তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে পর্ব – ১৪

0
1247

#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-১৪

দরজায় কেউ অনবরত নক করেই চলেছে।ফিরোজা রান্নাঘর থেকে বারবার বলছে যে সে আসছে কিন্তু ঘরের বাইরে দাড়িয়ে থাকা মানুষটার কি সেটা শোনার জো আছে।মানুষটা অনবরত নক করেই চলেছে। ‘ আরে বাবা আসছি তো ‘ বলতে বলতে চোখে মুখে বিরক্তি নিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো ফিরোজা।কিন্তু দরজা খুলতেই সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটা কে দেখে ফিরোজার গলা শুকিয়ে গেলো।মানুষটা কে দেখার সাথে সাথে তার অন্তর আত্মা কেপে উঠলো।

দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে কাজী আনসারী। আনসারী ফিরোজা কে সরিয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকলো ঘরে। দরজাটা লাগিয়ে ব্যাগটা সোফার কাছে রেখে আরাম করে সোফায় বসলো তারপর ফিরোজা কে বললো,
আনসারী: এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো তো। গলাটা বড্ড শুকাচ্ছে আজকাল।মনে হয় ডায়াবেটিস টা আবার বেড়েছে।

আনসারী কে এত ঠান্ডা দেখে ইতিমধ্যে ফিরোজার হাত পা কাপা শুরু হয়ে গেছে।ভয়ে শরীরে হিম শীতল হাওয়া বইছে।ফিরোজা জানে মানুষটা বাইরে দিতে এত শান্ত দেখতে হলেও তার ভিতরে যে আস্ত এক শয়তান আছে সেটা সে ভালো করেই জানে।শয়তান নাহলে কি বিয়ের প্রথম রাত থেকে কেউ রোজ রাতে কারণে অকারণে বউ কে মারতে পারে।

হ্যাঁ বিয়ের পর কোনোদিনই আনসারী তাকে বউয়ের মর্যাদা দেয়নি আর তার জন্যই তো বিয়ের দশ বছর পরও তার কোনো সন্তান নেই। লোকে তাকে বন্ধ্যা বলে কিন্তু কেউই জানেনা যে রাতের পর রাত তাকে এতটা অত্যাচার সহ্য করে,গোলামের মত পরে থাকতে হয় এই বাড়িতে। আনসারী চিরকালই আফরিনের সামনে এমন ব্যবহার করেছে যেন ও দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো মানুষ।কিন্তু ওর আসল রূপ তো ফিরোজা রাতের আঁধারে টের পায়।

‘ কি হলো কি? কথা কানে যায়না নাকি? পানি আনতে বললাম তো,যাও। ‘ বললো আনসারী।
ফিরোজা কোনমতে মাথা নেড়ে দ্রুত পায়ে রান্নাঘরের দিকে গেলো। কাপা কাপা হাতে গ্লাসে পানি ঢাললো।তারপর গ্লাস হাতে বসার ঘরে এসে গ্লাসটা ভয়ে ভয়ে এগিয়ে দিল।ওর মনে একটাই প্রশ্ন যে আনসারীর কানে আফরিনের বিয়ের খবর যায়নি এটা তো অসম্ভব তাহলে সে এতকিছুর পরও কি করে এতটা শান্ত?কি চলছে তার মাথায়?

আনসারী ফিরোজার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে তাতে চুমুক দিল।এক ঢোকে সবটা খেয়ে নিল তারপর গ্লাসটা ফিরোজার দিকে এগিয়ে দিয়ে উঠে দাড়িয়ে বললো,
আনসারী: আমি ঘরে যাচ্ছি। তুমিও এসো… বলেই আনসারী নিজের ঘরে চলে গেল। ফিরোজা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আনসারী কিছুই বললো না ওকে।এটা কি আদৌ সম্ভব?আফরীন এর বিয়েটা অনেকটা রিস্ক নিয়ে দিয়েছে ও তাছাড়া আনসারী যে ওকে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই অত্যাচার করতো আফরিন এর মা ছেরে চলে যাওয়ায় তার প্রতিশোধও নেওয়ার ছিল আফরিন এর থেকে আর তার জন্যই আফরিন এর বিয়ে দেওয়া।কিন্তু আজ মনে হচ্ছে বিয়ে টা না দিলেই ভালো হতো।

আনসারীর এত ঠান্ডা থাকা কোনো এক ভয়ঙ্কর ঝড়ের অশনি সংকেত।এই ঝড় হয়তো আজ আর তাকে বিছানার বাইরে পড়তে দিবে না। গ্লাসটা রান্নাঘরে রেখে ধীর পায়ে ঘরে ফিরে এলো।ঘরে এসেই দেখলো আনসারী ঘরে নেই।বাথরুম থেকে পানির শব্দ আসছে।বিছানার ধারে গিয়ে বসলো ফিরোজা।ভাবতে লাগলো অতীতের কথা।

অতীতে যখন আনসারী কে প্রথম বিয়ে করে এসেছিল তখন কতই না খুশি ছিল স্বামী সন্তান পেয়ে।ছোটো আফরিন কে ভালবেসে কোলেও তুলে নিয়েছিল।নিজের মেয়ের মত তাকে আদর করতো কিন্তু সেই ভালোবাসায় নজর লাগলো যখন থেকে আনসারী ওকে মারতে লাগলো।প্রথম প্রথম ভাবত হয়তো আনসারীর অভ্যাস ওটা।আগের বউকেও হয়তো মারত কিন্তু না ওর এই ভুল ধারণা ভাঙলো যেদিন ও আনসারীর মুখ থেকে শুনলো আনসারী আফরিন এর মাকে ভালোবাসতো আর তার চলে যাওয়া ওকে বড্ড পোড়ায়।তখন থেকেই আফরিন আর তার মায়ের উপর অদৃশ্য রাগ তৈরি হলো আর তার শাস্তি দিতে শুরু করলো আফরিন কে।

আফরিন এর মা তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে।মহিলার নাম ছিল সিদরাতুল মুনতাহা তুবা।মানুষটা চলে গিয়েও ওকে শান্তি দিলো না। বাথরুমের দরজা খুলার শব্দে ফিরোজার ধ্যান ভাঙলো।পূর্ণ দৃষ্টি দিলো বাথরুমের দিকে।আনসারী বেরিয়ে বারান্দায় গিয়ে টাওয়েল টা মেলে দিলো।মানুষটা কে আজ কতদিন পর দেখলো সে। আজও সেই দশ বছর আগের মতই দেখতে।মনে হচ্ছে এক চুল পরিমাণও বদলায় নী,শুধু চুলটা পেকেছে এই যা। তুবা চলে গিয়েও আজ আনসারীর মনে রয়ে গেছে।তুবা আনসারী কে যেভাবে রেখে গিয়েছিল আজও সে সেভাবেই আছে।হয়তো এটাই প্রকৃত ভালোবাসা,কিন্তু তুবা যদি তার ভালোবাসা হয় তবে সে কি?তার জায়গাটা কোথায় এই সংসারে বলতো?

লাগেজ খুলে লাগেজ ঘাটতে লাগলো আনসারী,মনে হচ্ছে কিছু একটা খুঁজছে।জিনিসটা পেতেই আনসারীর মুখে হাসি ফুটলো তবে ভয়ংকর সেই হাসি।আনসারী খামটা খুলে ছবিগুলো ধরিয়ে দিল ফিরোজার হাতে।কাপা কাপা হাতে ছবিগুলো ধরলো ফিরোজা।তার হাত অসম্ভব পরিমাণে কাপছে।ছবিগুলো তাহরীম আর আফরিন এর বিয়ের ।তবে আনসারী জেনে গেছে সবটা।দরজা লাগানোর শব্দে মুখ উঠিয়ে তাকালো ফিরোজা।আনসারী তার দিকে বাঁকা হেসে এগিয়ে আসছে, হাতে তার চামড়ার বেল্ট।ফিরোজা দু কদম পিছিয়ে গেলো ।

ফিরোজার শরীর আর সায় দিচ্ছে না।পুরো শরীরে বেল্টের মারের দাগ পড়ে গেছে।রুমের মেঝের এক কোনায় পড়ে আছে সে।পায়ে এত টুকু শক্তিও নেই যে উঠে দাড়াবে।অনেক চেষ্টা করেও যখন উঠতে পারলো না তখন ওভাবেই পড়ে রইলো।কিছুক্ষণ পর নিজের গালে প্রচন্ড তাপ অনুভব করলো। পিট পিট করে চোখটা খুলে দেখল আনসারী তার গাল চেপে ধরে আছে।ফিরোজা দুর্বল গলায় বললো,
ফিরোজা: আমায় ছেড়ে দিন প্লিজ।আর এমন ভুল হবে না।

ফিরোজা কে ছেরে উঠে দাড়ালো আনসারী।ওর দিকে তাকিয়ে ঠান্ডা দৃষ্টিতে বললো,
আনসারী: আফরীন কে বিয়ে দিয়ে তুমি ঠিক করনি।তুমি জানোনা এর পরিণাম তোমায় কিভাবে ভুগতে হবে।তোমার এই ভুলের জন্য আমায় অনেক বড় খেসারত দিতে হবে যার ফল তুমিও পাবে।আফরীন কে তো যেভাবেই হোক আমি ফেরত আনবো আর এর জন্য যদি আমার ওই ছেলের প্রাণও নিতে হয় তাও নিবো।কিন্তু আমার মেয়েকে আমি কখনোই ওই ছেলের আশপাশেও ফিরতে দিবো না বলেই আনসারী বাকা হাসলো।

আধো আধো চোখে আনসারীর কথা আর হাসির মানে কিছুই বুঝলো না।তার মনে একটাই প্রশ্ন আনসারী কি করবে।কিন্তু আর কিছু ভাবতে পারলো না তার আগেই জ্ঞান হারালো ফিরোজা।

‘ এখানে জান্নাতুল আফরিন কে ? ‘ ক্লাসের মাঝে ইন্টেরাপট করে কথাগুলো বললো হসপিটালের চিফ নার্স।

আমি উঠে দাঁড়ালাম।আমার দিকে একবার তাকিয়ে বললেন,
নার্স: আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন ডক্টর ফারহান।

নার্সের কথা শুনে আমি এক পলক ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকালাম কিন্তু ডাক্তার সাহেব একবারের জন্যও আমার দিকে তাকালেন না।পড়ার মাঝে ইন্টেরাপট করায় উনি রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য ফোন দেখছেন আর ঘাড় বেকাচ্ছেন।আমি বুঝলাম উনি কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাবেন না তাই বাধ্য হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে গেলাম নার্সের পিছন পিছন।

‘ আমি যতটুকু জানি আজ তো স্যারের কোনো অপারেশন বা ওপিডি নেই নওরীন।থাকলে তো আমায় জানিয়ে দেওয়া হতো।তাহলে এখন কিসের জন্য ডাকা হয়েছে সেটা কি জানো? ‘ চিফ নার্স কে উদ্দেশ্য করে বললাম আমি।

নওরীন: আজ একজন সিনিয়র ডক্টর ট্রান্সফার নিয়ে এই হসপিটালে আসছেন শুনলাম।উনার ওয়েলকাম এর দায়িত্ব পড়েছে ডক্টর ফারহানের কাধে আর তুমি যেহেতু উনার অ্যাসিস্ট্যান্ট তাই তোমাকেও সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।

আফরিন: ওখানে আর কে কে থাকবেন?
নওরীন: মনে হয় ডক্টর তাহরীম আর আরও কিছু সিনিয়র ডক্টরস থাকবেন।বলতে পারছিনা এই বিষয়ে কিছু কারণ সেরকম ভাবে কিছুই জানিনা।
আফরিন: ওহ….

কথা বলতে বলতেই ডক্টর ফারহানের কেবিনের সামনে চলে এলাম।নওরীন আমায় এগিয়ে দিতে এসেছিল তাই আমি কেবিনের কাছে আসতেই নিজের কাজে চলে গেলো।আমি নক করলাম স্যারের কেবিনে। ভিতর থেকে ডক্টর ফারহান বলে উঠলেন কাম ইন।

আমি ডক্টর ফারহানের অনুমতি পেয়ে কেবিনে প্রবেশ করলাম।আমায় দেখে স্মিত হাসলেন ডক্টর ফারহান তারপর বললেন,
ফারহান: কি মিসেস আফরিন স্বামী সংসার নিয়ে কি এতই ব্যস্ত যে এখন আর কলেজেই আসতে পারছেন না?
আফরিন: না স্যার আসলে একটা ইনসিডেন্ট এর কারণে আমি প্রচন্ড ডিপ্রেসড ছিলাম আর সেটা আমার হাসব্যান্ড মেইলও করেছেন হসপিটাল অথরিটির কাছে আমার ইমেইল দিয়ে।আমি ছুটিতে ছিলাম এতদিন।

ফারহান: তাহলে আপনার কলেজের আসার পিছনে অন্য কারণ। যাই হোক আপনি কি জানেন ফাইনাল ইয়ারে যে টপ করবে তাকে এখান থেকে স্কলারশিপ দিয়ে জার্মানে পাঠানো হবে ফর এমডি অ্যান্ড এফসিপিএস?
আফরিন: জী স্যার আজই শুনলাম।প্রত্যেক বছরই নাকি ফাইনাল ইয়ারের টপ স্টুডেন্ট কে জার্মানে রিক্রুট করা হয় এমডি আর এফসিপিএস এর জন্য।
ফারহান: হুম তাহলে প্রিপারেশন নিন সেই মতে যাতে জার্মানে যেতে পারেন।এটা কিন্তু আপনার জন্য গোল্ডেন অপরচুনিটি।এই সুযোগ বারবার পাবেন না তাই সেটা কাজে লাগান।আপনি ভালো রেজাল্ট না করলে টিচার হিসেবে আমার আর তাহরীম স্যারের মত আপনার বাকিসব টিচারদের নাক কিন্তু কাটা যাবে।আপনি কি চান আমরা এম্বারাস ফিল করি?
আফরিন: না স্যার চাইনা। তাই আমি এখন থেকে আমার হান্ড্রেড পার্সেন্ট এফোর্ড দিবো তবে আমি জানিনা কতটা কি করতে পারব।

ফারহান: তাহলে এবার তোমাকে যেই কারণে ডাকা হয়েছে সেটা বলি।আজ আমাদের হসপিটালে একজন সিনিয়র ডক্টর ট্রান্সফার নিয়ে আসছেন আর তাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে।এখন তুমি যেহেতু আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট তাই তোমাকেও সেখানে থাকতে হবে। আই হোপ ইউ হ্যাভ নো প্রবলেম রাইট?

আমি স্যারের কথা শুনে আলতো হেসে বললাম,
আফরিন: না স্যার আমার কি প্রবলেম থাকবে।আমার তো কাজই আপনাকে এসিস্ট করা।
ফারহান আফরিন এর কথা শুনে বিনিময়ে শুধু আলতো হাসলো।

‘ এই এখানে বুকে টা কোথায় আর এত সাজসজ্জা কেন? এখানে কি কোনো ফাংশন হচ্ছে যে এত ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে? ‘ তিরিক্ষি মেজাজে কথাগুলো বলল স্টাফদের তাহরীম।আশেপাশে থাকা সকলে ভয়ে ভয়ে আছে কখন না এই মেজাজের উত্তাপ তাদের উপরও বর্ষে পড়ে। তাহরীম কপালে আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে সবটা পর্যবেক্ষণ করছে। সিনিয়র ডক্টর কে ওয়েলকাম করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থার দায়িত্ব তাহরীমের উপর পড়েছে আর সিনিয়র ডক্টর কে ওয়েলকাম ডক্টর ফারহান করবে।এমনিতেই আফরিন কে ডক্টর ফারহানের সঙ্গে একদমই সহ্য হয়না বলে মেজাজ গরম তাহরীমের আর সেই আগুনেই ঘি ঢাললো আফরিন।অদূরে ডক্টর ফারহানের সঙ্গে হাসতে হাসতে আসছে সে।আফরীন কে দেখে তাহরীমের মেজাজ আরও বেশি খারাপ হলো।দূর থেকে দেখা যাচ্ছে আফরিন হাসছে, ফারহানও হাসছে আর এদিকে তলে তলে তাহরীম যে কত রেগে গেছে তার কোনো হিসাবই নেই আফরিন এর।

‘ বড্ড সাহস বেড়ে গেছে আপনার তাইনা মিসেস আফরিন?এর ফল আপনি বাড়ি গিয়ে বুঝবেন।আপনার হাসি আমি ছুটাচ্ছি। ‘ বিড়বিড় করে বললো তাহরীম।

‘ সবকিছু কমপ্লিট তাহরীম? ‘ প্রশ্ন করলো ফারহান।

ডক্টর ফারহানের কথায় ডাক্তার সাহেব চমকে উঠলেন।উনার চমকে উঠা দেখে সরু চোখে তাকালাম উনার দিকে।উনাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা ভাবছিলেন।ডাক্তার সাহেব ডক্টর ফারহানের কথায় অপ্রস্তুত হেসে বললেন,
তাহরীম: হুম হয়েছে তো।এখন শুধু আপনার ডক্টর মির্জা কে ফ্লাওয়ার বুকে দিয়ে ওয়েলকাম করার পালা।

দাতে দাত চেপে কথাগুলো বললেন ডাক্তার সাহেব।উনার কথা বলার ধরন দেখেই বুঝলাম উনি রেগে আছেন আর উনার এই রাগের কারণ বুঝতেও আমার এক মিনিট সময় লাগলো না।ডাক্তার সাহেব রেগে যাওয়াতে উনার নাক ফুলে লাল হয়ে গেছে।উনাকে লালে লাল হয়ে টমেটো হতে দেখে কি যে হাসি পাচ্ছে কি বলবো।

~ চলবে ইনশাল্লাহ্

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে