অপূর্ণতা পর্ব-৪৫+৪৬

0
975

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_৪৫

অদ্রিতার কথা শুনে রাগে আরিয়ানের চোখ – মুখ লাল হয়ে গেছে। সে অদ্রিতার দুইবাহু জোরে চেপে ধরে রেগেই বলে,এখন তোর থেকে আমাকে ঠিক ভুল শিখতে হবে নাকি।কি মনে করিস্ তুই নিজেকে? কোন সাহসে তুই আমাকে এতগুলো কথা শুনালি।তোর সাহস কি করে হলো রাইশাকে নিয়ে বাজে কথা বলার?রক্ষিতা সে হতে যাবে কেন?রক্ষিতা যদি কেউ হয় তবে সেটা হবি তুই। নিলজ্জ আর বেহায়া তো তুই, তা না হলে তোকে এত অপমান করার পরেও কি এখানে পরে থাকতি নাকি।তোকে তো কোন দিনই আমি আমার স্ত্রী হিসেবে মেনে নেইনি।তবে কিসের পরকিয়ার কথা বলছিস্ তুই?কান্না বন্ধ করে আমার কথার উত্তর দে,কথা বল!

অদ্রিতার দুই চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে।সে কোন কথা বলতে পারছে না।অদ্রিতাকে এভাবে কান্না করতে দেখে সে আবার বললো,কি হলো কথা কানে যাচ্ছে না নাকি।আমার সামনে এসব ন্যাকা কান্না করে কোন লাভ নেই। কান্না বন্ধ কর বলছি।অদ্রিতা কান্না থামায় না,সে কান্না করতে করতেই বলে আপনার সাথে ইসলামিক ভাবে সব নিয়ম কানুন মেনে কবুল বলে আমার বিয়ে হয়েছে।আমি আপনার স্ত্রী আর আপনি বলছেন আপনি আমাকে মেনে নেন নি।ওই দিন আপনি নিজ থেকে আমাকে আপনার কাছে টেনে নিয়েছেন আর এখন বলছেন আমাকে মেনে নেননি। তবে কেন আমাকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখালেন?আমি কালো তাই বলে আমাকে আপনার পছন্দ না তবে আমাকে বিয়েটা কেন করতে গেলেন?আমাকে বিয়েটা না করলেই পারতেন। ওই নিলজ্জ, বেহায়া আর কারেক্টারনেস মেয়েকে বিয়ে করলেই পারতেন।এভাবে আমার জীবন নিয়ে কেনো খেললেন।আমার জীবন নিয়ে ছেলেখেলা না করলেই তো পারতেন।কেন দিনের পর দিন আমাকে এভাবে কষ্ট দিলেন? এভাবে আমার জীবন নষ্ট না করে ওই কারেক্টারনেস মেয়েকে আগেই বিয়ে করে নিতেন,তবে তো আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট হতো না। না আমাকে এততা কষ্ট, অপমান আর অবহেলা সহ্য করতে হতো।

অদ্রিতা আরও কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরিয়ান তার গালে জোরে চর মারে।হঠাৎ চর মারায় সে তাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়।তার ঠোঁট কেটে রক্ত পরতে থাকে কিন্তু সেদিকে আরিয়ানের বিন্দু পরিমান খেয়াল নেই।অদ্রিতা নিচে পরে গেলে সে তার চুলে ধরে তাকে আবার টেনে তুলে রাগে চিল্লিয়েই বলে,
তোর সাহস তো কম নয় তুই আমার ভালোবাসা সম্পর্কে এমন কথা বলছিস্।কখনো নিজের সাথে ওকে তুলনা করতে যাবি না।তোর কোন যোগ্যতা নেই আমার বউ হওয়ার বুঝলি।আর ওই দিন তোর সাথে আমি যা করেছি সব ঘোরের মাঝে করেছি।আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল এটা।কি করে যে নিজের ওপর থেকে কন্টোল হারিয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারিনি।তোর মতো মেয়েকে ভালোবেসে কাছে টেনে নিবো তা ভাবলি কি করে।আর একদিন ঘোরে মাথায় তোকে কাছে টেনে নিয়েছি বলে ভুলেও এটা ভাবতে যাবি না আমি সারাজীবন তোকে বয়ে বেড়াবো।তোর মতো মেয়েকে আমি স্ত্রী অধিকার দিবো।ওই দিনের জন্য এখনো আমার আফসোস হয়।কি করে তোর মতো মেয়েকে নিজের কাছে টেনে নিয়েছি তা ভাবতেই নিজের উপর ঘৃণা হয়।তোর থেকে আমি মুক্তি চাই।তোর সাথে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তোকে ডিভোর্স দিয়ে আমি রাইশাকে বিয়ে করবো।শুনছিস তুই তোকে আমি ডিভোর্স দিবো।সে আর কিছু বলে না।অদ্রিতাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে যায়,,,,,,

ওনার মুখ থেকে এই “ডিভোর্স” শব্দটি শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।আমার মাথায় শুধু একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো “ডিভোর্স “।”ডিভোর্স ” এই একটি শব্দ আমাকে ভেতর থেকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে।এই শব্দটা শুনা মাত্রই আমার হাত- পা কাঁপতে লাগলো। আমার চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি পড়ছে।
আমার মনে ভিতরে বিভিন্ন কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। এখন আমি কি করবো?কোন সম্পর্ক ভেঙে গেলে দোষ যারই হোক না কেন কথা সব সময় মেয়েদেরকেই কথা শুনতে হয়।এমন মনে করা হয় সম্পর্ক ভাঙার পেছনে সব দোষ মেয়েদের থাকে।ছেলেদের কোন দোষ সেখানে থাকে না।সমাজের মানুষ আমাকে নানা কথা বলবে।
বলবে এমনেতেই কালো তার উপরে ডিভোর্সী এমন মেয়েকে কে আবার দ্বিতীয় বার বিয়ে করবে।সারাজীবন বাবা আর ভাইয়ের গাড়ের বোঝা হয়ে থাকবে।নিশ্চয়ই মেয়ের কোন দোষ আছে নাহলে বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই ডিভোর্স দিবে কেন।সবাই আমাকে দেখে ছিঃ ছিঃ করবে।কোন দোষ না করেও আমাকে এতকিছু সহ্য করতে হবে।তাছাড়া আমার ছোট বোনটার কি হবে?যদি জানে বড় বোন ডিভোর্সী তবে তার জন্য ভালো বিয়ের ঘর আসবে না।সে আর কিছু ভাবতে পারছে না।

“ডিভোর্স” এই একটা শুনে সে আরিয়ানের করা সব ভুল গুলো ভুলে গেছে।সে চাইছে সবকিছু আবার ঠিক করতে।একটা সম্পর্ক ভেঙে ফেলা অনেক সহজ কিন্তু গড়া খুব কঠিন।সে চাচ্ছে না কালেমা পড়ে কবুল বলে, বিয়ের মতো পবিত্র একটা সম্পর্ক এত সহজে ভেঙে যাক। তাই সে মনস্থির করে,যাই হোক সে একবার শেষ চেষ্টা করবেই।এত সহজে একটি সম্পর্ক ভেঙতে সে দিবে না।

আরিয়ান ওয়াশরুম থেকে বের হতেই অদ্রিতা সাথে সাথে তার কাছে যায়।আরিয়ানের দুই পা জরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে,
আপনি আমাকে ডিভোর্স দিলে আমার কি হবে।আমি তো মরেই যাবো। আমার মা- বাবা সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না।আমার ছোট বোনটার কি হবে।প্লিজ আপনি আমাকে এভাবে শাস্তি দিবেন না।আপনি যাকে খুশি বিয়ে করেন আমি আর কিছু বলবো না। আর কখনো আপনার সামনে আসবো না। আপনার বাড়িতে চাকরের মতো থাকবো তবুও প্লিজ আমাকে ডিভোর্স দিয়েন না।আজ থেকে আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।দরকার হলে আমি আপনার দাসীর মতো থাকবো তবুও প্লিজ আপনি আমাকে ডিভোর্স দিয়েন না।অদ্রিতা আর কোন কথা বলতে পারছে না।কান্নার জন্য সব কথা যেন গলার ভিতরে ধলা পাকিয়ে আছে। সে আর কিছু বলছে না শুধু আরিয়ানের পা ধরে অঝোরে কান্না করে যাচ্ছে,,,,,,,

অদ্রিতার কথাগুলো শুনে আরিয়ানের তার প্রতি বিন্দু পরিমাণ মায়া হলো না।উল্টো সে,,,,,,
.
..

চলবে,,,,,,,,,

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_৪৬

অদ্রিতার কথাগুলো শুনে আরিয়ানের তার প্রতি বিন্দু পরিমাণ মায়া হলো না।উল্টো সে তার পা থেকে অদ্রিতাকে ছাড়িয়ে তাকে ধাক্কা মারে যার ফলে অদ্রিতার মাথা গিয়ে সুফার সাথে বারি খায়। তার মাথা ফেঁটে রক্ত পরতে থাকে।অদ্রিতা ব্যাথায় কুঁকড়িয়ে উঠে কিন্তু আরিয়ানের সেদিকে কোন খেয়াল নেই সে রাগে বলতে থাকে।তোকে কতবার বলছি আমাকে স্পর্শ করবি না, নিলজ্জ-বেহায়া মেয়ে কোথাকার। এক কথা তোর কানে যায় না।আর ভুলেও কোনদিন আমাকে স্পর্শ করবি না।তবে তার পরিনতি আরও খারাপ হবে।তোকে তো আমি ডিভোর্স দিবোই। তোকে যদি আমি ডিভোর্সটা না দেই তবে রাইশাকে কি করে আমি নিজের করে পাবো?কি করে তাকে আমি বিয়ে করবো? আর আমি রাইশাকে ভালোবাসি তাই তোকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে আমি তাকে বিয়ে করবো।
সকালে উঠে যেন তোর এই অপয়া মুখ আমি আর না দেখি।যদি সামান্য পরিমাণ আত্মসম্মান বোধ থাকে তবে তুই তোর এই মুখ আমাকে আর কখনো দেখাবি না। আর ভালোয় ভালোয় ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিবি।
আরিয়ান অদ্রিতার দিকে না তাকিয়ে সোজা খাটে গিয়ে শুয়ে পরে,,,,,

অদ্রিতা আর কিছু বলে না।সে সুফার সাথে হেলান দিয়ে বসে থাকে।এখন জানুয়ারি মাস।প্রচন্ড শীত পরছে।অদ্রিতা ফ্লোরের উপরের বসে আছে। তার শরীর থরথর করে কাঁপছে।তার মাথা থেকে রক্ত পরছে কিন্তু সেদিকে তার বিন্দু পরিমাণ খেয়ালও নেই।তার শরীরের এই ব্যাথা বা ক্ষতগুলো তার মনের ক্ষতের তুলনায় কিছুই না।শরীরের বাহিরের ক্ষতগুলো তো সময়ে সাথে সাথে ভরে যাবে কিন্তু মনের ক্ষতগুলো তা কি কখনো ভরবে?তা তো কখনোই ঠিক হবে না।

এখন আমার কি করা উচিত আমার তা জানা নেই।এতদিন ওনার করা অপমান,অত্যাচার, অবহেলা এই সব কিছু মেনে নিয়েছি শুধু মনের ভিতর এইটুকু আশা ছিল আমার ভালোবাসা আর বিশ্বাস দিয়ে একদিন ঠিক ওনাকে আমি নিজের করে নেব।ওনী একদিন ঠিকই আমাকে ভালোবাসবে,একদিন সে আমার গায়ের রঙের জন্য আমাকে ঘৃণা করবে না বরং আমি যেমন সেভাবেই আমাকে মেনে নিবে কিন্তু আজ আমার মনে বিন্দু পরিমাণ আশা নেই। এখন সে বুঝতে পারছে আরিয়ানের মনে কখনো তার জন্য বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা জন্ম নিবে না।এখন সে কোথায় যাবে কিছুই বুঝছে না।ওনী তো বলেই দিয়েছে আমার এই অপয়া মুখ যাতে আর কখনো ওনাকে না দেখাই কিন্তু আমি কোথায় যাবো?আমার কি হবে তা একবারের জন্যও ভাবলেন না। মা- বাবার কাছে যাবো কিন্তু তারা কিছুতেই আমাকে এই অবস্থায় দেখে সহ্য করতে পারবে না।কত কষ্ট করে,কত আশা নিয়ে তারা আমার বিয়ে দিয়েছে।বিয়ের কয়েক মাস পরেই ডিভোর্সি হয়ে তাদের মাথার বোঝা হয়ে তাদের বাড়িতে যাবো এটা তারা কি করে মেনে নিবেন।আমার এই পরিনতির জন্য তারা নিজেদেরকে দোষারুপ করবে।অন্য কোথাও যাওয়ার কোন জায়গা নেই। রাস্তায় শিয়াল – কুকুরের অভাব নেই তারা আমাকে খুবলে খুবলে খাবে। তবে কি আত্নহত্যা করবো।হ্যা তাই করবো,এছাড়া তো আমার হাতে অন্য কোন অপশন নেই।আমি উঠে ফাস্ট এইড বক্স থেকে ব্লেড বের করে হাত কাটার চেষ্টা করবো তখন আমি আমার নিজের মাঝে ফিরে আসি।ছিঃ,,,, ছিঃ এ আমি কি করতে যাচ্ছিলাম।আত্নহত্যা করা কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না।মৃত্যুর পরে আমি কষ্টে থাকতে চাই না।আমাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।সারাটা রাত সে দু চোখের পাতা এক করতে পারে নি।তার চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে কিন্তু আরিয়ান নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে,,,,,

~~~অন্যদিকে,,,,,ইন লন্ডন,,,,,,,,

আমার এমন অস্থির লাগছে কেন?কিছুতেই নিজের মনকে শান্ত করতে পারছি না।আমার এমন কেন মনে হচ্ছে আমার খুব কাছের কেউ কোন কষ্টে আছে বা হয়তো কোন পবলেমের মাঝে আছে কিন্তু আমার খুব কাছের বলে শুধু দুইজন মানুষ আছে এক আমার বাবা আর এক অদ্রিতা।বাবা তো সুস্থ আছে রাতেই তো বাবার সাথে কথা হয়েছে। তবে কি অদ্রিতা কোন পবলেমের মাঝে আছে। আমার কোন বারবার মনে হচ্ছে অদ্রিতা কষ্টে আছে কিন্তু সে তো বলেছিল আরিয়ানের সাথে সে অনেক ভালো আছে তবে আমার এমন কেন মনে হচ্ছে?আমি কি অদ্রিতাকে ফোন দিবো?এখন তো বাংলাদেশে মাঝ রাত। এত রাতে কি তাকে ফোন দেওয়া আমার ঠিক হবে?কিন্তু আমার অস্থিরতা তো কিছুতেই কমছে না,সকাল হওয়া পর্যন্ত আমি ওয়েট করতে পারবো না।একবার কল দিয়েই দেখি। সে আর বেশি কিছু না ভেবে অদ্রিতাকে কল দেয়।কল দিতেই দেখে অদ্রিতার ফোন সুইচঅফ। সে আরও ২-৩ বার কল দেয় বারবার একই কথা বলে।এখন তার অস্থিরতা আরও অনেক বেড়ে যায় একবার ভাবে আরিয়ানকে কল দিবে কিন্তু দেয় না।এতরাতে আরিয়ানকে কল দেওয়া ঠিক হবে না।তাছাড়া এত রাতে কল দিয়ে অদ্রিতার কথা জিজ্ঞেস করলে সে আবার অন্যকিছু ভাবতে পারে। আমি চাই না আমার জন্য তার বিবাহিত জীবনে কোন পবলেম হউক।

এখন আমি কি করবো কিছই বুঝছি না।আমার বারবার একই কথা মনে হচ্ছে অদ্রিতা কোন পবলেমের মাঝে আছে এবং এই সময় আমাকে তার প্রয়োজন।যদিও এটা যাস্ট আমার ফিলিং তবুও অদ্রিতাকে নিজের চোখে ভালো আছে না দেখলে কিছুতেই আমার অস্থিরতা কমবে না। আমি কালই দেশে চলে যাবো। সে একজনকে কল দেয় সাথে সাথেই সে ফোন রিসিভ করে,,,,,

আহিল তার পি.এ ফোন রিসিভ করে বলে,”হ্যালো স্যার।এই সময় কল দিলেন,কোন দরকার আছে নিশ্চয়ই?

নিলয় ব্যস্ত হয়ে বলে,” জ্বি,আমি সকালের ফ্লাইটেই বাংলাদেশে চলে আসতে চাই।আমার জন্য ইমিডিয়েট রিটার্ন টিকেট বুক করেন।”

কিন্তু স্যার, আপনার প্রোজেক্টের কাজ তো এখনো শেষ হয়নি।আরও ৩-৪ দিন লাগবে।প্রোজেক্টের কাজ কমপ্লিট না করলে তো আপনার অনেক লস হবে।তাছাড়া আর ৫ দিন পরে তো আপনার জন্য ফ্লাইটেই টিকেট বুক করাই আছে।

নিলয় কিছুটা রেগে বলে, আপনার মতামত আমি জানতে চাইনি।এই সব কিছু আমার জানা আছে।আপনাকে বলা হয়েছে আমার জন্য ফ্লাইটের টিকেট বুক করতে সো তাই করেন।আমি অন্য কিছু শুনতে চাই না।

আহিল নম্র স্বরে বলে,”সরি স্যার,আমি এখনি করছি। টিকেট আপনার রুমে পৌঁছে যাবে।”

নিলয় আর কিছু বলে না ফোন কেটে দেয়।মনে মনে বলে যাস্ট আর কয়েকটা ঘন্টা তার পরেই আমি তোমার কাছে পৌঁছে যাবো।শুধু একবারের জন্য এটা দেখতে তুমি ভালো আছো কি,,,না।
.
..

চলবে,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে