নীলাময়ীর প্রেমে পর্ব ৭ এবং শেষ

1
1080

#নীলাময়ীর_প্রেমে

#Written_by_Tarin_Jannat
#পার্ট০৭

প্রকৃতি প্রেমিকরাই সত্যিকারের সৌন্দর্য্য রসাস্বাদন করতে দুর্দম! এমনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী রাহা! কিন্তু ফাহান?? সেও তো প্রকৃতি কে বেশ ভালোবাসে।মনের গহীন থেকে প্রকৃতির অপরুপা স্বাদ সে গ্রহন করেছে বহুবার। কিন্তু এবারের প্রাকৃতিক দৃশ্যটা ফাহানের কাছে আগের তুলনায় বেশ উপভোগ্য । হয়তো রাহার মতো কাউকে সে এই ভ্রমণপথের-পথিক হিসেবে পেয়ে।

হালকা নাস্তা খেয়ে তারা পাহাড়ী রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে। উপভোগ করছে প্রকৃতিরঞ্জন!! মেঘাচ্ছন্ন পাহাড় কারই না ভালো লাগবে??শুধু মেঘের ছায়ার ঢেলে আছে রাহার মুখে। খুবই গম্ভীর্য্য যা ফাহানের চোখেই বার বার আটকে যাচ্ছে।

–“তোমার নানুর বাড়ি এখানে আগে বলো নি কেন রাহা??” (নোভা)

–“বললে কী করতেন??”(রাহা)

এবার নোভা চুপ হয়ে যায়। তা দেখে ফাহান বলে উঠে..

–” অন্তত খালি হাতে আসতাম না! লজ্জা করছে এখন!! (নাক ছিটকিয়ে বলে উঠে ফাহান)

ফাহানের এই রুপটা কেনো যেনো রাহার বেশ ভালো লাগে।মৃদু হাসে কিন্তু তা মনে মনে সবার অন্তরালে!

–” আপনি কী শশুর বাড়ি এসেছেন?? যে খালি হাতে এসেছেন বলে লজ্জা করছে??”(রাহা)

–“এমন জঙ্গল থেকে কোনো জঙ্গলীকে বিয়ে করার অভিনব ফাহানের নেই!!”(ফাহান)

কথাটা শুনা মাত্র রাহা দাঁত কটমট করে ফাহানের দিকে তাকাতেই দেখে রাস্তার অন্য পাশে চলে গিয়েছে। কিছক্ষন হাঁটার পর ওরা আবারো বাড়ির ভেতরে চলে যায়। সোফায় রাহার নানু বসে আছেন সাথে উনার বয়সী একজন মহিলাও।রাহা এবং ফাহানরা ডুকতেই রাহাকে দেখে মহিলাটি বলে উঠেন….

–“ওমা!! আমাদের নীলাঞ্জনার মেয়ে নীলান্তিকা তো পুরো মায়ের মতো দেখতে হয়েছে!!”(রাহার ফয়সাল মামার মা উনি) আয় নাতনি আমার পাশে এসে বস!!

এবার ফাহান আরেকদপা ঝাটকা খায় হচ্ছেটা কী?? তাদের নাম বলেছে এক আর এখানে এসে শুনছে আরেক নাম। কিন্তু নামটা যেনো কারো মুখে একবার শুনেছে বলে মনে হচ্ছে ফাহানের। কোন নামটা মনে করতে পারছে না,,রাহার নাম নাকি তার মায়ের নাম??

–“নীলান্তিকা মানে??” ওর নাম তো রাহা ইসলাম!!”(নোভা)

–” ঠিকি বলেছে তো। পুরোটা বলেনি আর কি!! ওর নাম??!!”(রাহার নানু)

–“নানু আমি আসছি একটু!! (রাহার বেশ বিরক্ত লাগছে ওদের কথায়।এজনের নামের সাথে দুইটা পদবি! কেমন জানি লাগে রাহার…তবুও এটা সত্যি যে ওর নামের সাথে দুইটা পদবি আছে)”

–“কই যাবি??” (নানু)

রাহার এবার অসহায় দৃষ্টিতে ওর নানুর দিকে তাকায় উনি রাহার কথা বুঝতে পারলেই চোখ নামিয়ে ফেলে।উনার মুখেও গম্ভীরতার চাপ চলে আসে। ফাহান পাশ থেকে সবি খেয়াল করছিলো এতক্ষন। কেনো যেনো রাহার সবকিছুর উপরেই তার নজর রাখতে ইচ্ছে করছে।

রাহা আর কথা না বলে মাথায় কাপড় টেনে দিয়ে বেরিয়ে পরে।

–“নানু রাহার পুরো নাম নিয়ে আমরা এখনো কনপিউশনে আছি প্লিজ নামটা বলেন??”(নোভা)

–(চোখের পানি মুছে) নীলান্তিকা মাহমুদ রাহা!! কিন্তু এটা শুধু আমরাই ডাকি ওর বাড়িতে সবাই ওকে রাহা ডাকে। আর এ নামটা ওর মা নিজের নামের সাথে মিল রেখেছিলো। আমরাও এই নামে ডাকি!!”

–“নামটা খুব সুইট আমরাও এই নামে ডাকবো!!”(নোভা)

–“আরে না ও এই নামটা আমাদের থেকেই শুনতে পছন্দ করে। তোমরা ডাকলে রাগ করতে পারে।”

–“ওহ..”(নোভা)

–(আমি তো এই নামেই ডাকবো। নী….লা….ম…য়ী!!)(ফাহান মনে মনে কথাটি বলে)



সোফাই বসে সবাই মিলে রাহার নানুর সাথে গল্প করছিলো। সেসময় ঝড়ের গতীতে দৌড়ে একটা ছেলে এসে তাদের মাঝে উপস্থিত হয়। উজ্জল শ্যামলা গায়ের রঙ ছেলেটির।বেশ অমায়িক চেহেরাটা, সুন্দর্যের খাতায় পরে। ফাহান ছেলেটিকে দেখে উৎসুখ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে….

–“দাদু নীলা কোথায়?? নীলা নাকি এসেছে??”(বেশ উত্তেজিত হয়ে)

–“হ্যাঁ রে এসেছে তো। বাইরে গেছে একটু!! ”

বাইরের কথা শুনতেই ছেলেটি বুঝে যায় রাহা কোথায় যেতো পারে। আশেপাশে না তাকিয়ে আবারো বেড়িয়ে যায়।

–“আব নানু ছেলেটি কে??”(ফাহান)

–“আমার নাতি!! নীল…ওর নামটাও নীলার মা মানে ওর ফুফি রেখেছিলো।নীলার মায়ের চোখের মণি ছিলো নীল…”(নানু)

এতক্ষন ঠিক ছিলো ফাহান! এখন কেনো জানি প্রচুর রাগ লাগছে। কারনটা হয়তো ওর অজানা নয়। ফোন করার বাহানায় ফাহান ও বেড়িয়ে যায়।


দুটো মাটির কবরের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে অজোরে কান্না করে যাচ্ছে রাহা। মানুষ মরনশীল এ কথাটা মানতে বেশ কষ্ট হয়েছিলো রাহার যেদিন ওর মা ওর কোলেই শেষ নিঃষাশ ত্যাগ করেছিলো। ভাবতেই ওর কান্না আরো বেগ পেতে লাগলো।

–“আম সরি মা আমি তোমার সাথে দেখা করার জন্য এখানে আসতে পারিনি।ওরা আমাকে আটকে রেখেছিলো মা। আমি পালিয়ে এসেছি জানি না কতদিন পালিয়ে থাকতো পারবো। কিন্তু আমি চায় না আর ওদের কাছে থাকতে।দরকার হয় সারাজীবন পালিয়েই বেড়াবো। ”

“তোমার দেওয়া শেষ স্মৃতিটাও আমি রাখতে পারলাম না। ওই নীলরঙের ফোনটাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমা করে দিও মা। ”

“ছোটবেলা থেকে তুমি আমাকে এতো-পরিমানের নীল রঙের জামা পরিয়েছো যে আমি এখন এই নীল রঙের কাপড় ছাড়া কোনো কাপড় পরতেই পারি না। কিন্তু আমার বিষণ ভালো লাগে পরতে মনে হয় তুমি আমার সাথেই আছো। ”

“মা ভাবছি এবার থেকে নিজেকে অন্য রঙের বস্ত্রেও জড়াবো। তাতে যদি আমার মনের কষ্টগুলোকে মুছে ভিন্য-রঙে রাঙিয়ে দেয় আমার এই মনটাকে।”

“মা-বাবা তোমরা দুজনে স্বার্থপর। নিজেরা একসাথেই আছো অথচ আমাকে এখানে একা ফেলে চলে গেছো তোমরা। আই হোফ আমার মৃত্যুর পরে আমাকেও যেনো তোমাদের পাশেই সমাধি দেয়।বলেই আরো জোরে কান্না করতে লাগলো। চিৎকার করে কান্না করছে রাহা। ”

এর সাক্ষি হিসেবে আরো দুজন দাড়িয়ে রয়েছে ওর পেছনে। ফাহান দূর থেকে রাহার কথা শুনে বাকশক্তিহীন হয়ে দাড়িয়ে আছে।নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে লবনাক্ত পানি ঘড়িয়ে পরেছে তা সে অনুভূব করছে। রাহার কান্না এবং কান্নার শব্দ ফাহানের বুকে আঘাত করছে বেশ। রাহার দিকে যাওয়ার জন্য পা অগ্রসর করলেই ফাহানের আগে নীল গিয়ে রাহার পাশে বসে পরে। নীলকে দেখতেই রাহা ঝাপটে জড়িয়ে ধরে আরো কান্না করতে লাগলো।

–“আরে পাগলি কান্না থামা!! দেখ আমরা সবাই আছি তোর পাশে। প্লিজ কান্না করিস না। তোর কান্না আমার সহ্য হয় না বিশ্বাস কর। আর তুই এতোবছর পর কেন এসেছিস?? না আসলেও পারতি।জানিস আমি তোর জন্য এতোদিন অপেক্ষা করেছিলাম। ইচ্ছে করেছিলো তোর কাছে ছুটে চলে যায় কিন্তু আমি জানতাম না তুই কোথাই থাকিস। “(নীল)

–“ভাইয়া আমার আর কিচ্ছু ভালো লাগে না।দুনিয়াটা বড়ই আজব! কেউ কারো নয় সবাইকে তুমি,পাশে পাবে কিন্তু নিজ নিজ স্বার্থে।স্বার্থ পুরিয়ে গেলেই আর কাউকে পাশে পাবে না তুমি। (রাহা)

–“সবার কথা জানি না নীলা।কিন্তু তুই আমাকে সারাজীবন তোর পাশে পাবি।প্লিজ এবার কান্না থামা খেতে চল।তোর সাথে তো গেস্টও এসেছে দেখলাম।

–“ওহ হ্যাঁ। আমার খেয়াল ছিলো না। “চলো।(রাহা)

রাহা চোখের পানি মুছে উঠে নীলের সাথে হাঁটতে লাগলো। নীলার নানুর বাড়ি থেকে মাঝখানে আরো দুটো বড় পাহাড় পেরিয়েই কবরস্থান। যেখানে রাহার মা-বাবা- আর নানা কে কবর দেওয়া হয়েছে।

বাড়িতে গিয়েই দেখে তারা সবাই নানা ভাবে গল্পে ব্যাস্ত। রাহা ফাহাকে না দেখে চারপাশে খুঁজতে লাগলো।কারন সবাইকে গোসলে যেতে হবে একসাথে। তাও পাহাড়ের নিচে।



ফাহান রাস্তার পশ্চিম দিকে বড় একটা পাথরের উপরে উল্টো দিক মুখ করে বসে আছে। তার মনেও যে কালবৈশাখীর মতো ঝড় হচ্ছে।ধুমড়ে-মুছড়ে যাচ্ছিলো। এটার ভয় ছিলো এতোদিন ফাহানের। আজ তার ভাবনা বাস্তবে রুপ নিয়েছে।জানতো কারো মায়ায় পরলে সে মায়া কেটে উঠা অসাধ্যকর। তাই তো নিজের অনুভুতি এতোদিন নিজের অন্তরের গহীনে লুকিয়ে রেখেছিলো।যার উদ্ধার রাহা এসেই করেছে।

–( “এটা না হলেও পারতো। একদিনের দেখায় কারো প্রতি দুর্বল হওয়াটা কী খুবই জরুরি ছিলো?তোমার প্রতি মায়াটা আমার মনে না জন্মালোও পারতো নীলা। আমি এখন নিজেকে সামলাবো কি করে। আমার এতো শক্তিও নেই। মনে হচ্ছে বিশাল এক সমুদ্রের মাঝখানে আমি একা ভাসছি। কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিনা আশ্রয় নেওয়ার। যেদিকেই সাঁতরে যেতো চায় সেদিকেই ডুবে যাচ্ছি। আমি সত্যইই ডুবে যেতো চায় কিন্তু সমুদ্রে না তোমার……….??…..)

রাহা ফাহানকে খুঁজতে এসে দেখে পাথরের উপরে বসে আছে।

–“এই যে দুপুরে খাবেন না আপনি?? গোসল করবেন না?? “(রাহা)

রাহার গলা শুনে ফাহান চট করে পেঁছনে তাকায় দেখে।রাহা দাড়িয়ে আছে। সুন্দর চোখজোড়া এখনো লালচে হয়ে আছে কান্না করার কারনে। ঠোঁটের কোণে মিষ্টিহাসি। এবারতো ফাহান আরো পাগল হয়ে যাচ্ছে। রাহার এই মুখের মিষ্টিহাসি দেখে। নিজেকে সামলে মুখ দিয়ে একটা ছোট্ট শব্দ বের করে..”হুম” বলেই পাথর থেকে নেমে রাহাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় ফাহান।

সেখানে গিয়ে দেখে আবির আর নীল কথা বলছে। ফাহান যেতেই রাহার নানু নীলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। যেহেতু তারা সেম এজের তাই বেশ ফ্রি হয়ে যায়।

–আপনারা কাপড় নিয়েছেন?? “(রাহা)

–“হ্যাঁ,,,কিন্তু ওয়াসরুম কোথায়??”(নোভা)

–(হেসে) ওয়াসরুম??” আসেন আমার সাথে..(রাহা)

ফাহান রাহাকে হাসতে দেখে নিজেও হেসে দেয়। কিন্তু কেন সেটা নিজেও জানে না।হয়তো রাহার হাসি-খুশী-সুখ-দুঃখ সব সে এখন থেকে নিজের মাঝে উপলব্ধি করতে পারছে।


রাহা,ময়না,নীল,ফাহান,আবির,নোভা আধা ঘন্টা ধরে পাহাড় বেয়ে নিচে নামছে এখনো তারা ওয়াসরুমে পৌছাতে পারেনি। নোভা তো কিছুক্ষন অন্তর অন্তর পথেই বসে যাচ্ছে। আর নিচের দিকে নামা সম্ভব হচ্ছেনা। আবির টেনে উঠিয়ে সাথে করে ধরে ধরে নামতে লাগে। আরো ১০ মিনিট পর তারা সবাই পাহাড়ের মাঝখানে বিশাল বড় একটা গর্তের সামনে দাড়াই। তার কারন নীল সবাইকে দেখে দাড়াতে বলে।

–“গাইস আমাদের রাহা আর ময়না পাখির ছোটবেলার একটা মজার কাহিনী সেয়ার করতে চায়। শুনবেন “(নীল)

নীলের কথা শুনে ফাহান দ্রতু বলে দেয় শুনবো। রাহা আর ময়না বার বার চোখ দিয়ে ইশারা করছে না বলতে তবুও নীল থামেনি বলতে শুরু করে দেয়।

–” নীলা ছোটবেলায় একবার বেড়াতে আসে এখানে। তখন নীলা ক্লাস ফোরে আর ময়না ক্লাস সেভেনে ছিলো। তো নীলা বারবার ওয়াসরুম যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত বাহানা করতো ময়নার কাছে। ছোট থেকে ছোট কারনের জন্যও ওকে নিচে নিয়ে যেতে হতো ময়নাকে।

ওই যে পাহাড়ে ছোট্টা একটা ঘর দেখছেন। ময়না নীলাকে বলেছিলো ওই ঘরটিতে ভুত,প্রেত,পেত্নি,জ্বিন,রাক্ষস থাকে,,বারবার নিচের যাওয়ার জন্য বাহানা করলে তোকে খেয়ে ফেলবে।ভয় দেখানোর জন্য বলেছিলো,,,
ব্যাস এর পর থেকে নীলা পরপর তিনদিন ওয়াসরুমে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো।

তো একদিন আমি কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে সেখানে যায়।জিনিস নিয়ে বেরিয়ে দেখি নীলা দাড়িয়ে আছে।এখানে কী জিজ্ঞেস করলে উত্তরে সে আমাকে উল্টো প্রশ্ন করে “এখানে নাকি জ্বিন,ভূত থাকে??”

ওদের এসব কথা আমি জানতাম না তাই সোজাভাবে বলে দিয়েছিলাম এখানে প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া আর কিছুই নেই।

সেদিন নীলা প্রচন্ড ক্ষেপে ময়নাকে এই গর্তে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলো দুপুরে। আর আমরা ময়নার খুঁজ পায় বিকালে। ভাবেন কতো ভয়াভহ কান্ড ঘটেছিলো।??

নীলের কথা শুনে সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠে,,,ততক্ষনে রাহা আর ময়না সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়।তারপর তারা গর্তটির দিকে তাকাতেই দেখে বেশ গভীর। এখানে কেউ পরে গেলে নিজ সাধ্যে কখনো উঠতে পারবে না।

এরপর তারা আরো কতক্ষন হেঁটে নিচের নামতে সক্ষম হয়। নিচেই নেমেই তারা অবাক এতোকষ্ট করে নিচে নেমেছে সে কষ্ট বৃসথা যায়নি তাদের।

?(চলবে)?

ময়না আপুকে সেই একটা ধাক্কা দিছিলাম।আমাকে ভয় দেখানো,,হুহ!!? কেমন লেগেছে বলবেন।নাহলে এই পার্টের পর আর দিবো না!!???

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে