লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৪০

0
1745

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৪০
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

রেস্টুরেন্টে বসে আছি আমি আর তিথি এক পাশে অপর পাশে রাজ। রাজ আমাকে ওর পাশে বসতে বলেছিলো কিন্তু আমি ইচ্ছে করে বসিনি। তিথি হয়তো কিছু আক্ম করতে পেরেছে আমার আর রাজের মধ্যে কিছু হয়েছে তাই ও আমার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কথা বলতে চলে এলো।

— মিষ্টিইই
আমি ভ্রু কুচকে ওর মুখের দিকে তাকালাম এমন আস্তে কথা বলছে কেন ও একদম আমার মুখের কাছে চলে এসেছে।
আমি ভ্র নাড়িয়ে জিগ্গেস করলাম,, কি??
ও আর ও আস্তে করে বলল,
— সত্যি করে একটা কথা বলতো। তোর আর ভাইয়ার মধ্যে কি কিছু হয়েছে? সকালে ও দেখেছি কথা বললি না এখন ও কিছু বলছিস না।

–না তো কি হবে কিছু হয়নি।

— মিথ্যা বলছিস তুই আমার সাথে আমি সিউর কিছু হয়েছে আমাকে বল আমাকে বলতে সমস্যা কি? আমি কিন্তু আমার আর মাসুদ এর কিছু তোর কাছে লুকায় না।

কি মুশকিল এ পরলাম? এই মেয়ে নাছড় বান্দা সন্দেহ যেহেতু করেছে সব জেনেই ছারবে।

–ওই চুপ করে কি ফন্দি আকঁছিস আমাকে বলবি না তাই তো। আমার কেন জানি না মনে হচ্ছে তুই আমার থেকে অনেক কিছু লুকিয়ে ছিস।
বলেই তিথি ভ্রু কুচকে একবার আমার ও রাজের দিকে তাকায়,,
আমার তো ভয় হতে লাগে বিয়ের ব্যাপার টা কোন ভাবে জেনে যায় নি তো। তাহলে তো আমি শেষ, হঠাৎ রাজের কথায় আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপ কম,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–এই যে মিস শালিকা আমার বউটার সাথে এতো কি গুজুর ফুজুর করছো?

বউ কথাটা শুনতেই রাগ ও ভয় হতে লাগে আমি তিথির দিকে তাকিয়ে দেখি ও কেমন সন্দেহ চোখে তাকিয়ে একবার আমার ও একবার রাজের দিকে তাকিয়ে আছে।

–ভাইয়া কি বললেন বউ মানে বিয়ে কবে করলেন? আপনাদের তো এখন ও বিয়ে হয়নি বউ বললেন কেন?
কিরে মিষ্টি ভাইয়া তোকে বউ বলল কেন তোরা কি আবার একা একা বিয়ে করে নিয়েছিস নাকি?

এটা শুনেই মিষ্টি কেশে উঠলো,,
রাজ তো হা হয়ে আছে ও ভেবেছে তিথি হয়তো জানে বিয়ের ব্যাপার কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে জানে ভালোই হয়েছে মিষ্টি কে জব্দ করার অস্ত পেয়েছে আমার সাথে রেগে থাকা কথা না বলা এখন দেখবো মেডাম আপনি কী করেন?

–বউ মানে বউ আমার বউ। কেন তুমি জানো না, [ বলেই মিষ্টির দিকে তাকালো] কী মিষ্টি তুমি তিথি কে বলো নি সত্যি টা কেমন তুমি ব্রেষ্টফ্রেন্ড কিছু বলোনি।

শুরু হলো তিথির প্যানপ্যানানি, একের পর এক কথা বলেই যাচ্ছে। মিষ্টি অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে রাজের দিকে তাকায় রাজ মুখের ইশারায় কিছু বুঝায়, তিথি মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বলে যাচ্ছে মিষ্টি বুঝার চেষ্টা করছে কি বলছে রাজের কথা,,,
যা শুনে রাগ আর ও সপ্তম আকাশে উঠে গেল বিয়ের খবর বললে সমস্যা নাই কিন্তু এতো লেট করে বলার জন্য আমাকে মরেই ফেলবে।

–লাগবো না ট্রিট তোর সাদে আর আমার কথা নেই। আমার থেকে লুকিয়ে ছিস ভালো বলতে হবে না। যেঈ উঠে যাবে ওমনি ওর ফোন ভেজে উঠে মাসুদ ভাইয়ের ফোন কথার ধরণ দেখে বুঝতে পারলাম। এই সুযোগ রাজের কাছে এসে বসলো মিষ্টি।

–আপনি এতো খারাপ কেন সামান্য কারণে আমাক এভাবে ফাসিয়ে দিলেন এখন কি হবে তিথি যদি জানে আমি ইচ্ছে করে লুকিয়েছি ও আমার সাথে আর কথা বলবে না ওর যা জেদ আপনি আমাকে এভাবে ফাসাতে পারলেন।

–কি সামান্য এটা তোমার কাছে সামান্য লাগছে জান কিন্তু আমার কাছে সব চেয়ে বাড সময়। তুমি সকাল থেকে কথা বলছো না আমার সাথে কতো কষ্টে আছি জানো।

–ঠিক করেছি কেন কথা বলবো আপনি আমার কোন কথা শুনেন শুননেন না তাহলে আমার কথা বলার কি দরকার আপনি সাথে আছি কথা বলে কি হবে যার কথা শুনবেন না তার কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

–বাপরে কি রাগ ওকে সরি আর এমন করবো না যাও এই দেখো হাত একদভ ঠিক অযথা টেনশন করো। এজন্য বলতে চাইনা কিছু হলে।

–তা বলবেন কেন আমি আপনার ক যে বলবেন?

–তুমি আমার কে তা বলতে পারলে তুমি আমার জীবন
এমন কথা আর বললে কিন্তু এই যে তোমার গুন্ডি ফ্রেন্ড কে সব বলে দেবো যে তুমি কি বলো নি আমাদের বিয়ের ব্যাপার টা।

মিষ্টি সাথে সাথে রাজের হাত চেপে ধরে,, না না এমন কইরেন না প্লিজ।

–করতে না পারি যদি তুমি আর রেগে নাই বলো তাহলেই।

মিষ্টি তাতেই রাজি হয় আর রাজের পাশের বসে থাকে। তিথি কথা শেষ করে বাইরে চলে যায় আর মাসুদ কে নিয়ে আসে। মিষ্টি তো ভয় পেয়ে গেছিলো রেগে চলে না যায়। কিন্তু সাথে সাথে ফিরে আসতে দেখে নিশ্চিন্ত হয়। আর রাজকে বলে রেখেছে ও যেহেতু প্রবলেভ তৈরি করেছে তাই ওকেই ম্যানেস দিতে হবে। মিষ্টি এতে কোন হেল্প করবে না।
তিথি আর মাসুদ এসে তিথি রাজের সাথে তাক পরিচয় করিয়ে দেয়। দুজন দুজনের সাথে পরিচিত হয় তার পরই তিথি বাইরের দিকে হাটা দেয় আর মিষ্টি গিয়ে টেনে নিয়ে আসে মাসুদ কিছু বুঝতে পারছে না কি হয়েছে।

–দোস্ত যাস না রাজ তোকে মিথ্যে বলেছে আমি তেমন কোন মিথ্যে বলিনি। আয় রাজই শিকার করবে দেখিস।

–বিশ্বাস করিনা তাহলে রাজ বললো কেন এই কথা।

–সেটা ওকে জিগ্গেস কর।

তিথি ভাবে আসলেই কিছু মিথ্যে বললে তা রাজের পেট থেকেই এর করতে হবে ভেবে ফিরে আসে আর এদিকে মাসুদ আর রাজ ওদের দুজনে কান্ড দেখছিল।

–ভাইয়া আপনি বলুন তো সত্যি টা কি কি বলেনি আর কি লুকিয়ে মিথ্যে বলেছে মিষ্টি আজই সব জানতে চাই।
মিষ্টি খুশি হ।য়ে বসে আছে কিন্তু কি হলো খুশি রইল না রাজ গরগর করে মিথ্যে বলল যা দেখে মিষ্টি অবাক। এমন ভাবে বলল যে তিথি চুপ করে বসে পরলো আর
আমাকে বলল, সরি?
একটু পর খাবার চলে এত এলো সবাই মিলে মজা করেই খেলাম রাজ কে কিন্তু আহাতে খাইয়ে দিতে হয়েছে ওর তো হাত কাটা তাই আর কি তাকে ছাড়া তো আর আমি খেতে পারি না তাই।

?

পরদিন
হলে বসে আছি তিথি পেছনে থেকে কথা বলছে আর আমি সামনে থেকে শুনে যাচ্ছি।

–মিষ্টি রে আমার না মনে হচ্ছে আজ আমি কিছু দিতে পারবো না। কিছু তো পরিনি তোকে বলেছিই মাসুদের সাথে কথা বলে দিয়েছিলাম এক ঘুম একেবারে সকালে জাগানা পেয়েছি একটু পরিনি। যা পরার নয়টা পযর্ন্ত পরেছিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া করে একটু কথা বলছিলাম শুয়ে কথা একটু বলতেই ও রেখে দিলো আর আমি ভাবলাম একটু চুখ বন্ধ করে রাখি শেষ এইটাই আমার দোষ রে।

–চোখ কে বন্ধ করতে বলেছিল এখন দাও আমি কিছু হেল্প করতাম না একদম ডাকবিনা আমাকে।

–এমন করে না মিষ্টি পাখি আমার আমি না তোর ব্রেষ্টু আজ হেল্প কর আর কইতাম না।

–কাল কে বলেছিল।

–কাল পরে এসেছি তাও কমন পরেনি কি করুম ক।

–তুই কি করবি আমি কেমনে জানবো।

–তোরে আমি……
তিথি আর বলতে পারলো না স্যার ক্লাস এ চলে এসেছে। কিন্তু বিড়বিড় করে মিষ্টি কে বকতে লাগলো মিষ্টি তা শুনে হাসছে হালকা সাথে সাথে স্যার জিগ্গেস করলো,,
হাসছে কেন মিষ্টি চমকে উঠে হাসা অফ করে খাআয় র্মজেন কাটতে লাগলো। স্যার টা এক নাম্বারের চারাল একটু হাসছি তাই আবার ধমক দিতে হয় জোর হা হা করে ও তো হাসি নাই যওসব বলেই আর হাসলো না। একটু পরই স্যার প্রশ্ন দিয়ে গেল আর শুরু হলো তিথি ডাক কয়টা কমন পরেছে ইত্যাদি। আমি ভুল করে ও ওর দিকে ফিরলাম না কিন্তু বলেছি মুখদিয়ে আর কয়েকটা ক ও আমাকে বলে দিয়েছে আর আমিও দুজন হালকা মিলে লেখলাম।

পরিক্ষা শেষে…..

–দোস্ত আমার পরিক্ষা ভালো হয়েছে আজ।
আমি সাথে সাথে বড় বড় চোখ করে ওর দিকে তাকালাম । ও বলেছিল পরে আসেনাই আহলে ভালো হরো কেমনে, সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছি নকল করেনি তো আবার।

–তুই নকল করেছিস।

–হুয়াট কি বলিস নকল করুম আমি জীবনে করিনাই আমি ওতোটাও খারাপ না যে নকল করুম।

–আমি তোরে খারাপ বলি নাই পরে আসলিনা কমন পরলো না ভালো হলো কেমনে।

–সব বানাই লেখছি তাই আমি অনেক লেখছি আজ বানাই বানাই শিখে আসলে ও আমার এতো পেজ লাগে না বুঝছিস।

আমি মাথায় হাত দিয়ে আছি বলে কি মেয়ে বানাই লেখছে আল্লাহ জানে ফেল না করে বসে।
গেটের বাইরে আসতেই রাজের দেখা গাড়িতে হের্লন দিয়ে দাড়িয়ে আছে চোখে সানগ্লাস। পরনে সাদা শার্ট, কালো পেন্ট ফর্সা শরিরে সাদা রং টা বেশ মানিয়েছে। আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি। কখন রাজ কাছে চলে এসেছে বুঝি নি ও আমাকে দেখেই কাছে আসে তিথি বাই দিয়ে মাসুদ ভাইয়ার কাছে চলে যায় আর রাজ আমার হাতে পানির বতল দেয় গাড়ির কাছে নিয়ে আমি পানি নিয়েই গাড়িতে উঠে বসি। তারপর পানি খাই। রাজ ও গাড়িতে উঠে বসে হঠাৎ আমি পেছনে তাকিয়ে একটু অবাক হয় এই গাড়ি টা কাল ও আবার আজ ও এখানে আছে আমাদের টার পেছনে কেন? একটু সন্দেহ হয় মিষ্টি কিন্তু এখন আর ভাবছে না কারণে রাজের কথা শুনছে কেমন হয়ছে কমন পলেছিলো কিনা। সব আন্স করতে পেরেছি কিনা আমি কিছু না বলে চুপ করে সিটে হেলান দিয়ে রইলাম ভাবনায় আসছে। মনটা কূ ডাকছে কিছু হবে না তো কারো কাল একটা বাজে সপ্ন দেখেএ মিষ্টি হঠাৎ সেটা মনে পরে। গালে রাজে স্পর্শ পেয়ে তাকায়,

–মিষ্টি আর ইউ ওকে তুমি ঠিক আছো তো।

–হুম

একটা হাসি দিয়ে রাজকে চিন্তা ফেলতে চায়না মিষ্টি তাই বলল না সপ্নের কথাটা।
আর মিষ্টির কেন জানি মনে হচ্ছে কেউ ওদের ফলো করছে সব সময় নজর রাখছে।
রাজ ড্রাইভ করছে ফাইল পেছনে রাখতে মিষ্টি পেছনে থাকাতেই আরেক ঝটকা খায় আমাদের পেছনে ওওই গাড়ি টাই আসছে কিন্তু কেন এই গাড়ি কি আমাদের ফলো করে। কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকে হঠাৎ রাজের কথায় সামনে তাকায়,,

–কী হয়েছে ওইদিকে তাকিয়ে কি দেখছো?

—ওই গাড়ি টা ভার্সিটিতে ও আমাদের গাড়ির পেছনে থামা ছিলো এখন ও আমাদের পেছনেই আসছে।
রাজ একবার পেছনে তাকায়,,

—হয়তো এইদিকেই বাসা তাই আসছে তাই আসছে।

–হতে পারে।

?

চারদিন পর আজকে মিষ্টির পরিক্ষা বিকেলে এর মাঝে একটা হয়ে গেছে আজ একটা হলে চারটা শেষ হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠলো মামুনির ডাকে চোখ খুলেই মামুনিকে দাড়িয়ে থাকতি দেখলো মিষ্টি। প্রতিদিন রাজ ডাকে আজ মামুনি কেন একটু ভাবছে মিষ্টি মামুনি হয়তো বুঝতে পেরেছে তাই বলেন দিলো।

–বাবুনের কথা ভাবছিস তো ও অফিস এ গেছে। তোর আন্কেলের সাথে জোর করে নিয়ি গেলে ও তো যাবেই না তোর এক্মাম শেষ না হওয়া পযর্ন্ত কিন্তু আমি ও বললাম পড়া শেষ এখন বিয়েও করবে অফিসের হাল ধরা উচিত বেশিক্ষণ থাকতে হবে না আজ সবার সাথে খালি পরিচয় করিয়ে দেবে তাই আমি ডাকতে এলাম।

মামুনির নিজের মতো বলে আবার রান্না মো তারবলে চলে গেল।
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলাম এর মাঝেই মামুনি আবার চলে এসেছে ডিম সিদ্ধ নিয়ে মামুনি কিছু দিলে না ও করতে পারনা তাই হাতে নিলাম চলে গেল নিচে যেতে বলল খেতে । ঘরিতে আটটা বাজে,
নিচে যেতে হাটা দিবো হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো এতো সকালে আবার কি ফোন দিলো। হাতে নিয়েই দেখি রাজের ফোন ভ্রু কুচকে তাকালাম ফোন দিলো কেন,

–হ্যালো আসসালামু আলাইকুম?

–ওয়ালাইকুম আসসালাম, আমার জান টা কি করছে এখন?

–আপনি না অফিস এ গেছেন তাহলে ফোন দিলেন যে?

— কাজে গেলে কি ফোন দেওয়া যাবে না বউকে কোথায় লেখা আছে? উঠেছো, ফ্রেশ হয়েছো, কি করছো এখন,?

–কিছু করিনা।

–খেয়েছো?

–না আপনি খেয়ে গেছেন?

–উল্টা প্রশ্ন ওকে বলছি না খাইনি।

–মানে না খেয়ে গেছেন।

–হ্যা

–কেন না খেয়ে গেছেন?

— আববুর তারাতারি ছিলো তাই আর খাওয়া হয়নি আর এতো সকালে খাই না তুমি জানো তো।

–তাই না খেয়ে যাবেন এখন তো নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছৈ তাইনা।

— চিন্তা করো না আমি আর আববু এখন খেতে যাবো।

— আচ্ছা।

রাজ ফোন রেখে দেয় আর তার আগে লাভ ইউ বলতে ভুলে না যা শুনেই মিষ্টি কান থেকে ফোন নামিয়ে নেয়।সারে দশ টায়ই রাজ বাড়িতে এসে হাজির আমি তো অবাক এতো আগেই আজ রাজ অফিসে কিছু ই কলেনি শুধু ঘুরাঘুড়ি আর সবার সাথে পরিচিত হয়ে এসেছে। পরিক্ষার পর ঠিক মতো যাবে।

সারে পাচঁটা বাজে বের হলাম আজ বেরিয়ে শুধু কয়েক ছাড়া সবাই চলে গেছে। বেরিয়ে দাড়িয়ে আছি রাজ এখন ও আসে নি নাকি দেখছি না তিথি আমার পাশে আছে।

–আজকে মাসুদ কে ও দেখছিসনা ভাইয়াকে ও না এমনি লেট হয়েছে এরা কি আসেনি নাকি।

–আমি কি জানি তুই যেখানে ছিলি আমি ও তো সেখানেই ছিলাম তাই না।

–হুম কিন্তু রাজ ভাইয়াই ফবা লেট করছে কেন সে তো কখনো লেট করে না।

–আসলে জানতে পারবো এখন কি করে জানবো।

–তাও কথা তুই দাড়া আমি মাসুদকে কল করে আসি।

তিথি ওইদিক টাই চলে গেল। আমি দাড়িয়ে আছি ফোন হাতে নিয়ে দেখি ৫:২৫ বাজে পনেরোতে শেষ হয়েছে এক্মাম দশ মিনিট লেট একটা ফোন করবো কি? অটোতে যেতে পারতাম কিন্তু যদি আমি যাওয়ার পর আসে তখন তাই একা যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিল। একটু অপেক্ষা করতেই হবে রাজ কতো কষ্ট করে প্রতিদিন তো ঠিক সময় ই আসে আজ হতো দরকারে লেট হচ্ছে। তিথির দিকে তাকালো কিছুটা দূরেই চলেগেছে খথা বলছে সিউর বকছে।
হাত থেকে ফট করে ফোনটা নিচ পরে যায় সাথে সাথে নিচু হয়ে ফোন হাতে নেই উচু হওয়ার আগেই বিকট একটা শব্দ হয় সাথে একটা কুকুরের চিৎকার যা শুনে আমি কানে হাত দিয়ে সামনে তাকিয়ে হতদম্ভ আমার সোজা একটা একটা কুকুর রাস্তায় পরে আছে রক্তে ভরা আমার ফোনটি পরে একটু সামনে চলে গেছিলো তাই নিচু হয়ে এক কদম সামনে গেছিলাম।

এদিকে তিথি এমন শব্দ আর মিষ্টির হালকা চিৎকার শুনে দৌড়ে ফোন রেখে আসে আর দেখে মিষ্টি কেমন যেন কাপছে সামনে একটা কুকুর পরে আছে রক্ত ভরা।
দৌড়ে এসে মিষ্টির পাশে বসে ওকে উঠানোর টাই করে পারে না।

–কি হয়েছে মিষ্টি?

মিষ্টি কিছু বলছে না ওর মাথায় একটা কথায় বারি খাচ্ছে আমি যদি সামনে না আসতাম ফোন নিতে তাহলে এই গুলিটা আমার শরীর লাগতো। শুধু ফোনটা নিতে যাওয়ার জন্য বেচে গেছি। ভয়ে ওর হাত পা কাপছে প্রচণ্ড রকমের।

এর মাঝেই রাজ গাড়ি নিয়ে চলে আসে আজ ও আথে লেট হয়েছে কারণে রাস্তায় প্রচুর জ্যাম বিকিরে বলে এমন হলো মিষ্টি কতো সময় ওয়েট করে ছে। একা একা তাই গাড়ি থামতেই তারাতারি বেরিয়ে আসে আর বেরিয়েই ও দেখে মিষ্টি গেটের সামনে নিচে বসে কাদছে আর পাশে বসে তিথি কি যেন বলছে মিষ্টি কোন কথা বলছে এটা দেখেই রাজের বুকে ধুক করে উঠে। ভ য় পায় মিষ্টি কি হলো এভাবে কাদছে কেন রাজ দ্রুত পায়ে হেটে আসে।
রাজকে দেখতেই মিষ্টি রাজের বুকে ঝাপিয়ে পরে।
রাজ তো শক কি হয়েছে ওর মাথায় ঢুকছে না।

–মিষ্টি আর ইউ ওক। কি হয়েছে তোমার এমন করছ কেন? কাদছো কেন কান্না অফ করো তোমার কান্না আমার সহ্য হয়না জানো তো আমার বুকে গিয়ে লাগে কষ্ট হয়। প্লিজ স্টপ দিজ।

মিষ্টি কিছু বলছেনা চুপ করে কেদে যাচ্ছে। রাজ মিষ্টি কে ধরে উঠায় আশেপাশের অনেকে জরো হয়ে গেছে এখানে আর থাকা যাবে এভাবে বসে। একটু কিছু হলেই সবাই ভির করতে চলে আসে। মিষ্টির ফাইল তিথির হাতে দিয়ে মিষ্টি কে দার করায় মিষ্টি ঠিক মতো হাটছে ও না ভয়ে ও কেমন জানি হয়েছে গেছে রাজ কোলে তোলে গাড়িতে উঠে বসায়।

–মিষ্টি স্টপ ইট কি হয়েছে বলবে তো, এভাবে চুপ করে থাকলে বুঝবো কিভাবে আমি।

কিন্তু মিষ্টি কিছু বলছেনা রাজ আর জিগ্গেস করলো না মিষ্টি রাজের হাত আকরে ধরে আছে। রাজ এবার তিথির দিকে তাকালো তিথি নিজেও জানে না কি হয়েছে শুধু শব্দ পেয়েছে আর কুকুরটা দেখেছে। যেটুকু বুঝেছে তাই বলেলো ও। মিষ্টি ভ য় পেয়ে আছে তাই আর জিগ্গেস করতে ও না করলো তিথি ও অনেক বার জিগ্গেস করেছে বলেনি।

এর মাঝেই মাসুদ এসে হাজির তিথি মিষ্টি কে বাই বলে চলে গেলে। রাজ কি করবে গাড়ি ড্রাইভ করতে পারছে না মিষ্টি হাত ছেড়ে জরিয়ে ধরে আছে ও যে ভয় পেয়েছে মুখ বলে দিচ্ছে কিন্তু কী দেখে এতো ভয় পেলো ও।

–মিষ্টি কি দেখে ভয় পেয়েছো? ওকে না বললে এখন কেন ভয় পাচ্ছো আমি আছি তো তাই না কিছু হবে না তোমার প্লিজ ভয় পেয় না আর আমাকে ছেড়ে বসো ধা হলে ড্রাইভ করবো কি করে।

মুখে কিছু বললো না ছেড়ে দিলো। নিজের ছিটে বসে রইলো রাজ হঠাৎ পানি বের করে দিল মিষ্টি পানিটা নিল নিয়ে গটগট করে খেয়ে নিলো। ঘেমে একাকার হয়ে আছে এসি আছে তবুও ঘামছে রাজ টিসু বের করে কপালে ও গাল মুছে দিলো তার পর ড্রাইভ করতে লাগলো ওর মাথায় আকাশ সুমান চিন্তা এসে ভর করলো কি হয়েছে যে এতো ভয় পেয়েছৈ আর কুকুর টাকে কে গুলি করলো। এটা ভেবে ও চিন্তা র আভাস পেল এটা কি মিষ্টি কেই করা হয়ে ছিল নাকি আর পশু পাখিতো সহজে মারা হয় না তাহলে গুলি আসলো কোথা থেকে।

?

এদিকে লোকটা কোন মতে পালিয়ে গিয়েছে একটুর জন্য মেয়েটাকে মারতে পারলাম না,,, ইসস,
মেডাম তো আজ আমাকে মেরেই ফেলবে কালই বলেছে আজটা করতে না আরলে আর রাখবে না টাকা ও ফিরত দিতে হবে এখন টাকা কোথায় পাবো মায়ের চিকিৎসা ত দিয়েছি এখন টাকা দিবো কিভাবে, শত চিন্তা নিয়ে গাড়িতে বসে আছে হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো মেডামের কল ভয়ে হা পা কাপছে কি বলবে রিসিভ করে,,
কিন্তু না ধরলেও সমস্যা আর তাই ধরলো,

–হ্যালো মেডাম।

–হ্যা তোমার কাজ হয়েছে তো আমি সিউর তুমি কাজটা করতে পরছো আমি সো হ্যাপি তোমার জন্য আর ও পুরস্কার আছে । আমার চির শএু কে শেষ করেছো তোমাকে তো আমার,…..

–[ মাঝে থামিয়ে দিয়ে ভয়ে ভয়ে] মেডাম সরি আসলে কাজটা হয় নি।

–হুয়াটটট হয়নি মানে কি বলতে চাইছো ওই মিষ্টি এখন ও বেচে আছে।

–মেডাম আমি অনেক টাই করেছি আজকে কোন ভুল হয়নি কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি নিচু হয় আর এগিয়ে যায় তাই মেয়েটির জায়গার একটা কুকুর……

–আমি তোমাকে এইসব বলতে বলিনি। ফেল কাজ করা কথা আমি শুনতে চাইনা তুমি কাজটাকরথে পারনি ওকে তোমাকে কালকেই বলেছি শেষ সুযোগ তোমার সময় শেষ আর টাকা ফেরত দিয়ে দেবে তোমাকে আর কিছু করতে হবে না আ আমি নিজে করবো যা করার।

–মেডাম এমন করবেন না প্লিজ। আর একটা সুযোগ আমাকে দিন।

–নো আর কোন সুযোগ পাবে না তুমি টাকাটা বিকেলেই দিয়ে যাবে।

–প্লিজ ম্যাম টাকা টা কি করে দেব আমি টাকা কো………

ফোন কেটে দিয়েছে লোকটা ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে ।

.

নেক্মট এক্মাম টা মিষ্টি এলোমেলোভাবে দিলো ভয়ে ভয়ে রাজ কেন কারো সাথেই কথা বলে না। মিষ্টি মা মিনা সবাই ফোন করে বেশি কথা বলে না ওর মধ্যে এটা আলাদা ভয় কাজ করেছে তার উপর সেটা আর ও প্ররোক্ষ হয়েছে পাচঁ নাম্বার পরিক্ষার দিন। সেদিন একটা বোরকা আলা মহিলা মিষ্টির হাতে চাকু দিয় কেটে দিয়েছে। ফাস্ট মহিলাটি মিষ্টির কাছে সাহায্য চায় অন্ধ বলে রাস্তায় পার করতে হবে। মিষ্টি উদাসিন হলেও কেউ সাহায্য চাইছে না করে না নিজের যাই হোক কাউকে ফিরিয়ে দেয় না। অন্ধ জেনে আর ও খারাপ লাগে তাই তাকে ধরে এক্মাম শেষে পার করতে যায়। আর তখন ই মহিলাটি ওর হাত দাগ দিয়ে দৌড়ে একটা গাড়ি তে উঠে চলে যায়।
মিষ্টি চিৎকার না করে হতদম্ভ হয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। ওর ব্যাথা ও করে না তা না কিন্তু এতোটাই শক খেয়েছে যে কিছু বুঝছে না। রাজ গাড়ি আনতে গেছিলো এনেই মিষ্টি কে অন্য পাশে দেখেই একটু ঝটকা খায় একা কি করে?
রাজ মিষ্টি কাছে যেতে মিষ্টি ঢুলে পরে রাজ ভয় পেয়ে যায় হঠাৎ এভাবে পরে য়াওয়ায় হঠাৎ হাতে চোখ যেতেই আর ও ভয় পায় বিলিন্ডং হচ্ছে কি করে? মিষ্টি মিষ্টি করে চিৎকার করে হসপিটালে নিয়ে আসে। পাগলের মতো কলতে থাকে একবার ফোন করে বাসার জানায় সবাই ছোটে আসে রাজ বাইরে দাড়িয়ে মেয়েদের মতো কেদেই যাচ্ছে এগুলো কি হচ্ছে কিছু ভাবতে পারছে না। রাজের ভা রেহেনা বেগম ও রাজের বাবা আসতেই রাজ ওর মাকে ধরে কান্না করে।ছেলেল এমন কান্না দেখে তিনি ও কাদতে থাকে মিষ্টি কে নিজের মেয়ের চোখে দেখে তার এই অবস্থায় তো তার চোখের পানি আর আটকাতে পারছে না। আবার ছেলের চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না কতোটা ভালোবাসলে এভাবে কাদতে পারে কোন ছেলে হয়ে কাদতে পারে।

চলবে❤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে