মনোহর পর্ব-২৪ এবং শেষ পর্ব

0
1445

#মনোহরা
#অন্তিম পর্ব
#লেখিকাঃনির্মলা

কথা বলেই অহনা আমার কাছে এসে আমাকে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলো আর বলল
অহনাঃ ও কি বলেছে জানো ভাবি
আমি অহনাকে ছাড়িয়ে তার দুই বাহু ধরে অহনার দিকে তাকিয়ে বললাম
ইশাঃকি বলেছে তোমাকে ভাইয়া?
অহনাঃ ও ও বলেছে আমি যেনো ওই ছেলেটাকে বিয়ে করে ফেলি (কান্না করতে করতে বলল)
ইশাঃ………….. চুপ
ইশা কি বলবে বুঝতে পাচ্ছে না। কারন তার ভাইয়া তো তাকে এই একই কথা বলেছে।
অহনাঃ তোমাকে ও তো এটা বলেছে তাই না???
অহনা কথা গুলো বলছে হেচকি তুলছে। এসব কথা বলতে যেনো অহনার খুব কষ্ট হচ্ছে ইশা সেটা বুঝতে পারছে।তাই ইশা অহনার চোখের জল মুছিয়ে দিতে দিতে বলে উঠলো
ইশাঃ অহনা তুমি কান্না করো না কাল আমি তোমার ভাইয়ার সাথে কথা বলবো তোমার আর জিসান ভাইয়ার ব্যাপারে।
অহনাঃ নাহ্ (জোরে বলে উঠলো)
ইশাঃ কেনো অহনা তোমার ভাইয়াকে বললে সে হয় তো কিছু করতে পারবে।
অহনা চোখ মুছতে মুছতে কঠর কন্ঠে বলল
অহনাঃ তার আর দরকার নেই ভাবি। আমি চাইনা জিসানকে এই বিষয় নিয়ে জোর করতে। কারন ভালোবাসা জোর করে হয় না । আমি সেটা আজ জিসানের কথায় বুঝতে পেড়েছি। তুমি হয়তো জানো না ও কিন্তু আমার সাথে প্রেম করতেই চাই নি।আমি ওকে এক প্রকার জোর করেছি মরার ভয় দেখিয়েছি।ভেবেছিলাম এগুলো করলে হয়তো ও আমার ভালোবাসাটা বুঝবে।আর ধিরে ধিরে আমাকে ভালোবাসবে।তবে সেটা আমার ভূল ধারনা ছিলো।
ইশা অবাক হয়ে অহনার কথা গুলো শুনছে।
অহনাঃ ভালোই হয়েছে ও আমাকে মেসেজ করে বলেদিয়েছে।যদি না বলতে হয় তো আমার আরো খারাপ লাগতো হয়তো আমি মরে যেতাম।
বলেই অহনা আবারও কান্না করে দিলো। আমি অহনার কথা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম আর বললাম
ইশাঃ কি বলছো তুমি,, এসব কথা কখনও মাথায় আনবে না।

অহনাঃ না আর আনবো না।আর হ্যাঁ তুমি জিসানকে বলে দিও আমি বিয়েটা করবো।ও যদি আমাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারে তাহলে আমি কেনো পারবো না।

বলেই হাসি মুখে তাকালো আমার দিকে।কিন্তু এই হাসির পিছনে তার মনের মধ্যে কতটা কষ্ট লুকিয়ে আছে সেটা আমি বুঝতে পারছি।কারন অহনা হাসছে ঠিকিই তবে তার চোখের থেকে জল পড়া কমছে না।অহনাকে এভাবে দেখে আমিও নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারলা না। অহনা সেটা দেখে আমার চোখের জল মুছিয়ে দিতে দিতে বলল
অহনাঃ ধুর পাগল কান্না করছো কেনো। আরে নাইবা হলাম তোমার ভাবি। কিন্তু তোমাকে তো আমার ভাবি হিসেবে পয়েছি।
আমি অহনাকে জোরিয়ে ধরে বললাম
ইশাঃsorry অহনা আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারলাম না
এটা বলতেই অহনা শব্দ করে কান্না করে দিলো।নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে আজ আমারই ভাইয়ের জন্য অহনার এমন অবস্থা। মনে মনে ভাবতে লাগলাম কেনো করলে ভাইয়া।এমন একটা মিষ্টি মেয়ের সাথে।

অহনাকে ঘুম পড়িয়ে রুমের দরজা খুলতেই দেখি শান বিছানায় বসে আছে। আমি রুমে ঢুকতেই সে বলে উঠলো
শানঃ এত সময় তুমি অহনার ঘরে কি করছিলে।একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখো তো কয়টা বাজে।
উনার কথায় আমি ঘড়ির দিকে দেখলাম প্রায় ১ টা বাজে।উনি আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার মুখটা তারদিকে ঘুরিয়ে বলল
শানঃ কি হয়েছে তোমার মুখটা এমন করে রেখেছো কেনো কিছু হয়েছে।
উনার মুখ থেকে এমন কথা শুনে আমি উনাকে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।কেনো জানি না অহনা আর জিসান ভাইয়াকে আলাদা হয়ে যেতে দেখে।উনাকে হারাবার ভয় আমার মাথায় চেপে বসেছে।আমি জানি উনি হয়তো আমাকে ছেড়ে কখনও যাবেন না তবে মন জেনো মানছে না আজ।কান্না জোরিত গলায় বললাম
ইশাঃ আপনি please আমাকে ছেড়ে কখনও কোথাও যাবে না।
উনি আমাকে এভাবে কান্না করতে দেখে অবাক হয়ে গেলো আর বলল
শানঃ কি হয়েছে তোমার এভাবে কান্না করছো কেনো
আমি উনাকে ছেড়ে দিয়ে উনার গাল দুটো আমার দুই হাত দিয়ে ধরে বলে উঠলাম
ইশাঃ আগে বলুন ছেড়ে যাবেন না।
শানঃ কি বলছো তুমি ইশা কি হয়েছে তোমার এমন অদ্ভুত ব্যাবহার করছো কেনো।
ইশা কিছুই বিরক্তি নিয়ে শানের গাল থেকে হাত সরিয়ে বলল
ইশাঃ আপনাকে যেটা বলছি সেটার উওর দিন
শান ইশার এমন বিরক্তি ভাবদেখে ওর গালে হাত রেখে বলল
শানঃ আরে বাবা আমি আমার ইশা পাখিকে ছেড়ে কোথায় যাবো।
শানের মুখ থেকে ইশা এমন কথা শুনে ইশা শানকে আবার জোরিয়ে ধরে বলল
ইশাঃ আমি ও আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।

শান ইশার এমন ব্যাবহার দেখে কিছুটা অবাক হলো তবে এটা ভেবে তার ভালো লাগলো যে ইশা তাকে ছেড়ে না যাবার কথা বলছে। সেও ইশাকে তার পরম আবেশে জোরিয়ে ধরলো।

৫ বছর পর…………..

আজ শান আর ইশার মেয়ে শাফীয়ার জন্ম দিন।শান আদর করে তার মেয়েকে পরি বলে ডাকে। তার জন্য পুরো পরিবারই মেযেকে পরি বলে ডাকে। তাদের মেয়ের আজ ৪ বছর পূর্ন হলো।আজ একটা birthday party আয়োজন করছে ।পার্টিতে আজ সবাই আসবে।ইশার বাপের বাড়ির থেকে তার মা বাবা এসেছে ২ দিন আগেই।শান নিচে party আয়োজন দেখছে সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে কি না বাড়িতে এত কাজের লোক থাকা সত্বেও সে নিজে করছে। কারন তার আদরের মেয়ে পরির জন্মদিনে সে চায়না কোন কিছু ত্রুটি থাকুক। তাই সবটা সে একা দেখছে।আর এদিকে ইশা তার মেয়ের জন্য নিজের হাতে কেক তৈরি করেছে। কেক তৈরি করতে গিয়ে ইশার অস্থা নাজেহাল তবু সে চায় আজ তার মেয়ে তার নিজের হাতের তৈরি কেক কাটুক। শান খেয়াল করলো লোকজন আশা আরম্ভ করেছে। তাই সে সব কাজ লোকদের বুঝিয়ে দিয়ে দ্রুত পায়ে রান্না ঘরের দিকে গেলো। গিয়ে দেখলো ইশা কেক বানাতে গিয়ে কেকের ক্রিম তার সারা মুখে লেখে আছে। শান পাশের টেবিল থেকে টিস্যু বক্স থেকে একটা টিস্যু হাতে নিয়ে ইশার কাছে গিয়ে ইশার গালটা তার হাত দিয়ে ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে উঠলো
শানঃ ক্রিম কি কেকে লাগচ্ছো নাকি নিজের গালে
শানের মুখ থেকে এমন কথা শুনে ইশার তার গালে হাত দিতে গেলেই শান ইসারা দিয়ে ইশাকে হাত দিতে বারন করে। তারপর শানের হাতে থাকা টিস্যু দিয়ে ইশার গালটা মুছিয়ে দিতে দিতে বলে
শানঃ পরিকে রেড়ি করানো হয়েছে।
ইশাঃ আমি রেড়ি করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু অহনা বললো ভাবি তুমি কেক রেড়ি করো আমি পরিকে রেড়ি করিয়ে দিচ্ছি।জানো আমি কতবার বললাম।এমন (প্রেগনেন্ট) অবস্থায় তোমার উচিত রেস্ট নেওয়া তা তোমার বোন বলল কি জানো
শান মুচকি হাসি দিয়ে টিস্যু টা ফেলে দিয়ে বলল
শানঃ কি বলল???
ইশাঃ বলল না আমি পরিকে রেড়ি করাবো তুমি তোমার কাজে যাও।তাই আমিও কেক বানাতে চলে এলাম।
শানঃ ও আচ্ছা তো আপনার কেক বানানো হলো
ইশাঃ হ্যাঁ হয়ে গেছে দেখোতো কেমন হয়েছে
শান ইশার কেকের দিকে তাকিয়ে বলল
শানঃ খুব সুন্দর হয়েছে
ইশাঃ thanks
শানঃ আচ্ছা তো এখন কি পরির মা রেড়ি হবে নাকি আমি রেড়ি করিয়ে দেবো।

কথাটা শোন মাএ ইশার চোখদুটো বড় হয়ে গেলো। সে শানকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলল
ইশাঃ অসভ্য লোক কোথাকার।
বলেই ইশা সেখান থেকে রুমে চলে গেলো।আর শান ইশাকে এভাবে রেগে যেতে দেখে সেখানে দাড়িয়ে হাসতে লাগলো।

ইশা তাদের রুমে গিয়ে দরজা খুলতেই পুরো হা হয়ে গেলো কারন তার সামনে তার মেয়ে পরি একটা নীল রং এর ড্রেস পড়ে দাড়িয়ে আছে।তাকে পুরো নীল পরিদের মহন লাগছিলোম।ইশাকে রুমে ঢুকতে দেখে পরি দৌড়ে তার মাকে জোরিয়ে ধরলো।ইশা তার মেয়ের সামনে বসে দুই গালে দুইটা চুমু একে দিলো।তারপর অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
ইশাঃ অহনা তুমি তো আমার মেয়েটাকে পুরো পরিদের মতন সাজিয়েছো।
অহনা আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে ইশার কাছে এসে বলল
অহনাঃ আমাদের শাফীয়া তো এমনিতেই পরির মতন সুন্দর তাকে আবার সাজানো লাগে নাকি
তখনই পরি আধো আধো কন্ঠে বলল
পরিঃ মাম্মা পাপার কাতে যাবো
ইশাঃ যাবো তো মাম্মা আগে আমি একটু রেড়ি হয়ে আসি।
পরিঃহুম
ইশাঃ অহনা অয়ন আসবে না
অহনাঃ হ্যাঁ ভাবি আসবে।একটু আগে ফোন করেছিলো গাড়িতে আছে চলে আসবে।
ইশাঃ ও আচ্ছা,,,তুমি তাহলে রুমে গিয়ে বিশ্রাম করো।
অহনাঃ না গো ভাবি এখন আর বিশ্রাম করবো না। এমনিতেও সারাদিন ওই বিছানাতেই আমার দিন কাটে।আজ please যেতে বলো না।
ইশাঃ আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে তুমি একটু পরিকে নিয়ে বসো আমি চেঞ্জ করে আসছি
অহনাঃ হুম
বলেই ইশা চলে গেলো

সন্ধ্যায় খুব সুন্দর ভাবে কেক কাটার আয়োজন শেষ করলো। মেহমানরা খেয়ে দেয়ে চলে গেছে।ইশার মা, বাবা, অহনা,অয়ন, শান শানের মা, বাবা, সবাই মিলে গল্প করছিলো। পরি তার মায়ের সাথে রুমে গেছে। ঠিক তখনই বাড়ির কলিং বেল বেজে উঠলো। শান এগিয়ে গিয়ে দরজাটা খুলতেই দেখলো। জিসান দাড়িয়ে আছে হাতে তার বড় টেডিবিয়ার। শান হাসি মুখে দরজার কাছ থেকে সরে গিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল
শানঃ নেও এখন আশার সময় হলো পরির মামার।
জিসান হাসি মুখ নিয়ে ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল
জিসানঃ আরে আমার মতন একদিন অন্যের অধিনে কাজ করে দেখো তারপর বলো
বলেই জিসান সামনে তাকাতেই দেখলো অহনা তার দিকে তাকিয়ে আছে।অহনার এমন চাওনি
জিসানকে বলে দিচ্ছে তুমি যা চেয়েছো তাই হয়েছে জিসান। হঠাৎ জিসানের চোখ গেলো অহনার পেটের দিকে। একদিন জিসানকে অহনা বলেছিলো বিয়ের পরপরই বাচ্চা নিবো আমরা। জিসান সেদিন অহনা কথাটা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলো।সেদিনের কথা ভেবেই জিসান একটা দীর্ঘ নিশ্বাস নিলো।ঠিক তখনই শান জিসানের কাধে হাত রেখে বলল
শানঃ কি রে এখানেই দাড়িয়ে থাকবি নাকি ভিতরে নিজের ভাগনির সাথে দেখা করবি
জিসানঃ চল
বলেই তারা দুজন এগিয়ে গেলো শান জিসানকে বসতে বলে তার রুমে গেলো। জিসান সামনে তাকাতেই খেয়াল করলো অহনার পাশে যে লোকটা বসা সে অহনার হাতে হাত রেখে বসে আছে।জিসানের বুঝতে দেড়ি হলো না এটা অহনার husband। অহনার থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে জিসান সবার সাথে কথা বলতে লাগলো।

শান রুমে গিয়ে দেখে পরি আর ইশা দুজনে ঘুমাচ্ছে।শান ইশার কাছে গিয়ে ইশাকে ডাকতে লাগলো
শানঃ ইশা!!!
মেয়েকে ঘুম পড়াতে পড়াতে নিজের ও চোখ লেগে এসেছিলো।হঠাৎ শানের গলার আওয়াজ পেয়ে আমি বলে উঠলাম
ইশাঃ হুম কিছু বলবে
শানঃ আরে ওঠো দেখো নিচে কে এসেছে
আমি কোন রকম উঠে বসে বললাম
ইশাঃ কে এসেছে
শানঃ পরির মামা
ভাইয়ার কথা শুনে আমার চোখের ঘুম উড়ে গেলো। কারন অহনাও তো এ বাড়িতে আছে আমি দ্রুত বিছানা ছেড়ে নেমে উনার সামনে গিয়ে বললাম
ইশাঃ কো….. কোথায় (একটু তুতলিয়ে)
শানঃ নেও ভায়ের কথা শুনে চোখের ঘুম উধাও হয়ে গেলো।
ইশাঃ আহ্ কোথায় সেটা বলেন
শানঃ আরে বাবা নিচে
ওহ বলেই ইশা যেতে নিলেই দেখলো অহনা আর জিসান তাদের রুমে ঢুকছে ইশা দুজনকে এক সাথে দেখে কিছুটা অবাক হলো ইশা ঠিক তখনই শান বলে উঠলো
শানঃ ওই তো চলে এসেছে তোমার ভাই
অহনাঃ ভাইয়া মা তোকে নিচে ডাকছে।
শানঃ আচ্ছা, ঠিকাছে তোরা গল্প কর আমি যাচ্ছি।
বলেই শান সেখান থেকে চলে গেলো।পরিবেশটা খুব থমথমে তখনই অহনা বলে উঠলো
অহনাঃ ভাবি তোমরা গল্প করো আমি যাচ্ছি।
কথাটা বলেই অহনা চলে যেতে নিলেই জিসান বলে উঠলো
জিসানঃ কেমন আছো অহনা????
জিসানের মুখ থেকে এমন কথা শুনে অহনা পা থেমে গেলো। সে জিসানের দিকে ফিরে স্বাভাবিক ভাবে বলে উঠলো
অহনাঃ ভালো আছি, তুমি কেমন আছো??
জিসানঃ হুম ভালো,,, চলে যাচ্ছো কেনো বসো
অহনাঃ না
জিসানঃ কেনো তোমার husband বুঝি রাগ করবে এখানে থাকলে।
অহনাঃ ও এমনা ও খুব ভালো।
জিসানঃ সে তো দেখলাম কিভাবে তোমার হাত ধরে ছিলো। খুব ভালোবাসে বুঝি ও তোমাকে???
অহনা জিসানের এমন কথায় উওর দিলো না জিসান আবার ও বলে উঠলো
জিসানঃ এটা কি তোমার সেকেন্ড বেবি
অহনাঃ না,,, প্রথম
জিসানঃ ও এতো দেড়িতে বেবি হলো যে। আগে তো সব সময় বলতে আমাদের…..
আর কিছু বলতে পারলো না জিসান থেমে গেলো।অহনা জিসানকে থেমে যেতে দেখে একটা তাছিল্লর হাসি দিয়ে বলল
অহনাঃ আসলে আমার ভাগ্যটা খুব খারাপ আমি যা চাই তার সবসময় উল্টোটাই পাই।
বলেই অহনার চোখের কোনে পানি চলে এলো।অহনা সেটা লুকানোর জন্য দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলো
এদিকে ইশা অহনা আর জিসানের কথা শুনে সেখানেই বাকরুদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলো।আর ভাবতে লাগলো জীবনটা খুবই অদ্ভুত সবাই সব কিছু পায় না ভেবেই একটা দীর্ঘ নিশ্বাস নিলো ইশা।

সমাপ্ত

[ভালো না লাগলে ইগ্নোর করুন। লেখায় ভূল হতে পারে বুঝে পড়বেন]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে