তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে পর্ব – ২৭

0
1182

#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-২৭

‘ What ! আপনার হবু স্ত্রীয়ের সৎ খালাতো ভাই মানে?আমি আবার আফরিনের খালাতো ভাই কখন হলাম? আর হলেও বা সৎ খালাতো ভাই কেন হবো? ‘ আরাফাতের কথা শুনে তাহরীম অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে আরাফাতের দিকে তাকিয়ে বললো কথাগুলো।

‘ উহু উহু আফরিনের খালাতো ভাই কখন বললাম? আমি তো আমার হবু স্ত্রীয়ের কথা বলছি যার সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।অবশ্য এটাও ঠিক আপনি আফরিনেরও সৎ খালাতো ভাই।আপনি আমার প্রাক্তন প্রেমিকা আর বর্তমান প্রেমিকা দুজনেরই সৎ খালাতো ভাই। ‘ বাঁকা হেসে তাহরীমের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলল আরাফাত।

‘ আফরিনের কথা বলছেন নাতো কার কথা বলছেন?আপনি তো কিছুদিন ধরে আফরিনের পিছনেই পরে আছেন তাহলে আর কার কথা বলছেন?আর আপনার প্রাক্তন প্রেমিকা আর বর্তমান প্রেমিকা মানে?আমি তো আপনার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না। ‘ এবারও অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে বললো তাহরীম।

‘বুঝবেন বুঝবেন সব বুঝবেন…আপনাকে একটা ছবি দেখাই।ছবিতে মেয়েটিকে চিনতে পারেন কিনা দেখবেন ঠিকাছে? ‘ কথাগুলো বলে আরাফাত পকেট থেকে মোবাইল বের করতে ব্যস্ত হয়ে পরে।

আরাফাত কে পকেট থেকে ফোন বের করতে দেখে আকাশ তাহরীমের দিকে তাকিয়ে বলে,
আকাশ: বস আপনি ওকে মোবাইল ধরতে দিচ্ছেন কেন? ও যদি পুলিশ কে ফোন করে?
তাহরীম: ও পুলিশ কে ফোন করবে না…আর করলেও বা কি? তাহরীম মেহমাদ কি পুলিশ কে ভয় পায় নাকি?
আকাশ:কিন্তু বস….আকাশ আর কিছু বলতে পারল না কারণ তার আগেই তাহরীম ওর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।

এবার দেখুন এই মেয়েকে চিনেন কিনা বলে তাহরীমের দিকে নিজের ফোনটা এগিয়ে দিল আরাফাত। তাহরীম আরাফাতের হাত থেকে ফোনটা হাতে নিল কিন্তু ফোনে থাকা মেয়েটার ছবি দেখে ওর চোখ কপালে উঠে গেলো। ও আরাফাতের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললো,
তাহরীম: এই ছবি আপনি কোথায় পেলেন? এটা তো আমার মামাতো বোন অলিভিয়ার ছবি।আমার মামাতো বোন মানে আমার বড় মামার মেয়ে।

তাহরীমের কথা শুনে আরাফাত ওর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো,
আরাফাত: আপনার বড় মামা?আপনার আসল মামা?
তাহরীম:আসল… মামা… মানে?মামা কি আসল…নকল হয় নাকি ?…কোনমতে তোতলাতে তোতলাতে বললো তাহরীম।
আরাফাত: আসল হলে এভাবে তোতলাচ্ছেন কেন মিস্টার তাহরীম?ডক্টর তাহরীম মেহমাদ তোতলাচ্ছে? আহ কি অবিশ্বাস্যকর ঘটনা।
তাহরীম: আপনি কি বলতে চাইছেন পরিষ্কার করে বলুন।
আরাফাত: আমি এটাই বলতে চাচ্ছি আপনি যাকে আপনার বড় মামা বলছে সে আসলে আপনার নিজের মামা নয় এবং আপনার মায়ের নিজের ভাই নয় সেটা আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলে জানে একমাত্র আফরিন বাদে।

আরাফাতের কথা শুনে তাহরীম চমকে উঠলো। ও আরাফাতের দিকে গোলগোল চোখে তাকালো। আকাশও বিশ্বাস করতে পারছে না আরাফাতের কথা কারণ এই ব্যাপারে ও কিছুই জানেনা। ও শুধু জানে তাহরীমের মায়ের দুই ভাই আর এক বোন আছে। বোন তো সেই তিরিশ বছর আগে থেকেই বেপাত্তা আর ভাই দুটো বিদেশে…

তাহরীম:আপনাকে এসব কে বললো?আপনি আসলে কে বলুন তো?আপনি কি চাইছেন টা কি আমার কাছ থেকে?
আকাশ ওর বসের ব্যবহারে অবাক হচ্ছে।ওর বস আরাফাত নামক লোকটাকে ভয় পাচ্ছে তারমানে আরাফাত যা বলছে তাই কি সত্যি?
আরাফাত:আমাকে কে এসব বলেছে সেটা আসল ব্যাপার নয়,আসল ব্যাপার হলো আপনাদের পরিচয়।আপনি কি জানেন আপনার যেই খালা তিরিশ বছর আগে হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছিলো সেই খালা, সিদরাতুল মুনতাহা তুবার বেস্ট ফ্রেন্ড আপনার মা?

আপনার মায়ের মা বাবা মানে আপনার নানাভাই আর নানু আপনার মায়ের যখন দশ বছর তখনই একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যায় আর আপনার নানাভাইয়ের বন্ধু হওয়ার খাতিরে মিস তুবা ( আফরিনের মা ),মিষ্টার নিহাদ ( আফরিনের ছোটো মামা ) আর মিস্টার রিফাদ ( আফরিনের বড় মামা ) এর বাবা মিস্টার মিহাদ তানভীর আর মা মিসেস অরুণিমা রাত্রি আপনার মা মিসেস রহিমাকে দত্তক নেন।

আরাফাতের মুখ থেকে এতগুলো কথা শুনে আকাশ আসমান থেকে পড়লেও তাহরীম এক ফোঁটাও অবাক হলোনা কারণ ওর পরিবারের সবাই এই কথা জানে একমাত্র আফরিন বাদে।আসলে আফরিন কে জানানোর সুযোগ হয়নি নাহলে ওকেও বলতো।এতক্ষণ আরাফাতের কথা শুনে তাহরীম এইটুকু বুঝে গেছে ওদের পরিবারের সঙ্গে আরাফাতের কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে নাহলে এতকিছু একজন বাইরের মানুষ হয়ে আরাফাতের পক্ষে জানা সম্ভব না।

তাহরীম আরাফাতেরদিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় নির্লিপ্ত ভাবে বললো,
তাহরীম: সবকিছু আমার জানা।এখন আপনি এটা বলেন যে আমাদের পরিবারের সঙ্গে আপনার কি সম্পর্ক? আপনার নাম আমি কখনোই শুনিনি আমাদের পরিবারের কারোর মুখে।
আরাফাত:শুনবেন কি করে? আপনার মামারা তো অনেক বছর ধরে দেশেতেই আসেন না তাদের বোনের হারিয়ে যাওয়ার দুঃখে।আপনার অনেক কৌতূহল আমি কে তাইতো?

ওয়েল তবে আমি আর সাসপেন্স রাখবো না।আমার পরিচয়টা নাহয় আমি রিভিল করেই দেই।আমি হলাম আপনার বড় মামার বন্ধুর ছেলে আর আপনার বড় মামার বড় মেয়ে অলিভিয়া জামানের হবু বর কিংবা বয়ফ্রেন্ডও বলা চলে।

‘ হোয়াট! ‘

এবার আরাফাত আবার বলল আপনার মনে প্রশ্ন আসছে তো আমি অলিভিয়া ওরফে অলিভের হবু বর হলে আমার প্রাক্তন প্রেমিকা আফরিনের পিছনে কেন পরে আছি?দেন আমি এটাও বলছি।আমি আফরিনের পিছনে পড়েছি একমাত্র আপনার জন্য।

‘ আমার জন্য? ‘ এবার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে কথাটা বলল তাহরীম।
তাহরীমের মনে সহস্র প্রশ্ন রয়েছে বুঝতে পেরে আরাফাত প্রচ্ছন্ন হাসলো তারপর বললো,
আরাফাত: আপনি কোনো প্রশ্ন করেন তার আগেই আমি বলে দেই।আপনার স্ত্রী জান্নাতুল আফরিন কাজী হলো আপনার খালা যে আপনার মায়ের বান্ধবী সিদরাতুল মুনতাহা তুবার একমাত্র মেয়ে। আফরিন আমার প্রাক্তন প্রেমিকা যে আমার সঙ্গে দেড় বছর আগে সব সম্পর্ক শেষ করে এক প্রকার পালিয়ে এসেছিল বাংলাদেশে।

আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক শেষ করার আর আপনার ওকে পাওয়ার একমাত্র কারণ হলাম আমি ।আমার অতিরিক্ত ভালোবাসা ওকে পাগল করে তুলেছিল। আফরিন কে ভালবেসে আমি দিনদিন পসেসিভ হয়ে উঠি যার কারণে ওকে নিজের ভালোবাসায় বন্দী করতে শুরু করি।আর সেই ভালোবাসার খাচাই আফরিনের ভালো লাগে না কারণ ওর মা মারা যাওয়ার পরও ও কোনোদিনও এভাবে বন্দী থাকেনি, চিরকালই ও খাচামুক্ত পাখি।নিজেকে আমার ভালোবাসার খাচা থেকে মুক্ত করতে আমার সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে বাংলাদেশে চলে আসে।

ওর চলে আসার পর ওর চলে যাওয়ার শোকে আমি এক প্রকার পাগল হয়ে যাই আর ডিপ্রেশনে চলে যাই।কিন্তু সেই ডিপ্রেশন থেকে আমায় অলিভ বের করে আনে।আমাকে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপিস্ট এর কাছে নিয়ে যায়,আমার অনেক ধরনের কাউন্সেলিং করিয়ে আমাকে সুস্থ করে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আমি সারাদিনই অলিভের কাছাকাছি থাকতাম যার ফলশ্রুতিতে আমি দ্বিতীয়বারের মত ওকে ভালোবেসে ফেলি।আমি অলিভ কে ভালোবাসি এটা সবাই জানলেও আমার সঙ্গে যে আফরিনের সম্পর্ক ছিল সেটা একমাত্র অলিভ ছাড়া কেউ জানতো না তাই আমি অলিভ কে ভালোবাসি জানাজানি হতেই আমার আর অলিভের বাবা মানে আপনার বড় মামা আমাদের বিয়ে ঠিক করে ফেলে। এই তো সামনের মাসে আমাদের বিয়ে…..এতটুকু বলেই আরাফাত চুপ করে। একটানা অনেকক্ষন বলার কারণে হাপিয়ে গেছে।

আরাফাত স্তম্ভিত আকাশের দিকে তাকিয়ে একটু জোর গলায় বলে পানি পাওয়া যাবে।আরাফাতের গলার শব্দ পেয়ে আকাশ কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে আসে,এতক্ষণ আরাফাতের কথা শুনে একটা ঘোরের মাঝে চলে গেছিলো যেটা এখন আরাফাতের ডাকে ভেঙে গেছে।আরাফাতের দিকে তাকিয়ে আলতো মাথা নেড়ে পানি আনতে চলে গেলো।

এবার আরাফাত দৃষ্টি দিলো তাহরীমের দিকে। বেচারা তাহরীম মনে হয় এখনও ওর কথাগুলো হজম করতে পারেনি কারণ তাহরীম বিস্ময়ে হা করে আছে। তাহরীম এর দিকে তাকিয়ে কৌতুক জড়ানো গলায় আরাফাত বললো ‘ ডক্টর তাহরীম মুখটা তো বন্ধ করুন,নাহলে তো মুখে মশা ঢুকে যাবে। ‘

এবার আরাফাতের কথায় তাহরীমের সম্বিত ফিরল।এতক্ষণ আরাফাতের কথা শুনতে শুনতে একটা ঘোরের মাঝে চলে গেছিলো।ওর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে আফরিন ওর খালাতো বোন হোক না সে সৎ কিন্তু খালাতো বোন তো যেহেতু ওর মাকে আফরিনের নানাভাই দত্তক নিয়েছিল।কিন্তু এখনও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়।আরাফাতের ওর সঙ্গে কি এত জরুরি কাজ যে ও আফরিন কে ইউজ করে তাহরীমের মুখোমুখি হলো।

আকাশের কাছ থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে এক ঢোকে পুরোটা খেয়ে নিলো আরাফাত।পানি খেয়ে গ্লাসটা আকাশের দিকে এগিয়ে দিলে আকাশ সন্তপর্নে গ্লাসটা নিলো। আরাফাত একটু নড়েচড়ে বসে আবারও বলতে বসলো,
আরাফাত: এখন নিশ্চই আপনার মনে আরও প্রশ্ন আসছে। ওয়েল আমি আপনার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আফরিন কে টার্গেট করে ওর উপর আপনাকে সন্দেহ করতে বাধ্য করেছি যাতে আপনি রেগে গিয়ে আমায় কিডন্যাপ করেন আর আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারি। এমনই আমি বললে হয়তো আপনি কিছু বিশ্বাস করবেন না কিন্তু এই ট্রিকস টা এপ্লাই করাতে আপনি এখন আমার কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য।

তাহরীম এবারও আরাফাতের কথায় কিছু বুঝলো না।আরাফাতের উপর ওর অনেক রাগ উঠছে কারণ লোকটা রহস্য ক্লিয়ার করছে না,কথাগুলোকে শুধু শুধু জিলাপির মত পেচিয়েই যাচ্ছে।এবার তাহরীম বিরক্ত হয়ে বলল,
তাহরীম: আপনি কি একটু ক্লিয়ারলি বলবেন যে আপনার আমার কাছে কি চাই?এত পেচাচ্ছেন কেন?
আরাফাত তাহরীমের কথা শুনে বাঁকা হেসে বললো,
আরাফাত: আমি আপনার মত এত স্ট্রেট ফরোয়ার্ড নই ডক্টর তাহরীম।আমি যা করি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করি কারণ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমার কাজ করা পছন্দ।

আমি আফরিন কে ইউজ করেছি যাতে আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারি তাছাড়া আফরিন কে অসহায় ভাবে দেখার একটা সুপ্ত ইচ্ছাও ছিল আমার মনে কারণ দেড় বছর আগে ঔ আমায় আমার ভালোবাসার জন্য অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল । তবে হ্যা আমার এখন আর কোনো সম্পর্ক নেই আফরিনের সঙ্গে।আমি জাস্ট আমার রিভেঞ্জ নিতে চাচ্ছিলাম যেটা নেওয়া হয়ে গেছে।

বাই দ্যা ওয়ে আমার এত কাহিনী করার আসল কারণ জানতে চাইবেন না?

আরাফাতের কথা শুনে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো আরাফাতের দিকে তাহরীম।এতক্ষণ ধরে এটা শোনার জন্যই তো অপেক্ষা করছিল।কখন শুধু শুনবে আসল কারণ কি তার জন্যই প্রহর গুনছে। আরাফাত ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
আরাফাত: আমার এতসব কিছু করার পিছনে আসল কারণ হলো আফরিন। হ্যাঁ আফরিন, আফরিন কে সব বিপদ থেকে বাঁচাতেই এতকিছু করছি আমি। আফরিন আমার প্রাক্তন প্রেমিকা ঠিকই কিন্তু আগে ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।আর আমার ফ্রেন্ড কে বাঁচানোর দায়িত্ব আমার আর সেই বিপদ থেকে বাঁচাতে আমার আপনার হেল্প লাগবে।

তাহরীম আরাফাতের কথার আগাগোড়া কিছুই বুঝতে পারছে না তবুও জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে প্রশ্ন করলো আরাফাত কে,
তাহরীম: কি হেল্প আর কিসের বিপদ?কে আফরিন কে বিপদে ফেলতে চাইছে?

আরাফাত: আফরিন কে বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য আমার আপনার হেল্প লাগবে আর আফরিন কে বিপদে ফেলেছে ওরই সবচেয়ে কাছের….
আরাফাত পুরো কথা শেষ করবে তার আগেই তাহরীমের ফোন বেজে উঠলো।আরাফাত কে এক মিনিট হোল্ড করতে বলে ফোনটা রিসিভ করে কানে তুললো।কিন্তু ওই পাশ থেকে যা শুনলো তারপর তাহরীমের সমস্ত ভূমন্ডল কেপে উঠলো। তাহরীমের হাত ফস্কে ফোনটা পরে গেলো। তাহরীম ঠায় বসে আছে চেয়ারটায়।

তাহরীমের হাত থেকে এভাবে ফোন পরে যেতে দেখে আরাফাত আর আকাশ দুজনের কপালেই চিন্তার ভাঁজ পড়ল।আকাশ দৌড়ে গিয়ে তাহরীম কে ঠেলা দিয়ে বললো,
আকাশ: কি হয়েছে বস?
তাহরীম: আফরিন অজ্ঞান হয়ে গেছে আকাশ,ওকে মা বাবা ওরা হসপিটালে নিয়েছে। আফরিনের বাবা এসে ঝামেলা করতেছে অনেক।ওকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছে কারণ আমি নাকি তার মেয়ের যত্ন নেইনি।

‘ শিট যা ভেবেছিলাম তাই হলো। অবশেষে সাপ তার রং দেখিয়েই দিলো। ‘ বিরক্তি প্রকাশ করে কথাগুলো বললো আরাফাত।

চেয়ারে বসে এক দৃষ্টিতে আরাফাতের কর্মকান্ড দেখছে তাহরীম। তাহরীমকে এভাবে বসে থাকতে দেখে আরাফাত ওর কাছে এসে বললো,
আরাফাত: আমাদের কে হসপিটালে যেতে হবে তাহরীম নাহলে মিস্টার আনসারী আফরিন কে নিয়ে যাবে।একবার আফরিন চলে গেলে ওকে আর ফিরে পাবে না তাহরীম।তাড়াতাড়ি চলো….
আরাফাতের কথা শুনে অসহায় চোখে তাহরীম আরাফাতের দিকে তাকালো।

~ চলবে ইনশাল্লাহ্

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে