? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৩

0
892

? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৩

Urme prema (sajiana monir)

সকালে সুবাহ ঘুম থেকে উঠে দেখে সে বেডে ঠিক ভাবে শুয়ে আছে ।চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসে চারদিকে তাকাতে লাগে আরোশকে খুজতে লাগে কিন্তু পুরো রুমে কোথাও আরোশ নেই পুরো রুম খালি !
সুবাহ বেডে থেকে উঠে আয়নার সামনে দাড়িয়ে এক এক করে নিজের গহনা গুলো খুলতে লাগে ।কাল রাতে ‌কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো তা তার জানাই ছিলো না এই গহনা গুলো নিয়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলো !
হঠাৎ পিছন থেকে কারো ডাকার মধ্যে পিছন ঘুরে সুবাহ !
পিছনে ঘুরে দেখে আরোশের কাজিন মায়া দাড়িয়ে আছে হাতে কিছু কাপড় !
নিদ্রা আর আরোশের বিয়ের কথাবর্তা যখন পাকারাকি করা হয়েছিল তখন মায়ার সাথে সুবাহর পরিচয় হয়েছিলো
সুবাহ মায়াকে দেখে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলতে লাগে
“আরে মায়া আসো ভিতরে আসো ।
দরজার বাহিরে দাড়িয়ে আছো কেন ?”
মায়া মুচকি হেসে ভিতরে ডুকে বলতে লাগে
“নতুন ভাবি আসলে এগুলো খালামনি তোমাকে দিয়েছে বলেছে ফ্রেশ হয়ে এগুলো পড়ে নিতে !”
সুবাহ মুচকি হেসে মাথা দুলায় ।মায়া বলতে লাগে
“ভাবি আমি না হয় এখন আসি তুমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো ব্রেকফাস্ট করে যাও !”
সুবাহ উত্তরে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলতে লাগে
“আমি এখনি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসছি “
মায়া চলে যায় সুবাহ শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে যায় ।

অন্যদিকে আরোশ মাত্র জগিং করে বাড়িতে ফিরতেই দেখে ড্রইং রুমে সবাই বসে আছে আর সবার চেহারায়ও বেশ চিন্তার ছায়া ।আরোশ কে বাড়িতে ডুকতে দেখে তার বাবা তাকে নিজের কাছে ডাকে আরোশও তার বাবার পাশে বসে জুস খেতে লাগে ।সবাই আরোশের দিকে তাকিয়ে আছে তাকে এতটা টেন্স্যানফ্রি দেখে ।আরোশের বাবা বলতে লাগে
“আরোশ সত্যি আমি অবাক হচ্ছি কাল থেকে তোমার আচরনে !
কাল এতো কিছু হওয়ার পর ও তুমি এতোটা রিলেক্স মুডে কি করে আছো ?”
আরোশ জুসটা এক নিশ্বাসে শেষ করে বলতে লাগে
“এতোটা টেন্স্যান কি আছে আব্বু !
যা হবার তা হয়ে গেছে !
আমার বিয়ে হবার কথা ছিলো তা হয়েছে সেই একই বাড়ি তে শুধু কনে চেন্স আর তো কিছুনা !”
আরোশের বাবা রেগে বলতে লাগে
“এটা তোমার সাধারন ব্যাপার মনে হয়ে ?
তোমার যদি সুবাহ কে আগের থেকে পছন্দ ছিলো তাহলে তুমি কেন নিদ্রার জন্য আমাদেরকে বিয়ের প্রোপোজাল নিয়ে যেতে বললে ?
নিদ্রা মেয়েটার কেন জীবন নষ্ট করলে ?
তোমরা দুজন দুজনকে পছন্দ কর তা আমাদের আগে বললেই পারতে তাহলে আমরা সুবাহর জন্য বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে যেতাম !
মাঝে দিয়ে তোমাদের দুজনের জন্য নিদ্রার জিবন টা শুধু শুধু নষ্ট হলো !”
আরোশের খালা মুখ ভেঙচি দিয়ে বলতে লাগে
“বুঝি না ঐ বাড়ির মেয়েরা আমাদের ছেলেটাকে কি যাদু করেছে যে ঐ বাড়ির মেয়ে ছাড়া অন্যকোন মেয়েদের দিকে নজর যায়না !
বলি কি দুনিয়াতে কি মেয়ের অভাব ছিলো যে ঐ বাড়িতেই বিয়েটা করতে হলো !
এক বোন মডেলিং আর আর একজন চরিত্রহীন যে নিজের বিয়ের দিন বোনের হবু স্বামীর সাথে পালিয়ে বিয়ে করে ।
আমাদের ছেলের মাথা টা শেষ করে দিলো ঐ বাড়ির মেয়েরা !”
আরোশ তার খালার দিকে চোখ বাকাঁ করে তাকিয়ে বলতে লাগে
“সুবাহ এখন আমার বউ ওর ব্যপারে কেউ আজেবাজে কথা বললে আমি তা সয্য করবোনা !
অন্যকাউকে আমার বউয়ের ব্যপারে কথা বলতে হবে না !
আর আমার বউকে নিয়ে মাথা না ঘামালেই আমি খুশি হবো !
আর আপনাদের যদি আমার বউ কে নিয়ে প্রবলেম হয় তাহলে বলে দিন আমি তাকে নিয়ে অন্য কোথাও সিফ্ট হয়ে যাবো ।
আর আরেকটা কথা নিদ্রার জীবন নষ্ট হয়নি তার জীবন নষ্ট হওয়ার থেকে বেচেঁ গেছে ।”
বলেই আরোশ নিজের রুমে চলে যায় ।এদিকে সবাই আরোশের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ।আরোশের বাবা মা জানে আরোশ ছোট থেকেই বেপরোয়া জেদি যা বলে তাই করে কিন্তু তারা এটাও জানে আরোশ কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিবে না কখনো কারো সাথে অন্যায় হতে দিবেনা !
তার প্রত্যেকটা পদক্ষেপের পিছনে কোন না কোন কারন থাকে ।

আরোশ দরজা ঠেলে রুমে ডুকতেই হঠাৎ তার মুখে কয়েক ফোটা পানির ছিটা এসে পড়ে আরোশ সাথে সাথে চোখ বুঝে ফেলে ।আরোশ আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে সুবাহ তার ভেজা চুল গুলো ঝাড়ছে পড়নে টকটকে লাল শাড়ি ব্লাউজের পিঠ বড় হওয়ায় পিঠ দেখা যাচ্ছে পিঠে চুল থেকে ঝরে পড়া বিন্দু বিন্দু পানি গুলো সুবাহর ফরসা পিঠে লেগে আছে পুরো মুক্তার মত লাগছে !
জানালা দিয়ে বাহিরের রোদের কিরনটা একদম সুবাহ র মুখেমখি পড়ছে একদম অন্যরকম সুন্দর্য বিরাজ করছে !
‌তাকে বেশ মায়াবী লাগছে কেমন যেন এক নেশা আরোশকে টানছে !
আরোশ ইচ্ছা করেও নিজেকে আটকাতে পারছেনা সব কিছু যেন তার আয়ত্বের বাহিরে চলে গেছে কোন মায়াজালে বাধাঁ পড়ে গেছে আরোশ !
আরোশ এক পা এক পা করে সুবাহ র দিকে আগাতে লাগে ।অন্যদিকে সুবাহ বেখেয়ালি হয়ে নিজের চুল ঝাড়ছে হঠাৎ পিছন থেকে কেউ তার শাড়ির ভাজের মধ্যে দিয়ে কেউ তার কমোড় জরিয়ে ধরতেই ভয়ে সে লাফিয়ে উঠে !
কিন্তু যখন পিছনে থাকা বেক্তি তার কাধেঁ নিজের ঠোঁট ছোয়ায় তখন তার বুঝতে বাকি রইলো না কে সে তাই কিছুটা স্থির নিশ্বাস ফেলে কিন্তু তার মনের অস্থিরতা এখনো কমছেনা কারন আরোশের এভাবে তাকে জরিয়ে ধরাটা তার মাঝে অস্থিরতা তৈরী করছে ।তাকে ভিতর থেকে তোলপাড় করে দিচ্ছে আরোশের স্পর্শগুলো ।আরোশের ঠোঁটের স্পর্শগুলো আস্তে আস্তে গভীর হতে লাগছে আরোশের স্পর্শ যতটা গভীর হচ্ছে সুবাহ র অস্থিরতা ঠি ক ততটাই প্রবল হচ্ছে ।
সুবাহ বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে হঠাৎ আরোশ সুবাহ কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয় ।নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখে সুবাহ চোখ বুঝে আছে বেশ কিছু সময় সুবাহ র দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ তাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে চলে যায় ।সুবাহ হা হয়ে আরোশের এমন ব্যবহারে তাকিয়ে থাকে !
হয়তো আরোশ রেগে তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে !
আবার হয়তো বুকে জমে থাকা এত সময়ের অভিমানের কারনে কাছে টানতে পারেনি !
আরোশ নিজে থেকে তাকে কাছে টেনে আবার নিজেই তাকে এভাবে দূরে সরিয়ে দেওয়াতে সে বেশ অপমানবোধ করে কিন্তু তারপর আরোশের পরিস্থিতীটা বিবেচনা করে তা স্বাভাবীক ভাবে নেয় !কারন দোষ টা তারই ছিলো সে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছে আরোশকে !
আরোশের তার প্রতি এই রাগ অভিমান জিদ করাটা জায়েজ আছে কারন সে খুব বেশি অন্যায় করেছে আরোশের প্রতি !
তাকে সত্যি থেকে আড়াল করেছে কিন্তু তাকে কখনো ঠকাতে চায়নি পরিস্থিতীটা এমন ছিলো তাকে সব বাদ্ধ হয়ে করতে হয়েছে নিজেকে আড়াল করতে হয়েছে তার থেকে ।
সে সব করতে বাদ্ধ ছিলো !
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ কারো ডাকে তার ধ্যান ভাঙ্গে পিছনে তাকিয়ে দেখে আরোশের মা দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে হাতে কিছু ব্যাগ ।
সুবাহ আরোশের মাকে দেখে মুচকি হেসে সালাম দেয় আরোশের মা সালামের উত্তর নিয়ে বলতে লাগে
“এখানে কিছু শাড়ি আর জুয়েলারি আছে কালকের reception এর জন্য ও ড্রেস আছে ।
আর হ্যা আমি ব্রেকফাস্ট পাঠিয়ে দিচ্ছি মায়া কে দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিও ।”
আরোশের মায়ের কথায় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি সুবাহ র উপর কিছুটা রেগে আছে ।আরোশের মা যেতে নিলে সুবাহ পিছন থেকে তার হাত আটকিয়ে ধরে ।ছলছল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে
“আন্টি আপনি কি আমার উপর রেগে আছেন ?
আন্টি বিশ্বাস করুন আমি এসবের কিছুই জানতাম না ..”
আরোশের মা সুবাহ কে থামিয়ে বলতে লাগে
“সুবাহ তুমি আর আরোশ একে অপরকে ভালোবাসো তা যদি আমাকে আরো আগে জানাতে তাহলে সব কিছু এতটা অগোছালো হতো না সমাজে সবার সামনে সবাইকে ছোট হতে হতো না !
প্রথম থেকেই তুমি আমার পছন্দের ছিলে নিদ্রা থেকে বেশি আমার কাছে তুমি পছন্দের ছিলে ।আমি তোমাকে প্রথম দেখে আমার ছেলের বউ করে আনতে চাইছিলাম আমার নিদ্রা থেকে তোমাকে বেশি পছন্দ ছিলো !
তোমরা আমাকে একবার বললেই পারতে আমি সব ঠি ক করতাম তা না করে তোমরা এত বড় একটা স্টেপ নিলে যা দুই পরিবারের মানসম্মানের উপর প্রভাব পড়লো ।
আমার কাছে তুমি অন্যরকম ছিলে আমার মেয়ের মত অন্ততো তোমার থেকে এমনটা আশা করিনি !”
সুবাহ কান্না করতে করতে বলতে লাগে
“আন্টি সত্যি আমি এমন কিছু করতে চাইনি আরোশ …”
আরোশের মা সুবাহ কে থামিয়ে বলতে লাগে
“যা হবার তা হয়ে গেছে তা নিয়ে এখন আর ভাবতে হবে না তা বলেও লাভ নেই ।আমি চাই তুমি সবকিছু নতুন করে শুরু করো সবার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেও ।
যদিও সবাই এখন একটু রেগে আছে কিন্তু আমার বিশ্বাস তুমি ঠিকই সবার মন জয় করে নিবে !”
এসব বলে সুবাহ র মাথায় হাত বুলিয়ে আরোশের মা চলে যায় ।

সারাদিন নিজের রুমে একা বসেই কাটিয়ে দেয় আরোশকেও সকালের সেই ঘটনার পর আর দেখেনি ।বিকাল দিকে মায়ার সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটায় ।
রাত ১০ টার দিকে আরোশ বাড়ি ফিরে নিজের রুমে এসে দেখে সুবাহ নেই পুরো রুম অন্ধকার তা দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায় আরোশ ।তার মনে একটা ভয় কাজ করে
আবার সুবাহ তাকে ছেড়ে চলে যায়নি তো ?
সুবাহকে আসে পাশে খুঁজতে লাগে রুমে বারান্ধায় ওয়াশরুমে না পেয়ে তারাতারি করে নিচে যেয়ে খুজতেঁ লাগে ।নিচে যেয়ে হঠাৎ বাড়ির পিছন দিকে বাগানে হাসির শব্দ পায় আরোশ তারাতারি করে সেদিকে যায় যেয়ে দেখে আরোশের কাজিনরা সুবাহ কে ঘিরে বসে আছে তারা হাসি ঠাট্টা করছে সুবাহ তাদের মাঝে বসে আছে টুকটাক কথা বলছে ।আরোশ সুবাহ কে দেখে স্থির একটা নিশ্বাস নেয় ।
সুবাহ দেখার আগেই সেখান থেকে সরে যায় রুমে যেয়ে গাঁ এলিয়ে দেয় আজ সারাদিন বেশ বেস্ত ছিলো কাল রিসেপশন তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়েছে তাছাড়া সুবাহর আসে পাশে থাকলে সে নিজেকে সুবাহ র আড়াল করতে পারে না ।বারে বারে সুবাহ র কাছে চলে যায় কোন এক আকর্ষন শক্তি তাকে তার দিকে টানে ।
নিজের মনের উপর কন্ট্রোল হারায় আবার তার থেকে দূরে ও থাকতে পারছেনা ।তার কাছে গেলে তার আঘাত গুলো বার বার মনে পড়ে তার মিথ্যা ছলনা গুলো মনে পড়ে যায় ।আরোশ কি করবে তা সে নিজেও বুঝছেনা কোন এক অদৃশ্য যন্ত্রনা তাকে ঘ্রাশ করছে ।
রাত ১১ টার দিকে সুবাহ রুমে এসে দেখে আরোশ বেডে শুয়ে আছে কপালে একহাত পুরো রুম অন্ধকার সুবাহ তা দেখে কোন শব্দ ছাড়া দরজা লক করে আস্তে আস্তে আলতো পায়ে রুমে ডুকে তারপর ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে আরোশের পাশের থেকে বালিশ নিয়ে সোফার দিকে পা বাড়ায় ঘুমানোর জন্য ।
হঠাৎ পিছন থেকে আরোশের গম্ভির কন্ঠে থেমে যায় ।আরোশ আগের মতই একই অবস্থায় বলতে লাগে
“চুপচাপ এখানে আমার পাশে শুয়ে পড়ো !
এখানে কোন সিরিয়াল চলছে না যে হিরোইনদের মত সোফায় গিয়ে ঘুমাবে ।
সুবাহ আর কোন কথা বাড়ায় না চুপচাপ বেডের এক কোনায় আরোশের থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে শুয়ে পড়ে ।সকালের বেপারটা নিয়ে এমনিতেই আরোশ হয়তো তার উপর বেশ রেগে আছে এখন যদি টাচ লাগে তাহলে হয়তো তাকে চিবিয়েই খেয়ে ফেলবে !
এসব ভাবতে ভাবতেই সুবাহ ঘুমিয়ে পরে ।সুবাহ ঘুমিয়ে পড়ার পরই আরোশ সুবাহর কাছে এসে তাকে বেশ কিছু সময় দেখতে লাগে তারপর সুবাহকে আরোশ নিজের বুকের মাঝে গভীর ভাবে জরিয়ে ধরে সুবাহ ও ঘুমের ঘোরে আরোশের সাথে গভীর ভাবে মিশে যায় হয়তো এতো সময় ধরে এমনই একটা আশ্রয় খুজঁছিলো যা সে পেয়ে গেছে ।এতো সময় ধরে তার বুকে কেমন জানো অশান্তি লাগছিল চোখে ঘুম আসছিল না কিন্তু এখন এক শান্তি বিরাজ করছে ।সে যতই সুবাহ র উপর রাগ দেখাক অভিমান করুক ভালো তো তাকেই বাসে ।আরোশ সুবাহর বুকে জরিয়ে রেখে গভীর ভাবে তাকে নিজের সাথে জরিয়ে নেয় হয়তো এখন একটু শান্তিতে ঘুম আসবে ।………

চলবে……..
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে