? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৫

0
834

? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৫

Urme prema (sajiana monir)

পর্দার আড়াল থেকে সূর্যের কিরন মুখে পড়তেই সুবাহ র ঘুম ভেঙ্গে যায় ।ঘুম ভাংতেই আরোশের দিকে তাকায় দেখে আরোশ এখনো সুবাহ র গলায় মুখ গুঁজে ঘুমাচ্ছে ঠোঁট গুলো বাচ্চাদের মত গুঁজে রয়েছে ।চুল গুলো কপাল ছুইঁছে একদম শান্ত বাচ্চাদের মত লাগছে ।সুবাহ মুচকি হেসে আরোশের কপালে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে তার মাথায় হাত বুলাতে লাগে ।আরোশ কিছুটা নড়ে উঠে তার পর ঘুমের মধ্যে আরো গভীর ভাবে সুবাহকে জরিয়ে ধরে ।সুবাহর কাল রাতে করা আরোশের পাগলামির কথা মনে পড়তেই সে মুচকি মুচকি হাসতে লাগে !কাল রাতে আরোশ নিজের থেকে সুবাহকে এক সেকেন্ডে নিজের থেকে আলাদা করেনি নিজের বুকের সাথে জরিয়ে রেখেছে ।
কাল সুবাহ পুরোপুরি ভাবে আরোশের হয়ে গেছে ।আরোশ তাকে পুরোপুরি ভাবে নিজের নিয়েছে ।
তার প্রত্যেকটা স্পর্শ সুবাহ কে পাগল করে দিয়েছে ।হ্যা সে পুরোপুরি ভাবে আরোশের স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছে ।তার হয়ে গেছে ।
সুবাহ এসব ভাবতে ভাবতেই আরোশ নড়ে উঠে ।আরোশ কে নড়ে উঠতে দেখেই সুবাহ মুখে আগের মত মুচকি হাসি রেখে বলতে লাগে
“গুডমর্নিং মি: হাসবেন্ড !”
আরোশ বাকাঁ হেসে সুবাহকে নিজের আরো কাছে টেনে তার মুখের সামনের চুল কানের পিছনে গুজেঁ দিতে দিতে বলতে লাগে
“গুড মর্নিং “
সুবাহ আরোশের কাধেঁ মাথা রেখে বলতে লাগে
“থেংকিউ আমাকে আপন করে নেওয়ার জন্য ।আমাদের সম্পর্শটাকে নতুন ভাবে শুরু করার জন্য ।সব ভুলে নতুন ভাবে সম্পর্কটাকে নাম দেওয়ার জন্য ।”
আরোশ সুবাহর এসব কথা শুনে শব্দ করে হাসতে লাগে ।সুবাহ আরোশের এমন হাসির পিছনের কারন খুজঁতে লাগে ।সে মাথা তুলে আরোশের দিকে ভ্রু কুচকিয়ে তাকিয়ে থাকে আরোশ নিজের হাসি থামিয়ে বলতে লাগে
“সিরিয়াসলি সুবাহ তোমার মনে হয়েছে আমি তোমাকে আপন করে নিয়েছি ?”
বলেই আবার আগের মত জোরে জোরে হাসতে লাগে। সুবাহ আরোশের দিকে ড্রাব ড্রাব করে তাকিয়ে আছে আরোশ আবার বলতে লাগে
“আমাদের মধ্যে কাল রাতে যা হয়েছে তা শুধুই একটা নাটক ছিলো ।তোমাকে নিজের কাছে রাখার জন্য ।”
সুবাহ কাপাকাপা গলায় বলতে লাগে
“মা…মা…মানে ?”
আরোশ সুবাহ র গালে হাত রেখে বলতে লাগে
“আমি তোমাকে নিজের সাথে বেধেঁ রাখতে কাল তোমাকে আপন করে নিয়েছি যাতে তুমি আমাকে ছাড়ার চিন্তা ও না করতে পারো ।
সারাজীবনের জন্য আমার কাছে বন্ধি থাকো ।
তুমি কি ভেবেছো আমি সব ভুলে গেছি ?
না কখনো না আমি কিছু ভুলিনি আমি আমার প্রতিশোধ নিবো ।যতটা কষ্ট তুমি আমাকে দিয়েছো ততটাই কষ্ট এবার তুমি পাবে। “
আরো এসব বলেই বেড থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে যায় ।সুবাহ থম মেরে সেখানেই বসে থাকে ।
আরোশ এসব কি বলছে ?
কাল রাতের সব কিছু মিথ্যা ছিলো ?
কাল রাতে তার চোখে আমার জন্য ভালোবাসা মিথ্যা ছিলো ?
শুধু আমাকে আটকানোর জন্য এসব করছে যাতে আমি তাকে ছেড়ে না যাই !
এসব ভাবতে ভাবতেই সুবাহ কাদঁতে লাগে সে আরোশ থেকে এমন কিছু কখনই আশা করেনি ।সুবাহ বালিশে মুখ গুজেঁ কাদঁতে লাগে ।
আরোশ বেশ কিছুসময় ওয়াশরুম থেকে বের হয় ।বের হয়ে সুবাহ কে এভাবে শুয়ে কাদঁতে দেখে বেশ কিছু সময় সেদিকে তাকিয়ে থাকে অবশেষে সয্য করতে না পেরে সে রুম থেকে বের হয়ে যায় ।সে সুবাহর চোখের পানি সয্য করতে পারবেনা আবার তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়বে কালকের রাতের মত ।আর আরোশ কোন ভাবেই সুবাহর প্রতি দূর্বল হতে চায়না ।
সুবাহ বেশ কিছু সময় রুমে এভাবেই কান্না করে যায় ।
সুবাহ সেদিন সারাদিনের মধ্যে আর আরোশের সামনে আসেনা ।নিজেকে তার আড়াল করে রাখে ।আরোশের সকালের বলা কথা গুলো তার বেশ কষ্ট লেগেছে ।সে সারাদিন মায়ার রুমে কাটিয়ে দেয় ।যে কোন কারনেই হোক না কেন আরোশ থাকাকালিন সময়ে সে নিজের রুমে যায়না ।‌অন্যদিকে আরোশ কিছু সময় পর পর সুবাহকে দেখার জন্য বারে বারে মায়ার রুমের পাশে ঘুরাঘুরি করেছে ।কিন্তু তাতে তার কোন লাভ হয়নি সে সুবাহ কে এক পলকের জন্যেও দেখতে পারেনি । সুবাহ ইচ্ছা করেই তার সামনে আসেনি !
সারাদিন মায়ার রুমে কাটিয়ে রাত ১১ টায় নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায় সে চায়নি আরোশকে ফেস করতে ।তাই ভেবেছে আরোশ শুয়ে পড়লে তারপর রুমে আসবে ।
সুবাহ রুমের দরজার হালকা খুলে দেখে পুরো রুম অন্ধকার হয়ে আছে ।তাই পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করতে লাগে ।বেডের কাছে আসতেই হঠাৎ কেউ তাকে টান দিয়ে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ফেলে সুবাহ ভয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগে ।সে জানে আরোশ করছে তারপর ও এমন আচমকা টানে ভয় পেয়ে যায় সুবাহ ।
ফেইরি লাইটের আলোয় সুবাহ স্পষ্ট আরোশের রাগানিত্ব চোখ দেখতে পাচ্ছে ।চোখে তার ভয়ঙ্কর রাগ জমে আছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।সুবাহ আরোশের ভয়ে বড় ডোক গিলে ।আরোশ তার মুখটা সুবাহ র আরো কাছাকাছি এনে দাতেঁ দাতঁ চেপে বলতে লাগে
“সারাদিন কোথায় ছিলে ?
কত বার ডেকেছি তারপর ও কেন আসোনি !”
সুবাহ মুখ ঘুরিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে বলতে লাগে
“আমি কোথায় ছিলাম তা আপনার না জানলেও চলবে আপনি আমাকে কাল রাতে আপন করে নিয়েছেন শুধুই আপনার কাছে বন্ধি করে রাখার জন্য যাতে আপনি আমার উপর নিজের প্রতিশোধটা নিতে পারেন তাই তো !
হ্যা ভয় নেই আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছিনা ।”
আরোশ রেগে সুবাহ র হাত আরো জোরে শক্ত করে মুঠ করে ধরে ফলে সুবাহ র কাটা হাতে ব্যথা লাগে সুবাহ শব্দ করে “আহহহহ”উঠে ।
আরোশ তা লক্ষ করে তারাতারি করে সুবাহ র হাত দেখতে লাগে ।তার চোখে মুখে স্পষ্ট অস্তিরতা দেখা যাচ্ছে !
সুবাহ আরোশের দিকে একমনে তাকিয়ে বলতে লাগে
“নিজেই কষ্ট দেন আবার নিজেই সে কষ্ট লাঘব করার জন্য অস্তির হয়ে পড়েন !
আমাকে যতটা কষ্ট দিচ্ছে ঠিক ততটা কষ্ট তো নিজেও পাচ্ছেন তাহলে কেন এসব করছেন ।
না পুরোপুরি ভাবে নিজের কাছে আসতে দিচ্ছেন , না দূরে যেতে দিচ্ছেন ।
নিজে আঘাত দিয়ে নিজেই তাতে মলম লাগাচ্ছেন ।কেন এমন করছেন কেন মেনে নিচ্ছেন না সব কিছু ?”
আরোশ সুবাহর কমোড় ধরে তাকে আরো কাছে এনে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলে কমোড়ে রাখা হাত জোরা আরো শক্ত করে ধরে বলতে লাগে
“আমি না তোমাকে আপন করে নিবো না তোমাকে দূরে যেতে দিবো সারাজীবন এভাবেই থাকবে ।
তুমি যা করেছো তার পর তোমাকে যতই শাস্তি দেইনা কেন কম হয়ে যাবে ।”
বলেই সুবাকে ছেড়ে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরে যায় আরোশ ।তারপর সেখান থেকে বারান্ধায় চলে যায় সুবাহ আরোশের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের চোখের কোনে জমে থাকা জলটা মুছে ।তারপর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে বেডে গা এলিয়ে দিয়ে ভাবতে লাগে
যদি আজ তাদের সম্পর্কটা স্বাভাবীক হতো তাহলে হয়তো সবকিছু অন্যরকম থাকতো ।আরোশ প্রতিশোধ নেওয়ার নেশা ভুলে তাদের ভালোবাসার নেশায় ডুবে থাকতো !
এসব ভাবতে ভাবতেই তার কানে গিটারের শব্দ ভেসে আসে ।সুবাহ জানে কে বাজাচ্ছে সুবাহ সেদিকে নিজের পা আগাতে লাগে যেন সেই সুরটা তাকে টানছে ।বারান্ধার সামনে যেয়েই সে থেমে যায় !
আরোশ চোখ বন্ধ করে গিটার বাজাচ্ছে সুবাহ তা বারান্ধার দরজার আড়াল থেকে দেখতে লাগে ।
আরোশ গিটারে সুর তুলে চোখ বন্ধ করে গাইতে লাগে

“আমার চোখে সব কিছু ঝাপসা মনে হয় ।
আমার মনে সবকিছু কেনো এলোমেল লাগে ?

আমার চোখে সব কিছু ঝাপসা মনে হয় ।
আমার মনে সবকিছু কেনো এলোমেল লাগে ?

দিনের শুরু থেকে
ভাবি শুধু তোমায় নিয়ে
মনে তবু এক কঠিন
যন্ত্রনার…………. অন্ত নেই………
মন থেকে কি করে ভুলে যাব তোমার ছবি ?
এই অনুভূতি থেকে ছুটে যাব ক……বে
যন্ত্রনার…………অন্ত নেই……… “

সুবাহ আজ কতদিন পর আরোশের কন্ঠে গান শুনছে যা শুনা একসময় তার নেশা হয়ে গিয়েছিলো ।আজ তার কন্ঠে গান শুনছে !
চোখ বন্ধ করে আরোশের গান শুনছে আরোশের গানে স্পষ্ট যন্ত্রনা কষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে ।
সুবাহ ফ্লোরে বসে দরজায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরোশের সাথে প্রথম দেখা এই কাহিনীটার শুরু কল্পনা করতে লাগে ১.৫ বছর আগে কোম্পাসে এমনই গান গেতে সে আরোশকে দেখেছিলো ।সুবাহ এসব ভাবতেই তার কল্পনায় ডুব দেয় ।

ছোট থেকেই বেশ শান্ত স্বভাবের ছিলো বাড়ির সবার চোখের মনি হলেও কখনো তার দাদীর ভালোবাসাটা সে পায়নি ! কারনটা ছিলো তার দাদী কখনো তার মাকে মেনে নেয়নি সেই সূত্র ধরে সুবাহ ও তার ছোট ভাইবোন কখনো তার দাদীর ভালোবাসাটা পায়নি । সুবাহর বাবার সাথে আগে থেকেই তার দাদী কথা বলেনা না কারনটা ছিলো সুবাহ র বাবা তার দাদীর বিরুদ্ধে তার মাকে বিয়ে করে তাই !
তার মাঝে সুবাহর ফুপা মারা যাবার পর তার ফুপি ফুপাতো বোন নিদ্রা তাদের বাসায় থাকতে লাগে ।নিদ্রা আর সুবাহ সমবয়সী হওয়ায় তাদের মধ্যে বেশ বেদভাব করতে শুরু করে দেয় তার দাদী ।তার মাঝে সুবাহ নিদ্রার থেকে সব দিক থেকে একটু এগিয়ে ছিলো হোক তা রূপে বা গুনে ।
আস্তে আস্তে সে বড় হতে লাগে আর তার সাথে তাদের এই ভেদভাদ ও অত্যাচার ।সুবাহর মা সুবাহ সব কিছু মুখ বুঝে সয্য করে যেত ।তাদের বাবাকে কখনই কিছু জানতে দিতোনা ।এদিকে নিদ্রার আবদার ও বাড়তে লাগে সুবাহর দাদী নাতনীর প্রেমে অন্ধ হয়ে সব আবদার পূরন করতে লাগে সব কিছু বলার আগেই তা হাজির করে দিতো !
এমনই চলতে লাগে আস্তে আস্তে সুবাহ নিদ্রা বড় হতে লাগে তারা একই ভার্সিটিতে এডমিশন নেয় ।কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যে তেমন ভালো সম্পর্শ ছিলোনা সুবাহ নিদ্রাকে আপন ভেবে তাকে কাছে টানতে চাইলে নিদ্রা তাকে অপমান করে দূরে সরিয়ে দিতো তাই সুবাহ ও তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে শুরু করে ।
ভার্সিটির প্রথম দিন সুবাহ জান্নাতের সাথে ভার্সিটিতে যায় আর পাচঁটা দিনের মতই সেদিন ছিলো তার কাছে কিন্তু কে জানতো ভালোবাসা নামক ঝড়টা তার মনে এভাবে সাড়া দিবে !
জান্নাত অন্য ডিপার্টমেন্টের হওয়ায় ক্লাস শেষে কেম্পাস মাঠে তার জন্য অপেক্ষা করছিলো ।হঠাৎ কানে কানে গিটারের সুরের বেসে আসতে লাগে সুবাহ এই সুরটা শুনতেই মনের মাঝে কেমন যানো উঠাল পাথাল করে দিচ্ছে খুব চেনা এই সুর টা কিন্তু তা কোথায় শুনেছে তা ধরতে পারছেনা ।না চাইতেও সেদিকে ছুটে চলে সুবাহ সামনে যেয়ে দেখে বেশ ভিড় জমে আছে ।মাঝে কেউ বসে গিটার বাজাচ্ছে চারিদিকে সবাই তাকে ঘিরে আছে !
সুবাহ আস্তে আস্তে ভিড় ঠেলে ভিতরে ডুকতে লাগে ।ভিতরে ডুকে ছেলেটাকে দেখে পুরো থমকিয়ে যায় !
ঠিক কতটা সুন্দর হলে কোন মেয়ে কোন ছেলেকে দেখে এভাবে থমকিয়ে যেতে পারে তা হয়তো সুবাহ র জানা ছিলো না !
সুবাহ হার্ড বিট দ্রুত চলতে লাগে তার কখনো কোন ছেলে কে দেখে এমন অনুভূতি হয়নি সে তো ছেলেদের দিকে তাকায়না পর্যন্ত কিন্তু তাকে দেখে যেন থমকিয়ে গেছে ।গায়ের রং ফরসা চুল গুলো স্টাইল করে ব্রাশ করা তার সমুদ্রের মত গভীর চোখ গুলো তে তাকিয়ে যে কোন মেয়ে সারাজিবন কাটিয়ে দিতে পারবে ।ঠোটেঁ মৃদ্যু হাসি আর তার মাঝে সব চেয়ে আকর্ষনীয় হল তার বাম গালের মাঝ বরাবরের তিল আর নিচের ঠোঁটের তিল !
গানের প্রত্যেকটা সুরের সাথে তার এক্সপ্রেইশন ও সেম !
ছেলেটি গিটারে বাজাতে বাজাতে গান গাইতে লাগে

“ভিতর ও বাহির অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে

ভিতর ও বাহির অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে………

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম
পাপড়ির আবডালো ফসলের ঘুম

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম
পাপড়ির আবডালো ফসলের ঘুম

তেমনি তোমার নিবিড় চলা……..

তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরনের মূল পথ ধরে……

আমার ভিতর ও বাহির অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে

আমার ভিতর ও বাহির অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে …………

সুবাহ চোখ বন্ধ করে গানটা শুনতে লাগে গানের প্রত্যেকটা সুর প্রত্যেকটা কথা তার শরীরের লোম দাড় করিয়ে দিয়েছে এক অজানা শিহরন ভালোলাগা তৈরী করে দিয়েছে …….

চলবে……
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে