিছু তোমার। আমার যা আছে তা দিয়ে ৭ প্রজন্ম এমনিই শুয়ে বসে খেতে পারবে৷ কি বলো?

তুবা রোহানের কথায় লজ্জা পায় আর বলে,

~ আমার শুধু আপনাকে চাই। আর কিছু না।
— তাহলে আর দেরি না চলো। আর একটা কথা মনে রাখবে, তোমাকে হ্যাপি রাখার জন্য আমি সব করতে পারি।

তুবা মুগ্ধ হয়ে রোহানের দিকে তাকিয়ে আছে। হ্যাঁ এই সেই মানুষ যাকে ও ভীষণ ভাবে ভালবাসে। তুবা খুব করে চাচ্ছে ও বলে দিক, আমি আপনাকে ভালবাসি। কিন্তু ওর মন বলে এই সব ঝামেলা শেষ করে একেবারে ও মনের কথাটা বলতে। তাই ও আর বলে না। এদিকে রোহান দ্রুত ওর ফোনটা বের করে ওর পার্সোনাল উকিলকে কল দিয়ে সব বুঝিয়ে আসতে বলে। তারপর ওরা কোনরকম নাস্তা করে উকিল আসলে তাকে সাথে নিয়ে রওনা হয় তুবাদের বাসায়। মানে আহসান ম্যানসনে। রোহান আর তুবা পিছনের সিটে একসাথে বসে আছে। তুবা রোহানের কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে চোখ বন্ধ করে। ওর প্রচুর ভয় করছে৷ ওর মন কেন জানি বলছে, ও রোহানকে হারিয়ে ফেলবে৷ এটা যখন ভাবছিল হঠাৎই রোহান ওর হাতটা শক্ত করে মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে৷ তুবা সাথে সাথে ওর আস্থা বিশ্বাস আবার ফিরে পায়। এক ঘণ্টা পর ওরা তুবার বাসায় গিয়ে পৌঁছায়। গাড়ি নিয়ে ভিতরে ঢুকতেই আশেপাশে অনেক অস্ত্রধারী বডিগার্ড দেখে ওরা। গাড়ি পার্ক করে ওরা তিনজন নেমে পড়ে। একটা লোক এসে বলে,

— আমার সাথে আসুন৷

রোহান, তুবা আর উকিন সেই লোকের সাথে বাসার ভিতরে যায়৷ ঢুকেই হল রুমে দেখে সেই আহসান আর ওর মা একসাথে বসে আছে। আহসান রোহানকে দেখে বলে উঠে,

— ওয়াও! এ আমি কাকে দেখতে পাচ্ছি? আমার একমাত্র এবং সবচেয়ে বড়ো শত্রু, রোহান খান! ওয়েলকাম রোহান ওয়েলকাম।

তুবা ভয়ে রোহানের পিছনে লুকিয়ে আছে। ওর মা বলে উঠে,

~ আমার মেয়েটাকে ও কিভাবে বস করেছে দেখ আহসান৷
— মা ও যে কতটা খারাপ তুমি কল্পনাও করতে পারবে না৷ তুবা এদিকে মায়ের কাছে আয়। তোর একমাত্র আপনজন আমরা। ও না৷

রোহান উকিলকে ইশারায় বাইরে যেতে বলে। সে চলে গেলে এবার রোহান বলতে শুরু করে,

— তুবা আমার সামনে আসো। কিছু প্রশ্ন করবো তার উত্তর দিবে৷

তুবা রোহানের কথা মতো সামনে আসে। এবার রোহান প্রশ্ন করে,

— তোমার মা লাস্ট কবে তোমার কাছে এসে তোমার সাথে কথা বলেছে?
~ জানি না৷
— তোমার ভাই লাস্ট কবে তোমার সাথে ভালো ভাবে এসে দুটো কথা বলেছিল?
~ জানি না।
— তোমাকে নিয়ে লাস্ট কবে শপিং এ গিয়েছিল তোমার পরিবার?
~ জানি না আমি। (কান্না করে দেয়)
— তুমি কাদের সাথে ঘুমাতে?
~ সার্ভেন্টদের সাথে।
— তুমি অসুস্থ হলে তোমার দেখাশোনা কে করতো?
~ সার্ভেন্টরা।

এবার রোহান তুবার ভাই আর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,

— এই হলেন আপনারা আপনজন! তাহলে এই ভাবে আপনারা আপনাদের বাড়ির মেয়ের সাথে ব্যবহার করেন? ছিঃ আহসান ছিঃ। টাকার লোভ তোকে এত নিচে নামিয়ে দিয়েছে? আরে ও না তোর আপন বোন? তুই তো আগে এমন ছিলি না! আণ্টি ও তো আপনার দশ মাস পেটে ধরা সন্তান। তাহলে কিভাবে আপনি ওর মা হয়ে ওর উপর এরকম জুলুম করতে পারেন? আপনিও তো একজন মেয়ে। ও আমাকে সব বলেছে। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওর উপর আপনারা অনেক জুলুম করেছেন। কিসের জন্য সম্পত্তি? আচ্ছা আহসান এত ধন সম্পদ নিয়ে কোথায় যাবি তুই? একদিন তো আমাদের এই সব ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু এই মানুষগুলো কিন্তু সবসময় আমাদের হয়ে থাকবে। আমাদের জন্য দোয়া করবে। তাহলে মানুষের চেয়ে এই ধন সম্পদকে কিভাবে তুই বড়ো ভাবলি? তুই নিজেকে এমন বানিয়েছিস যে তোর আপন বোন তোর ভয়ে বাসা থেকে পালিয়েছে। ওকে যদি আমি না পেয়ে অন্য কোনো খারাপ লোক পেতো তাহলে তো এতক্ষণে তোর বোন সব হারাতো। কেন? কেন এমন হলি তুই?

আহসান আর ওর মা স্তব্ধ হয়ে আছে। রোহান একটু চুপ থেকে আবার বলে,

— আমার কথায় তোরা রাতারাতি যে ভালো হয়ে যাবি এমন না৷ আমি জানি তোরা পরিবর্তন হবি না৷ হতেও হবে না। উকিল মশাই ভিতরে আসুন৷
— জি স্যার।
— কাগজটা দিন।
— এই যে স্যার।
— এটা কিসের কাগজ তাই তো ভাবছিস? এটা সেই কাগজ যার জন্য তোরা তুবাকে রাস্তায় নামিয়েছিস। এই কাগজে লেখা আছে, তুবা সজ্ঞানে ওর নামে যা যা লেখা ছিল সব তোর নামে লিখে দিয়েছে। তুবা কখনোই তোর এই সম্পত্তি চায় নি। চেয়েছিল একমুঠ ভালবাসা। কিন্তু তোরা সেটা বুঝিস নি। তুবা সাইন করে দেও।
~ আচ্ছা।

তুবা দ্রুত সাইন করে দেয়। রোহান কাগজটা নিয়ে বলে,

— যাও তোমার বাবার কাগজটা নিয়ে আসো।

তুবা সেটাও নিয়ে আসে। রোহান কাগজ দুটো নিয়ে তুবার মায়ের কাছে যায়। তার হাতে কাগজ দুটো দিয়ে বলে,

— আণ্টি আমরা মানুষেরা কত খারাপ। সামান্য এই দুটো কাগজের জন্য সম্পর্ক শেষ করে দিয়ে একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়ে যাই। তাও রক্তের সম্পর্কের মধ্যে! নিন আপনার একমাত্র আদরের ছেলের নামে সব লিখে দিল আপনার মেয়ে। ওহ! সরি, আপনারা তো ওকে মেয়েই ভাবেন না। নিন।

রোহান তুবার মায়ের হাতে কাগজ দুটো দিয়ে আহসানের কাছে আসে৷ এসে বলে,

— কলেজ জীবন থেকে তুই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিলি। তোর সাথে আমি কত সময় পাড় করেছি। কিন্তু ভার্সিটিতে উঠে একটা মেয়ের মিথ্যা কথাকে বিশ্বাস করে তুই সাথে সাথে আমাকে তোর সবচেয়ে বড়ো শত্রু বানিয়ে ফেললি। আজ সেই মেয়ে কি তোর জীবনে আছে? নেই আহসান৷ কারণ সে ভালো ছিল না৷ তুই নকলকে আসল ভেবে সেদিন আসলকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আজও তাই করলি। তোকে আর কিছু বলার নেই আমার। তবে লাস্ট একটা কথা বলি, আমি তুবাকে অনেক ভালবাসি। নিজের থেকেও বেশি। পারলে আমাদের জন্য দোয়া করিস। তুবা চলো।

রোহান আর তুবা চলেই যাচ্ছিল হঠাৎই পিছন থেকে,

~ দাঁড়াও রোহান। (তুবার মা)

রোহান আর তুবা পিছনে ঘুরে তাকায়। তুবা মা আহসানের সামনে এসে কোন কিছু না বলেই কাগজ দুটো টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলে আহসানের গালে ঠাস করে কষিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলে,

~ আজ থেকে তোদের বাবার যা আছে তার অর্ধেক তুবার আর অর্ধেক তোর। কোন কথা আছে আর?

আহসান গালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে না বলে। তুবার মা এবার তুবার কাছে এসে বলে,

~ রোহান ঠিকই বলেছে, তোকে আমরা আমাদের মেয়ে ভাবতে পারি নি। কারণ আমি তোর আদর্শ মা ই হতে পারিনি কখনো। মা নামে কলঙ্ক আমি। পারলে আমাকে মাফ করে দিস।
~ না মা। এসব কি বলছো তুমি!
~ ঠিকই বলছি। রোহান, আমার মেয়েটাকে তোমার হাতে দিয়ে দিলাম। আজ থেকে ও তোমার। ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে ও কতটা ভালো আছে তোমার কাছে। তাই আমি চাই সারাটা জীবন তোমরা একসাথে থেকো। ওর বাবা একদম তোমার মতো ছিল। সৎ এবং আদর্শ ব্যক্তিত্ববান৷ কিন্তু তিনি ভালো একটা স্ত্রী পান নি। যার জন্য আজ এই অবস্থা। তবে আমার মেয়েটা অনেক ভালো। ঠিক ওর বাবার মতো। ওর খেয়াল রেখো বাবা। আর কিছু বলার নেই আমার।

রোহান তুবার মায়ের কাছে এসে তার হাত দুটো ধরে বলে,

— আণ্টি সামনের মাসেই ওকে আমি বিয়ে করবো। আপনি আর আহসান অবশ্যই আসবেন। আমরা অপেক্ষায় থাকবো। আমি চাই আমাদের বিয়ে থেকে যেন নতুন করে সব শুরু হয়। তুবা যেন ওর মা আর ভাইকে আবার ফিরে পায়। আমি সেদিনের অপেক্ষায় থাকবো।

হঠাৎই আহসান বলে উঠে,

— তোর কাছে আমি আজও হেরে গেলাম রোহান। আমি হয়তো আর কখনো তোকে পিছনে ফেলতে পারবো না৷ কারণ তোর মতো মানুষ দুনিয়াতে খুব কমই আছে৷ আমার বোনটার খেয়াল রাখিস। আর আমি জানি তোরা কখনো আমাকে মাফ করবি না। তাও পারলে ক্ষমা করে দিস।

বলেই আহসান চলে যায়। রোহান আর তুবাকে কিছুই বলতে দেয় না। ওরা বিদায় নিয়ে চলে আসে। উকিল মশাইকে রোহান ধন্যবাদ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এবার ওরা বাসার দিকে রওনা হয়। তুবা রোহানের হাতটা জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা দিয়ে বসে আছে৷ ও ভাবছে এটা কি ছিল? কোন ম্যাজিক? রোহান কি থেকে কি করে ফেললো? আধা ঘণ্টা পর ওরা একটা অপরিচিত জায়গায় চলে আসে। রোহান বলে,

— বাইরে আসো।

তুবা অবাক হয়ে নামতেই আরও অবাক হয়। এত সুন্দর জায়গা ও আগে কখনো দেখে নি। তুবা অবাক স্বরে বলে,

~ আমরা না বাসায় যাচ্ছিলাম?
— হুম কিন্তু তোমাকে আমার কিছু বলার ছিল। তাই এখানে নিয়ে আসলাম।
~ কি বলবেন? আমার তো ভয় করছে। আবার ছেড়ে যাবেন নাতো?
— পাগলিটা আগে শুনে তো নেও। চলো ওদিকে।
~ আচ্ছা।

রোহান তুবাকে নিয়ে নিরিবিলি একটা সুন্দর জায়গা যায়। আশেপাশে কোথাও কেউ নেই৷ ওরা একটা বড়ো গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। রোহান তুবাকে ওর সামনে এনে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর মন ভরে দেখতে থাকে। তুবা খুব লজ্জা পাচ্ছে৷ ও বলে উঠে,

~ আপনি আসলে কে বলবেন?
— আমি তোমার ম্যাজিক ম্যান৷ ম্যাজিক করে তোমার সব কষ্ট সব ভয়কে শেষ করে দি। হাহা।
~ একদম ঠিক বলেছেন। আসলেই আপনি আমার ম্যাজিক ম্যান।
— আচ্ছা তুমি আমার কে জানো?
~ কে?

রোহান তুবাকে ছেড়ে ওর সামনে হাটুগিরে বসে পকেট থেকে একটা ডায়মন্ডের রিং বের করে ওর সামনে ধরে বলে,

— তুমি আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালবাসা। তুবা তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসি। আমার এই জীবনের পথচলার সঙ্গী হবে?

তুবা পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই যেন এক ঝুড়ি খুশি ওকে কেউ দিয়ে যায় এমন মনে হচ্ছে। তুবা কেঁদে দিয়ে বলে,

~ আপনার মতো একজনের জীবন সঙ্গীনী হওয়া আমার সৌভাগ্য। অবশ্য হবো।

রোহান তুবাকে রিংটা পরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর মিষ্টি ঠোঁটটাতে নিজের ঠোঁটটা ডুবিয়ে দেয়। যেন আর তর সইছিলো না ওর। অনেকগুলো মিষ্টি অনুভূতি ভাগাভাগি করে ওদের দুজনের ভালবাসা শেষমেশ পূর্ণতা পায়৷

— সমাপ্ত।

© আবির খান

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে