নীলাময়ীর প্রেমে পর্ব ৫

0
981

#নীলাময়ীর_প্রেমে

#Written_by_Tarin_Jannat
#পার্ট০৫

নিজেদের সবকিছু ঠিকটাক মতো নিয়ে কটেজ থেকে
পশ্চাদপসরণ করে ফাহানরা।কাপ্তাই যাওয়ার অভিপ্রায় তাদের। কয়েকদিন পরে সেখান থেকে ফিরে অন্য কোথায় যাওয়ার তফসিল করবে। পাহাড়ী এলোমেলো রাস্তা অতিক্রম করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। ভোরের সতেজ বাতাস গায়ে মাখানোর জন্য গাড়ির গ্লাস নামিয়ে দেয়।এবং অনুভূব করতে লাগে ভোরের মিষ্টি ঠান্ডা বাতাস।

আবির আর নোভা সামনে বসেছে আর ফাহান পেছনে।
আকস্মিকভাবে আবির কাউকে দৌড়ে আসতে দেখে অনেক জোরেই গাড়ির ব্রেক কষে। ফাহান আর নোভা সামনের দিকে ছিটকে পরে কিন্তু তেমন আঘাত পায় নি। আবির দেড়ি না করে দ্রুতগতীতে বেরুয় দেখার জন্য কে গাড়ির সামনে এভাবে দৌড়ে এসেছিলো।মানুষটি আঘাত যে পেয়েছে তা নিশ্চিত। আবিরের পেছনে ফাহান নোভা বের হয়।

বেড়িয়ে দেখে একটা মেয়ে নিথরভাবে পরে আছে।মুখ দেখা যাচ্ছে না। মেয়ে বলে ফাহান আর আবির স্পর্শ করতে দ্বিধাবোধ করছিলে।তাই নোভা গিয়ে হাঁটু মোড়ে বসে মেয়েটিকে নিজের দিকে ফেরাই। হঠাৎ চেনা মুখটি দেখে ফাহান আতকে উঠে। দৌড়ে গিয়ে আলতো করে টেনে নিজের কোলে নিয়ে নেয়।

মেয়েটি রাহাই ছিলো। দৌড়ানোর সময় হুট করে ফাহানদের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে মাটিতে পরে যায়।

ফাহানের ভেতরে অসম্ভব ভয় করছিলো।বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যাথা অনুভূব করছিলো। মুখ থেকে চুল সরাতেই দেখে কপালের একপাশে ফেটে রক্ত পরছে।

দেড়ি না করে কোলে নিয়ে গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে দেয়। নোভাকে দ্রুত ফাস্টএইড বক্স বের করতে বলে। রক্ত পরিষ্কার করে বেন্ডেজ লাগিয়ে দেয়। আবির বাইরে দাড়িয়েই ছিলো। তখনি পেছনে কাঁধে হাত দেয়।পেছন ফিরতেই দেখে দুটো লোক দাড়িয়ে আছে। চোখ মুখ বিষন লাল চোখে বার বার হাত দিচ্ছে। তাতে আবির ভ্রু কোঁচকে তাদের দিকে তাকায়।

–“এখান দিয়ে কোনো মেয়েকে দৌড়ে যেতে দেখেছেন ভাই”???(ভারী কন্ঠে লোকটি বলে উঠে)

তখনি আবিরের মাথা চক্কর দিতে লাগে।দৌড়ে তো রাহা গিয়েছিলো।যদিওবা তারা তখনো রাহার নাম জানতো না।বুঝতে পেরেছে তাদের থেকে বাঁচতেই রাহা দৌড়ে এসেছিলো।

ফাহান লোক দু’টোকে দেখে এবং তাদের কথা শুনার সাথে সাথে মেজাজ গরম হয়ে যায়।কারন বুঝতে পেরেছিলো তাদের জন্যই রাহা আঘাত পেয়েছে। নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো এক্সিডেন্ট করে বসেছে।

রাহাকে নিজের বুকের সাথে আরো চেপে ধরে লোকগুলোর থেকে আড়াল করতে। আবিরও ঠান্ডা মাথায় একটা বুদ্ধি বের করে।

–“হ্যাঁ দেখেছিলাম তো”?? (আবির)

–“কোনদিকে গিয়েছে বলেনতো ভাই”??(ঝাঁঝালো কন্ঠে)

–“ওইতো ওই পাশে ঘন জঙ্গল দেখতে পাচ্ছেন। সেদিকেই নামতে দেখেছিলাম। “আমি ভাবলাম হয়তো ওদিকে মেয়েটির বাড়ি”!!

–“ওইদিকে কোনো বাড়ি নেই,,নদী এবং গাছ-বাগান রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে”।

বলেই লোক দুটো সেইদিকে গিয়ে সাবধানে নিচে নামতে লাগলো। পাহাড়ী উঁচু রাস্তা তাই নিচে নামতে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আবির ও হাফ ছেড়ে বাঁচে।

–“আশেপাশে কোনো হসপিটাল বা মেডিক্যাল স্টোর আছে কী না একটু খুঁজ নে”!(ফাহান)

–“নেই ব্রো!!”’ চন্দ্রঘোনায়” আছে হসপিটাল,মেডিক্যাল স্টোর সব।”(আবির)

–“তাহলে সেখানে চল,,দেখ এখনো সেন্স আসেনি”প্লিজ তাড়াতাড়ি চল।”(ফাহান)

–“হ্যাঁ,,কিন্তু রাস্তা তো উল্টো!! (আবির)

ফাহান চোখ লাল করে তাকাতেই আবির চুপচাপ গাড়িতে বসে যায়। গাড়ি স্টার্ট দিতে যাবে তখনি গাড়ির পাশে রাহার ব্যাগগুলোর দিকে চোখ যায়।আবার বের হয়ে সেগুলা নিয়ে পাশের সিটে রেখে গাড়ি স্টার্ট দেয়।

ফাহানের কেমন জানি অস্থির লাগছিলো।দম বন্ধ হয়ে যাবে মনে হচ্ছিলো।পাশ থেকে নোভা ফাহানকে বেশ গভীরভাবে লক্ষ করছে।

–“”ফাহান”??(নোভা)

–“হুমম”

–” ও কালকের সেই মেয়েটা না?? যার পেছনে ছুটেছিলি,,কিন্তু তোকে পাত্তা না দিয়ে দৌড়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলো??””

নোভা কথাটা বলতেই আবির পেছনের দিকে তাকায়। দেখে ফাহান খুব যত্নে নিজের বুকে আগলো রেখেছে অচেনা এই মেয়েটিকে। হঠাৎ মুছকি একটা হাসি চলে আসে আনমনে। তারপর আবারো ড্রাইভিং এ মনোযোগ দেয়।

নোভার কথা ফাহানের গায়ে লাগে বেশ।তবুও নিজেকে সামলে বলে উঠে…

–“হ্যাঁ তো?? কোনো সমস্যা??

–” নাহ! আমার কোনো সমস্যা নেই।ইদনিং তোকে বড্ড অচেনা লাগছে তাই…

আবারো ফাহান রাগী দৃষ্টি নোভার দিকে ছুড়ে মারে।তাতে কিছুক্ষন চুপ থেকে আবারো বলে উঠে…

–” ফাহান এভাবে জড়িয়ে ধরে আছিস কেন?? ছাড় ওকে আমি আছি কেন?? আমিই ওকে ধরছি?”

বলে যেই রাহাকে ধরতে যাবে…ফাহান বলে উঠে…

–“ডোন্ট!!(হাত দিয়ে এগিয়ে দিয়ে) এভাবেই থাক।নড়াচড়া করলে ওর ব্যাথা লাগতে পারে।

ফাহান আর কি বলবে রাহাকে নিজের সাথে জড়িয়ে রাখতে বেশ ভালো লাগছিলো।বুক থেকে ছাড়ানোর বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই তার।যদিওবা এটা ঠিক নয়।কোনো মেয়েকে এভাবে তারই অজন্ততে স্পর্শ করে জড়িয়ে ধরা ।যা একেবারেই অনুচিত। কিন্তু নিজের মনটাকেও বুঝাতে পারছিলো না সে।

নোভাকে অখত্যা একটা অযুহাত দিয়ে দেয়। নোভার দিকে ফাহানের চোখ যেতেই দেখে মিটিমিটি হাসছে।যা মুহুর্তে ফাহানের রাগকে দ্বিগুন করে তুলে। ফাহানের চোখে চোখ পরতেই নোভা ভয় পেয়ে বাইরের দিকে মুখ করে তাকিয়ে থাকে।



খুবই কড়া একটা পার্পিউমের স্মেল রাহার নাকে আসে। বন্ধ চোখে কোনো মতেই খুলতে পারছে না।কিন্তু কারো গরম নিশ্বাস নিজের উপর আচড়ে পরছে তা বেশ অনুভব করতে পারছে। নিজের চোখের সাথে যুদ্ধ করে অনেক কষ্টে চোখ মেলে তাকায়। চোখ মেলতেই মাথায় কপালে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূব করে। সাথে কেউ ওকে অনেক যত্নে নিজের বাহুতে আবদ্ধ করে রেখেছে সেটাও অনুভূব করতে পারে। বুঝার জন্য অতি কষ্টে মাথা হালকা নিচু করতেই দেখে পুরুষালী হাত।মুহুর্তে ভয়ে আতকে উঠে।কোনো ছেলে তার এতো কাছে ভয় পাওয়ারই কথা তার সাথে যে……….????

এবার আস্তে করে মাথা তুলে তাকাতেই ফাহানকে দেখে আবারো আরেকটা ঝাটকা খায়।মুহুর্তে ছিটকে সরে যায় ফাহানের বাহু থেকে। আশেপাশে তাকিয়ে কোথায় আছে বুঝার চেষ্টা করছে। রাহার এভাবে সরে যাওয়াই ফাহান অপ্রস্তুত হয়ে পরে।

–“আম আমি কোথায়?? আর আপনারা? আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?? গাড়ি থামান?? (চেঁচিয়ে)(উত্তেজিত হয়ে)

হঠাৎই মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।মাথা দুপাশে চেপে ধরে মুহুর্তে মুখটা একটা শব্দ বেরিয়ে আসে ‘”আহ”

–”হেই হেই কাম ডাউন সিস,,তুমি মাথায় আঘাত পেয়েছো এভাবে কথা বললে আরো বেশি ব্যাথা করবে।(নোভা)

তখনি রাহার মনে পরে যায় কিভাবে দৌড়ে আসার সময় একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছিলো।

–উনাকে আমার পাশ থেকে সরে যেতে বলেন আপু!(ফাহানকে)

নোভা ফাহানের দিকে তাকায় একবার। দেখে ফাহান অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নোভা চোখ দিয়ে ইশারা করে নিজেকে সামলে নিতে বলে।তারপর নোভা রাহাকে সরিয়ে নিজে মাঝখানে বসে।

রাহা ভয়ে কাঁপছিলো প্রচুর। কোনো ছেলেকে এভাবে নিজের নিকটে দেখে ঘাবরে যায়।তাও আবার অচেনা কেউ।

নোভা পানি এবং ব্যাথার মেডিসিন দিলে রাহ খেয়ে নেয়। তাতে ব্যাথা হালকা কমে যাবে।

–দেখো আমাদের ভয় পেতো হবে না। আমরা তোমার ক্ষতি করবো না।বরং ফাহান এবং আবির তোমাকে হেল্প করেছে(আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখিয়ে) ওই লোক দুটো থেকে তোমাকে বাঁচাতে। সো ডোন্ট ওয়ারি।আমরা।এখন তোমাকো ড. কাছে নিয়ে যাবো।

ড. নাম শুনতেই রাহা সাথে সাথে বিষম খায়।কোন ড. এর কাছে নিয়ে যাবে।এখানে সবাই রাহা কে চিনে। তার বাবার নাম ডাকের কারনে। এখন সেখানে গেলেই তো বাসায় খবর চলে যাবে।এসব ভাবতে ভাবতে রাহার ভয়টা চলে যায়। রাহা চট করে বলে উঠে..

–‘নো নো আম ফাইন!! আমি কোথাও যাবো না প্লিজ আপু!! মানে দেখেন আমি ঠিক আছি। আমাকে সামনে নামিয়ে দিলেই হবে।(রাহা)

–“আপনার বাসার এড্রেস দেন। আমরা আপনাকে নামিয়ে দিবো”।(আবির)

বাসায় যাওয়ার কথা শুনে এবারতো রাহার প্রান যায় যায় অবস্থা। এখন কী বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না আর।

–“আমি বাসায় যাবো না। মানে আমি ১ মাসের জন্য ভ্রমনে বেরিয়েছি।বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করছিলো মেন্টালি রিপরেসমেন্টের জন্যে বের হয়েছি।”
(রাহা)

–“তাই বলে আপনি একা বের হবেন?? বিপদে পরতে পরতে বেঁচে গিয়েছেন। আমরা নাহলে তো…..(রাহার কথা শুনে ফাহান গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে)”

রাহা ফাহানের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়,,কোনো উত্তর দেয় নি ফাহানের কথায়…

–উপস!! এতো কিছু মধ্যে তোমার নামটায় জানা হলো না!! নাম কী তোমার?? মানে তোমার সম্পর্কে বলো একটু আমাদের??(নোভা)

–আমি রাহা ইসলাম। অনার্স ফাস্ট ইয়ারের স্টোডেন্ট! আমার সম্পর্কে জানার মতো আর কিছুই নেই..(বলেই একটা হাসি দেয়)

আরচোখে ফাহান বারবার রাহাকে দেখছিলো।বেহায়া চোখকে সংযত রাখাটা নিজের খাবুতে নেয়।তাই বার বার আরচোখে তাকাচ্ছিলো।আজো নীল রঙের গাউন পরেছে রাহা।তা দেখে ফাহান মনে মনে হাসতে লাগলো এটা ভেবে যে হয়তো রাহার নীলরঙটা অতিরিক্ত-মাত্রায় প্রিয়। নামটা শুনে অদ্ভুদ এক ফিলিংস হয় মনের মধ্যে। পরক্ষনে চোয়াল শক্ত করে নিজের আবেগকে সংযত করার চেষ্টায় লেগে পরে। চায়না সে কারো মায়ায় জড়াতে। এ মায়াটা বেশ ভয়ংকর পরিস্থিতে নিয়ে যায় একসময়। যেখানে সুখ থাকলে সুখ পাবে দুঃখ থাকলে দুঃখ!!

–“আচ্ছা ফাহান আমরা তো অল-মোস্ট লিচুবাগান চলে এসেছি।এখান থেকে সামনে কিছুদূর গেলেই ফেরীঘাট!! সেখান থেকে বান্দরবান যাওয়া যায়!! তো কি বলিস কোথায় যাবি।(আবির)

–“বান্দরবান চল”তোকে বলেছিলাম গতবার বান্দরবান আসলে এবার”রোমাক্রি’ “আমিয়াখুম”নাফাখুম”কেওক্রাডং” বগালেক”’তিনাপ সাইতার”’ সবজায়গায় যাবো। তখন হাতে সময় কম ছিলে বলে বেশিক্ষন থাকতে পারিনি।এবার সব মন দিয়ে উপভোগ করতে চায়””(ফাহান)

রাহা তো হা করে ফাহানের কথাগুলো শুনে নেয়। এসব জায়গার নাম শুনে রাহা তো পাগল প্রায়। এদের দেখে ভালো মানুষ মনে হচ্ছে,,অন্তত ওর ক্ষতি করবে না সেই বিশ্বাস রাখতে পেরেছে।তাদের সাথে ওই জায়গাগুলোতে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারবে না রাহা আর। তাই নোভাকে বলে উঠে..

–“আপু আপনাদের যদি সমস্যা না থাকে তাহলে আমিও আপনাদের সাথে যাবো।”(কিউট ফেস করে)

–“”অবশ্যই!! ফাহান তো কোনো আপত্তি নেয় তো??

ফাহান কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না কাল পর্যন্ত যাকে নিজেই আনমনে খুঁজে চলেছিলো সেই তাদের সাথে থাকবে ভাবতেই কেমন এক ভালোলাগা কাজ করছিলো। নোভার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।

–আমার আরো একটা আবদার আছে রাখবেন??”(রাহা)

–হ্যাঁ বলো।(নোভা)

–“আমি বান্দরবান যাওয়ার আগে একটা যায়গায় যেতে চায় বিশ্বাস করুন জায়গাটাতে গেলে আপনাদের ভালো লাগবে বিষন।ভালোলাগার মতো জায়গা??যাবেন???

–কোথায়?? জায়গার নামটা বলো?? আমরা তো ফেরী পার করে ফেলেছি!!(আবির)

–”’বাঙ্গালখালী”’ আপনারা গেলেই বুঝতে পারবেন কতো সুন্দর জায়গা আসতে মন চায়বে না। আর হ্যাঁ এখান থেকে পানি এবং খাবার নিতে হবে।অনেক দূর মঝরাস্তায় কোনো খাবারের দোকান পাবেন না।কারন অনেক উঁচু পাহাড়ী রাস্তা সেখানে।মানে আমরা বর্তমান অবস্থান থেকে আরো উপরের দিকে যাবো।সেখান থেকে আপনাদের মিষ্টি পানিও খাওয়াবো। আর খাবার একেবারে ”’বাঙ্গালখালী ”’ বাজারে গেলেই পাবোন।

রাহার কথা শুনে এবার ফাহাম, আবির নোভা একে-অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।জায়গাটা বেশ ইউনিক মনে হচ্ছে।এবার তো না গেলে আফসোস থেকে যাবে।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে