? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৪

0
861

? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৪

Urme prema (sajiana monir)

সকাল থেকেই পুরো বাড়ির মানুষ বেশ বেস্ত আজ রিসেপশনের অনুষ্টান তাই । সুবাহ ও সকালে ঘুম থেকে উঠে আরোশ কে খুজেঁ যাচ্ছে ।কারন আজ এখন পর্যন্ত আরোশ কে দেখেনি বেশ কয়েক বার জিগাস করার চেষ্টা করেছে কিন্তু লজ্জায় আর ভয়ে জিগাস করা হয়নি কে কি মনে করবে তা ভেবে ।দুপুরে মেকআপ আর্টিষ্ট চলে আসে ।এসে সুবাহকে রেডি করতে শুরু করে সন্ধ্যার জন্য ।
বিকাল হতে হতেই সুবাহকে পুরোপুরি রেডি করে তারা চলে যায় ।
বিকালে আরোশ নিজের রুমে আসে রেডি হতে সকাল থেকে সারাদিন বেশ বেস্ত ছিলো কাজে ।হঠাৎ রুমে ডুকে বেডের কাছে সুবাহর দিকে চোখ যেতেই থমকিয়ে যায় !
সুবাহ নিজের আচল আর কুচি সামলাতে বেস্ত পড়নে সোনালি ব্রাইডাল শাড়ি !মনমুগ্ধকর সাজ চুল গুলো কার্ল করা তার মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ফ্লাওয়ার ।
সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ।আরোশ সুবাহ র কাছে এসে সুবাহ র সামনে হাটু গেড়ে বসে শাড়ির কুচি গুলো ঠি ক করতে লাগে ।সুবাহ আরোশের এমন কাজে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে ।আরোশ রুমে এসেছে সে তো টেরই পায়নি !
আরোশ কুচি গুলো ঠি ক করতে করতে বলতে লাগে
“যা সামলাতে পারো না তা পড়ো কেন ?”
সুবাহ মৃদ্যু সুরে বলতে লাগে
“ইয়ে মানে আসলে আন্টি বলেছিলো এটা পড়তে রাতের অনুষ্টানে পড়তে !”
আরোশ কুচি ঠি ক করে সুবাহর সামনে দাড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“শাড়ি সামলাতে পারবে ?
প্রবলেম হবে না তো !”
সুবাহ মুচকি হেসে বলতে লাগে
“আসলে এটা একটু ভারি শাড়ি তো তাই একটু প্রবলেম হচ্ছিল কিন্তু সমস্যা নেই আমি সামলাতে পারবো !”
আরোশ আর কোন কথা না বাড়িয়ে কাবার্ড থেকে কাপড় বের করে ওয়াশরুমে চলে যায় ।সুবাহ মুচকি হাসি দিয়ে আরোশের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে ।কারন সুবাহ জানে আরোশের মনে এখনো তার জন্য ভালোবাসা রয়েছে তা হয়তো অভিমান আর রাগের পিছনে চাপা পড়ে আছে যা মাঝে মাঝে আরোশ অজান্তেই প্রকাশ করে দেয়।সে চাওয়ার পর ও নিজের ভালোবাসাটা আড়াল করতে পারে না !

সন্ধ্যায় সুবাহকে হলে নেওয়া হয় চারদিকে অনেক মানুষে ঘেরা ।সবাই সুবাহর অচেনা আরোশের মা আর মায়া তাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ।কিন্তু সবার আড়ালে সুবাহর চোখ বার বারে শুধু আরোশের দিকে যাচ্ছে ।অসম্ভব হেন্ডসাম লাগছে তাকে তার পড়নে ব্রাউন স্যুট ফরসা গালে চাপ দাড়ি চুল গুলো স্টাইল করে ব্রাশ করা হাতে ব্রেন্ডেড ঘড়ি ।পুরো ফরমাল লুক একদম হিরো লাগছে ।কিছু লোকেদের সাথে কথা বলছে ।
সুবাহ বার বার আরোশের দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে ।হঠাৎ কারো আওয়াজে তার ধ্যান ভাঙ্গে পিছনে তাকিয়ে দেখে তার দাড়িয়ে আছে ।সুবাহ তার মাকে দেখে দৌড় দিয়ে কাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলতে লাগে
“আম্মু তুমি কেমন আছো ?
আব্বু কেমন আছে ?
আব্বু কি এখনো আমার উপর রেগে আছে ?
বিশ্বাস কর আম্মু আমি এসব কিছু করতে চাইনি আমি এসবের কিছুই জানিনা আ…..!”
আর কিছু বলতে নিবে তার আগেই সুবার মা তাকে থামিয়ে দেয় তার চোখ মুছতে মুছতে বলতে লাগে
“আস্তে সুবাহ আমি সব বলছি !
আমি ভালো আছি !
তুমি কান্না করছো কেন ?
আমি জানি তুমি কিছু করনি আমি আমার মেয়েকে চিনি যা হয়েছে তা ভালোর জন্যই হয়েছে তোমার আদিকে বিয়ে করার ডিসিশন টা আমার কাছে ঠি ক লাগেনি । তুমি আরোশকে ভালোবাসো শুধু মাত্র নিদ্রার আর তোমার দাদীর চাপে পড়ে তুমি আরোশকে ছাড়তে চেয়েছো তুমি তোমার দাদী আর বাবার সম্পর্কটা ঠি ক করার জন্য তুমি নিজের ভালোবাসাকে বলি দিতে চেয়েছো ।
তাকে নিদ্রাকে দিয়ে দিতে চেয়েছো ।তুমি এটা ভুলে গিয়েছে নিয়তি বলতে ও কোন কিছু আছে !
ভাগ্যের লেখা কখনো পরিবর্তন হয়না ।আল্লাহ তোমাকে আরোশের জন্য আর আরোশকে তোমার জন্য বানিয়েছে দুনিয়ার কেউ চাইলেই তোমাদের আলাদা করতে পারবেনা ।যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে !”
সুবাহ আবার নিজের মাকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
“থেংকিউ আম্মু আমাকে বুঝার জন্য !”
হঠাৎ পিছন থেকে সুবাহ র দাদী বলতে লাগে
“উমমম মা মেয়ের ঢং !
এই সবই তো তোরা মা মেয়ে চেয়েছিস যে আমার নাতনিটার বিয়েটা না হোক এই বাড়িতে বড়লোক ছেলে দেখে দুই মা মেয়ে নিজের লোভ সামলাতে পারিস নি ।আমাদের সামনে নাটক করেছিস যে আরোশ কে বিয়ে করবিনা তার সাথে যোগাযোগ করবিনা কিন্তু তলেতলে ঠি কই এসব প্লান করেছিস !
আদির সাথে বিয়ের দিন আরোশের সাথে পালিয়ে গেছিস !
কি করে পারলি এসব করতে ?
কি করে পারিস তোরা মা মেয়ে এত রং বদলাতে ?
তোদের থেকে গিরগিট ও ভালো ।
দেখিস তোদের মা মেয়ের জীবনে ভালো হবেনা আমার বাপ মরা নাতনিটার জীবন নষ্ট করেছিস তোর ভালো কখনই হবে না !
তুই সুখি হবি না কোন দিন ।
আমি অভিশাপ দিলাম ।”
সুবাহ মা রেগে কিছু বলতে নিবে তার আগেই সুবাহ তার মায়ের হাতের উপর হাত রেখে তাকে থামিয়ে দেয় ।তারপর নিজে তার দাদীর দিকে আর নিদ্রার দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বলতে লাগে
“আমি সত্যি কিছু জানতাম না ।আরোশ আমারে অজ্ঞান করে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে তারপর ও আমি বিয়ে করতে চাইনি কিন্তু আরোশ মানেনি তাই বিয়েটা হয়েছে ।
জানি তোমরা বিশ্বাস করবেনা কিন্তু সত্যি এটাই ”
নিদ্রা রেগে বলতে লাগে
“কি ভেবেছিস সুবাহ আরোশ তোকে বিয়ে করেছে বলেই তোর হয়ে যাবে তোর থাকবে ?
কখনো না আমি আরোশকে কখনই তোর হতে দিবো না যে ভাবেই হোক আমি তোর থেকে আরোশকে ছিনিয়ে নিবো !
নিজের করেই ছাড়বো ?”
সুবাহ র মা বলতে লাগে
“শকুনের দোয়ায় গরু মরে না ।
আমি জানি আমার মেয়ে কোন অন্যায় করেনি তার সাথে ও কখনো খারাপ কিছু হবেনা ।
আপনারা কোন ভাবেই তার ক্ষতি করতে পারবেনা !”
এসব কথা শুনেই সুবাহ র দাদী হন হন করে সেখান থেকে চলে যায় আর তার পিছন পিছন লেজের মত ছুটে নিদ্রা ।তারা যেতেই আবার সুবাহর মা বলতে লাগে
“যা হবার তা হয়ে গেছে সুবাহ আরোশের সাথে তোমার বিয়ে হয়ে গেছে ।ভালো হবে যদি তুমি সবকিছু মেনে পুরনো কথা ভুলে নতুন করে আরোশের সাথে সব কিছু শুরু কর ।অন্যের কথা না ভেবে এখন একটু নিজের কথা ভাবো !
আদর্শ স্ত্রীর মত নিজের সব দায়িত্ব মেনে চল ।
আরোশকে আবার আপন করে নেও ।”
সুবাহ মুচকি হেসে আরোশের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“হুম মা আমি আরোশকে আপন করে নিবো আমাদের সম্পর্কটাকে নতুন করে শুরু করবো ।
সম্পর্কের সকল দূরত্ব বাধাঁ দূর করবো ।”
সুবাহ র মা সুবাহর গালে হাত রেখে মুচকি হেসে বলতে লাগে
“আমি জানি আমার তুমি পারবে মা !”
সুবাহ তার মায়ের সাথে কথা বলছে হঠাৎ কারো ডাকে সুবাহ পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে আদি দাড়িয়ে আছে মুখে মুচকি হাসি হয়তো এই হাসির পিছনে চাপা কষ্ট জমে আছে ।সুবাহ আজ আদিকে এখানে দেখবে একদম আশা করেনি আদিকে কি বলবে তা খুজেঁ পাচ্ছেনা ।সুবাহর মা তাদের কথা বলতে দেখে দূরে সরে যায় ।সুবাহ মাথা নিচু করে রেখেছে আদি বলতে লাগে
“আরে আরে তুই তো দেখছি আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছিস !
বিয়ের পর তোর মধ্যে এত পরিবর্তন বাহ ভালোই ।”
সুবাহ মাথা নিচু করে মৃদ্যু স্বারে বলতে লাগে
“আদি আ’ম সরি !
আসলে এমন কিছু হবে আমি জানতাম না বিশ্বাস কর আমি ইচ্ছে করে এসব করিনি ।
আমার…..”
আদি মুচকি হেসে বলতে লাগে
“হুসসস !
তোকে কোন কৈফিয়াত দিতে হবেনা আমি তোকে ছোট থেকে চিনি তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড আমি জানি তুই এসব কিছু ইচ্ছে করে করিসনি ।কিন্তু যা হয়েছে ভালো হয়েছে তুই তো সুখে থাকবি এটাই আমার কাছে অনেক ।তোর সুখ একমাত্র আরোশের সাথে ছিলো আমাকে তুই কখনো ভালোবাসিস নি !
আমার ভালোবাসাটা ছিলো এক তরফা ।হয়তো নিজের এক তরফা ভালোবাসার জোরে তোকে পেতে চেয়েছিলাম স্বর্থপর হয়ে গিয়েছিলাম তোকে পাবার লোভে তাই তোর কষ্টটা দেখার চেষ্টা করিনি ।
কিন্তু এখন যা হয়েছে ভালোই হয়েছে তুই খুশি থাকবি আর তোর খুশিতেই আমার সুখ !”
সুবাহ ছল ছল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে
“থেংকউ থেংকউ সো মাচ !
আমাকে বুঝার জন্য আমার নিজেকে খুব অপরাধি মনে হচ্ছিল এসব কিছুর পর কিন্তু এখন নিজেকে ফ্রি লাগছে !”
আদি মজা করে বলতে লাগে
“হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না তাহলে আমি আবার ইমোসনাল হয়ে পরবো তখন তুই আবার বলবি যে আমি মেয়েদের মত বিহেব করি !”
সুবাহ আদির কথা শুনে হেসে দেয় ।তারপর দুজন টুকটাক কথা বলতে লাগে ।
এত সময় ধরে আরোশ তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলো হঠাৎ সুবাহ র কথা মনে পড়তেই তাকে খুজঁতে লাগলো ।সুবাহ কে আদির সাথে হেসে কথা বলতে দেখেই আরোশের মাথায় রক্ত উঠে যায় ।সে সুবাহ কে আদির সাথে একদম সয্য করতে পারছেনা ।রেগে নিজের হাতে কাচের গ্লাসটা শক্ত করে মুঠ করে ধরে ফলে গ্লাসটা ভেঙ্গে আরোশের হাতে ডুকে পড়ে হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে আরোশের সেদিকে খেয়াল নেই তার অগ্নিদৃষ্টি সুবাহ র দিকে ।সে নিজের সুবাহ কে আদির সাথে একদম সয্য করতে পারছেনা !
পিছন থেকে নিদ্রা আরোশ কে আদি আর সুবাহ র দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে শয়তানি হাসি দিয়ে আরোশের সামনে এসে হাত ধরে বলতে লাগে
“আরোশ কি করছো এসব ?
পাগল হয়ে গেলে নাকি !”
আরোশের নিদ্রার কথায় খেয়াল নেই তার দৃষ্টি এখনো সুবাহ আর আদির দিকে ।নিদ্রা বাকা চোখে সেদিকে তাকিয়ে আরোশ কে বলতে লাগে
“তুমি কার জন্য নিজেকে কষ্ট দিচ্ছো ?
এই চরিত্রহীন মেয়ের জন্য যে কিনা তোমার সাথে প্রেম করে আদিকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলো ।”
নিদ্রার মুখে সুবাহ র কে চরিত্রহীন শুনে আরোশ নিদ্রার হাত ঝারি দিয়ে ফেলে নিদ্রার মুখ চেপে ধরে বলতে লাগে
“সুবাহ কে কিছু বলার আগে হাজার বার ভেবে নিবে !
উলটা পালটা কিছু বললে তোমার আমি কি হাল করবো তোমার জানা নেই !
ওকে কিছু বলার আগে নিজের দিকে লক্ষ করো কারন তুমি দুধে ধোয়া তুলসি পাতা না !”
নিদ্রা আরোশ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলতে লাগে
“আমি যা করেছি সব সুবাহ র কথায় করেছি সুবাহ আমাকে বলেছে এসব কিছু করতে প্রথমে তোমার সাথে প্রভা সেজে ফেসবুকে রিলেশন করে টাইম পাস করে তারপর তোমাকে ভালো লাগেনা ।আদির প্রতি নিজের পুরনো প্রেম জেগে উঠে তাই তুমি দেখা করতে চাইলে তোমার সামনে আমাকে প্রভা বানিয়ে নিয়ে যায় ।
আর নিজে আদিকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায় ।
এখানে সব দোষ ওর !”
তারপর নিদ্রা আরোশের কাছে ঘেসে আরোশের গালে হাত রেখে বলতে লাগে
“বেবী তুমি কেন সুবাহ কে বিয়ে করলে ?
দেখো আমি তোমাকে ভালোবাসি আমি তোমাকে সুখে রাখতাম আমি তো আর সুবাহর মত না বলো ।আমি যা করেছি সুবাহর কথায় করেছি ।”
আরোশ নিদ্রা কে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় তারপর রেগে বলতে লাগে
“আমি না কাউকে ছাড়বোনা !
সুবাহ যা করেছে তার ফল ও পাবে ।”
বলেই আরোশ উপরে নিজের রুমে চলে যায় ।নিদ্রা শয়তানি হাসি দিয়ে বলতে লাগে
“আমি চাই তুমি তাই করো সুবাহ কে শাস্তি দেও তারপর সুবাহ তোমাকে ছেড়ে সারাজীবনের জন্য চলে যাবে আর আমি তোমাকে নিজের করে নিবো ।
আসল সত্যটা কখনো তুমি জানবেনা আরোশ তা তোমার আড়ালেই রয়ে যাবে !”

আরোশ নিজের রুমে সবকিছু ভাঙ্গচুর করছে সে । হঠাৎ পিছন থেকে কেউ আরোশ কে জরিয়ে ধরে আরোশ থেমে যায় কারন সে জানে কে সে !
সে পিছনে না ঘুরেই উপলব্ধি করতে পারে এটা সুবাহ ।
তারপর তাকে ঝারি দিয়ে সরিয়ে দেয় ।
তারপর সুবাহর বাহু শক্ত করে ধরে রেগে দাতেঁ দাতঁ চেপে বলতে লাগে
“কেন করলে এমন ?
কেন সুবাহ !!!!
কেন আমার জীবনে এসে সব কিছু অগোছালো করে দিলে কেন এই গেম খেললে আমার সাথে ?
কেন !
আমি তো শুধু আমার প্রভাকে ভালোবেসে ছিলাম তাকে পেতে চেয়েছিলাম তাহলে তুমি কেন এমন করলে আমার সাথে কেন এমন গেম খেললে ?”
সুবাহ ভয়ে কাপাঁ কাপাঁ কন্ঠে বলতে লাগে
“আরোশ আমার কথা টা শুনুন আমি সব খুলে বলছি আমি কেন এমন করেছি আমাকে একটা সুযোগ দিন প্লিজ আমার কথাটা শুনুন !”
আরোশ রেগে সুবাহ র বাহু আরো শক্ত করে বলতে লাগে
“চাইনা শুনতে তোমার কথা তুমি একটা মিথ্যা বাদি !
তুমি শুধু মানুষকে ঠকাতে পারো আর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে খেলতে পারো !
আমি চাইনা কিছু শুনতে ।”
বলেই সুবাহকে জোরে ধাক্কা দিয়ে পিছনে ঘুরে যায় সুবাহ নিচে পরে যায় আর তার হাত কাচের উপর গিয়ে পড়ে ।হাতে কাচ ডুকে পরে সুবাহ ব্যথায় কুকড়িয়ে উঠে !
সেখানে বসে হাত ধরে মুখ ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে কান্না করতে লাগে ।আরোশ বেশ কিছুসময় ধরে কোন সারা শব্দ না পেয়ে পিছনে ঘুরে !
ঘুরে দেখে সুবাহ হাত ধরে কান্না করছে তার হাত থেকে রক্ত জোড়ছে তা দেখে আরোশ তারাতারি করে সুবাহর কাছে যেয়ে তাকে কোলে তুলে বেডে বসিয়ে পাগলের মত করে ফাস্টএইড বক্স খুজঁতে লাগে ।তা খুজে এনে সুবাহর সামনে এসে নিচে বসে তার হাত ধরে সেখানে ঔষধ লাগাতে বেস্ত হয়ে পড়ে ।তার চোখে মুখে বেশ অস্তিরতা যেন কষ্টটা সুবাহ না আরোশ পেয়েছে ।আর বার বার বলছে
“সরি আমি ইচ্ছে করে করিনি !
খুব লেগে গেছে !
কষ্ট হচ্ছে খুব ?”
সুবাহ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে এ তার কেমন ভালোবাসা ?
একটু আগে তাকে সয্য করতে পারছিলো না আর এখন তাকে কষ্টে দেখে নিজেই পাগল হয়ে যাচ্ছে তার কষ্ট লাঘব করতে ।
আরোশ বার বার নিজের ঠোঁট ছোয়াচ্ছে সুবাহর হাতে আর “সরি “বলছে !
সুবাহ আরোশের কাছে যেয়ে তার বুকে মাথা রেখে শক্ত করে তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগে ।আর আরোশ ও সুবাহ কে শক্ত করে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।………

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে