বিষাক্ত প্রেম পর্ব-১৯ এবং শেষ পর্ব

2
821

#বিষাক্ত_প্রেম
#পর্ব_১৯ (শেষ পর্ব)
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

ছাঁদের কিনার ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছে তিতির ওর কিছুটা দূরে ফাহাদ।

তিতির আমতা আমতা করে বলে উঠলো, ‘ ভাইয়া!’
ফাহাদঃ হুম বল, এতো ইম্পর্ট্যান্ট কি কথা..!’
তিতির একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে শুরু থেকে শেষ অব্দি সবটা বললো।
ফাহাদ তিতিরকে স্পষ্ট দেখার চেষ্টা করলো রাতের অন্ধকারে আবছা দেখা গেলো।
তিতির কাঁদছে। বুকটা কেমন করে উঠলো তার তিতিরপাখি নিজের ভালোবাসার মানুষের জন্য ওর কাছে কাঁদছে! এই কয়েকটা বছরেও কি ফাহাদ তার তিতিরপাখির মনে একটুও জায়গা করতে পারেনি! তিতিরপাখি কি জানে যত বার মুরতাসিমের নাম নিচ্ছে ভালোবাসার কথা বলছে ফাহাদের মনে রক্তক্ষরন হচ্ছে।

ফাহাদ মনে এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে নিয়ে হাসি মুখে তিতিরের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ তুমি কোনো রকম টেনশন করো না রুমে যাও আমি আম্মুকে সবটা বুঝিয়ে বলবো।’

তিতির মাথা নেড়ে রুমে চলে গেলো।

ফাহাদ হাসলো, হাসতে হাসতে আকাশের দিকে তাকালো চোখ দিয়ে গরম কিছু গালে অনুভব করলো। গালে হাত দিয়ে বুঝলো সে কাঁদছে, পুরুষ মানুষের কাঁদতে নিষেধ। ফাহাদ পকেটে হাত দিয়ে সিগারেট খুঁজলো। হঠাৎ মনে পড়লো সে তো দুই বছর আগে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। যেদিন থেকে এই মনে এক নারীর আবির্ভাব হলো সেদিন থেকে সব বদঅভ্যেস দূর করে দিলো ফাহাদ।যেই মনে তার তিতিরপাখি থাকবে সে মন যে অপবিত্র করা যাবে না। এক তরফা ভালোবাসা গুলো এত যন্ত্রণা কেনো দেয়!!..??

দেখতে দেখতে কেটে গেছে দুই মাস।

ফাহাদ আমেনা বেগম কে বুঝিয়ে নিয়েছে। তিতির তার আরেক বোন। আর যাই হোক আমি বোনকে বিয়ে করার কথা ভাবতে পারি না। তিতিরের জন্য আমি কাউকে পছন্দ করে রেখেছি। আর অন্য একজন কে অনেক ভালোবাসি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে কখনো পারবো না।

আমেনা বেগম ও ছেলে কথা বিশ্বাস করে নিয়েছেন।

এই দুই মাসে তিতির আর মুরতাসিমের ভালোবাসা জমে খির হয়ে গেছে। একজন আরেকজনকে চোখে হারায়। অফিসের সবাই এখন ওদের সম্পর্কের কথা যানে।
দিশা তো অনেক খুশি।

শার্লিন আর ফারাজের খুনসুটি সারাদিন লেগে থাকে।

হালিমা চৌধুরীর পায়ের অপারেশন কয়েকদিন পর।
হালিমা চৌধুরী শার্লিন কে ডাকলেন।
শার্লিন তারাহুরো করে বের হতে গিয়ে পড়ে যাতে নেয় তখন দুটি হাত ওর কোমর জড়িয়ে আঁটকে নেয়। এক্সিডেন্টলি শার্লিনের ঠোঁট গিয়ে পড়ে ফারাজের গালে।

শার্লিন ফারাজের থেকে দূরে সরে রেগে বলে উঠলো, ‘ আপনার সাহস কতো বড় আমার প্রথম কিস চুরি করে নিলেন!’

ফারাজ অবাক হয়ে বলে উঠলো, ‘ তুমি পড়ে যেতে।’
শার্লিনঃ সেটাই ভালো ছিলো।
ফারাজঃ আমি তোমার কিস কখন চুরি করলাম..!?
শার্লিন আমতা আমতা করে বলে উঠলো, ‘ এই তো এখন।’

ফারাজ শার্লিনের কাছে এসে ওর গালে একটা কিস করে বলে উঠলো, ‘ দেখো ফিরিয়ে দিলাম তোমার কিস।’

শার্লিন জেনো বোকা বনে গেলো। ও কি বলেছে যে আমার কিস ফিরিয়ে দেন!! বজ্জাত লোক একটা। পরক্ষনে কিসের কথা মনে হতেই লজ্জায় লাল নীল হয়ে শাশুড়ির রুমের দিকে দৌড় দিলো।

ফারাজ শার্লিনের অবস্থা দেখে হেঁসে ফেললো।

দিন গুলো তো ভালোই যাচ্ছিলো হঠাৎ সব কিছু উল্টপাল্ট হয়ে গেলো।

মুরতাসিম কে সব সময় চুপচাপ দেখা যায় এখন। সারাক্ষণ কি জেনো টেনশনের মধ্যে আছে। কোম্পানির অবস্থা দিন দিন খারাপ যাচ্ছে। এদিকে কাল আবার হালিমা চৌধুরীর অপারেশন। সব কিছু মিলিয়ে মুরতাসিম খুব টেনশনে আছে এর মধ্যে আজ এক মাস ধরে অচেনা নাম্বার থেকে হুমকি আসছে। সব ছাড়লেও সে যে তার তিতিরকে ছাড়তে পারবে না বড্ড বেশি ভালোবাসে। একবার ছেড়ে অনেক কষ্ট দিয়েছে এবার যদি এমন হয় মেয়েটা হয়তো আর কখনো মুরতাসিমের নামও শুনতে চাইবে না। কি করবে বুঝতে পারছে না মুরতাসিম।

হালিমা চৌধুরী কে হসপিটাল ভর্তি করিয়ে টাকার জন্য একজন কে কল দিলো কিন্তু না টাকা মেনেজ করতে পারছে না।

তখনি ইভা আসলো মুরতাসিমের কাছে।

ইভাঃ মুরতাসিম তুমি কেমন শুকিয়ে গেছো, কেমন অগোছালো হয়ে গেছো। এমন অবস্থা কিভাবে হলো..?
মুরতাসিম বিরক্ত হয়ে ইভার দিকে তাকাতেই ইভা হেঁসে বললো,’ সব সমস্যার সমাধান আমি করে দেই।?’

মুরতাসিম বেশ অবাক হলো। ও তো এখন ফারাজকেও কিছু জানতে দেয়নি এই মেয়ে কিভাবে জানলো!!..??

ইভাঃ মুরতাসিম তুমি তিতিরকে ছেড়ে আমাকে বিয়ে করে নাওও, আন্টির অপারেশনের টাকা আমি দিচ্ছি, তোমার কোম্পানির সমস্যা আমি দূর করে দিবো, কেউ আর কল দিয়েও তোমাকে টেনশনে ফেলবে না।

মুরতাসিম যথেষ্ট বুদ্ধিমান ছেলে। সে খুব ভালো করেই বুঝলো সব ইভার প্লেন ছিলো।

মুরতাসিমঃ তাহলে এই সব তোমার কাজ!.?
ইভাঃ প্লিজ মুরতাসিম ওই সব ছাড়ে আমরা এই বিষয় পড়ে কথা বলি আগে আন্টির অপারেশন টা হোক।
মুরতাসিমঃ তুমি আমার চোখের সামনে থেকে যাওও।
ইভাঃ আমি গেলে টাকা কোথায় পাবে.?
মুরতাসিমঃ সেটা তোমার ভাবতে হবে না।
ইভা হেঁসে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে গেলো। আসল মজা তো সামনে মুরতাসিম। তুমি বাধ্য আমার কাছে আসতে বলেই শয়তানি হাসি দিলো।

মুরতাসিম ফারাজকে কল দিলো। ফারাজের পরিবর্তে কেউ একজন কল রিসিভ করে বলে উঠলো, ‘ ওয়েলকাম মুরতাসিম চৌধুরী। ভাইকে বাঁচাতে চাওও..? ‘
মুরতাসিমঃ আপনি কে..?
~ আমি তোমার ভাইয়ের জম।এখন বল ভাই চাই..?
মুরতাসিমঃ আমার ভাই কোথায়.??
~ আমাদের কাছে বন্দি।
মুরতাসিমঃ কিন্তু কেনো..?? কি চাওও তোমরা..?
~ বেশি কিছু না ইভা মেডামকে বিয়ে করে নিলেই তোর ভাইকে ছেড়ে দিবো।
মুরতাসিম রেগে মোবাইলটা দূরে ছুড়ে মারে। ইভা এইসব কিছু করছে।

মুরতাসিম কিছু একটা ভাবতে লাগলো তারপর নিজের মায়ের কেবিনে গিয়ে আরও অবাক হয় হালিমা চৌধুরী নেই।

ডাক্তার নার্সদের জিজ্ঞেস করায় তারাও বলতে পারছে না।

মুরতাসিম যখন পাগলের মতো মাকে খুজছে তখনি একটা মেসেজ আসলো।
~ মা কে ভালোবাসলে আমি যা বলি ঠিক সেভাবেই করো পেয়ে যাবে আর না হলে!!..

মুরগির শক্ত করে মোবাইলটা চেপে ধরলো। তখনি পেছন থেকে শার্লিন বলে উঠলো, ‘ ভাইয়া আম্মু কোথায়..?’

মুরতাসিমের চোখ অসম্ভব লাল দেখে ভয় পেয়ে যায় শার্লিন।
শার্লিনঃ কিছু কি করবো ভাইয়া!.?

মুরতাসিম ভাবতে লাগলো এখন কি ওকে কিছু বলবে।অনেক কিছু ভেবে ফাহাদকে কল দিয়ে আনলো।
ফাহাদের কাছে সবটা বলার পর। ফাহাদ আর মুরতাসিম মিলে প্লেন সাজালো।

মুরতাসিম মেসেজ দিলো ” আমি রাজি”

ইভার মুখে হাসি ফুটে উঠলো, এটাই তো চেয়েছে সে।

প্লেন মোতাবেক তিতিরকে মুরতাসিমডেকে আনলো এক পার্কে।
তিতির এসেই মুরতাসিমের হাত জড়িয়ে ধরলো।
মুরতাসিম বিরক্ত হয়ে তিতিরের হাতটা সরিয়ে দিয়ে বলে উঠলো, ‘ যখন তখন ছুঁই ছুঁই কি ধরনের মেয়ে তুমি!. ‘
তিতির বেশ অপমানিত হয়ে মুরতাসিম কে ছেড়ে দূরে সরে দাঁড়ায়।

তিতিরঃ ডেকে ছিলে কেনো..?
মুরতাসিমঃ তিতির তুমি জানো আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলি না। আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। আমার সাথে আরও ভালো মেয়ে ডিজার্ভ করে। তোমার পরিচয় কি..? আমি সবার কাছে কি পরিচয় দিবো! আজ থেকে আমাদের মধ্যে সব শেষ। দুইদিন পর আমার বিয়ে ইভার সাথে।

তিতির অবাক হয়ে মুরতাসিম কথা গুলো শুনলো। তারপর হেঁসে উঠে বলে উঠলো, ‘ আবারও একই কাজ করছো! নাকি মজা করছো মুরতাসিম।
মুরতাসিম গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো, ‘ আমি সিরিয়াস’
তিতির ছলছল চোখে মুরতাসিমের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমার দিকে তাকাও, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো.? আমি বাঁচবো না মুরতাসিম। আমি তোমাকে সত্যি ভালোবেসেছি কোনো অভিনয় ছিলো না। তুমি এতো নিখুঁত অভিনয় করতে পারো না মুরতাসিম।

মুরতাসিম তিতিরের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি না আর না কখনো বেসেছি। সব অভিনয় ছিলো আর কখনো আমার সামনে জেনে তোমার এই মুখ না দেখি।
তিতিরঃ আমার অপরাধ..?

মুরতাসিম আর কিছু না বলে বাইক নিয়ে চলে গেছে। হয়ত আর কিছু সময় থাকলে ধরা পড়ে যেতো। সে যে তার প্রেয়সীর চোখের জল সহ্য করতে পারছে না।

মুরতাসিম যেতেই তিতির দুই হাতে মুখ চেপে নিচে বসে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। আমার সাথেই কেনো এমন হয় সব সময়!! পার্কের অনেকেই তিতিরের দিকে তাকিয়ে আছে। তিতির কাঁদতে কাঁদতে পার্ক থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হতে নিলো তখনি একটা ট্রাক এসে তিতিরের দেহ টাকে শূন্যে বাসিয়ে দিলো। তিতির ছিটকে দূরে গিয়ে পরলো রক্তে রাস্তা লাল হয়ে গেলো৷ ভীড় জমালো হাজারো মানুষ। তিতির আবছা চোখে সামনে তাকিয়ে দেখলো মুরতাসিম দৌড়ে ওর কাছেই আসছে। আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ হয়ে গেলো।

হসপিটাল নিয়ে আসার পরেই ডাক্তার জানালো তিতির আর বেঁচে নেই।

মুরতাসিমের দুনিয়া হয়তো তখনি থমকে গিয়ে ছিলো। তিতিরকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলে ছিলো ওর চিকিৎসা করান ডাক্তার আমার তিতিরের কষ্ট হচ্ছে! রক্ত ঝড়ছে,যত টাকা লাগে আমি ব্যবস্থা করবো।আমাকে ছেড়ে সে এক বুক অভিমান, কষ্ট নিয়ে চলে যেতে পারে না। তুমি চোখ খুলো তিতির এই যে আমি এসেছি।

মুরতাসিমের চিৎকারে অনেকেই কেঁদে ছিলো একটা ছেলে এভাবে কাঁদছে তার প্রেয়সীর জন্য!!

ফাহাদ ফারাজ আর হালিমা চৌধুরী কে নিয়ে এসেছে, ইভা সহ সবাইকে ধরে নিয়ে গেছে।

মুরতাসিম কে এভাবে কাঁদতে দেখে সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে..??

মুরতাসিম কিছু না বলে তিতিরের ঝাপটে ধরে সেখানেই জ্ঞান হারায়।

ফাহাদ তিতিরের এই অবস্থা দেখে নিচে বসে পরে।

আমেনা বেগম, শার্লিন আস্তে আস্তে সবাই আসে। হসপিটাল সবার কান্নায় ভাড়ি হয়ে উঠে৷

সবার মধ্যে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। কেউ ভালো নেই তিতিরকে ছাড়া ।

মুরতাসিম সবার থেকে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে, কখনো কখনো চিৎকার চেচামেচি করে সব ভাঙচুর করে, আবার কখনো নিজের শরীরের আঘাত করতে শুরু করে। আজ দুইটা বছর হয়ে গেছে মুরতাসিমের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

ইভাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। তিতিরকে এক্সিডেন্ট করে মৃত্যু , হালিমা চৌধুরীর এই অবস্থা , ফারাজ আর হালিমা চৌধুরীকে কিডনাপ করার জন্য ওর ফাঁসি দেওয়া হয়।।

বর্তমান….

ফারাজ ছাঁদে বসে যখন এইসব ভাবছিলো তখনি ওর কাঁধে কেউ হাত রাখে।

ফারাজঃ এতো রাত হয়ে গেছে ঘুমাওনি.?
শার্লিনঃ ঘুম আসছে না।
ফারাজঃ চেষ্টা করো।
শার্লিনঃ ভাইকে কি ভালো ডাক্তার দেখাবে না.?
ফারাজঃ বাংলাদেশে এমন কোনো ডাক্তার বাকি নেই দেখাতে চাইনি ভাই তো যায় না। কাল ভাইকে নিয়ে কানাডায় যাবো।

শার্লিন ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো, ‘ আমার ভীষণ তিতিরকে মনে পড়ছে ফারাজ’
ফারাজ শার্লিনকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলো।

অন্ধকার রুমে তিতিরের ছবি বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে মুরতাসিম। ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে একটু আগে। ঘুমের মধ্যে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে মুরতাসিমের হয়তো আবারও সেই এক্সিডেন্টের দৃশ্য চোখে ভাসছে যা তাকে রাতে ঘুমাতে দেয় না। যা তার থেকে তার প্রেয়সীকে কেঁড়ে নিয়েছে। আজ তার জন্য তার প্রেয়সী তার কাছে নেই ভাবতেই ধরফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলো…

ছাঁদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ফাহাদ।আজ ভীষণ মনে পড়ছে তিতিরকে৷।
ফাহাদ চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ তোমাকে কখনো বলা হয়নি তিতিরপাখি অনেক ভালোবাসি। তুমি ভালো আছও তো..? আমি একদম ভালো নেই। হয়তো কখনো তোমাকে ভুলে অন্য কাউকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করবো কিন্তু তোমার জায়গা কখনো কেউ নিতে পারবে না৷ তুমি একজন নারী যে আমার আশেপাশে না থাকার পরেও আমার মনে সারাক্ষণ চলা ফেরা করো। এই যে মনে হচ্ছে তুমি আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছো। হাসছো আমার অবস্থা দেখে।

রাত ১টা গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে তিতিরের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মুরতাসিম। এলোমেলো চুল, চোখের নিচে কালি জমে গেছে, মুখের দাঁড়ি বড় হয়ে গেছে।
মুরতাসিমঃ তুমি অভিমান করে চলে গেলে প্রেয়সী!! আমার কথা একটা বার মনে পড়লো না। তোমার স্মৃতি আমাকে ঘুমাতে দেয় না। রোজ রাতে একটা করে গোলাপ রেখে যাই, একটা একটা করে তোমার কবরের পাশে ফুলের গাছ লাগাই। তুমি যে ফুল ভীষণ পছন্দ করতে। আমি কিন্তু মৃত্যুর পরেও তোমার পিছু ছাড়ছি না…..খুব জলদি তোমার কাছে আসছি অপেক্ষা করো আবারও পিছু নিবো তোমার….

সমাপ্ত..

ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

2 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে