খেলাঘর/পর্ব-৪৩

7
4310

খেলাঘর/পর্ব-৪৩

লেখা- সুলতানা ইতি

সাম্মি- তুই….

মিথিলা – সাট আপ

তোকে আর আমার সাথে হাটতে হবে না, আমি চাই না তুই আমার সাথে আর এক পা হাটিস, মিথিলা সাম্মি কে পিছনে ফেলে হাটতে শুরু করলো

সাম্মি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ভাবছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের দুষ্টু মিষ্টি সময় গুলোর কথা,ভাবছে ইহানের কথা
ইহান কে আমি ভালোবাসি কিনা জানি না তবে আজ মিথিলা কে কথা টা বলতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো,কেনো এমন হচ্ছে বুঝিনা,বন্ধুর থেকে বেশি কিছু ওকে কখনো ভাবিনি,তবে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ওর জন্য অন্যরকম টান অনুভব করছি, হয়তো কবুল বলার কারনে এই অনুভূতির সৃষ্টি,মুখস্ত এই মন্ত্র টিতে কি এমন যাদু আছে?এই অনুভূতিরর নাম কি ভালোবাসা? জানা নেই আমার
সাম্মির ভাবনাত ছেদ পড়ে গাড়ির হর্ন শুনে পাশে তাকিয়ে দেখে ইহান গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে

ইহান- কিরে দাঁড়িয়ে আছিস যে উঠে আয় গাড়িতে,আর মিথিলার পিছু নিয়েছিলি কেনো?

সাম্মি গাড়িতে উঠতে উঠতে বললো
– এমনি নিয়েছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছো তো তাই

ইহান- ওহ

সাম্মি- তোকে একটা কথা বলতে চাই আমি

ইহান- অনুমতি নিতে হবে না,যে কোন কথা অবলীলায় বলতে পারিস আমাকে

সাম্মি- তুই মানে তুই আমাকে,না মানে আমি তোকে….

ইহান- কি বলবি বল

সাম্মি – না থাক অন্যদিন বলবো

ইহান গাড়ি ড্রাইভ করছে সামনের দিকে মনোযোগ দিয়ে,আর ভাবছে সাম্মি কি বলতে চায় তাকে

মিথিলা আজ বাসায় এসেই না খেয়ে শুয়ে পড়ে, মনে তার নানা রকম ভাবনা, যদি সেদিন আমি ইহানের প্রপোজ একসেপ্ট করতাম তা হলে কি আজকের দিন গুলো অন্য রকম হতো? হয়তো হতো, অরুর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে অরুকে দেখে আমি বুঝতে ফেরেছি অরু ইহান আর সাম্মির বিয়েটা মেনে নিতে পারেনি, কিন্তু কি করবো আমি,অরু কষ্ট পাবে ভেবে একদিন আমি ইহান কে ফিরিয়ে দিয়েছি,কিন্তু সাম্মির কারো কথা ভাবার সময় হয়নি ভালো ই করেছে মেয়েটা ওকি আমার মতো বোকা নাকি
মিথিলার মোবাইল টা বিকট শব্দ করে ভেজে উঠলো, মিথিলা বিরক্ত হলো এই নির্ঝরিনী টা কি বুঝিনা এই রকম রিংটোন কেউ মোবাইলে সেট করে প্রচুর বিরক্তি নিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসছে রাত একটা বাজে এই সময় কল রিসিভ করতে ইচ্ছে করলো না তাই মোবাইল টা সাইলেন্ট করে রেখে দিলো

শেষ রাতে মিথিলার চোখে ঘুম এসে ভর করেছে কিন্তু দূরে মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের কন্ঠের আজানের ধ্বনি তে মিথিলা শুয়ে থাকতে পারলো না উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলো

নামায শেষে জায়নামাজ গুছিয়ে রাখতে রাখতে মোবাইলের দিকে নজর গেলো মোবাইলের আলো জ্বলছে নিভছে, মনে পড়লো রাতের কথা মোবাইল সাইলেন্ট করে রেখেছিলো,এখন ও এক ই নাম্বার থেকে কল এসেই চলছে
মিথিলা এবার কল রিসিভ করলো
– হ্যালো কে বলছেন?

অপাড় থেকে একটা অপরিচিত কন্ঠ বল্লো
– ম্যাম চৌ রাস্তার মোড়ে একটা গাড়ির এক্সিডেন্ট করেছে গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে একটা মোবাইল পাই সেখানে আপনার নাম্বার ‘ মেরা জুলিয়েট ‘ নামে সেভ করা আমার মনে হয়েছে আপনি উনার আপন কেউ হবেন তাই কল করেছি

মিথিলার মধ্যে কোন ভাবান্তর দেখা গেলো না নিরুত্তাপ কন্ঠে বল্লো
– লোকটার নাম কি

– লোকটার স্মার্ট কার্ডে দেখলাম ইভান চৌধুরী , আমার মনে হয় লোক টা ড্রিংক করে গাড়ি ড্রাইভ করছিলো, ম্যাডাম উনি খুব ই আহত, আমরা উনাকে মেডিকেলে পাঠিয়েছি আপনি তাড়া তাড়ি আসুন

মিথিলা কিছু না বলে লাইন কেটে দিলো, চুপ করে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর বিরক্ত হয়ে বল্লো
– এই লোক টা আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না দেখছি, মরতে যেয়ে ও আমাকে বেধে রেখে গেলো উফফ

ঘড়িতে চারটা বেজে চল্লিশা মিনিট মিথিলা কিচেন রুমে গেলো নাস্তা বানাতে, কিচেন রুমের পাশেই নির্ঝরিণীর রুম কিচেনে টুং টাং আওয়াজে ঘুম থেকে উঠে পড়লো নির্ঝরিণী উঠে কিচেন রুমের পাশ দিয়ে ওয়াশ রুমে যেতেই কিচেনে তাকিয়ে দেখে মিথিলা কে

নির্ঝরিণী – আপু এতো ভোরে কিচেন রুমে কি করছো তুমি

মিথিলা- নাস্তা বানাচ্ছি

নির্ঝরিণী অবাক হয়ে বল্লো
– এতো ভোরে নাস্তা বানাচ্ছো কেনো

মিথিলা- এক জায়গায় যাবো, তুই তো সকালে রেওয়াজ করা নিয়ে বিজি থাকিস তাই আমিই বানিয়ে নিচ্ছি

নির্ঝরিণী – হুম একদিন গানের রেওয়াজ না করলে কিচ্ছু হতো না,বাই দ্যা য়ে,যাচ্ছো কোথায়

মিথিলা- মেডিকেলে

নির্ঝরিণী – এতো ভোরে মেডিকেলে কেনো যাবে কার কি হয়েছে

মিথিলা- ইভান এক্সিডেন্ট করেছে, তাই পুলিশ আমায় ফোন করে যেতে বলেছে

নির্ঝরিণী কপাল কুঁচকে বল্লো
– ইভান এক্সিডেন্ট করেছে পুলিশ তোমায় ফোন করেছে কেনো?উনার বাবা মা কে কেনো করেনি? আর পুলিশ ফোন করে বলেছে বলেই কি তোমাকে যেতে হবে? এমন তো কোন কথা নেই, তুমি পুলিশ কে কেনো বলোনি তুমি তার ওয়াইফ নও

মিথিলা- তুই এতো প্রশ্ন করছিস কেনো?নিজেদের পার্সোনাল কথা বাইরের লোক কে বলতে যাবো কেনো,তা ছাড়া আইনত এখন ও আমি তার স্ত্রী

নির্ঝরিণী অবাক চোখে দেখছে মিথিলা কে মানুষ এতো বোকা হয় কি করে
– সে তো নায়া ডাইনী টা ও তার স্ত্রী, তা হলে তাকে কেনো ফোন করেনি

মিথিলা- জানি না এতো কথা বলিস না তো
,তুই আমার জায়গাতে থাকলে ক করতি?

নির্ঝরিণী – আমি হলে কানে তুলো, স্যরি হেড ফোন দিয়ে মিনারের গান শুনতে শুনতে একটা ঘুম দিয়ে উঠতাম,

মিথিলা- সর তো সব জায়গায় তোর ফাজলামি

মিথিলা সকাল সাড়ে সাত টায় মিডিকেলে পৌছল কাউন্টারে গিয়ে বয় কে জিজ্ঞাস করলো
– এক্সকিউজমি ইভান চৌধুরী কতো নাম্বার রুমে আছে বলতে পারবেন

বয়- কোন ইভান……

মিথিলা- আজ ভোর রাতে এক্সিডেন্ট করা একজন রুগী কে এখানে আনা হয়েছে শুনলাম

বয়- ও আপনি তার বাড়ির লোক,আসলে উনার অবস্থা খুব একটা ভালো না তার উপর কোন গার্ডিয়ান নেই,বড় স্যার এখন ও ঘুম থেকে উঠেনি তাই তাকে বারান্দায় রাখা হয়েছে

মিথিলা- হোয়াট একটা লোক মরে যাচ্ছে আপনার তার চিকিৎসা না করে তাকে ফেলে রেখেছেন,আপনারা মানুষ? আপনাদের বড় স্যার কে ফোন করুন

বয়- স্যরি ম্যাম স্যার কে ঘুম থেকে জাগানো নিষেধ আছে

মিথিলা রেগে গিয়ে বল্লো মানে কি এই সবের একটা লোক মরে গেলে ও উনি ঘুম থেকে উঠবে না,আপনি জানেন উনি কে

বয়- স্যরি ম্যাম উনি যেই হোন না কেনো, আমাদের কিচ্ছু করার নেই

মিথিলা রেগে গিয়ে বল্লো, এই শহরের নাম করা ধনীব্যক্তির তালিকায় উনার বাবা আতাহার চৌধুরীর ছেলে ইভান চৌধুরী,ওকে আমি উনাকে নিয়ে যাচ্ছি এখান থেকে তবে আমাদের রুগীর যদি কিছু হয় তা হলে কি হয় বলা যায় না পারবেন তো সেই ধাক্কা সামলাতে

কাউন্টার বয় লোকটি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বল্লো,
– স্যরি ম্যাম আপনি আগে বলবেন তো আমি এক্ষনি স্যার কে ফোন করছি

ডক্টর আসার পর ইভান কে ভি আই পি রুমে শিপ্ট করা হয় ডক্টর মিথিলা কে জানালো জরুরী ভাবে অপারেশন করতে হবে সে জন্য ও নেগেটিভ ব্লাড লাগবে,আমাদের ব্লাড ব্যাংকে এই গ্রুপে ব্লাড এই মুহুর্তে নেই,

মিথিলা চিন্তায় পড়ে গেলো কি করবে এখন সে মিথিলার ব্লাড গ্রুপ আর ইভানের ব্লাড গ্রুপ এক ই, কিন্তু ইভান কে ব্লাড দেয়ার মন মানুষীকতা মিথিলার এই মুহুর্ত নেই কয়েক জায়গায় খোজ নিয়ে যখন ব্লাড পেলো না তখন উপায়ন্ত না দেখে মিথিলা ব্লাড দেয়

অপারেশন থিয়েটারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মিথিলা ,, মিসেস আয়মন কে অনেক বার কল করেছে মিথিলা কিন্তু উনারা ফোন রিসভ করছে না
এই মুহুর্তে গিয়ে ও বলা সম্ভব হচ্ছে না

বেশ কয়েক ঘন্টা যাবার পর অপারেশন রুম থেকে ডক্টর বের হয়,ডক্টর মিথিলা কে বল্লো
– মিঃ চৌধুরী কন্ডিশন খুব একটা ভালো নয় উনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে,

মিথিলা কথা টা শুনে মনের অজান্তেই আৎকে কে উঠে
– ডক্টর উনি ভালো হয়ে যাবেন তো

ডক্টর – সেটা আল্লাহর ইচ্ছে আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি,আচ্ছা আপনি কে? সব কাজ আপনাকেই করতে দেখলাম, উনার বাবা মা কই,আপনি কি হন উনার

মিথিলা ডক্টরের কথা এড়িয়ে বল্লো
– উনার বাসায় খবর দিতে হবে আমি একটু আসছি এই বলে মিথিলা হসপিটাল থেকে বেরিয়ে যায়

প্রান প্রিয়ো কোকিলা প্রথম যেদিন তোমার কন্ঠে গান শুনি সেদিন ই আমি তোমার মাঝে ভিন্ন কিছু খুঁজে পেয়েছি মনে হয়েছে তুমি সেই ব্যাক্তি যার হাত ধরে যোজন যোজন পথ চলতে পারবো, যার হাসিতে আমি দিশেহারা হয়ে যাই,তুমি কি জানো তুমি হাসলে তোমার থুঁতনির দু পাশের টোল তোমার সুন্দর্য আর ও হাজার গুন বাড়িয়ে দেয়, হয়তো কখনো খেয়াল করোনি তোমার অলক্ষে তোমার দিকে ছেয়ে থাকি মুগ্ধ নয়নে
ভালোবাসি কি না বুঝতে পারিনি যতো দিন তুমি আমার সাথে ছিলে, তখন তোমার প্রতি আকর্ষন অনুভব করতাম কিন্তু সেটা যে ভালোবাসা বুঝতে সময় লেগেছিলো,যখন বুঝেছি তখন ই তোমায় জানাতে ছেয়েছি কিন্তু আমার বার্থডে ছিলো কিছু দিন পরে তাই ভাবলাম আমার জীবনের স্পেশাল দিনে স্পেশাল মানুষ টা কে মনের কথা জানাবো,এই ভেবে সেদিন আমি হোটেলে একটা রুম বুক করি আর সেটা কে নিজের মতো করে সাজাই কোন ফ্রেন্ডস দের ইনভাইট করিনি শুধু তোমার সাথে নিজের মতো করে সময় কাটাবো বলে,সেই তুমি আমায় ভুল বুঝে দূরে সরে গেলে, একটা চড় মেরেছো তুমি আমায় অবাক হয়েছিলাম,কিন্তু কিছু বলেনি বুঝিয়েছি মন কে এটা বার্থডে উপহার,জানো কতো মেয়ে আমার বার্থডে তে উইশ করেছিলো আমায়, কতো মেয়ে বার্থডে তে আমার সাথে সময় কাটাতে ছেয়ে ছিলো,আমি সব উপেক্ষা করেছি তোমার জন্য ভালোবাসি তোমায় নির্ঝু, তোমায় ভালোবেসে নির্ঝর শ্রাবনের বৃষ্টির মতো দু চোখ থেকে পানি ঝরেছে তাতে আমার মনে দুঃখ নেই প্রতিটি অশ্রু কনা জানান দিচ্ছিলো তোমার ভালোবাসা,

“বুঝে ও বুঝিনি কি করেছি ভুল কি করে দিবো সে মাশুল এসো না ফিরে তুমি থেকো না দূরে ও আমার অভিমানী ফুল”
তোমার ভালোবা
আয়াপ খান

সেদিনের মেয়েটার দেয়া চিঠি ছিলো আয়াপের এতো দিন না পড়লে ও আজ বাসায় কেউ নেই একা একা বোর হচ্ছিলো তাই চিঠি টা পড়লো নির্ঝরিণী, ইসস কি ভুল টা ই বুঝেছি তাকে ধেৎ আমার জন্য উনার বার্থডে টা ই নষ্ট হয়ে গেলো,উনি এতো ভালোবাসে আমায়,উফফ ভাবতে পারছি না,আয়ান টা যে কই গেলো এই খুশির কথা ওকে না বললে তো আমি মরেই যাবো আচ্ছা আমি যদি আয়াপ কে একটা কল করি উনি কি আমায় খুব বকবে,আচ্ছা করেই ফেলি ফোন
রিং হওয়ার সাথে সাথেই কল রিসিভ হলো
আয়াপের কন্ঠ স্বর শুনেই নির্ঝরিণীর হার্টবীট বেড়ে যায় উফফ কোন কথা বলতে পারছে না নির্ঝরিণী

আয়াপ- কথা বলছো না কেনো নির্ঝু এখন ও রাগ কমেনি তোমার, আচ্ছা ঠিক আছে,
আম. স্যরি, এবার থেকে যা করবো সব তোমায় বলেই করবো, এবার তো কথা বলো

নির্ঝরিণীর কথা মুখ দিয়ে আসছে না আবেগে কন্ঠ আটকে গেছে এ ভাবে অনেকটা সময় ধরে দুজন দুজনের শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ শুনেছে

আয়াপ- কথা বলবে না তুমি

নির্ঝরিণী – কি বলবো

আয়াপ- রেগে আছো?

নির্ঝরিণী – না
আবার দু পাশে নিরাবতা

মিথিলা বসে আছে মিসেস আয়মন আর আতাহার চৌধুরীর সামনে মিথিলার কাছে সব কথা শুনে মিসেস আয়মন বল্লো
– ওমন ছেলে বেছে থাক এটা আমরা চাই না তা ছাড়া সে অনেক আগেই আমাদের কাছে মরে গেছে

মিথিলা- এ ভাবে বলবেন না, ওর এই বিপদে আপনারা না থাকলে কে থাকবে তার পাশে

আতাহার চৌধুরী- কেনো যে মেয়ের জন্য আমাদের ত্যাগ করেছে সে কোথায়

মিথিলা এই কথার উত্তরে কিছু বলতে পারলো না কি বা বলবে ইভান তো অপরাধ করেছে খুব বড় ধরনের অপরাধ। এর ক্ষমা হয় না,নিরাশ হয়ে মিথিলা চৌধুরী বাড়ি থেকে ফিরে আসে হসপিটালে

চলবে
ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

7 মন্তব্য

  1. দিদি পরের পর্ব গুলো কি দেবেন নাকি আর দেবেন না? প্রতিদিন চেক করি আর দেখি পরের কোনো পর্ব নেই, ভালো লাগে না। বলুন না দেবেন নাকি?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে