ভালোবাসার অন্যরূপ পর্ব-০২

0
1104

#ভালোবাসার_অন্যরূপ🍁

#লেখিকা:- Nishi Chowdhury

#দ্বিতীয়_খণ্ড

আরিশার আম্মু আরিশাকে খুঁজে না পেয়ে নিচতলায় নেমে আসে। তখন মেয়েকে এক কোণায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে । দ্রুত হেঁটে মেয়ের কাছে গিয়ে কাঁধে হালকা ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে? আরিশা চমকে পেছনে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে কিছু না বলে কথা ঘুরিয়ে বলে উঠলো,

— তোমার কি শাড়ি পছন্দ হয়েছে? চলো আমরা ওই দোকানটাতে যাই।

আরিশার মা আর কথা বাড়ালেন না। মা মেয়ে মিলে আবার শপিংমলে ঢুকে পড়লেন কেনাকাটার জন্য।

🌺 🌸 🌺

আজ শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই দিনটাই হচ্ছে পরিবারের মিলন মেলা। বাবা ভাই আজকে সারাদিন বাসায় থাকে। মা হরেকরকম পদের রান্নাবান্না করেন। জুম্মার নামাজ শেষ করে এসে সবাই একসাথে বসে মজা করে দুপুরের খাবার খান আরিশার পরিবার। এই একটা দিনে দুপুরবেলায় সবাই একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করা যায়। তাছাড়া অন্যদিনগুলোতে তো দুপুরের এই সময়টাতে তেমন কেউ বাসায় থাকে না।

প্রতি শুক্রবার এর মত আরিশার ঘুম ভাঙলো একটু দেরিতে। সকাল 9 টা বাজে। দ্রুত বিছানাতে ত্যাগ করে ফ্রেশ হয়ে বরাবরের মতো রান্নাঘরে মাকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে পরে আরিশা। কিন্তু রান্নাঘরের কাছাকাছি যেতে ভিতর থেকে কয়েকজনের হাসা হাসির আওয়াজ শুনে কন্ঠ গুলো যেন কেমন চেনা লাগলো আরিশার। সে আরও দ্রুত পায়ে রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখে ভেতরে তার আম্মুর সাথে বড় আম্মু, ছোট ফুপি ও খালামণি পুরো রান্নাঘর জুড়ে খাবারের পসরা সাজিয়েছে। সবাই হাতে কাজ করছেন এবং মুখে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করছেন।

হঠাৎ করে খালামণি আরিশা কে দেখতে পেয়ে বলে উঠলেন,

— কিরে আম্মু? ওখানে দাঁড়িয়ে স্ট্যাচু অব লিবার্টি হয়ে গেলি কেন? ভিতর আয়।

— তো কি করব বল? সকাল-সকাল এতো বড়ো একটা সারপ্রাইজ কি এত সহজে হজম হয়? কিছু সময় তো দেবে নাকি রে বাবা। তা সকাল-সকাল লেডি বাহিনীর দল রান্নাঘরের এমন খাবারের পসরা সাজিয়েছে কেন। পুরো মহল্লা কে দাওয়াত দিয়েছে নাকি?

কথাগুলো বলে রান্নাঘরের কিচেন কেবিনেট এর ওপর বসতে গেলে আরিশার মা তার হাত ধরে নামিয়ে দিয়ে বলল,

— উহু। এখানে মোটেও বসবি না। রান্নাবান্না করা হচ্ছে। সোজা ডাইনিং টেবিলে যা। খুকি তোকে নাস্তা দিচ্ছে তাড়াতাড়ি খেয়ে। গোসল করে ফেলবি। আর কি এগুলো আলখেল্লা’ পোশাক পরে পাগলের মতো ঘুরে বেড়াস। যা আমি আসতেছি।

আরিশা পাংশুটে মুখ করে বলল,

— আরে বাবা বাইরে থেকে কি আর কেউ এসেছে নাকি যে আমাকে দামি দামি ড্রেস পড়ে ঘুরে বেড়াতে হবে। আমরা আমরাই তো ।

আরিশার কথা শুনে সবাই হেসে উঠল। এ মেয়ে শুধু হাতে-পায়ে বড় হয়েছে। বুদ্ধি বা কান্ডজ্ঞান বলে কিচ্ছু হয়নি।

আরিশা নাস্তার প্লেট নিয়ে ডাইনিং না বসে সোজা ড্রইং রুমে চলে গেল। গিয়ে দেখল বড়রা কেউ নেই এখানে। শুধু তার ফুপির জমজ দুই ছেলে মেয়ে বসে আছে। টিভিতে কার্টুন দেখছে মটু পাতলু। ও যেতেই নাফিজ ও নাফিসা দৌড়ে এসে আরিশা কে জরিয়ে ধরে ওর সাথে কুশল বিনিময় করে। ওদের দুজনের মাঝখানে গিয়ে আরিশাকে বসালো। আরিশার ও কার্টুনটা খুব পছন্দের। ‌ তাই ও কার্টুন দেখতে দেখতে এখানে বসে নাস্তা কমপ্লিট করল। তারপর ওদের সাথে কিছুক্ষণ মজার মজার আলাপ সেরে নিজের রুমের দিকে চলে আসলো।

রুমে এসে আরিশা নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল অভির তিনটা মিসকল। তৎক্ষণাৎ মনে পড়ল সেদিনকার কাহিনী।

আরিশা বাসায় এসে অভি কে ফোন করল। তখন ফোনটা নট রিচেবল বলল। সারাটা দিন আরিশার পুরো ভাবনা নিয়েই কেটে গেল। মাথায় শুধু দুটো কথা চক্কর খেতে লাগলো

1 .মেয়েটা কে ?

2. অভি কেন ওকে মিথ্যে কথা বলল?

আবার সন্ধ্যার সময় অভি ওকে ফোন দিয়ে আরও একটা মিথ্যে কথা বলল যে ও নাকি আজকে ইউনিভার্সিটি ছাড়া অন্য কোথাও যায়নি। আরিশার বান্ধবী নাকি ভুল দেখেছে। কিন্তু অভি তো জানেনা আরিশার বান্ধবী নয় আরিশা নিজের চোখে তাকে এবং তার সাথে একটি মেয়েকে দেখেছে।

আরিশার মিথ্যে বলা মোটেও পছন্দ নয়। এই দুই দিন অভি ওকে মেসেঞ্জারে ও whatsapp-এ দুই জায়গাতেই অনেক মেসেজ করেছে কিন্তু আরিশা রিপ্লাই দেয়নি। অবশেষে আজ সকালে অভি ওকে ফোন দিয়েছে।

কল ব্যাক করার জন্য নাম্বার ডায়াল করতে গেলেই তৎক্ষণাৎ ওর হাত থেকে কেউ ফোনটা কেড়ে ন্যায় কেউ । আরিশা লাফিয়ে উঠে পাশে তাকিয়ে দেখে তার চাচাতো বোন উর্মি দাঁড়িয়ে আছে। সে ফোন কেটে দিয়ে বিছানার ওপর ফেলে দিয়ে বলল,

— ছোট আম্মুর কড়া নির্দেশ। মোটেও সময় নষ্ট করা যাবে না। দ্রুত যা। অলরেডি ওই পিচ্চিগুলোর সাথে অনেক সময় নষ্ট করছিস। যোহরের আযান দিছে। চুল গুলারে কি অবস্থা করছিস তুই ? কাকের বাসার মত দেখাচ্ছে।

— তো কি করব বলো আপু ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে আর এনার্জি থাকেনা অত সুন্দর করে গোসল করার। আর হঠাৎ হঠাৎ করে স্যার ম্যামরা ক্লাসে এসে বলবে কাল পরীক্ষা। সময় মতো চলে এসো সবাই। (ম্যামের কন্ঠ নকল করে)

উর্মি ব্যাঙ্গাত্মক উক্তি শুনে হেসে দিয়ে বললো,

— চল আজ আমি তোর চুলে শ্যাম্পু করে দেবো।

🌺 🌸 🌺

গোসল করে বেরিয়ে আরিশা তার বিছানার ওপর সেইদিন শপিংমলের সেই ভারী শাড়িটা দেখে ভুরু কুঁচকে ফেলল। তারপাশে কিছু অর্নামেন্টস রাখা শাড়ীর সাথে ম্যাচিং করে। এমনিতেই সকাল থেকে মায়ের আচরণ তার কাছে ভালো লাগছে না। মন বলছে আজ কিছু একটা ঘটবে। তার ওপর এখন এই শাড়ি গহনা দেখে কেমন যেন মনের ভেতর খটকাটা আরো প্রগাঢ় হতে লাগল আরিশার।

উর্মি আরিশাকে মোটেও সময় না দিয়ে দ্রুত হাত ধরে টেনে এনে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিল। হেয়ার ড্রায়ার বের করে চুলগুলো শুখিয়ে দিতে দিতে বলল,

— গোসল করতে তো কম সময় নিস না। তাহলে চুল গুলো এমন নোংরা থাকে কি করে।

— বাথরুম সিঙ্গার তো… বাথরুমে ঢুকলে কণ্ঠশিল্পীদের প্রেতাত্মা আমার ঘাড়ে ভর করে ঝরনা তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের গানের রিমিক্স তৈরি করি।

— সোজা কথার উত্তর সোজা ভাবে দিতে পারিস না তাই না। প্রতিবার ট্যারা ভাবে উত্তর দিতে হয় তোর। দেখিস শ্বশুরবাড়ি গেলে তোর এই ট্যারা ট্যারা কথার জন্য শাশুড়ির হাতে চুলটানা খাবি।

উহু এই পেত্নী এত তাড়াতাড়ি এই শ্যাঁওঁড়াঁ গাছ থেকে যাবে না। তুমি তো আগেভাগেই এই শ্যাঁওঁড়াঁ গাছ ছেড়ে ভূতের বাড়ি গিয়ে আস্তানা গেড়েছো। কিন্তু আমার বেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আগে মাস্টার্সের পিন্ডি চটকাবো তারপর ডালপালা ভেঙে দিয়ে চলে যাব।

আরে এসব রাখ তো। আর কাহিনী বল আমাকে এত সুন্দর করে সাজাচ্ছে কেন তোমার বরের সাথে বিয়ে দেবে নাকি?

— আরে মাথা খারাপ নাকি তোকে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে ওর জীবনটা তছনছ করে দেবো এতটাও খারাপ বউ আমি তার নই।

এমনিতেই বেচারা আমাকে নিয়ে বড্ড জ্বালায় আছে তার ওপর ওর ঘাড়ে যদি তুই গিয়ে ভর করিস তাহলে তো বেচারা জামা কাপড় ছিড়ে বনবাসে চলে যাবে।

কথাগুলো বলে দুই বোন একসাথে অট্টহাসিতে মেতে উঠলো।

— তাহলে এখন এসব সাজগোজের মানে কি। এত রঙ্গ তামাশা করে সাজাতে বসেছ কেন? তোমাদের মতলব কিন্তু ভালো লাগছেনা।

— ছোট আম্মুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা কর। এর উত্তর একমাত্র সেই দিতে পারবে। এখন চুপচাপ বসে থাক আর আমাকে আমার কাজ করতে দে।

আরিশা এতক্ষন মজার ছলে উর্মির সাথে কথাগুলো বললেও উর্মির শেষের কথাগুলো কেমন যেন ভাবিয়ে তুলেছে তাকে। এমন অনেক দিন গেছে শুক্রবারের বিকাল বেলা বোনেরা মিলে সবাই সাজগোজ করে ছাদে উঠে অনেক ফটোসেশন করেছে।

কিন্তু আজকের ব্যাপারটা কেমন আলাদা লাগছে। হঠাৎ করে না বলে সবাই এসে হাজির হওয়া, আবার রান্নাবান্না বাজার ঘাট নিয়ে সবাই এমন ব্যস্ততা। আর এই ভরদুপুরবেলায় শাড়ি গহনা পরানো। কেমন যেন সব খাপছাড়া লাগছে।

হঠাৎ আরিশার মাথায় একটা বিষয় মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। মা তার বিয়ে ঠিক করছে না তো…..! কার সাথে। কথাটা ভাবতেই বুকের ভেতর ধক করে উঠলো আরিশার। পরমুহূর্তে আবার বাজে চিন্তা মনে করে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে বলল,

— নানা। তেমন হলে তার মা ব্যাপারটা সর্বপ্রথম তাকে এসে জানাতো। আমাকে না বলে এতবড় ডিসিশন আম্মু আব্বু কখনো নিবেনা। দেখি আপুর কাছে অন্য ভাবে একটু শুনি। ব্যাপারটা আসলে কি?

উর্মির হাত থেকে চিরুনি ছাড়িয়ে নিয়ে নিজের হাতের মুঠোয় করে নিয়ে বলল,

— আরে অপু। তুমি বসো তো। খালি তো আমাকে সাজাচ্ছো। তোমরা সাজবে না? তুমি শাড়ি পরছো কই?

— পরবো তো।আগে তোকে শাড়ি টা পরিয়ে দিয়ে নেই। আজ আমরা সবাই শাড়ি পড়বো। নিজে তো ঠিকঠাক মতো শাড়িটা ও পড়তে পারিস না।

সমস্যা নাই এর আবার একটা বেনিফিটস আছে। জামাইয়ের কাছ থেকে পড়ে নিবি শাড়ি। নে চল আপাতত আমি তোকে শাড়ি টা পরিয়ে দেই।

আরিশা মনে মনে আশ্বস্ত হলো। যাক বাঁচা গেল ও যেটা ভাবছো সেটা সম্পূর্ণ ভুল। আরিশা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।

🌺 🌼 🌺

এদিকে জুম্মার নামাজ পড়ে ছেলেরা সব ঘরে ফিরে এসেছে। ড্রয়িং রুম টা গমগম করছে। ফুফা,খালু,বড় আব্বু,উজান ভাইয়া (চাচাতো ভাই),জিজু, আরিয়ান আব্বু সবাই বসে একসাথে গল্প করছে। অন্য সময় এই রুমটা ফাঁকা পড়ে থাকে। আর আজ ব্যাপারটা ভাবতেই আরিশার মায়ের মনটা আনন্দে পুলকিত হয়ে উঠল। তিনি আরিশার বাবার কাছে গিয়ে বললেন ,

— ফোন দিয়ে শুনো তো উনারা কতদূর এলেন?

আরিশার বাবা তাকে আশ্বস্ত করে বললেন,

— আরে চিন্তা করোনা। উনাদেরকে আমি বাড়ির নাম্বার সহ ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি। বলেছি পৌঁছে রিং দিতে। আমরা গিয়ে উনাদেরকে রিসিভ করে নিয়ে আসবো। ওদের আসতে মিনিমাম 45 মিনিট লাগবে। তুমি তাড়াতাড়ি যাও গিয়ে নিজের রেডি হয়ে মামুনীর কাছে যাও। দেখো ওদিকে সব ঠিকঠাক আছে কিনা।

—হ্যা আমি যাচ্ছি।

কথাগুলো বলে নিজের রুমের দিকে চলে গেলেন আরিশার আম্মু। রেডি হয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখলেন আহনাফ ও তার মা-বাবা এবং সাথে কিছু আত্মীয় স্বজন এসেছে। তিনি আগের ড্রইংরুমে আসলেন। সবার সাথে আলাপ চারিতা শেষে জানতে পারলেন তার চাচা চাচি ও চাচাত দুই ভাই বোন এসেছে। তিনি সবার জন্য ঠান্ডা শরবত ও হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করেন। তারপর আহনাফ এর পরিবার মেয়ে দেখার জন্যে উদগ্রীব হয়ে উঠলেন তিনি বললেন আমি নিয়ে আসছি ওকে।

মেয়ের রুমের গিয়ে দরজায় নক করতে উর্মি এসে দরজা খুলে বলল,

— দেখতো ছোট আম্মু তোমার মেয়েকে কেমন লাগছে?

আরিশার আম্মু ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে মেয়েকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললেন,

— খুব সুন্দর লাগছে। একদম অপ্সরার মত। এমনিতেই আমার মেয়ে দুটো অপ্সরা দের মত দেখতে। কিন্তু আজ হালকা সাজে আর এই শাড়িতে একটু বেশি সুন্দর লাগছে।

আরিশা সহাস্যে বলে উঠলো,

— দেখতে হবে না মেয়ে দুটো কার…?

— হুম। অবশ্যই মেয়ে দুটো যে আমার। কেন কোনো সন্দেহ আছে নাকি?

— উহু মোটেও না।

— নাও অনেক হয়েছে সাজগোজ। এবার তাড়াতাড়ি চলো আমার সাথে।ড্রয়িং রুমে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে মামনি।

— কারা আম্মু?

— গেলেই দেখতে পাবে। উর্মি মা তুই ও আয়।

আরিশার মা আরিশাকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে উপস্থিত হলে আরিশার বড় আব্বু বলে উঠলেন ,

— এই তো আমার ছোট মা চলে এসেছে।

কথাগুলো কর্ণগোচর হতেই আহনাফ চোখ তুলে আরিশার দিকে তাকালো। তৎক্ষণাৎ একে অপরের সাথে দৃষ্টি বিনিময় হলে আহনাফ আরিশাকে একটি মুচকি হাসি উপহার দিলো।

পুরো ড্রইংরুমে চোখ বুলিয়ে আরিশা অবাক এর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল। ব্যাপারটা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি আরিশার। যে এখানে কিসের আসর বসেছে। শুধু এসব দেখে তার মস্তিষ্ক শুধু একটা কথাই বলছে,

— আম্মু এই কাজটা মোটেও ঠিক করেনি। এটা অন্যায় হয়েছে। মারাত্মক অন্যায়…..!

চলবে…..🌼🌼

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে