প্রাপ্তির শহরে পর্ব-০১

0
1411

#প্রাপ্তির শহরে
#পর্ব-০১
#তাহরীমা

‘কেমন যেন পুড়া পুড়া গন্ধ আসতেছে যে না?’

চাচির কথাটা কানে আসতেই তাহুর মনে পড়লো যে সে চুলায় ভাজি দিয়ে এসেছিলো।তাহু দৌড়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি চুলা নিভিয়ে অসহায় মুখ করে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলো।

চাচি এসে দেখলো ভাজি প্রায় পুড়ে গেছে।কেমন যেন গন্ধ ও বের হচ্ছে।এই ভুল কি করে হয়?ভুল করা চলবে না তাহুর।ভয়ে তাহুর প্রাণ যায়যায় অবস্থা।
.
তাহুর চাচি এসে ঠাস করে মাথায় থাপ্পড় দিয়ে বলে উঠলো–“মন কোথায় থাকে?রান্না ফেলে ওখানে কেন গিয়েছিলি?”
–“আসলে রিয়াদ আমাকে স্কুলের ব্যাগ রেডি করার জন্য ডাকছিলো তাই।”
–“অহ শেষমেশ দোষ সব আমার ছেলের?”
–“না তা বলিনি।দোষ আমার,আমি যদি না যেতাম তাহলে তো এমন হতো না।”
–“তাহলে যেহেতু তোর দোষ, দুপুরে তোর খাবার বন্ধ।আর যদি খাস ই পুড়াভাজি গুলায় তুই খাবি।”

তাহু এতে মাথা নাড়ায়।তার এসব খাওয়াতে অভ্যস্থ।চাচি চলে গেলে তার কান্না চলে আসে,ধমক যে তার পছন্দ না।কিছুতেই সে নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারেনা।আচ্ছা মানুষ রা কি সত্যি নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে?তাহুর অজানা।আজ যদি বাবা মা বেচে থাকতো।
______________

তাহু বাবা মার একমাত্র সন্তান ছিল।এক্সিডেন্ট এ তার বাবা মা দুজনেই তার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন মারা যায়।তারপর থেকে তাহু একমাত্র চাচার কাছেই থাকে।চাচা মোটামুটি ভালবাসলেও চাচি তাহুকে একদম ই সহ্য করেন না।তাহুর চাচার এক ছেলে এক মেয়ে।তাদের নাম রিয়াদ,রিপা।রিয়াদের বয়স পাচ,রিপার বয়স সাত।চাচা বেশিরভাগ গ্রামের বাইরে থাকেন।মাসে একবার আসেন।শহরে চাকুরী করেন।

তাহু ক্লাস নাইনে পড়ে।যদিও তার চাচি স্কুলে যাওয়া পছন্দ করেন না।কিন্তু তাহুর চাচার জন্য স্কুলে মাঝেমাঝে যেতে দেয়।ঘরের সব কাজ তাহু ই করে।পান থেকে চুন খসলেই চাচি মারধর করে।তাই ভয়ে ভয়েই থাকতে হয় সবসময়।

তাহু শ্যামবর্ণের।আর তাহুর চাচাতো ভাইবোনেরা অনেক ফর্সা,তাই তাহুর চাচি তাকে তেমনভাবে পছন্দ করে না।চাচি এমন ভাব করেন যেন কালো আর শ্যামবর্ণের মানুষ দেখলে এলার্জি শুরু হয়।তিনি নাকমুখ কুঁচকে ফেলেন একেবারে।
তবে তাহুর কাজকে তিনি যতেষ্ট পছন্দ করেন।
_________

তাহুকে কাদতে দেখে রিয়াদ এসে বলে–“কাল থেকে আমি নিজের ব্যাগ গুছিয়ে রাখবো আপু।”
তাহু কান্না মুছে বলে–“না আমি গুছিয়ে দিবো।আপু থাকতে তুই ছোট হয়ে কেন ব্যাগ গুছাবি? তোর ত দোষ নেই।”

রিয়াদ স্কুলে চলে যায়।

রান্না শেষ করে তাহু স্কুলে যায়।কারণ ঘরের কাজ করে দেওয়া ছাড়া তার চাচি তাকে কিছুতেই পড়তে দিবে না।কিন্তু বই পড়া তাহুর অন্যতম শখের মধ্যে পড়ে।

তাহু সব কাজ করে স্কুলে যেতে যেতে স্যার ক্লাসে চলে আসে।তাহু বাইরে দাঁড়িয়ে অনুমতি নেয়।গ্রামের স্কুল!তাহুকে স্যাররা অনেক স্নেহ করে।তাই লেইট করে আসলেও ক্লাসে ডুকতে দেয়।


তাহু ক্লাস শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে।ভীষণ যে ক্ষুধা পেয়েছে।তাড়াতাড়ি স্কুল ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে এসে রান্নাঘরে যায়।হাড়িতে ভাত খুঁজতে দেখে অল্প করে ভাত আছে।সাথে পুড়াভাজি।এতেই চলবে।কত মানুষ আছে একদম অনাহারে থাকে সে তুলনায় তাহু দু লোকমা ভাত খেতে পারছে,আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া।

খেয়েদেয়ে উঠে দেখে অনেক বাসনকোসন জমানো।হ্যা এসব তো তাকেই ধুয়ে রাখতে হবে।তাহু এসব ধুয়ে দেখে বাড়ির সবাই ঘুম।নিশ্চয় দুপুরের ভাত খেয়ে ঘুম দিয়েছে।

তাহুর ও ক্লান্ত লাগছে সে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।কখন যে ঘুম চলে আসলো বুঝলো না।এদিকে আসরের আযান দিয়ে ফেলেছে।আবার সকলের জন্য চা বানাতে হবে।

রিপা এসে তাহুকে ডেকে বললো–“আপু,এই আপু ঘুম থেকে উঠ।আম্মু আসার আগে উঠে যা।”

তাহুর চট করে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।আর উঠে বসলো।তাহু হেসে উঠলো।

রিপা বলল–“হাসিস কেন?”
–“তুই আমাকে খুব ভালবাসিস তাইনা?”
–“কিভাবে বুঝলি?”
–“এই যে প্রতিদিন মেজাম্মুর মারের থেকে বাচানোর চেষ্টা করিস!’

রিপা মন খারাপ করে বলে–“তুই এ বাড়ি থেকে পালিয়ে যা।তোকে আম্মু বকাঝকা করে যে এসব আমার ভালো লাগেনা।”

তাহু হাসে।
–“কই যাবো?আমার সবচেয়ে আপন জন তো তোরা ই।আমি আমার আপন জন ছেড়ে কোথাও যাব না।”

তাহু উঠে গিয়ে নামাজ পড়ে চা বানাতে যায়।সবাই যে যার মতো বিস্কুট চানাচুর দিয়ে চা পান করে চলে যায়।

তাহু সবাইকে চা দিয়ে এসে রান্নাঘরে বসে সে মুড়ি খায়।তার খুব ইচ্ছে চা দিয়ে বিস্কুট খাবে।কিন্তু চাচির নিষেধ আছে তাহুকে মুড়ি খাওয়া ই মানায়।ছোটবেলা থেকেই মুড়ি খেতে বলেছে।ক্ষুধা লাগে তাই মুড়ি ও তো খাবার নাকি,তাই সে এসব খেয়ে ও খুশি।
.
রিপা দূর থেকে দাঁড়িয়ে সব দেখে।তার খুব কষ্ট হয়।তার আপু শুকনা মুড়িগুলা খেয়ে কত ই না সন্তুষ্ট থাকে।আপুর জিবনে কি কিছুই পাবেনা।না পাওয়ার লিস্ট ই যে বেশি।
.
.
সন্ধ্যার পরে তাহু রিয়াদ আর রিপাকে পড়াতে বসায়।রিয়াদ একটু দুষ্টু ধরণের তাহু অনেক বুঝায়।তাও রিয়াদ পড়তে চায়না।ধর্য্য কতক্ষণ ধরা যায়?

তাহু মন খারাপ করে একটু রেগে কথা বলতেই চাচি এসে বলে–“আমার ছেলের সাথে রেগে কথা বলবি না।ও এখনো বাচ্চা ওকে বুঝিয়ে পড়াবি।”

তাহু ছোট করে বলে–“ঠিক আছে মেজাম্মু।”

__________

রাতে সবাইকে খাবার দিয়ে তাহু পরে খায়।তারপর সবাই ঘুমায় যায়।ভোরে তাহু নামাজ পড়তে উঠলে আর ঘুমায় না।বই নিয়ে পড়তে বসে।রাতে পড়তে পারেনা।তাহু লাইট জ্বালালে বিদ্যুৎবিল বেশি আসে তাই।
.
.
প্রতিদিনকার মতো সব কাজ সেরে স্কুলে যায়।স্কুল থেকে ফেরার পথে তাহুর বান্ধবী তানি বলে–“চল আমার ভাইকে দেখতে যাবি?”

তাহু তখন মন খারাপ নিয়ে বলে–“না রে অন্য একদিন।মেজাম্মু জানতে পারলে খুব বকবে।”
–“তুই অই মহিলা কে এত ভয় পাস কেন?”
–“জানিনা রে।”

তানি কিছুই শুনতে চায়না।তাহুকে টেনে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে।স্কুলের পাশাপাশি ই তাদের বাড়িটা।যদিও তাহু কখনো বান্ধবীর বাড়িতে যায়নি।।
.
তানিদের বাড়িটা টিনের চালের।বাড়ির সামনে ই একটা বড় মেহেদি গাছ।
তাহু এটা দেখে খুশি হয়ে বলে–“মেহেদি গাছ টা ত বেশ বড়,আমাকে কিছু পাতা দিবি?আমার খুবই পছন্দ।”

তানি হেসে বলে–“যাওয়ার সময় নিয়ে যাস।”

তানি তাহুকে তার আম্মুর সামনে নিয়ে যায়।তাহু আন্টিকে সালাম করে।তারপর কেমন আছে জিজ্ঞেস করে।

তানির আম্মু খুব ভালো তাহুকে দেখে খুব খুশি হয়।তারা যে বেস্টফ্রেন্ড তিনি সেটা জানেন।তানির আম্মু তাহুর জন্য শরবত আনতে গেলেই তানি ভাইকে রুম থেকে নিয়ে আসে।একবছর হচ্ছে তানির ছোটভাই হয়েছে।

বাচ্চাকাচ্চাদের কোলে নিতে তাহুর বেশ ভাল লাগে।আর এই ভাল লাগাটা তানি জানে বলে তার ভাইকে কোলে নেয়ার জন্য নিয়ে এসেছে।তাহুকে হাসিখুশি দেখতে তানির খুব ভাল লাগে।হাজারহোক বেস্টফ্রেন্ড তো।
তানি তার ভাইকে তাহুর কোলে দেয়।তাহু কি যে খুশি বাচ্চা দেখে।তানি ও হাসে।

তানির মা শরবত নিয়ে আসে।তারপর কিছুক্ষণ বসে চলে আসতে নিলে তানির মা বলে ভাত ছাড়া যেতে দিবেনা।এদিকে মেজাম্মুর অনুমতি নিয়ে আসেনি।মনে মনে ভয়ে শেষ।তারপর ও গুরুজন এর কথা না শুনে যাওয়াটা যে মানায় না।

তানির সাথে ভাতের আয়োজনে তাহু ও সাহায্য করে।
তাহুকে দেখে তানির মা তানিকে বলে–“মেয়েটি খুব ভালো তাইনা?”

তানি মাথা নাড়ায়।

তানির মা তাহুর জন্য অনেক রকমের খাবার তৈরি করে।তাহুর নিজেরি লজ্জা লাগছে তার মত সাধারণ মানুষের জন্য এত খাবার কেন?

তানির মা অভয় দেয় মেহমানদের এমন আপ্যায়ন করতে হয়।

তাহু দুপুরের ভাত খেয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যেতে নিলে তানি বলে–“মেহেদি পাতা নিবি না?”

তাহু একগাল হেসে বলে-‘চল একসাথে ছিঁড়ি?”
–“তুই একটা গাছ লাগাস?”
–“কোথায় পাবো?গাছ কেনার টাকা নেই যে।”
–“গাছ কিনতে হবে না।আমাদের গাছ থেকে একটা ডাল ভেঙ্গে রোপন করলে দেখবি হয়ে গেছে।”
–“সত্যি?”
–“হ্যা তোকে শিখিয়ে দিবো কিভাবে লাগাতে হয়।”

‘তাহুর খুশি দেখে কে?’
তানি হাসে।মেয়েটা কেমন যেন।ওর সাথে বন্ধুত্ব হয়েই সে ধন্য।
আর তাহু ভাবে,তার কপালে এমন বেস্টফ্রেন্ড থাকা মানে সে সৌভাগ্যবতী।

তাহু মেহেদি পাতা নিয়েই তানিদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।


বাসায় এসে দেখে সবে মাত্র সবাই খেতে বসেছে।
আজকে হাফক্লাস ছিল বলেই নয়ত এতক্ষনে সবাই ঘুমিয়ে যেত।তাহু ফ্রেশ হয়ে আসতে আসতে সবাই খেয়ে যে যার মত চলে যায়।

তাহু ব্যাগ থেকে মেহেদিপাতাগুলা বের করে রাখে যদি আবার নষ্ট হয়ে যায়।সময় করে বেটে নিবে।

রিপা এসে মেহেদিপাতাগুলা দেখে বলে,
–“আপু এসব কই পেয়েছিস?”
–“বান্ধবী দিয়েছে।”
–“আমি ও দিবো হাতে।”
–“আচ্ছা তোকে হাতে লাগিয়ে দিবো।”

রিপা চলে যায়।তাহু রান্নাঘরের দিকে যায়।সব কেমন অগোছালো।তাহু বাসনকোসন সব ধুয়ে যেয় না রুমে যাবে তখনি দরজার সামনে এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক এসে তাহুকে দেখতে পায় আর বলে,
“মা রে আমায় কিছু খেতে দিবি।ক্ষুধায় পেট জ্বলে যায়।”

বৃদ্ধ লোকটিকে দেখে তাহু কিছুক্ষণ আফসোস করে সেসব সন্তানদের জন্য।যারা বাবা মা পেয়েও হেলা করে।
তাহু হাসিমুখে বৃদ্ধ লোকটিকে ফ্লোরে বসায়।চেয়ার টেবিলে বসালে মেজাম্মু খুব বকবে।

তারপর তার ভাগের খাবার টুকু লোকটিকে খেতে দেয়।লোকটি তৃপ্তি করে খান।তাহু দূরে দাঁড়িয়ে লোকটিকে দেখছে।মানুষের জিবন কতই না বিচিত্র।কেউ এত এত খাবার পেয়ে অপচয় করছে,আবার কেউ খেতে না পেয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে।তারপর ও লোকটিকে খাওয়াতে পেরে অন্যরকম প্রশান্তি হচ্ছে।লোকটির দিকে তাকালে মনে হয় তাহু কত্ত সুখী জীবনে।

লোকটি খাবার খাওয়া শেষ হলে তাহুর দিকে তাকিয়ে হাসেন।
.
.
লোকটি চলে যাওয়ার সময় তাহুর মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে চোখ চিকচিক করে উঠে।
তাহু জিজ্ঞেস করে–“কাঁদছেন কেন দাদু?”
লোকটি বলে–“তোর মতো আমার ও একটা নাত্নি আছে।সে ও আমায় ভালবাসত।”

তাহু তখন উনার ব্যপারে আর জানতে চায়না।উনার নিশ্চয় কষ্ট হচ্ছে।উনার পরিণতি নায় বা শুনলো।সেসব শুনে আর কি বা হবে।তাহুর ত সাধ্যে নেই উনার ভাগ্যে পরিবর্তন করার।তাহুর যে এত যোগ্যতা এখনো হয়নি যে অসহায়দের পাশে দাঁড়াবে!

তাহু খুশিমনে বলে–“আপনার যখন মন চায় এখানে আসবেন।আমাকে নাত্নি মনে করেই আসবেন।”

বৃদ্ধ লোকটি হাসে-“তুই একেবারে রাজকন্যার মতো মেয়ে।”
তাহু ও হাসে–“আমি তো রাজকন্যা ই।আমাকে তাইতো সবাই ভালবাসে।”
–“অনেক ভালবাসায় ভরে থাকুক তোর জীবন।”

তাহুর জন্য দোয়া করে তিনি চলে যান।লোকটি চলে যাওয়ার পর তাহু দীর্ঘশ্বাস ফেলে।বাবা মার জন্য মন কেমন করে উঠে।

তাহুর চাচি এসে বাসন দেখেই ব্যপার টা খেয়াল করে আর তাহুকে এসে থাপ্পড় দিয়ে দেয়।

তাহু তখন কেঁদে উঠে–“কিছু কি দোষ হয়েছে মেজাম্মু?”
–“নিজে খেতে পারিস না,দানকারীনি হয়েছিস?”
–“কে বলে আমি খেতে পারিনা।আমি ত উপোস থাকি না?”
–“তাহলে তুই ভাত খেয়েছিস?ভাত খেলে লোকটাকে খাওয়ালি কিভাবে?”

তাহু মাথা নিচু করে বলে,
–“না ভাত খায়নি তানিদের বাড়ি গেছিলাম,আন্টি জোর করে খাইয়ে দিয়েছে।তাই আমার জন্য রাখা ভাত অই মানুষটাকে দিয়েছি’
–“তাই বলে ভিক্ষুক কে খাওয়াবি?কার অনুমতি নিয়েছিস?”

তাহু তখন কেঁদে কেঁদে বলে–“আমাদের সামর্থ্য আছে আমরা যদি তাদের সাহায্য না করি তাহলে করবে কে?আমার যখন ক্ষুধা লাগে আমার তখন খুব কষ্ট লাগে।আমার যেমন কষ্ট হয় আমি যেমন মানুষ ওরা ও মানুষ।ওদের ও কষ্ট হয়।হয়ত পরিস্থিতি আর কপালগুণে ওদের এই অবস্থা।তাছাড়া ভাত থেকে ও যদি,নেই বলে উনাকে তাড়িয়ে দিতাম,তাহলে আল্লাহ যে অসন্তুষ্ট হতো?

মেজাম্মু কিছুক্ষণ নিরব থেকে চলে যান।আর মনে মনে বলে–“মেয়েটা একদম তার মায়ের মতো ই হয়েছে।দরদ এক্কেবারে উতলায় পড়ে।অতি ভালমানুষির কপালে সুখ থাকে না।হুহ”

মেজাম্মু চলে গেলে তাহুর একফোঁটা জল নিচে গড়িয়ে পরে।কারণে অকারণে কেন এত বকাঝকা করে?মাঝেমাঝে তো ভালবাসা যায় নাকি?পারতো তার আম্মু বেচে থাকলে এমন অবহেলা করতে?কাজ করতে তাহুর কষ্ট হয়না।শুধু কষ্ট হয় এই ব্যবহারে।খারাপ ব্যবহারের আঘাতগুলো একদম মনে গেতে যায়।যা পৃথিবীর কোনো ঔষধে সারাতে পারেনা…….

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে