প্রণয় কাব্য পর্ব-২১ এবং শেষ পর্ব

1
648

#প্রণয়_কাব্য
#লাবিবা_আল_তাসফি

২১.
‘আলহামদুলিল্লাহ কবুল!’

এই অতি ছোট শব্দ কবুল বলতে গিয়ে পুতুলের গলাটা একটু কাঁপল বোধহয়! এতদিন যে মানুষটিকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সে এখন থেকে তার স্বামী।
‘স্বামী!’
পুতুল ছোট্ট করে উচ্চারণ করলো। তৃপ্তির হাসি ছড়িয়ে পড়লো মুখ জুড়ে। সাথে একরাশ ভালোলাগা।
হুজুর বড় করে হেসে বললেন,
‘আলহামদুলিল্লাহ বিবাহ সম্পূর্ণ।’

সবাই সাথে সাথে আলহামদুলিল্লাহ বলে শুকরিয়া আদায় করলেন। পুতুলের পাশে থাকা তিহান হাত দিয়ে চুপিসারে পুতুলের হাত আঁকড়ে ধরল। শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ করে নিলো পুতুলের নরম হাতটা।
হুট করে বিয়েটা হয়ে যাওয়ায় দু পরিবারের-ই আত্মীয় স্বজন কাউকে জানানো হয়নি। নিজেরা নিজেরা থেকেই বিয়েটা সম্পন্ন হলো। পুতুদের ছোট্ট ঘরটাতেই সব আয়োজন করা হয়েছে। সবকিছু কেমন যেন হুট করেই ঘটে গেল। বিয়ের প্রিপারেশন কারোরই ছিল না। তিহান বেঁকে বসায় বাধ্য হয়েই এভাবে আয়োজন করতে হলো। নয়তো জমিদার বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ে কখনো এমন চুপিসারে হয়?
সুজন বাজার থেকে কেজি দশেক মিষ্টি নিয়ে এসেছে। সাথে বড় কাতলা মাছ। ভাত মাছ আর ডাল রান্না হবে। এই স্বল্প সময়ে এর থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। শিউলি আর রেণু রান্নাঘরে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিউলির মুখ থেকে হাসি সরতে চাইছে না যেন। তিনাহকে সে কোলে পিঠে করে মানুষ না করলেও কাছ থেকে বেড়ে উঠতে দেখেছেন। সভ্য মার্জিত স্বভাবের ছেলেটার জন্য তার অন্যরকম একটা টান কাজ করত। পেটে না রাখলে কি মায়ের মত ভালোবাসা যায় না?

পুতুলের ছোট্ট ঘরটার খাটে বসে আছে তিহান। এই প্রথম পুতুলের রুমে এসেছে সে। ছোট রুমটা বেশ পরিপাটি করে সাজানো। তিহান শরীর এলিয়ে বসলো। অস্বাভাবিক রকম গরম। মাথার উপরের ফ্যানটা আওয়াজ তুলে ঘুরছে। তিহান বিরক্ত চোখে সেদিকে তাকালো। ফ্যানের এই ক্যাচ ক্যাচ আওয়াজ তার একদম ভালো লাগছে না।
কিছু সময় পর পুতুল এলো রুমে। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে বললো,

‘কিছু লাগবে আপনার?’

তিহান সেদিকে একপলক তাকিয়ে শান্ত ভাবে বললো,

‘এক গ্লাস ঠান্ডা পানি হলে ভালো হতো!’

পুতুলের হাসি উবে গেল। মুখ কালো করে বললো,

‘আমাদের ঘরেতো ফ্রিজ নেই। তবে মাটির কলসি আছে। মাটির কলসির পানি ঠাণ্ডা হয় খাবেন?’

তিহান চোখের ইশারায় নিয়ে আসতে বললো। পুতুল ইশারা পেতেই ছুটে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ফিরেও আসলো গ্লাস হাতে। তিহানের দিকে গ্লাস এগিয়ে দিয়ে গভীর চোখে তাকিয়ে থাকলো। তিহান পানি খেল। পুতুল খুব মনোযোগ দিয়ে তিহানের গলার এ্যাডাম এ্যাপেলের ওঠা নামা খেয়াল করলো। তিহান গ্লাস পুতুলের দিকে এগিয়ে দিয়ে বাঁকা হেসে বললো,

‘বিয়ে হতে না হতেই দেখছি দুষ্ট দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছিস!’

পুতুল থতমত খেল। লজ্জাও পেল খানিক। মুখে লাল আভা ফুটে উঠেছে। তিহান মুচকি মুচকি হাসছে। পুতুল সেদিকে তাকিয়ে কিছুটা জোরেই বললো,
‘অসভ্য লোক।’
তিহান ভ্রুকুচু করে শুধালো,
‘দুষ্ট নজর দিলি তুই আর অসভ্য হলাম আমি? নট ফেয়ার!’

পুতুলের কান গরম হয়ে উঠছে। সে আর দাঁড়ালো না। ছুট লাগাতেই পেছন থেকে তিহান বললো,

‘রাত দশটার আগে রুমে ফিরবি। নয়তো তুলে নিয়ে আসবো।’

_______________

রাতটা ইহান আজ পুতুলদের বাড়িতেই কাটাবে। বাকিরা সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষে ফিরে গেছেন। পুতুল তার রুমের বিছানায় বসে তার হাতের বালাটা উল্টে পাল্টে দেখছে। যাওয়ার আগে রেণু তাকে নিজ হাতে পরিয়ে দিয়েছে। এটা তিহানদের পরিবারের ঐতিহ্য। বাড়ির বড় বউয়েরা এই বালাটা পর্যায়ক্রমে পেয়ে থাকে। এবার এটার অংশীদার পুতুল।
তিহান কলপাড় থেকে হাত মুখ ধুয়ে রুমে এসে ঢুকতেই দেখল পুতুল তার হাতের বালার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। তিহান দরজায় খিল এঁটে এগিয়ে গেল।

‘পছন্দ হয়েছে?’

‘খুউউউব।’

তিহান হাসলো। পুতুলকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বসিয়ে বললো,
‘বিয়ের রাতে বরের থেকে কি চাই? কোনো লিমিটেশন নেই। তোর যা খুশি চাইতে পারিস।’

পুতুল তার ভারী পল্লব নাড়িয়ে জবাব দিলো,

‘আমারতো কেবল আপনাকে চাই!’

তিহান মুচকি হাসলো। পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা ছোট বক্স বের করলো। তাতে সুন্দর এক জোড়া সোনার কানের দুল। মাঝারি আকারের ঝুমকাটা পুতুলের বেশ পছন্দ হলো। উলাস করে বললো,

‘আমার জন্য বুঝি?’

তিহান ঠোঁট ছড়িয়ে হেসে বললো,

‘আমার কি আর কোনো বিয়ে করা বউ আছে নাকি?’

পুতুল মাথা নাড়িয়ে না জানালো। তিহান আলতো হেসে পুতুলের কানে দুল পড়িয়ে দিল। আলতো করে কানের লতিতে চুমু খেয়ে ফিসফিস করে বললো,

‘তোমার বড়ের সাধ্য হলে পুরো পৃথিবী কিনে এনে তোমার সামনে রাখবে। এখন না হয় এটুকুতেই মানীয়ে নাও!’

প্রথমবার তিহানের এমন স্পর্শে কেঁপে উঠলো পুতুল। তিহানের কথা গুলো কানে পৌঁছতেই একরাশ ভালোলাগা ছুঁয়ে গেল তাকে। তিহানের পিঠে আলতো করে হাত রেখে কাঁপা গলায় পুতুল বলল,

‘আমার অলংকার চাইনা তিহান। আমি চাই পরবর্তী জীবনটুকুতে আপনি এমন থাকেন। এভাবেই ভালোবাসেন আমায়! আপনার এই ভালোবাসার লোভে আমি নিজেকে সকল পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারব।’

____________

আজ সকালটা একটু তাড়াতাড়ি হলো বোধহয়। পুতুলের রুমে জানালার পাশের সরু ছিদ্র থেকে রশ্মি আকারে সূর্যের আলো ঢুকে পড়েছে। যেন একগুচ্ছ সোনালী চুল আছড়ে পড়েছে তার ঘরে। পুতুল অলস ভঙ্গিতে উঠে বসলো। বিছানা ছেড়ে নামতেই খেয়াল হলো তিহান রুমে নেই। পুতুলের চোখ সরু হলো। কোথায় গেল লোকটা?
ঘর থেকে নেমে উঠানে আসতেই শিউলি বললো,

‘উঠছিস? যা হাত মুখ ধুয়ে আয়। তিহান কত্ত বাজার কইরা দিয়া গেছে। এগুলিন গুছানো লাগব। তোর আপায় আসতাছে। ওগো আওনের আগেই রান্দন শেষ করতে হবে। তিহান আর সুজন দুপুরে এহানেই খাব। নে একটু হাত লাগা মা!’

পুতুল এলোমেলো পায়ে কলপাড়ের দিকে যেতে যেতে বললো,
‘দুলাভাই ও আসবে?’

পুতুলের প্রশ্নে শিউলি একটু বিরক্ত-ই হলো যেন।

‘তা আইব না? পপির কি এহন একলা কোতাও যাওয়ার শক্তি আছে? তর দুলাভাই চোখে হারায় তর আপারে।’

পুতুল কিছু বলল না। দুলাভাই নামক লোকটাকে তার পছন্দ না। একদম না।
.
.
.
‘আমারে জানাইলেকি আমি তোমার মেয়ের বিয়ে ভাঙানি দিতাম মা? আমার কতা বাদ দিলাম। তোমার জামাইরে না জানাই কেমনে পারলা মা? তোমার ছোট জামাই জমিদার আর আমার জামাই গরীব তাই?’

পপির কথায় অবাক চোখে তাকিয়ে আছে শিউলি। বড় মেয়ের মুখে এমন কথা তার ঠিক হজম হলো না। উত্তর দিতেও ভুলে গেছে সে।

‘কথা বলার আগে একটু ভেবে বল আপা! মা কখনোই এমনটা ভাবে না।’

পুতুলের কথায় পপি তাচ্ছিল্য করে হাসলো। বললো,

‘বাহ! বড়লোক বাড়ির বউ হয়ে দেখছি ভালোই জোর হইছে। কতা বলনের আগেও এখন ভাবতে সবে আমার!’

শিউলি কেবল মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন। জবাব দিতে পারলেন না। পুতুল ছলছল চোখে পপির দিকে তাকালো। কি অকপটে তার বোন তাদের দোষী বলে যাচ্ছে। মুখে একবার বাঁধছে ও না। মানুষ বুঝি এভাবেও বদলাতে পারে!

তিহিন যখন আসলো তখন দুপুর বেজে তিনটা প্রায়। পুতুল না খেয়ে বসে আছে। শিউলিকে এক প্রকার জোর করে খাইয়ে রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে সে। এখন সে ঘুমাচ্ছে। পপি আর তার বর চলে গেছে। ঘরের ভেতরেও ওঠেনি। উঠান থেকেই ফিরে গেছে। পুতুল তাদের আটকাবার চেষ্টাও করেনি। পপি চলে যাওয়ার পর শিউলি অনেক ভেঙে পড়েছিলেন। মেয়ের এমন কঠোর বাণী তার হৃদয়ে আঘাত করেছে প্রবল ভাবে।
তিহানের আগেই সুজন ঘরে ঢুকলো। সামনের রুমে চেয়ার পেতে বসে আছে পুতুল। পুতুলকে দেখা মাত্রই বড় করে হেসে সালাম দিলো সে।

‘আসসালামুআলাইকুম ভাবী। কেমন আছেন?’

সুজনের ভাবী ডাকে পুতুল কিছুটা লজ্জা পেল। সুজনের পেছনে তিহানকে দেখে সে চট জলদি উঠে দাঁড়ালো। লজ্জা আড়াল করে স্বাভাবিক ভাবে বললো,

‘আপনারা হাত মুখ ধুয়ে আসেন। আমি খেতে দিচ্ছি।’

_____________

পারুল পুতুলের সাথে কথা বলছে না। তার মতে পুতুলের মতো মীরজাফর টাইপের বন্ধু তার দরকার নেই। নাকের ডগায় বসে বিয়ে করেও না জানিয়ে কিভাবে পাড়ল? পুতুল সেই কখন থেকে তাকে এটা বুঝানোর চেষ্টা করছে তার এখানে কোনো হাত নেই। সব নাটের গুরু তো ঐ তিহান!
পারুল মানলো না। সে জেদি গলায় বললো,
‘তুই মীরজাফর হলে আমিও ঘষিটি বেগম। এত চটপট ক্ষমা করার মতো উদর মন আমার নেই।’

পুতুল অসহায় চোখে তাকালো। এই মেয়েটা এমন অসহ্য রকম জেদ দেখাতে শুরু করলো কবে থেকে?
.
.
জৈষ্ঠ্য মাসের প্রায় শেষ। প্রকৃতি হুট হাট রঙ বদলাতে শুরু করেছে। কখনো গরমে মাটিতে পা ফেলার যো থাকে না আবার কখনো বৃষ্টির জন্য ঘরের বাহিরে পা ফেলা হয় না। এই কখনো রোদ কখনো বৃষ্টির খেলা পুতুলের ভিষণ প্রিয়। তার সাথে তাল মিলিয়ে তিহান নামের মানুষটাও যেন পছন্দের সীমা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে চাইছে। লোকটার প্রতি তার ভালোলাগার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে অসীমে গিয়ে ঠেকেছে। তিহানের রুমের বিশাল জানালা দিয়ে পুতুল বাহিরে তাকালো। তিহান বাড়িতে না থাকলে এখানে বসেই তার সময় কাটে। এক মাসের মতো হলো বড় করে অনুষ্ঠান করে তাকে এ বাড়িতে তোলা হয়েছে। শিউলি প্রায় প্রতিদিন এসে পুতুলকে দেখে যান। তিহান শিউলিকেও এখানে নিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু শিউলি রাজী হয়নি। মরার আগ পর্যন্ত সে ওখানেই থাকতে চান। প্রথম দিকে শিউলি তেমন একটা আসা যাওয়া করতো না। হাজার হলেও মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ঘন ঘন যাওয়াটা কেমন একটা লাগে! কিন্তু পুতুলের জন্য সে পারেনা। মেয়েটা কেঁদে কেটে একাকার করে ফেলে!

তারিম আজকাল বাড়িতেই থাকেন। ব্যাবসার কাজ তিহান সামলাচ্ছে। বাড়িতে বসে চিন্তামুক্ত ভাবে হাটবাজারে ঘুরে বেড়াতে তার দারুণ লাগছে। রোজ সন্ধ্যার পর পুতুলের সাথে বাজি ধরে লুডু খেলা তার অন্যতম ভালোলাগার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুতুলকে তার অপছন্দ ছিল না কখনোই। দু একবার এ বাড়িতে তার মায়ের সাথে আসতে দেখেছিল সে। নম্র ও ভদ্র মেয়েটা। ছেলের পছন্দের কথা শুনে সে কিছুটা অখুশি হয়েছিল। ছোট বংশ কিনা! কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার মনে হচ্ছে পুতুল মেয়েটা দুর্দান্ত! কাজে কথায় বুদ্ধিতে সব দিকে পটু সে। এমন সর্বগুণে গুণান্বিত মেয়েটাকে পছন্দ না হয়ে উপায় আছে?

তিহানের দিন কাটছে ব্যস্ততায়। ক্লান্ত হবার সময় ও নেই তার। এই ব্যস্ততার মাঝেও সম। করে পুতুলের সাথে কথা হয় তার। আজ এক সপ্তাহের মতো ঢাকায় সে। এবার এক ঝামেলায় ফেঁসে গেছে সে। সখান থেকে বের হতেই সময় লাগছে। এই এক সপ্তাহেই মেয়েটা কেমন চুপসে গেছে। মলিন হয়ে গেছে মুখখানি। তিহান মাঝে মধ্যে ভাবতে বাধ্য হয় ভাগ্যের খেলায় যদি সে বিলীন হয়ে যায় এই মেয়েটা তার সাথে সাথেই হয়তো বিলীন হয়ে যাবে। এত অবুঝ কেন মেয়েটা?

পারুলের দিন কাটছে হাওয়ায় হাওয়ায়। সামনের সপ্তাহে সুজনের সাথে তার বিয়ে। বিয়ের কথা ঠিক হওয়ার পর থেকেই যেন সে বিগরে গেছে। খাওয়া ঘুম আর বিয়েতে সে কি পরবে ভাবতে ভাবতেই তার সময় কাটছে। তার মা তার এই অবস্থার জন্য পুতুলকে দোষী ভাবেন। ঐ উড়নচণ্ডী মেয়েটার সাথে থেকে থেকেই তার মেয়ের এমন হাল হয়েছে। কতবার সে মেয়েকে না করেছে ঐ মেয়ের সাথে মিশতে। শোনেনি তার কথা। বর্তমানের ছেলে মেয়েরা অবাধ্য। গুরুজনদের কথা মান্য করতে ভুলে বসেছে এরা!

ঝুপ করে বৃষ্টি নেমেছে। দিন দুনিয়া আঁধার করে মুশল ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফোটায় ফোটায় গাছের পাতায় থাকা ময়লা ধুয়ে যাচ্ছে। সাথে বিলিন হচ্ছে অপ্রাপ্তি,গ্লানি আর বেদনার ছাপ। সময় কেটে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে জীবন থেকে কিছু মানুষ হারিয়েও যাচ্ছে তবুও দিন শেষে মানুষগুলো খুশি। তাদের আঁকড়ে ধরা মানুষগুলোকে নিয়েই তারা খুশি। এটাই তো প্রাপ্তি!

সমাপ্ত

(ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন। পাশে থেকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা রইলো 💙🩵)

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে