তোমাকে_চাই (Season 2)পার্ট_৫+৬

0
1927

তোমাকে_চাই (Season 2)পার্ট_৫+৬
#আরবি_আরভী

মেয়েটা আমাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেন মঙ্গল গ্রহের দুটি প্রাণীকে একসাথে দেখছে এমনি চেহারার ভাব তার।।মনে মনে ভাবছি ভালোই হয়েছে ড্রামাটা করে শাকচুন্নিটা আচ্ছামত শায়েস্তা হয়েছে দেখছি।। কিন্তু আমার এই ন্যাকামর ১২ টা বাজলো যখন রেহান ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় চাচী (মেজ চাচী মিঠি আপুর আম্মু) ছাদের দরজায় থেকে আমাকে ডেকে উঠলে,,,

-নিসা,,,,,,নিসা রে ( হাতে এক বালতি কাপড় নিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে )

আমি চমকে উঠে রেহানকে ছেড়ে দিয়ে ভীতু চোখে নিচের দিকে তাকিয়ে দুই হাতের মাধ্যমে ওড়নার আচল পেঁচাতে শুরু করি হাত-পা কাঁপছে আমার।। একদম কাঠ গাছের মতো দাড়িয়ে আছি কোন অনুভুতিই আমাকে আর স্পর্শ করছে না,,, যতই বাড়াবাড়ি করি না কেন সেটা আমার প্রিয়তমের সাথে ঠিক আছে কিন্তু বাড়ির গুরুজনদের সামনে এইসব বেহায়া পোনা করা অন্তত আমাদের ফ্যামিলিতে গ্রহণযোগ্য নয়।। এর শাস্তি কি হবে তা শুধু আল্লাহ জানেন।। মনে হাজারো ভয় উঁকি দিতে লাগল বুকটাতে কারো ঢোল পেটানো অনুভব করছি এখনি যেন ওটা মাটিতে খসে পড়বে।।?

আমার স্তব্ধতার অবসান ঘটে রেহানের সংস্পর্শে।। উনি তড়িৎ গতিতে আমার এক চোখ উনার দুই আঙুলে ধরে জোরে ফুঁৎকার দিতে লাগলেন।। আমি উনার এরুপ আচরণের মাথা মুন্ডু খোঁজে পাচ্ছি না জাস্ট খাম্বার মতো দাড়িয়ে আছি ।। এদিকে চাচী বালতি হাতে আমাদের কাছে এসে সন্দেহের দৃষ্টিকোণ থেকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন,,,
-রেহান,নিসা তোদের এই অবস্থা কেন আর এই সাজ-সকালে দুজন একসাথে,,,??
রেহান ভাইয়া আমার চোখ থেকে উনার হাতটা নামিয়ে মৃদু হেসে বললেন,,
– কিছু না চাচী,,, আসলে বাতাসের কারনে নিসার চোখে কিছু একটা পড়েছিল তো।।তাই সেটা সরাতে সে আমার কাছে এলে আমি বের করে দিয়েছি এই আরকি ,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


আমি কিছুই বলছি না চোখ ঘষতে ঘষতে একবার চাচীর দিকে তাকাছি আরেকবার মাটির দিকে।।। ওদিকে রেহান ভাইয়া চাচীকে বোঝাতে প্রফেসরের ভূমিকা পালন করছেন।।সব শোনেও চাচী কেমন যেন এক অজানা রহস্যময়ী চাউনিতে আমাদের দিকে তাকাছেন আমার যতদূর মনে হচ্ছে তিনি হয়তো রেহানের কথাগুলো বিশ্বাস করছেন না,,,,, শেষপর্যায়ে চাচী হেয়ালী সুরে বলে উঠলেন,,,,

-যাইহোক,,,,,নিসা তোর আম্মু বলেছিল তুই নাকি ছাদে আছিস,,,একটু কাপড়গুলো রোদে ছড়িয়ে দে তো আমার নিচে কাজ আছে আমি যাই,,
-আচ্ছা দিচ্ছি,,,,,
কথাটা বলে এগিয়ে গিয়ে দু হাতে কাপড় থেকে ভালো করে পানি ছাড়িয়ে নিয়ে সুন্দর করে দড়িতে দিয়ে দড়ি ধরে পেছন ফিরে রেহানের দিকে তাকাতেই দেখি উনি আগে থেকেই অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।।। আমার চাউনি টের পেয়ে ডেভিল মার্কা একটা হাসি দিয়ে একটা চোখ টিপ মারলেন।। আমি সাথে সাথে একটা ভেংচি কেটে মুখ সরিয়ে ফেলে মন দিয়ে কাজ করতে লাগলাম।। কিছুক্ষণ পর উনি আমার একদম নিকটস্থ এসে পেছন থেকে কানে ফিসফিস করে বলতে লাগলেন,,,
-থেনক্স,,,☺

উনি হয়তো ভাবছেন আমি ঐশীর ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে উনার সাথে স্বাভাবিক হয়ে গেছি তাইতো সাজ-সকালে এত্ত আদুরে আচরণ করলাম উনার সাথে।। আসলে যে আমি এমনটা কেন করেছি তা শুধু আমি জানি।। অতএব উনার ভুল ধারনাটা ভেঙে দেয়া উচিত,,,।। তাই উনাকে পেছন থেকে হালকা একটা ধাক্কা দিয়ে আমি নিজ থেকে সরিয়ে নিলাম আর রেগে বলে উঠলাম,,
-এত্ত উড়বার দরকার নেই,,,,আমি এই আদুরে ন্যাকামটা শুধু মেয়েটাকে দেখানোর জন্য করেছিলাম,,,,?
-What???? (একদম অবাক হয়ে)?
-হুম্মম
কথাটা বলার পর আমি উনাকে একটা ভেংচি কেটে বালতি হাতে সেখান থেকে কেটে পড়ি।। বেচারা হা করে তাকিয়ে আমার চলে যাওয়া দেখছিল।। হয়তো এটার জন্য উনি প্রস্তুত ছিলেন না?

দুপুরবেলা সুন্দর করে পরিপাটি হয়ে উনার রুমে গিয়ে দেখি ইডিয়ট ডেভিলটা ওয়াশরুমে সাওয়ার নিচ্ছেন তাই বিছানায় বসে বসে উনার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম উনার মোবাইলটাও বিছানায় পড়ে আছে কিন্তু কোন লাভ নেই কারন লক করা
।।না হয় আজি এই ঐশীর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ফেলতাম? কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই আচমকা ভাবে ঐশীর কল এসে পড়ল,,,, আমি তা না দেখেই চেচিয়ে রেহান ভাইয়াকে ডাকতে লাগলাম,,,,
-রেহানননন আপনাকে কে যেন কল দিচ্ছে তারাতারি বেরিয়ে আসেন,,,
-তুই রিসিভ করে বল,,,,
-পারবো না,,,,,, যার ফোন সেই রিসিভ করবে (ভাবলাম এতে উনি তারাতারি ওয়াশরুম থেকে বের হবেন)
– কে কল করেছে একটু নামটা দেখ,,,
উনার কথায় ফোনটা হাতে নিয়ে নামটা দেখা মাত্রই আমার চোখগুলো কপালে উঠে যায়।। এত দেখছি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।। রাগে গা টা আগুনের মতো জ্বলতে শুরু করে আমার।। এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায়ে তো ছিলাম এতদিন।। তাই আর দেরি না করে কলটা রিসিভ করে কানে দিতেই ঐশী ম্যাডাম মধুময় সুরে বলে উঠলেন,,,,
-জান খেয়েছ??
লাভার উত্তপ্ত আগুন মাথায় নিয়ে আলতো করে উত্তর দিলাম,,,,
-আপনার জান সাওয়ার নিচ্ছেন,,,অন্য কোন কথা থাকলে আমাকে বলতে পারেন,,,
-তা ঠিক আছে কিন্তু আপনে কে?
-আমি আপনার কাল,,,(বিছানা থেকে এক লাফে উঠে দাড়িয়ে থেকে)
-What!!??
-অই শাকচুন্নি ডাইনী গরু ছাগল কুকুর বিড়াল,,,,,,,(যা মুখে আসছে তাই বলছি)
-আপু রিলেক্স,
– আরে রাখতো তোর রিলেক্স তোই কোন সাহসে রেহানকে জান বলিস,, (ভীষণ রেগে)
-আপু প্লিজ কথাটা শুনুন,,,
আমার চেচাঁমেচির কারণে রেহান ভাইয়া সাওয়ারটা একটু তারাতারি শেরে দৌড়ে এসে আমার কাছ থেকে ফোনটা নেয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু আমি কানে শক্ত করে ফোনটা ধরে বকবক করেই চলেছি,,,
-কি কথা শোনব তোর,,, বেহায়া মেয়ে কোথাকার,,, তুই রেহানকে কোন অধিকারে জান বলিস সেটা বল শয়তানী,,,
-রেহানকেই জিজ্ঞাসা করো আমি তার কি হই আর কোন অধিকার থেকে জান বলি সেই তোমাকে সব বলে দিবে বায়,,,ভালো থেকো,,
কথাটা বলেই কলটা কেটে দিল,,,,,,,,,
চলবে
#তোমাকে_চাই (Season 2)
#পার্ট_৬
#আরবি_আরভী

রেহানকেই জিজ্ঞাসা করো আমি তার কি হই আর কোন অধিকার থেকে জান বলি সেই তোমাকে সব বলে দিবে বায়,,,ভালো থেকো,,
কথাটা বলেই ঐশী কলটা কেটে দিল।।এদিকে রেহান সেই আগের মতোই আমার কাছ থেকে ফোনটা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।। কলটা কেটে দেয়ায় আমি উনার সাথে আর জোরাজুরি করলাম না উনার কাছে মোবাইলটা দিয়ে দিলাম।। আমার শরীরের রক্ত টগবগিয়ে ফুটতে লাগল।।মাথায় শুধু একটাই কথা ঘুরপাক খেতে থাকে।। কে এই মেয়ে যে আমাকে অর্ডার করে।। কি সম্পর্ক তার রেহানের সাথে।। প্রশ্নগুলো আমাকে ভীষনভাবে অস্থির করে তুলছে
।।রাগে পুরো বাক্যহীন হয়ে গেছি।। ফোনটা রেহানের হাতে দিয়ে পেছনে ফিরে উনার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।। কিভাবে এই মানুষটা আমাকে এত্ত বড় ধোকা দিতে পারল।। আমার যেন নিজেকেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না।। চোখগুলো লাল হয়ে অনবরত পানি পড়তে লাগল।। অবশ্য সেদিকে উনার কোন লক্ষ্য নেই।।। উনি ফোনটা হাতে পেয়ে ঐশীর সাথে কথা বলার চেষ্টায় মেতে উঠেছেন ,,, ঐশী কল কেটে দিয়েছে ব্যাপারটা বোঝার পর কান থেকে ফোনটা সরিয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রীতিমত ভয় পেয়েছেন মনে হচ্ছে।।। উনি আস্তে আস্তে ভীতু কন্ঠে বলে উঠলেন,,,
-এত্ত রাগার কি ছিল,,,,,কি বলছে ঐশী?
উনার এরুপ প্রশ্ন আমাকে ভেতর থেকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে।। আমার কাঁন্নার কারন না জানতে চেয়ে ঐশী কি বলেছে তা জানার খুব দরকার উনার।। সত্যি আমার থেকে ঐশীর অধিকার উনার কাছে অনেক গুণ বেশি তাহলে।। প্রশ্নগুলোর উত্তর যেন বিনামুল্যে পেয়ে যাচ্ছি আমি।।
উনার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো ভাবছি আর কাঁন্না করছি উনি আমাকে শান্ত করার জন্য এগিয়ে আসতেই আমি হাতটা সামনে এনে উনাকে ইশারায় থামিয়ে দেই আর যেখানে আছে সেখানেই থাকতে বলি।।উনি অবাক হয়ে আবারো বলে উঠলেন,,,
-কি হয়েছে নিসা কি বলেছে ঐশী,,বল,,
আমি তার দিকে বিনয়ী চাউনিতে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললাম,,

-কেন করলেন আমার সাথে এরকম,, (চোখ থেকে দু ফোঁটা জল ফেলে)
-কি করলাম আমি তা তো আমাকে বল,,
এবার আর নিজের ভেতরে থাকা আগুনটাকে আটকাতে পারলাম না ভীষণ রেগে চেচিয়ে বলে উঠলাম,,
-আপনে কি করেছেন জানেন না,, আপনে একটা প্রতারক ভন্ড।। আমার সরল ভালবাসাটাকে নিয়ে তবলা বাজিয়েছেন,,,
-প্লিজ মেজাজটা ঠান্ডা কর,,,ঐশী তোকে কি বলেছে সেটা তো জানিনা কিন্তু ব্যাপারটা হল,,,,, (কথার ফাঁকে আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে ভীষণ রেগে নিজে শুরু করলাম),,

-আসলে ব্যাপারটা হল আপনে ঐশীকে অনেক ভালবাসেন।তাকে ছাড়া থাকা আপনার জন্য অসম্ভব। আর এত দিন আমার সাথে মজা করেছেন আমাকে একটা নষ্টা মেয়ে ভেবে জাস্ট ব্যবহার,,,,
কথাটা শেষ করার আগেই উনি এগিয়ে এসে ঠাঁসসসসসসসসসসসসসস করে কষে একটা থাপ্পড় দিয়ে আকাশ মাটি এক করে অনেক রেগে বলে উঠলেন ,,,

-একদম চুপ,,,,,,,,,, এরজন্যই পিচ্চি মেয়ের সাথে রিলেশন করতে চাই নি।। তোর চিন্তা ধারা এত্তটা নিচ আমি ভাবতেও পারিনি।। আমার রুম থেকে জাস্ট বেরিয়ে যা,,,(নাক মুক লাল করে)?
-আমিও ভাবতে পারিনি আপনে এমন,,

কথাটা বলে আমি থাপ্পড় দেয়া গালটা ধরে অঝোর নয়নে কাঁন্না করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে নিজ রুমে এসে ব্যাগটা হাতে নিয়ে ডাইরেক্ট কোচিংয়ে চলে গেলাম,,,

(আপুরা তোমাকে চাই গল্পটার লেখিকা আমি Arobi ArVy কিন্তু চুন্নিরা এটা নিজেদের নাম দিয়ে কপি করে পোস্ট করছে তাই আমি এই গল্পটা আর কিছু দিন দিব না),,,?

বিকেলে বাড়ি ফিরে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করতেই আমি হতভম্ব।।
সবার হাতে আমার পছন্দের আইসক্রিম।। মুখে একটা উজ্জ্বল হাসি নিয়ে দূরন্ত গতিতে ব্যাগ কাধে ছুটে চললাম ফ্রিজের দিকে।।। আর মনে মনে যে এনেছে তাকে হাজারটা ধন্যবাদ দিয়ে ফ্রিজটা খোলে দেখি এক ডজন আইসক্রিম আমার জন্য এখনো বরাদ্দ আছে।। খুশিতে আমার লাফাতে ইচ্ছা করছে।। শুভ কাজে আর দেরি না করে টুপ করে একটা আইসক্রিম নিয়ে জানালার ধারে গিয়ে মনের সুখে খেতে শুরু করলাম।।
এমন সময় ইডিয়ট খরুচ ডেভিলটা এসে একটু মৃদু হেসে দেয়াল এলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
আমি উনার দিকে আড়চোখে অভিমানী দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে আবার আইসক্রিমে মনোযোগী হলাম।।উনি আমার খাওয়ার স্টাইল দেখে কাছে এসে বলে উঠলেন,,,,
-আস্তে আস্তে খাও,,,,,আমার মন বলছিল আপনার এই ফ্লেভারটা পছন্দ হবেই।।। এত অস্থির হওয়ার প্রয়োজন নেই ফ্রিজের গুলো শেষ হলে আবার এনে দিব,,?

তারপর আমার আর বোঝাতে বাকি রইল না যে আইসক্রিমগুলো রেহান ভাইয়া আমার রাগ কমানোর জন্য এনেছেন।। এত্ত জোরে একটা থাপ্পড় দিয়ে এখন এইসব ড্রামা করছে।। শাকচুন্নিটার জন্য আমার গায়ে হাত তোলে এখন আলগা পিরিতি দেখানো হচ্ছে।।। আমি কিছুক্ষন নিরব দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো ভেবে আইসক্রিমটা উনার হাতে দিয়ে রেগে বলে উঠলাম,,,,,

-লাগবে না আপনার দেয়া আইসক্রিম,,
কথাটা বলে আমি সেখান থেকে চলে যাচ্ছি আর উনি চেহারাটা ভেবাচেকা করে পেছন থেকে একনাগাড়ে ডেকেই চলছেন,,,
-নিসা প্লিজ আমার কথাটা শোন,,,?
আমি উনাকে পাত্তা না দিয়ে এক পলকে সেখান থেকে গায়েব,,,

কিছুক্ষণ পর আমি প্রকৃতির বৈচিত্র্যতা উপভোগের লক্ষ্যে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি ।। গালটা অনেক জ্বলছে।। এত্ত জোরে কি কেউ থাপ্পড় দেয়।। ডেভিল একটা।। কথাগুলো ভাবে হতাৎ নিচে তাকিয়ে দেখি রেহান মুখ গম্ভীর করে বাইক নিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছেন।। তা যাগে আমার কি।। উনার খোঁজ-খবর নেয়ার মানুষতো আর কম নেই।। এইভাবে নিজে নিজে কিছুক্ষন বিরবির করে রুমে এসে পড়তে বসলাম।।এমনিতে তো রসায়ন বিষয়টির এলার্জি আছে আমার।। কিন্তু আজ কেন জানিনা বইটা পড়তে খুব ইচ্ছে করছে।। তাই টেবিল থেকে বইটা এনে খোলা মাত্রই ধুপ করে একটা চিরকুট মাটিতে পড়লে আমি সেটা হাতে নিয়ে খোলে পুরাই অবাক।। কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি চিরকুটি বেয়ে পরছে।।। চিরকুটিতে বড় বড় অক্ষরে স্পষ্ট ভাষায় লেখা I AM SORRY?।।তাহলে ডেভিলটা আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে।। উনার এমন অনুতাপের আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে তুলছে।। আর খুব হাসিও পাচ্ছে।। কারণ উনি তো আর জানেন না যে আমি রসায়ন বই মাসে একবার খোলি তাও আবার আম্মুর বকায়।। উনার ভাগ্যের জোরেই হয়তো আজ খোলেছি তা না হলে হয়তো এই চিরকুট আগামী এক- দুই মাসেও আমার চোখের নাগালে আসতো না?।।

যাইহোক যতদিন না ঐশীর ব্যাপারটি উন্মোচন করতে পারছি তত দিন উনাকে ক্ষমা করা যাবে না বলে মনস্থির করে চিরকুটি গুমরে মুচড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিলাম,,,,,,,,,,
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে