বিবাহ বিভ্রাট পর্ব-০৩

0
2887

#বিবাহ_বিভ্রাট(৩)
*******************
বড়ো খালা গিয়ে মা’কে কী বলেছে, জানি না; কিন্তু আমি গোসল সেরে বেরোতেই মা আমাকে বারান্দার কোনায় নিয়ে গিয়ে হিসহিসে গলায় বললেন, “আরোহী এখানে কী করছে?”

“আরোহী এখানে কী করছে মানে? আরোহী কী আজ প্রথম এল নাকি আমাদের বাসায়? ও তো যখন-তখনই এখানে আসে।”

“ওকে এখন যেতে বল।”

“কেন!”

“সমস্যা আছে।”

“কী সমস্যা?”

“তুই এত কথা বলছিস কেন? যা বলেছি, সেটা কর।”

“মা, আরোহী অপেক্ষা করে আছে আমাদের সঙ্গে একসাথে খাবে বলে আর তুমি বলছ, আমি ওকে এখন চলে যেতে বলব?”

“হ্যাঁ, বলবি।”

“মা সরো তো। বিরক্ত করো না।”

“তুই বলবি, নাকি আমিই ওকে যেতে বলব?”

“বড়ো খালা তোমার কাছে কী বলেছে আরহীর নামে?”

“সেসব তোর জানতে হবে না। বাড়িতে একটা ভালো কাজ হচ্ছে। এখন অবিবাহিত আরেক মেয়ে ঘরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করলে, ঝামেলা হবে।”

“কী ঝামেলা?”

“এত প্রশ্ন করিস কেন?”

“তুমি কী বলতে চাচ্ছ, সেটা না বুঝলে প্রশ্ন তো করবই।”

“কথা শোন জবা, আরোহীর এখন এখানে না থাকাই ভালো। কাল সকালে আসুক, সারাদিন থাকুক; কিন্তু এখন ওকে যেতেই হবে।”

“মা শোনো, আরোহী কোথাও যাবে না। ও এখানেই থাকবে। তুমি ওকে আর কখনও ঝামেলা বলবে না। খিদে পেয়েছে। খালাকে নিয়ে ডাইনিংয়ে এসো। আমি আরোহীকে নিয়ে আসছি।”

মা’র সঙ্গে কথা বাড়াতে ইচ্ছে করছে দেখে আমি আমার রুমে চলে এলাম। আরোহী মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে বলল, “খাচ্ছিস, তাই না?”

“কখন খেলাম! আমি তো মাত্র গোসল করে আসলাম। চল, খেতে চল।”

“ঐ খাওয়ার কথা বলিনি৷ আন্টির ঝাড়ি খাচ্ছিলি না? সত্যি কথা বল।”

হেসে বললাম, “জানিসই যখন, তখন আর জিজ্ঞেস করছিস কেন? এগুলো তো তোর গা-সওয়া হয়ে গেছে এতদিনে।”

“তা হয়ে গেছে। আমার তো নিজের কোনও জায়গা নেই। আমি তোর বাসাটাকেই আমার আপন জায়গা মনে করি রে। তাই আন্টি কিছু বললে, আমি গায়ে মাখি না। আমার ভাবনা তোকে নিয়ে। তুই না আবার আমাকে নিয়ে আন্টির সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দিস।”

“বাদ দে। খেতে চল।”

খাওয়ার টেবিলে কেউ কোনও কথা বলছে না। আরোহী থাকার কারণেই সবার এই মৌনতা। শুধু পলাশ গ্লাস-প্লেটের ঠোকাঠুকি করে নিজের বিরক্তির জানান দিয়ে যাচ্ছে। সে কিছুতেই মানতে পারছে না, তার বোনের বিয়ের পাত্র হিসেবে আর কিছুক্ষণ পর একজন বিবাহিত মানুষ আমাদের বাসায় আসবে।

———————-

বিকেলের আগেই আমাদের বাসা লোকজনে ভরে উঠল। ছোটো খালা, খালাতো ভাইবোনকে নিয়ে চলে এল। বড়ো খালার তিন ছেলেমেয়ে আর দুই মামার পরিবারও এসে হাজির। কেমন একটা উৎসব, উৎসব আমেজ তৈরি হয়ে গেল মুহূর্তেই। মামা-খালারা সবাই পাত্রকে নিয়ে কথা বলছে। মনে হচ্ছে এই পাত্রকে সবাই বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। বড়ো মামা রান্নাঘরে ঢুকে খাবার-দাবারের তদারকি করে গেলেন। আমার ভোজনরসিক বড়োমামার কথায় বোঝা গেল, শাহী খানাপিনার আয়োজন হয়নি দেখে, তিনি কিছুটা রুষ্ট হয়েছেন।

ছোটো খালা আমার রুমে এসে একটা শাড়ির বক্স এগিয়ে দিয়ে বলল, “জবা তুই এই শাড়িটা পর। তোকে খুব সুন্দর লাগবে।”

খালার হাত থেকে শাড়ির বক্সটা নিয়ে খুলে দেখি পাকা বেল রঙের একটা কমলা কাতান শাড়ি! একে তো আমি কখনোই কাতান শাড়ি পরিনি, তার ওপর এই চিটচিটে গরমে এই রঙের শাড়ি! আমি আঁতকে উঠে বললাম, “অসম্ভব। আমি এই শাড়ি পরব না। আমি তো শাড়িই পরব না।”

“ওমা, শাড়ি ছাড়া কী ওদের সামনে যাবি নাকি? এটা কখনও হয়? শাড়িটা পরে দেখ, তোকে খুব সুন্দর লাগবে। তোর খালু গতমাসে কোলকাতা গিয়েছিল। আসার সময় আমার জন্য এই শাড়িটা এনেছে। আমি একবারও পরিনি। এই দেখ ভেতরে কাগজ রয়ে গেছে।”

“সেটার জন্য না, ছোটো খালা। এই শাড়িটা যদি তোমার পরাও হতো, তা-ও আমি পরতাম; কিন্তু এই গরমে আমাকে এই জিনিস পরতে বলো না।”

“তুই বুঝতে পারছিস না জবা, প্রেজেন্টেশনের একটা ব্যাপার আছে। ছেলের বোনরা আসবে৷ ওরা এইসব জিনিস খুঁটিয়ে দেখবে। শাড়িটা তাড়াতাড়ি পরে নে।”

এবারও আরোহী আমাকে উদ্ধার করল। ও শাড়িটা তুলে নিয়ে ছোটো খালার কাঁধে ধরে বলল, “খালা আপনি কী একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেছেন, এই শাড়িটায় আপনাকে কী অসম্ভব মানাবে? খালু একদম ঠিকঠাক শাড়িটা আপনার জন্য পছন্দ করেছে। এই শাড়িটা আপনি পরেন, খালা। ওরা তো শুধু জবাকেই দেখবে না। তাঁরা জবার ফ্যামিলিও দেখবে।

ছোটো খালা, আরোহীর কথা শুনে খুশি হয়ে গেল। আমাকে বলল, “তুই পরবি না তাহলে?”

“তুমিই পরো, খালা। তোমাকেই বেশি ভালো লাগবে।”

ছোটো খালা চলে গেলে, নীল-কলাপাতা সবুজ রঙের কম্বিনেশনের হাফ সিল্ক শাড়িটা পরলাম। মাথার এই একঢাল চুল সামলানো আমার জন্য ভীষণ ঝামেলার হয়ে যায়। তাই খোঁপাতেই সবসময় কাজ চালাই। আজকেও খোঁপা করতে যাচ্ছিলাম, আরোহী আমার হাত থেকে চিরুনী নিয়ে বলল, “চুলগুলো আজকে খোলা থাকুক। ক্লিপ দে, আমি চুল সেট করে দিচ্ছি।”

আরোহী চুল ঠিক করছে, আমি চুপচাপ বসে আছি৷ আয়না দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ও বলল, “তোর কী কোনও কারণে মন খারাপ, জবা? কী হয়েছে?”

“কিছু না।”

“বলবি না?”

“বললাম তো কিছু হয়নি।”

“আমাকে বলবি না? এখনও তো বিয়ে হয়নি। তাতেই আমি পর হয়ে গেলাম?”

ছেলেটা বিবাহিত ছিল, এই কথাটা বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না। বললাম, “বাবার কথা খুব মনে পড়ছে।”

———————-

কিছুক্ষণ আগে গেস্ট এসেছে। পাত্রের সঙ্গে তার দুই বোন এসেছে আর তমাল ভাইয়া তো আছেই। আমার মামা-খালারা গেস্টদের সঙ্গে কথা বলছেন। আরোহী, ডাইনিং রুমে মা’র সঙ্গে কাজ করছে। রুমের দরজায় টোকা পড়তেই, দরজা খুলে তাকালাম। দেখি তমাল ভাইয়া দাঁড়িয়ে। বহুদিন পর তমাল ভাইয়াকে দেখলাম, প্রায় দশ বছর তো হবেই। আমি যখন এইচএসসিতে পড়ি, তখন শেষ দেখা হয়েছিল ওর সঙ্গে। তমাল ভাইয়া বলল, “আসব?”

“এসো ভাইয়া। কেমন আছ? অনেকদিন পর তোমাকে দেখলাম!”

তমাল ভাইয়া ভেতরে ঢুকে চেয়ারে বসে বলল, “হুম অনেকদিন পর। এখন তো তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, বহু যুগ পর তোমার সঙ্গে দেখা হল! তুমি তো বড়ো হয়ে গেছ? কেমন আছ, বলো?”

“ভালো আছি। তুমি?”

“এই তো আছি একরকম। সিয়াম এসেছে কিন্তু।”

“হুম, শুনেছি।”

“ও কিন্তু আমার স্কুল লাইফের বন্ধু। খুব ভালো ছেলে। চাচীর কাছে তো শুনেছ সবকিছু? তোমার কোনও সমস্যা নেই তো?”

সমস্যা থাকলেই বা কী? এই মুহূর্তে ঐসব নিয়ে কথা বলার কোনও মানে হয় না। আমি বললাম, “না, কোনও সমস্যা নেই। এটা বড়ো কোনও ইস্যু না।”

“এটা রাখো।”

“কী এটা?” র‍্যাপিংয়ে মোড়ানো প্যাকেটটা হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

“সিয়াম তোমার জন্য এনেছে। সে আবার একটু-আধটু লেখালেখি করে। এখানে ওর কবিতার বই আছে বোধহয়। আমি ঠিক নিশ্চিত না।”

কবিতা লেখে, মানে কবি? তার মানে মানুষটার শৈল্পিক একটা মন আছে। বাহ্, হঠাৎ মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। তমাল ভাইয়া উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “আমি ওদের সঙ্গে বসছি। তোমার কী সিয়ামের সম্পর্কে আর কিছু জানার আছে?”

“না, না।”

” তুমি তাহলে একটু পরে এসো।”

“ঠিক আছে।”

টেবিলে খাবার সাজানো হয়ে গেলে, আরোহী আমার রুমে এসে বলল, “তোর হতে পারে বর তো দোকানের সব মিষ্টি নিয়ে চলে এসেছে। চমৎকার একটা ফুলের বুকেও এনেছে। ব্যাটা খুব রোমান্টিক মনে হচ্ছে।”

“তুই ওনাকে দেখেছিস?”

“উঁকি দিয়ে এক ঝলক দেখেছি। সেটা না দেখার মতোই। তোর বড়ো খালা চোখ গোল করে আমাকে শাসাচ্ছিল। তাই আর দাঁড়াইনি।”

বড়ো খালা আর মামী রুমে ঢুকে বলল, “জবা চল। ওরা অপেক্ষা করছে।”

আরোহী আমার শাড়ির কুঁচি ঠিক করে দিচ্ছিল। বড়ো খালা হঠাৎ আরোহীর দিকে তাকিয়ে বলে ফেললেন, “দেখো, তুমি আবার হুট করে ঐ রুমে গিয়ে হাজির হয়ে যেয়ো না। তোমার তো কোনও ভরসা নেই। তুমি এখানেই বসে থাকো।”

আরোহীর চরিত্র অনুযায়ী তার এখন বড়ো খালাকে কঠিন একটা উত্তর দেওয়ার কথা; কিন্তু মনে হল সে নিজের ক্রোধটাকে সামলে নিল। আমার হাত ধরে বলল, “তোকে খুব মিষ্টি লাগছে। যা ঘুরে আয়, অল দ্যা বেস্ট।”

————————–

আমাদের ড্রইং রুমটা বড়ো হলেও এখানে ফার্নিচার কম। রুমে একসেট সোফা আর সিঙ্গেল একটা খাট পাতা আছে। আজকে গেস্ট আসা উপলক্ষে বড়ো মামার বাসা থেকে কয়েকটা চেয়ার আনা হয়েছে। আমাদের বাসার লোকজন চেয়ার আর বিছানায় বসেছে। তমাল ভাইয়া আর সিয়াম বসেছে সিঙ্গেল সোফায়। আমি রুমে ঢুকতেই এক আপু উঠে এসে আমার হাত ধরে বললেন, “তুমি জবা?”

“জি।”

“আমি সামিরা। আমি সিয়ামের বড়ো বোন। ও আমার ছোটো বোন নামিরা আর ও হচ্ছে সিয়াম। আমাদের দুই বোনের এক ভাই।”

আমি সিয়াম নামের মানুষটার দিকে এক পলক তাকিয়ে হাসলাম। দৃষ্টি বিনিময় হওয়ার তিনিও হেসে উঠে দাঁড়ালেন। আপু আমাকে সিয়ামের পাশের খালি জায়গাটা দেখিয়ে বললেন, “তুমি ওখানে বসো।”

আমি আসার আগেই গল্প বেশ জমে উঠেছিল। আমি বাইরে থেকেই কথা আর হাসাহাসি শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি বসার সঙ্গে সঙ্গেই বড়ো খালা আমার গুণের ফিরিস্তি দিতে শুরু করলেন। খালার কথা শেষ হলে সামিরা আপু বলল, “সিয়াম তুমি জবার সঙ্গে কথা বলো। কিছু জিজ্ঞেস করার থাকলে, করো। তোমার যা বলার আছে, বলো।”

আমি আবার মানুষটার দিকে তাকালাম। শ্যাম বর্ণের, দোহারা গড়নের মানুষটা, খয়েরী রঙের পাঞ্জাবি পরে আছে। পাঞ্জাবি পরার তাকে এখন আমার কাছে কবি, কবি মনে হচ্ছে। নাকি তমাল ভাইয়া তার কবি পরিচয় দেওয়ার কারণেই এমনটা লাগছে, কে জানে? তিনি জড়তাহীন কন্ঠে আমার নামধাম, কাজের কথা জিজ্ঞেস করলেন। দেশ ছেড়ে যেতে আমার কোনও সমস্যা আছে কি না, সেটাও জিজ্ঞেস করলেন। আমার দুই মামা তাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করছেন। বেশিরভাগ বাংলাদেশীই তো নিউইয়র্কে থাকে। তাহলে উনি কেন ফ্লোরিডায় থাকেন, সেটাও জানতে চাইলেন।

কথাবার্তার এক পর্যায়ে বড়ো খালা বললেন, “চা-নাস্তার পালাটা চুকে যাক। তারপর তোমরা আবার কথা বোলো।”

সিয়াম কথার মাঝখানে ছিলেন। কথাটা শেষ করে উনি বললেন, “আমি আসলে আমার জীবনসঙ্গীর পাশাপাশি, আমার সন্তানের জন্য একজন ভালো মা চাই। যে আমার সন্তানের বন্ধু হবে।”

ছোটো মামা বলল, “সেটা তো সবাই-ই চায়। আমাদের জবা খুব গোছানো স্বভাবের। ওকে নিয়ে আমরা কোনও টেনশন করি না। আমাদের মেয়ে যে সংসারে যাবে, সেই সংসারকে নিজের যোগ্যতা দিয়ে আপন করে নেবে।”

সিয়াম বললেন, “শুনে ভালো লাগল। আমি সারাক্ষণ ইয়ানাকে নিয়ে টেনশনে থাকি।”

“ইয়ানা কে?”

“ইয়ানা আমার মেয়ে। ও হওয়ার কিছুদিন পরই নিঝুম মারা গেছে।”

রুমের ভেতর হঠাৎ হৈচৈ শুরু হয়ে গেল। ছোটো মামা হঠাৎ চিৎকার করে উঠল, “মেয়ে মানে? বউ মরেছে, এটা আমরা মেনে নিয়েছিলাম। মেয়ের কথা এল কোত্থেকে? মেয়ের কথা আগে বলোনি কেন?”

সিয়াম বললেন, “আমি তো মেয়ের কথাই আগে বলেছি। তমাল, ওনারা কী বলছেন? আমি আমার মেয়ের কথা লুকাব কেন? আমার তো বিয়ের জন্য কোনও তাড়া ছিল না। আমার মা, শাশুড়ি কেউ নেই, যাঁর কাছে আমার মেয়েকে রাখতে পারি। তাই তো বাধ্য হয়ে বিয়ের কথা ভাবতে হচ্ছে। যাতে করে আমরা দু’জন মিলে আমাদের মেয়েকে বড়ো করতে পারি।”

বড়ো মামাও চিৎকার করলেন, “মেয়ে আছে জানলে, আমরা ভাগনিকে দেখাতামই না। আমাদের ভাগনি কী এতই সস্তা?”

তমাল ভাইয়া, বড়ো খালাকে জিজ্ঞেস করল, “চাচী কী হচ্ছে এইসব? আপনি ইয়ানার কথা বলেননি সবাইকে? আমি তো ইয়ানার বিষয়টাই আগে বলেছি আপনাকে। এখন তাহলে মামারা এসব কথা বলছেন কেন?”

বড়ো খালা আমতা আমতা করে বললেন, “আমি একদম ভুলে গেছি। বাচ্চার কথাটা আমার মনেই ছিল না।”

হই-হট্টগোলের মধ্যে আমি সিয়ামের দিকে তাকালাম। বেচারার মুখটা অপমানে লাল হয়ে আছে। ভীষণ কষ্ট হল তার চেহারাটা দেখে। এখন আমার কী করা উচিত, বুঝতে পারছি না। এদিকে মামারা সিয়ামের গুষ্টি উদ্ধার করেই যাচ্ছেন।…………………………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে