Dangerous_Villain_Lover Part 7

0
3218

Dangerous_Villain_Lover
Part 7
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

কেউ আমায় জরিয়ে ধরে আছে। আমি তার বুকের মধ্যে আছি কে আমাকে এভাবে আর শক হয়ে কিছুক্ষণ আগে একে নিয়ে ভেবে এসেছিলাম কতো বড় একটা ক্রাশ খেলাম আর এখন তার বুকে আছি। আমি কি কল্পনা দেখছি না না কথা ভেবে চলেছি আমার তার থেকে নিজেকে ছারানোর কথা মনেই নেই হঠাৎ নিচে পরে যাওয়ার অবাক হয়ে তাকালাম সামনের লোকটির দিকে। সাথে রেগে এভাবে কেউ ফেলে ফেলবি যেহেতু ধরলি কেন কানা কোথায় কার বকা দেবার জন্য মুখ খুলতে যাব কিন্তু তাকিয়ে আবার হা হয়ে গেলাম।
” ওফ ” কি সুন্দর লাগছে এতো সুন্দর দূরে দেখে যতটা না লাগছে সামনে আর ও বেশি কিউট একেবারে কিউটের ডিব্বা। চুল গুলো হাত দিয়ে ঠিক করে চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে আমার দিকে তাকালো আট্রিডিউট নিয়ে। আমি হা করে তাকিয়ে আছি হঠাৎ কথায় সজ্ঞানে এলাম আর আমার রাগ সাত আসমানের উপরে চলে গেল।

— হো আর ইউ? আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরে আছেন কেন সুন্দর ছেলে দেখলেই কি গা ঘেষে থাকতে মন চাই নাকি? ( ভ্রু কুচকে বলল) আর এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন?

আমি তো শক বলে কি ছেলে আমি তাকে জরিয়ে ধরে ছিলাম। কি মিথ্যুক? নিজের ধরে এখন আমাকে বলছে আর কি বলল আমি হা করে তাকিয়ে আছি। রেগে উঠে দাড়ালাম কিছু বলার জন্য।

— কি বললেন আপনি আমি আপনাকে ধরেছি অসম্ভব নিজে আমায় জযিয়ে ধরে ছিলেন আর এখন।

— আমি মিথ্যে কেন বলবো আপনি তো হচ্ছে করে আমার সামনে এসে পরে যাওয়ার নাটক করেছেন যাতে আমার বুকে আসতে পারেন মেযেরা এতো নাটক কী করে যে করে।

— একদম মিথ্যে বলবেন না আপনি আমাকে মিথ্যুক বলছেন।

আর কিছু বলতে পারলাম না কোথায় থেকে জেসি দৌড়ে এলো আমার কাছে আর টেনে নিয়ে যেতে লাগল।

— এই এই আমাকে টানসিস কেন ছার।

— নাহ তা হবে না প্রিন্সিপাল স্যার ক্লাসে আছে চল তারাতারি কই যে যাস কতোক্ষণ ধরে খুজছি জানিস।

রেগে আছি এখন আবার এইসব। একবার ঘুরে পেছনে তাকালাম দেখি লোকটিকে আমার দিকে এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে আমি চাওয়া মাএই চোখ পিট দিল আমি তো ফ্রিজ হয়ে গেছে এই লোকটার মতলব কি কিন্তু আর দেখতে পারলাম না জেসি ক্লাসে ঢুকিয়ে দিল।

সিটে বসে আছি সামনে প্রিন্সিপাল স্যার কি কি যে বলে চলেছে কিন্তু আমার সেদিকে খেয়াল নেই। আমার মাথায় ওই কাণ্ড গুলো ঘুর পাক খাচ্ছে কে লোকটা প্রথম কেমন আট্রিডিউট দেখালো আবার চোখ মারলো ঠোট হাসি মানে কি। হঠাৎ টিয়া টেনে দাড় করিয়ে দিলো আর বলতে লাগল।

– ওফ আমি পাগল হয়ে যাব রে ছোঁয়া দেখ কে এসেছে।

আমার মাথা উচু করে ধরলো তাকিয়ে দেখে অসভ্য লোকটা কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি তো রেগে আছি একবার পায় আমাকে এভাবে অপমান আবার কথা শুনানো চোখ মারা দেখাবো।

প্রিন্সিপাল স্যার চলে গেছে এনি নাকি আমাদের টিচার সবাই তো হইহোল্লে মেতে গেছে। স্যার তার পরিচয় দিতে লাগল তার নাম রাহুল চৌধুরী। আর ও অনেক কিছু বলেছে কিন্তু আমি কানে নেই নি। একে স্যার হিসেবে পেয়ৈ সবাই ধন্য এমন একটা ভাব টিয়া তো রীতিমতো গুনগান গাইছে আমার কানে কাছে রেগে দিলাম এক ধমক বেচারী ভয়ে একেবারে সটপ আমি আমার সাথে করা সব বলতেছি হঠাৎ……

— স্টান্ডাপ ( হাত উঠিয়ে আমাকে দেখিয়ে ) এই যে তোমাকে।

আমাকে দেখাচ্ছে আমি দাড়ালাম।

— কি কথা হচ্ছে? বলো আমরা ও শুনি একটু। তুমি ও দাড়াও ( টিয়াকে ইশারা করে )

— ( টিয়া ভয়ে ভয়ে দাড়িয়ে গেল)

— স্যার আসলে

— কী আসলে নকলে বলছো ঠিক করে বলো তোমরা দুজন কি গল্প করছিলে।

টিয়া আমার হাত চেপে ধরে আছে। আমি কি বলবো ভাবছি কেমন রেগে জিগ্গেস করছে দেখতে এতো কিউট আর ব্যবহার তখন ঝগড়া করলো আবার চোখ টিপ দিলো আবার এখন ধমকাচ্ছে। ওফ কিমাথায় আছছে না।

— কি হলো কথা বলছো না কেন স্যার যে ক্লাসে আছে তোমাদের কি মাথায় আছে গল্প করে যাচ্ছো। ( রেগে চিৎকার করে )

এদিকে টিয়া তো ধমক শুনেই কেদে দিলো সে কি কান্না আমি জানি ও এমন ও হুপ ফ্রেন্ড সারকেলের সবাই জানে তাই কেউ তেমন একটা মাদা গামাল না কিন্তু স্যার তো মনে হয় অবাক হয়েছে সে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সে হয়তো ভাবে পনি এমন কিছু হবে।

পরদিন

সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছি মেন টপিক্ম রাহুল স্যারকে নিয়ে।

টিয়া: এভাবে স্যার ধমক দিলো আমাকে কাল। এতো সুন্দর দেখতে কোথায় ব্যবহার সুন্দর থাকবে তা না ধমক।

মন খারাপ করে না না কথা বলেই যাচ্ছে আর আভরা শুনে যাচ্ছি।

ছোঁয়া : বুজ আলা এই স্যার কে নিয়ে কতো কথায় না বলেছিলি এন তেন এখন কি হলো।

টিয়া: আমি সারারাত ভরে ভেবেছি এই কথা গুলো। ভেবেছিলাম এর সাথে লাইন মারবো না বাবা এমন রাগি কাউকে চাই না।

ওর কথা শুনে আমরা হাসতে হাসতে শেষ।

কানটিনে বসে আমরা কথা বলছিলাম হঠাৎ রাহুল স্যার ও এসে আমাদের পাশের সিটে বসলো তারপর একটা কফি অর্ডার করে ফোন টিপতে লাগল। আশেপাশের কাউকে দেখছে না আমি তো একবার তাকিয়ে টিয়ার দিকে তাকালাম বেচারি তাকায় নি উঠেই চলে গেল। আমি বসে আছি সাথে জেসি মনে চাদ হাতে পাওয়ার মতো করে বসে আছি কারণে স্যার কি শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে কি করব ভেবে পায় নি এখন সেই সুযোগ করে দিলাম। জেসিকে নিয়ে বেরিয়ে যাবো হঠাৎ স্যার ডাক দিলো জীবনের বড় ভুল করে স্যার ডাকে সারা দিতে গেলাম পেছনে ঘুরে স্যারের কাছে আর আমি নেই।
স্যারের কোলের উপর বসে আছি নিজের জালে নিজেই ফেসে গেলভ কেন যে তার ডাক শুনতে গেলাম। আমার কোমর জরিয়ে কোলের উপর বসিয়ে রেখেছে উঠার জন্য ছটফট করছি। কিন্তু সে আমায়

— আমাকে ফেলার জন্য এসব তাই না এখন তো নিজেই।
বলেই হেসে উঠলো আমি অসহায় চোখে তাকিয়ে আছি। আশেপাশের সবাই রাগি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলবে আমাকে।

— এইকাজের জন্য আপনাকে শাস্তি পেতে হবে।

– সরি স্যার আর এমন ভুল হবে না এবারের মতো মাফ করে দিন।

— নো তোমাকে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু আজ না কাল দেবো তোমার শাস্তি।

কি শাস্তি দেবে আমায় কে জানে। ভ য়ে আমি তো শেষ কেন যে ওই কাজটা করতে গিয়েছিলাম। কথাগুলো ভেবেই চলেছি আর বাড়ির আসছি আজ গাড়ি নিয়ে যায় নি।

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে