Dangerous_Villain_Lover part 9

0
3069

Dangerous_Villain_Lover
part 9
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

রাতে… ছোঁয়া রুমে বসে ভাবছে স্যার এতো হাইপায় হলো কেন? আর আচার খাচ্ছে আম্মু আচার বানিয়েছে আমের যেটা ছোঁয়ার অনেক পছন্দের। স্যার কে নিয়ে মসা চিন্তা মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে স্যার সামান্য মাথা ব্যাথা বলাতে এতো অস্থির হয়ে উঠলো যেন ব্যাথা আমার না তার হচ্ছে কিন্তু কেন? স্যার কে তখন অনেক র্দুবল লাগছিল মুখে স্পশট আমার জন্য কষ্ট কিন্তু আমার জন্য স্যার কেন আমি তো স্যারের আপন কেউ না আমার জন্য সে কেন? দূর মাথায় কিছু ঢুকছে না হঠাৎ ফোনে টুং শব্দ বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখি ম্যাসেজ এটা তো সেই নাম্বার…. Villain lover….

সঙ্গে সঙ্গে আচারের বাটি রেখে ভালো করে দেখি লেখা আছে,,,, মায়াবতী এতো আচার খেয়ো না তোমার পেট ব্যাথা করবে।

আমার চোখ তো চরক গাছ হয়ে গেল কথা শুনে বেটা কয় কি সে জানলো কি করে আমি আচার খাচ্ছি। আমার রুমে সি সি টিভি রাখে নি তো। ও মোর আল্লাহ আমি কতো কিছু করি তার মানে সব দেখে মাথায় হাত দিয়ে খুজতে লাগলাম কিছু আছে নাকি ঘরে। আবার মেসেজ আসলো দৌড়ে হাতে নিয়ে দেখি,,,
” এতো খুজে লাভ নেয় মোর জান চুপ চাপ শুয়ে পর কতো রাত হয়েছে খেয়াল আছে। শরীর খারাপ করবে তো”

আমি তো হা হয়ে আছি কে এই ভিলেন নিশ্চয়ই ওইদিকার ওই গুন্ডা টা কিন্তু সে আমার পিছু এখন ও ছারে নি কি করে একে ঘার থেকে নামাবো ওফ আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে একে তে স্যার কে নিয়ে চিন্তা এখন আবার এই ভিলেন দূর আর ভাবতে পারছি না শুয়ে পরে আচার রেখে খাটে শুয়ে পরলাম।

.
.

রাহুল ছোঁয়ার বারান্দায় ছিলো এতোক্ষণ ছোঁয়া কি কি করেছে সব বারান্দায় থেকে দেখেছে আর মেসেজ করেছে ছোঁয়া শুয়ে পরার কিছুক্ষণ পর রাহুল ভেতরে ঢুকে আসে। এসে ছোঁয়ার পাশে খাটে বসে পরে ছোঁয়া ঘুমিয়ে পরেছে রাহুল মুগ্ধ চোখে ছোঁয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে যত দেখে যেন মন ভরে না।

— কেন আমায় পাগল করলি তুই তোকে ছাড়া আমার তো কিছু ভালো লাগে না সব সময় মন চায় তোকে পাশে রেখে তোর দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার বুকের মধ্যে রাখতে চায় এই বুকটা খুব খালি থাকে থাকতে পারি না। তুই আমার জীবন হয়ে গেছিস চোখ আড়াল হলেই পাগল হয়ে যায় আমার দুনিয়া অন্ধকার হয়ে যায়।

কথা গুলো বলেই রাহুল ছোঁয়া মাথাটা বালিশে থেকে উঠিয়ে নিজের বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে ধরে। ওভাবে ধরেই অনেক ক্ষণ বসে থাকে। তারপর মাথা বালিশে রেখে কপালে কিস করে বেরিয়ে আশে রাহুল।

রাহুল ওর গোডাওনে বসে আছে।

— বস আসিফ কোন একটা সর যত্ন করছে। ওকে দেখা যাচ্ছে না ইদানিং।

— ওর যা খুশি করতে দে আমি ও এখতে চাই ও কি করতে পারে।

অনেক কিছু পরি কল্পনা করতে লাগে। আসিফ যে কোন সময় কোন আঘাত হানতে পারে।

পরদিন……❤

ছোঁয়ার ঘুম ভাঙে মেসেজ এর শব্দে বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে তাকায়। দেখে সেই নাম্বার ওফ পাগল করে দেবে রেগে ফোন বিছানায় রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।

রেডি হয়ে নিচে এলাম।

— কি রে খাবি না?

— না আম্মু আমি কলেজে গেয়ে খেয়ে নবো তুমি এখন খেতে বলো না আমি খেতে পারবো।

— এটা কেমন কথা তারাতারি আয় এতো অনিয়ম আমি কিন্তু কিছু তেই মেনে নেব না।

— আম্মু বুঝার চেষ্টা করো আমি এখন খেতে ব।পারবো না প্লিজ আমি গিয়ে খাবো।

বলেই চলে এলাম পেছনে থেকে আ ম্মু অনেক ডেকেছে শুনি নি।
বাইরে এসেই দেখি একটা গাড়ি এটা তো চেনা লাগছে ওহ এটা তো স্যার এর গাড়ি আমি গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম। ওমনি দরজা খুলে বেরিয়ে এলো স্যার।
আমি তো হা করে তাকিয়ে আছি আজ স্যার এ্যাশ কালারের র্শাট পরেছে ব্রাওন কালারে পান্ট চোখে সানগ্লাস চুল গুলো ইস্পাই করা মুখে হাসি অপূর্ব লাগে। ছেলেদের যে এতো সুন্দর লাগতে পারে স্যার কে না দেখলে জানতাম না আমি হা করে তাকিয়ে আছি। আমার সামনে এসে স্যার চোখে থেখে সানগ্লাস খুলে নিলো।

— আমাকে পরে দেখো আগে গাড়িতে উঠো।

স্যারের কথা শুনে লজ্জা চোখ নামিয়ে নিলাম ইশ কেন যে তাকালাম স্যার কি ভাবছে আমাকে নিয়ে কে জানে। আচ্ছা স্যার এখানে কেন আমি মাথা উঠিয়ে ভ্রু কুচকে তাকালাম স্যারের দিকে।

— আপনি এখানে কেন স্যার?

— তুমি গাড়ির উঠ।

স্যার দরজা খুলে আমাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিলো আমি হা করে তাকিয়ে আছি। ঘটনা টা এতো দ্রুত হলো যে আমি কিছু বলতে পারলাম না। স্যার গাড়িতে এসে বসলো।

— স্যার এটা কি হলো আপনি আমাকে জোর করে গাড়িতে তুললেন কেন?আর আপনি আমার বাড়ির সামনে কেন?

—এতো কিছু জেনে কি করবে চুপ করে বসে থাক।

— মানে চুপ করে থাকবো কেন? বলুন

হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে বলতে লাগল,,, এই তুতো খাও নি তাই না চলো খেয়ে আসি।

— হুয়াট?

আমি মনে মনে ভাবছি এনি জানলো কি করে আমি খাই না ও গড কি হচ্ছে এসব। কাল ওই ভিলেন সব বলল এখন এও আমার সাথেই কি হচ্ছে এসব। হঠাৎ দরজা খুলার শব্দে তাকিয়ে দেখি স্যার বাইরে দাড়িয়ে আছে।

— স্যার আপনি বাইর গেলেন কখন।

আমার কথার উওর না দিয়ে স্যার দরজা খুলে বাইরে বের করে নিলো। সামনে তাকিয়ে দেখি এটা একটা রেস্টুরেন্ট স্যার কি সত্যি খেতে এসেছে আমি খেয়ে আসিনি দেখে। রেস্টুরেন্টে বসে আছি।

— স্যার আপনি জানলেন কি করে আমি খাইনি।

— ওমনি জেনেছি তোমার সব কিছু আমার জানা ( বিরবির করে বলল রাহুল )

— কি বললেন স্যার? জোর বলেন আমি কিছু শুনি নি।

— কি খাবে বলো।

— আমার প্রশ্নের উওর দিন?

— খাবার অর্ডার দাও।

— আমি খাবো না।

স্যার নিজেই অর্ডার দিলো খাবার আমি জিগ্গেস করেই চলেছি কিন্তু কিছু বলছে না রাগে আমার শরীর কাপছে স্যারের বিহেভ অনেক অদ্ভুত কি হচ্ছে আমি মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই হা করে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে অসহ্য।

একটু পর খাবার চলে এলো। সব আমার পছন্দের খাবার খিদে পেয়ে ছিলোই খাবার দেখে রাগের কথা ভুলে খেতে যাব হঠাৎ স্যার আমার খাবার নিজে নিয়ে নিলো আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। এভাবে অপমান রাগে মন চাচ্ছে স্যারের সব গুলো চুল ছিরে ফেলতে। অপমান রাগে আর স্যারের দিকে তাকাতে পারলাম না অন্য দিকে ফিরে রইলাম।
হঠাৎ কেউ আমার মুখের সামনে খাবার ধরলো।

চলবে…..

( ভুলক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর দেরি করার জন্য সরি ছোট করে দিয়েছি বলে অভিযোগ করবেন না আর ও বড় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আর পারছি না বিকেলে থেকে লেখতে লেখতে এতো টুকু শেষ করেছি এখন হাত পুরো ব্যাথা হয়ে গেছে আর লেখা সম্ভব নয় সবাই ছোট বলে অভিযোগ বানান এর জন্য অভিযোগ করেন। লেখতে আমার সমস্যা হয় তাই ছোট করে দেয় আর বানান ওইটা আমার ভুল আমি লিখে কখনো রিভাস দেয় না আসলে আমার লেখা আমি পরলে কেমন জানি লাগে তাই ভুল গুলো হয়ে থাকে।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে