তোমাকে_চাই (Season 2)পার্ট_৭+৮

0
1841

তোমাকে_চাই (Season 2)পার্ট_৭+৮
#আরবি_আরভী

যাইহোক যতদিন না ঐশীর ব্যাপারটি উন্মোচন করতে পারছি তত দিন উনাকে ক্ষমা করা যাবে না বলে মনস্থির করে চিরকুটি গুমরে মুচড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিলাম।।

রাত ১১টা বাজে এখনো মশাইয়ের আসার কোন নাম নেই।। সবাই এদিকে চিন্তায় অতিষ্ঠ।। ঘরের একমাত্র ছেলে এত রাত পর্যন্ত বাহিরে আছে তারউপর ফোনটাও তুলছে না এটা অবশ্য চাট্টিখানি কথা নয়।। উনার বন্ধুদের কল দিয়ে জানা গেল রেহান নাকি তাদের কারো সাথেই নেই।। সবার চিন্তার পরিমাপ অতিক্রম করে চোখে যখন ঘুম নেমে এলো তখন সবাই ঘুমাতে চলে গেল।।আমি লোকদেখানোর জন্য ঘুমুতে যেতে একপ্রকার বাধ্য হলাম।। মনে মনে ভাবলাম আজ যদি উনার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যেত তাহলে হয়তো আমার এই অপেক্ষার জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হত না কারন বউ জামাইয়ের জন্য রাতভর জেগে অপেক্ষা করবে এটাই স্বাভাবিক।।। বিছানায় গিয়ে শরীরটা এলিয়ে দিয়েছি শুধু দু চোখের পাতা এক করতে পারছি না নানান দুশ্চিন্তা মাথায় ভর করছে আমার পাশেই চৌতি আপু ভালোই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন দেখছি ।। মেয়েটা আস্ত একটা গাধা তার ঘুম এতই প্রখর যে ঘুর্ণিঝড় ফনী এসে সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে গেলেও তার কোন হদিস হবে বলে আমার মনে হয় না।। একটা মানুষ এখনো বাড়িতে ফিরছে না আর তিনি নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন।।যতসব!! বিরবির করে নিজে নিজে কথাগুলো বলতে বলতে হঠাৎ বাইকের আওয়াজে আমার চিন্তায় ছেদ পড়ে।।এই বুঝি উনার আসার সময় হলো।। নিশ্চিত হতে জানালাটা দিয়ে উঁকি মেরে নিলাম আমার ধারণাটাই সত্যি,,,, আসুক ব্যাটা!! আজকে তাকে মজা দেখিয়েই ছাড়বো।।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


কথাটা বলে বিছানা থেকে উঠে আস্তে করে মেইন গেইটটা খোলে হালকা পায়ে দুতলা পর্যন্ত নেমে দাড়িয়ে উনার জন্য অপেক্ষা করছি।।। রাগে গা টা জ্বলে যাচ্ছে এত রাত পর্যন্ত বাহিরে থাকবে থাকুক তাতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু একটা কল তো করতে পারতো।। করবে কি করে এত জান ওদেরকে তো বুঝিয়ে আসতে হবে নাকি।।।বাড়িতে সবাই কত দুশ্চিন্তা করছে সেদিকে কোন খেয়াল আছে উনার? চাচীতো না খেয়ে বসে আছেন।।। উনি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসার সময় সিড়িতে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে মুখটা গম্ভীর করে আমাকে না দেখার ভান করে আবারো চলতে লাগলেন।। আমি উনার প্রতিটা চালে দৃষ্টিপাত করে যখন হাতের নাগালে পেলাম অম্নি দু হাতে উনার শার্টের কলারটা ধরে নিয়ে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নাক মুখ লাল করে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলাম,,,,
-কোনো ভদ্র ছেলেকে এত রাতে বাড়ি ফিরতে দেখেছেন কখনো?? ,,,,?
প্রতিউত্তরে উনি বেখেয়ালি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,,,,
-আমি তো ছেলে আমার কথা না হয়ে বাদ দিলাম,,,,কোনো ভদ্র মেয়েকে এত রাতে বাড়ির মাঝ সিড়িতে একটা ছেলেকে জাপটে ধরে থাকার কথা শুনেছিস কখনো?

আমি উনার কথার উত্তর দিতে যাব তখনই ফাস্ট ফ্লোরের ভাবী ঠাস করে উনার ঘরের দরজাটা খোলে একদম হতভম্ব হয়ে গেলেন তার অবস্থান থেকে স্পষ্টভাবে আমাদের দেখা যাচ্ছিল।। রেহানের তো সে দিকে কোন অভিযোগ নেই উনি আমার দিকে তাকিয়ে উত্তরের আশায় অধীর অপেক্ষায় আছেন কিন্তু আমি ভাবীর চাউনিটা বোঝার চেষ্টা করছি।। এত রাতে আমাকে আর রেহানকে একসাথে এই অবস্থায় দেখে কি না কি ভাবছেন উনি।। চিন্তাগুলোর যোগ- বিয়োগ করে যা পেলাম তাতে যে আমাদের পরিবারের মান সম্মানের হাণী ঘটবে তা বুঝতে আর বাকি রইল না আমার।।?

ভাবী একদৃষ্টিতে কিছুক্ষন আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে শুরু করলেন।। আসিফ ভাই অফিস থেকে ফিরেছেন হয়তো।। রেহানও ততক্ষনে ব্যাপারটা বুঝে গিয়ে আমার দিকে এক অজানা চাউনিতে তাকালেন।। আমি আর কথা না বারিয়ে দৌড়ে এসে চুপটি করে নিজ রুমে শুয়ে পড়লাম।।

পরেরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য নিচে নামতেই রেহান ভাইয়ার সাথে আমার দেখা হয়ে গেল।। বাইক রেডি করছেন উনি ইউনিভার্সিটি যাবেন হয়তো।।গেলে যা গে আমার কি এমনি একটা ভাব নিয়ে আমি হাটতে লাগলাম উনিও সেই আমার মতোই একি অভিনয়ে মেতে উঠেছেন দেখছি।।
যাইহোক গেইট থেকে বেরিয়ে অনেকটা পথ হাটার শেষে সামনে থেকে রেহান ভাইয়া বাইক ব্রেক করে আমাকে থামিয়ে দিয়ে হাতে একটা কাগজ দিয়ে আবার রাইডিং করতে লাগলেন।।।আমি ভেবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর একটু হলেই আমার পা টা যেত।। ? তারপর এক রহস্যময় মনোভাব নিয়ে কাগজটা খোলে দেখি তাতে স্পষ্ট সুন্দর হাতে লেখা,,,,,,,

জানি অভিমান করে আছিস তাও ভালবাসার অধিকার থেকে বলছি আজ রাত ১০ টায় ছাদে দেখা করিস আমি তোর জন্য অপেক্ষা করবো না এলে কিন্তু সারা জীবনের জন্য হারাবি আমাকে♥

আহারে না গেলে উনাকে হারাতে হবে আমায়।।। যেন উনাকে ছাড়া আমার চলেই না।। যতসব ন্যাকামি।। কথাগুলো বলে কাগজটা ব্যাগে ঢুকিয়ে স্কুলে চলে গেলাম।। সারাদিন উনার সাথে আমার আর কথা হলো না।।

রাতে খাওয়ার শেষে সারাদিনের ক্লান্তি তার উপরে কোচিংয়ের পড়াশুনা শেষ করে মনের ভুলে উনার চিরকুটির কথা ভুলে গিয়ে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতেই গভীর নিদ্রায় চলে গেলাম।। ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে নিয়ে হঠাৎ মনের ভেতর উনার সেই চিরকুটের বাসনা হতে লাগল।।আমি ঘুম থেকে চমকে উঠে ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১ টা বাজে।।। পেছনে চৌতি আপু ঘুমে মগ্ন আছেন।। রাগে নিজের চুলগুলো ছিড়তে ইচ্ছে করচ্ছে আমার ।।এমন ভুল কি করে হল ,,,, আমি কি করে ঘুমিয়ে গেলাম।। উনাকে হারাবার শত ভয় মনে জাগতে লাগল আমার।। ১০ টার কথা ছিল এখন বাজে ১ টা।।নিশ্চয়ই উনি হাজার অভিমান নিয়ে আমাকে ভোলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।। তবুও কেন জানি না মনটা সাড়া দিচ্ছে না।। একবার দেখে আসলে কেমন হয়।। যেমন ভাবনা তেমন কাজ।।তারপর আর দেরি না করে এক জাটকায়ে বিছানা থেকে উঠে আস্তে করে দরজাটা খোলে এক দৌড়ে ছাদে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমার চোখগুলো কপালে উঠে গেলো নিজেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আমার,,,,,,
চলবে
#তোমাকে_চাই (Season 2)
#পার্ট_৮
#আরবি_আরভী

তারপর আর দেরি না করে এক জাটকায়ে বিছানা থেকে উঠে আস্তে করে দরজাটা খোলে এক দৌড়ে ছাদে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমার চোখগুলো কপালে উঠে গেলো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আমার।। ছাদের মেঝেতে মোমবাতি দিয়ে সুন্দর করে I Love You লেখাটাও প্রায় গলে গেছে।।জ্বলন্ত মোমবাতিগুলোর কোনোটা জ্বলছে কোনোটা আবার একদম নিবে গেছে।।দীর্ঘসময় নিয়ে অপেক্ষা করার সাক্ষী বহন করছে তারা।। পায়ের নিচে গোলাপের পাপড়িগুলো বেশিক্ষণ যাবৎ পড়ে থাকায় যেন ধৈর্য হারিয়ে আমাকে ইচ্ছেমত বকুনি দিচ্ছে।। চেয়ারটায় বেধে রাখা বেলুনের সমাহার, টেবিলের উপরে থাকা বৈকিটা, I Love You Nisha লেখা কেকটা, এই বাতাস, আকাশের প্রতিটা তারা সবকিছু যেন আমার উপর ক্রমাগত অভিযোগ করে যাচ্ছে আর আমি নীরিহ আসামি হয়ে বসে আছি কাউকে শান্ত করার ভাষা জানা নেই আমার।। একটু সামনের দিকে তাকাতেই ছাদের রেইল ধরে আমার পছন্দের নীল শার্টটা পড়ে দাড়িয়ে থাকা একান্ত মনে রেহান ভাইয়ার দিকে চোখ গেল আমার ।। মনের অজান্তেই দু ফোঁটা পানি চলে এলো চোখে।।।

যে ছেলেটাকে সামান্য খাবার বেড়ে দিতে দু মিনিট দেরি হলে রেগে বাড়ি মাথায় করে ফেলে।।। সবকিছু টাইম টু টাইম না হলে মাথা খারাপ হয়ে যায় যার আজ সে নাকি আমার জন্য এক না দুই না পুরো চার ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করছে।।।মৃদু বাতাসে গোলাপের পাপড়িগুলো উড়ে আমার মুখে এসে পড়ছে।। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি আমি।। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে আমার।।

আলতো পায়ে উনার কাছে গিয়ে পেছন থেকে উনাকে আকড়ে ধরে সুখের জোয়ারে কাঁন্না করতে লাগলাম।।কিন্তু এতে উনার কোন প্রতিক্রিয়াই নেই।। উনাকে ছেড়ে দিয়ে সামনে যেতেই দেখি উনি একদৃষ্টিতে এক দিকে তাকিয়ে নিকোটিনের ধোয়ায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।। চোখগুলো এক একটা লাল বর্ণ ধারণ করেছে।।অনেক সময় নিয়ে কাঁন্না করলে যেমন দেখায়।। মনে হচ্ছে যেন ভেতরে থাকা জেদ আর অভিমানটা ধোয়া হয়ে বের হচ্ছে কিছু বললেই এটা বাস্তবায়নে বিস্ফোরণ ঘটবে।। খুব ভয় করছে উনার এই রুপটাকে তবুও বিনয়ী কন্ঠে বলে উঠলাম,,,,,
-সিগারেট খেলে শরীর খারাপ করবে,,
-সুস্থ শরীর দিয়ে কি হবে মন যদি অসুস্থ থাকে,,(একদৃষ্টিতে অন্য দিকে তাকিয়ে)
-নিজেকে এভাবে কষ্ট দেয়ার কোন মানে হয়ে নাকি,,
-আমাকে নিয়ে আপনার এত চিন্তা না করলেও চলবে,,,ভালবাসেন না তার প্রমাণ তো দিয়ে পাশ করে বসে আছেন,,,,,

আমি এবার দু হাত এক করে উনার সামনে কাতর কন্ঠে বললাম,
-বিশ্বাস করেন রেহান আমার সামান্যতম মনে ছিল না এই,,,,,,(কথাটা শেষ করার আগেই)
-চুপ,,, একদম চুপ আর ড্রামা করতে হবে না তোর,, কেন এসেছিস এখানে??(অগ্নি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে)
-আপনার ভালবাসার টানে এসেছি রেহান,,,
-ভালবাসলে ঠিক সময়ে চলে আসতি এভাবে ভুলে যেতি না,,,
আমি মুখটা গম্ভীর করে উনাকে কিছুটা উস্কানি দিয়ে বলে উঠলাম,,,
-আমি আপনাকে ভালবাসি কিন্তু আপনে তো ঐশীকে নিজের ব,,,,,,
কথাটা শেষ না করতেই উনি আমার কাছে এসে আঙুলটা খাড়া করে একদম আমার নাক বরাবর এনে চোখ রাঙিয়ে এক ধমক দিয়ে আমাকে চুপ করিয়ে বলে উঠলেন,,
-আমাকে আর ঐশীকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বলবি না বলে দিচ্ছি ,,
আমি প্রায় কাঁন্নার সাপেক্ষ।। তারপর নিজেকে শান্ত করে কি যেন ভেবে উনি হুট করে ফোনটা বের করে ঐশীকে কল দিয়ে পুরো রাগ ওর উপর ছাড়ছেন,,,,, বেচারি ঐশী কিছুই বুজছে না শুধু কি হয়েছে কি হয়েছে করেই চলছে এক পর্যায়ে রেহান আমাকে অবাক করে দিয়ে ঐশীকে বলে উঠলেন,,,
-আমাকে আর কোনদিন জান বলবে না,,
-তুমি তো জানো আমি ফান করি তাহলে,,,, নিসা কি ভীষণ রাগ করেছে নাকি বিষয়টায়,,
-হুম্মম
-আল্লাহ!!!! তুমি আগে বলবে না আচ্ছা নিসা কি এখানে আছে,,,,
-হুম্মম
-ওকে I m So sorry নিসা আমি ফান করতাম প্লিজ মাইন্ড করো না আপু,,,আমি তো তোমার জামাইয়ের বান্ধবী সোনা,,,,(অর্থহীনভাবে হাসছেন)
আমি অপলক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।। মানুষটা সত্যিই আমাকে ভালবাসে।। কিন্তু আমি তার মূল্য দিতে পারি না।।।নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে হচ্ছে।। লোকটার কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত।। তারপর আর দেরি না করে উনার হাতটা ধরে চোখ থেকে দু ফোঁটা জল ফেলে অনুতপ্ত হয়ে বললাম,,,
-কি করলে আমি ক্ষমা পাবো আপনার কাছে,,,,,আপনে যা বলবেন তাই করবো,,,
-তাই নাকি যা বলবো তাই করবি,,
-হ্যা তাই করবো,,, (মনের ভেতর প্রখর সাহস নিয়ে যেন নিজেকেও বিলিয়ে দিতে পারবো তার কাছে)
কিন্তু উনি আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার হাতের উপর তার হাতটা রেখে বললেন,,,
-তাহলে এই আকাশকে বাতাসকে এই গভীর রাতের প্রকৃতিটাকে সাক্ষী রেখে কথা দে কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না,,,আমাকে কাঁদাবি না,,,
-কথা দিলাম,,,,কিন্তু আপনেও আর কখনো সিগারেট খাবেন না বলে দিলাম,,,,(উজ্জ্বল দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে)
-হুম্মম তুই কখনো হৃদয়টা না পোড়ালে আমিও কখনো সিগারেট জ্বালাবো না,,,

আমি যখন উনার কথাগুলোর মারপ্যাঁচ না বুজতে পেরে তা বিন্যাস করতে ব্যস্ত ঠিক তখনি উনি মৃদু হেসে জিন্সের পকেট থেকে একটা ইয়া মোটা R রকেটের চেইন বের করে আমাকে পরিয়ে দিয়ে গালে একটা চুমু খেলেন।। আমি জাস্ট মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছি।। খুব সুন্দর একটা গিফট।।তারপর দুজন মিলে আনন্দের সাথে কেকেটা কেটে একজন আরেকজনকে খাইয়ে দিলাম।। কেকটাও বেশ মিষ্টি আর মজার।। কিন্তু হঠাৎ রেহান ধিক্কার দিয়ে বলে উঠলেন,,,,
-ইয়াক,,, কেকটা একদম মিষ্টি না হুদাই কিনলাম,,,
আমি আঙুল চাটতে চাটতে উনাকে বললাম,,
– কেকটাতো হেব্বি মিষ্টি,,, এখন আপনার মিষ্টি না লাগলে কি করবো বলুন,,,
-হুম্মম একটা কাজ করা যেতে পারে,,,,(চিন্তামগ্ন চাউনিতে আমার দিকে তাকিয়ে)
-কি,,, (কৌতুহল ভাবে)
-১০-১২ টা রসগোল্লা গুলিয়ে দেয়া যায়,,,
-রসগোল্লা কই পাবো এখন??
উনি মুচকি হেসে উঠে দাড়িয়ে দেয়াল এলিয়ে আমার এক হাত টেনে কাছে নিয়ে বলে উঠলেন,,,
-আছে তো,,,,
-কোথায়,,
-তুই,,,(মুখে মুচকি হাসি লেগেই আছে উনার)
আমি ভীতু দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।। এমন মুহূর্তে কিরুপ বাক্য প্রদর্শন করতে হয়ে তা আমার জানা নেই।।উনি আমাকে উনার বুকের কাছে নিয়ে মুখটাকে উপরের দিকে উঠিয়ে ঠোঁটগুলো চুমু আকার করে চেপে ধরে কড়াই কড়াই গুনে ১০ বার আমার ঠোঁটগুলোকে উনার ঠোঁটগুলোর সাথে মিশিয়ে চুমু খেলেন,,,,,,,,,
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে