অনুভবে ২ পর্ব-০৪

0
520

অনুভবে (২য় খন্ড)
পর্ব ৪
নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা

“তুমি জানো তোমার চোখজোড়া সায়রের মতো। যে কাওকে মুহূর্তে ডুবাতে বা ভাসাতে পারে।” কথাটা শুনেই ইনারা চোখ খুলে নেয়। চমকে উঠে সে। এক মুহূর্তের জন্য তার স্পন্দন থেমে যায়। সভ্য তাকে ছেড়ে যাবার পূর্বে এ কথাই তো বলেছিলো। তাকে অনুভব করিয়েছিল যে তার মনেও ইনারার জন্য কিছু আছে। যা মিথ্যা ছিলো। এই মিথ্যা অনুভূতি দিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল সে৷ যে অনুভূতি আজ আর নিজের মনে রাখতে চায় না সে।

ইনারা সভ্যের বুকে হাত রেখে এক ধাক্কা তাকে নিজের কাজ থেকে সরিয়ে দেয়। ভেজা চোখ নিয়ে কাঁপা-কাঁপা গলায় বলে, “আপনি চান যে আমি আপনার কথা অনুযায়ী কাজ করি। আমি করছি। কিন্তু আমার কাছে আসার প্রয়োজন নেই। আমি আপনার স্পর্শকেও ঘৃণা করি।”
এতটুকু বলেই ইনারা চোখ ফিরিয়ে নিলো সভ্যের থেকে। চোখে একরাশ অভিমান জমিয়ে চলে গেল সেখান থেকে।

ইনারা যেয়ে দাঁড়াল রান্নাঘরে। তাকে অস্থির লাগছে। এক অশান্তি কাজ করছে তার মাঝে। কিটচেন কাউন্টারটপে হাত রেখে এক মিনিট দাঁড়িয়ে রইলো। নিজেকে শান্ত করার ব্যার্থ চেষ্টা করল। সে এখনো কাঁপছিল। একটু আগে তার ও সভ্যের মাঝে যা হয়েছিল তা একদম অপ্রত্যাশিত। ব্যাপারটা সে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। তার বারবার মনে পড়ছে অতীতের কথা। অতীতের তার ও সভ্যের সব স্মৃতি চোখের সামনে ভাসছে। এ ধারণাও তাকে জ্বালাচ্ছে যে সভ্য তাকে এমন কথাই বলে হারিয়ে গিয়েছিল। এমন কথা শুনে যেকেউ মনে করবে সে পুরুষটি তাকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু ভালোবাসলেই এভাবে মানুষ হঠাৎ হারিয়ে যায় অথবা কেবল স্বার্থের জন্য কাওকে বিয়ে করে না। এসব ভাবতে ভাবতে তার বুক ভারী হয়ে আসে। দম বন্ধ হয়ে আসে। হঠাৎ খুব করে কান্না পায়। কিন্তু নিজেকে সামলায় সে। কান্না করে না। এমন মানুষের জন্য সে কান্না করতে চায় না যে তার অনুভূতির সাথে খেলা করে হারিয়ে গিয়েছিলো। আবারও অতীতকে পুনরায় ঘটতে দিবে না সে। নিজেকে যথাসম্ভব শক্ত রাখবে।

ইনারা এসব কথা মাথা থেকে বের করল সর্বপ্রথম। এরপর রাগে কিটমিট করে বলল, “ভেবেছে আমি রান্না পারব না তাই জ্বালাচ্ছিল তাই না? ওই অসভ্যটাকে আমি রান্না করে দেখাব।”
ইনারা ভাবলো কি বানানো যায়। সে তো রান্নাবান্না কিছুই পারে না। অবশেষে ভাবলো নুডলস রান্নাই সহজ হবে।
নিজেকে শান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা। একটি পাতিল চুলায় রেখে নুডুলস এর প্যাকেট খুঁজতে থাকে। পেয়েও যায় একটা সেল্ফে। পিছনে ফিরে চুলার দিকে মুখ করতেই সে দেখে পাতিল থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সে দৌড়ে যেয়ে চুলা বন্ধ করে পাতিলে হাত দিতেই চিৎকার করে উঠে।

“আমি আপনার স্পর্শকেও ঘৃণা করি।” এই একটি বাক্য সভ্যের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বুকের বা’পাশে ব্যাথা উঠলো। এই একটাই বাক্য তার হৃদয়ের হাজারো টুকরো করে দিয়েছে। ইনারা তার ছোঁয়াকেও ঘৃণা করে? এত খারাপ সে? তার বুক চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। আরেকটি প্রেমিকের দুঃখ মিশে যায় এই হৃদয় ভাঙার শহরে।

হঠাৎ করে ইনারার চিৎকার শুনতে পেয়ে চমকে উঠে সে। প্রায় দৌড়ে বাহিরে যায় সে। রান্নাঘরে পায় তাকে। সে নিজের হাতে ফুঁ দিচ্ছে। মুখে কাঁদোকাঁদো ভাব। সে তার পাশে যেয়ে দাঁড়ায়। দেখে আঙুল লাল হয়ে গেছে তার। আঁতকে উঠে সে। তার হাতটা ধরে আতঙ্কিত সুরে বলে, “এ কি করলে তুমি?”
ইনারার তখনও রাগ কমে না। সে দ্রুত নিজের হাত সরিয়ে রাগান্বিত সুরে বলে, “যাই করি না কেন? আপনার এখানে কোনো মতলব নেই। আপনাকে বলেছি না আমাকে স্পর্শ করবেন না।”
“একটা থাপ্পড় দিব বেয়াদব মেয়ে। হাত পুড়িয়ে আবার বড় গলায় কথা বলছে।” সভ্যের ধমক শুনে ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেয় ইনারা।

সভ্য দ্রুত ঠান্ডা পানি ঢালে তার হাতে। আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় ইনারার দিকে। আর ইনারা মুখ ফুলিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে ধমক খেয়ে।
সভ্য বিরক্ত হয়ে বলে, “গর্দভ দেখেছি, তোমার মতো দেখেছি। খালি হাতে কেউ গরম পাতিল ধরে? আবার সে না’কি এত কুবুদ্ধি মানুষদের কাছে প্রতিশোধ নিবে।”
“দেখুন আমি রান্না বাদে সব পারি। মানে রান্না আর ঘরের কাজ ছাড়া। বিদেশে একসাথে তিনটা ছেলেকে মেরে তক্তা বানিয়েছিলাম।”
“মাথাতেও কিছু ভরতে সেখানে থেকে। মাথায় তো গোবর ভরা।”
“আপনার মাথায় তো তাও নেই।”
“আচ্ছা আর আমি এমন কি করেছি।”
“আপনি…” ইনারা কিছু মুহূর্ত ভাবলো। তেমন কিছু পেল না। কিন্তু এ কথা তো সে সরাসরি বলবে না। তাই ভাব নিয়ে বলল, “আমি আপনাকে নিয়ে এত ভাবতে যাব কোন দুঃখে? আমার এত সময় নেই।”
“কিছু না পেলে মানুষ এমনই বলে। তুমি ডাইনিং টেবিলে বসো আমি মলম নিয়ে আসছি।”
“আমি আপনার হাতে মলম লাগাব না।”
“দেখা যাবে।”
.
.
সুরভি আহনাফের সাথে একপাশের টেবিলে যেয়ে বসেছিলো। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে দুইজনে এখানে বসে আছে। চুপচাপ। কারও মুখে কোনো কথা নেই। একে অপরের দিকে ঠিক মতো তাকাচ্ছেও না। অবশেষে সুরভিই চুপি ভেঙে বলে, “অকোয়ার্ড তাই না? আমি আসলে এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পরিনি।”
“হুঁ” আহনাফ এই কথোপকথনে বিশেষ আগ্রহ দেখাল না।
“নিপা আপু আপনার কাজিন লাগে?”
“হুম।”
আবার কিছু সময়ের বিরতি নিলো সুরভি। ভেবে পেল না কি বলবে। সামনের জন্য কথায় তাল না মিলালে কি একা একা এভাবে কথা বলা যায় না’কি?
তবুও সে আবার বলে, “আমাদের প্রায়ই নিপা আপুর বাসায় আসা যাওয়া হয়। অবাক কান্ড আপনাকে আগে কখনো দেখি নি।”
“হুম।”
এইবার মেজাজ খারাপ হয় সুরভির। সে উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “ভাই আপনার যদি বিয়েতে বা বিয়ের কথোপকথনে ইন্টারেস্ট না থাকে তাহলে কেন অকারণে আমার সময় নষ্ট করতে এলেন? আর আমি ভেবেছিলাম কথাটা আস্তে ধীরে ভালোভাবে জিজ্ঞেস করব। কিন্তু আপনার কথার ধরণ দেখে আমার মাথা ঠিক নেই। যদি একটা মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক থাকে তাহলে কোন জ্ঞানে আপনি অন্য মেয়ের সাথে বিয়ের কথা বলতে আসেন? আপনাদের মতো মানুষদের কারণে অকারণে ভালোবাসার বদনাম হয়।”
সুরভি সেখান থেকে উঠে যেতে নিতেই আহনাফ উঠে দাঁড়ায়, “এক্সকিউজ মি!” ভারী কন্ঠে ডাকে সে, “আপনি কীভাবে ভাবলেন আমার এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও আমি আপনার সাথে বিয়ের কথা বলতে এসেছি।”
“আমি মানুষের মনের কথা পড়তে পারি যে তাই।”
আহনাফ এক পা এগিয়ে আসে সুরভির দিকে। সুরভি হাত আড়া-আড়ি ভাঁজ করে তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো।

আহনাফ বলল, ” মন পড়তে পারলে তাহলে আপনার জানা উচিত যে আমার কারও সাথে সম্পর্ক নেই। আমি এমন ছেলে নই যে কাওকে ঠকাবো। আমার পরিবার থেক এমন শিক্ষা দেওয়া হয় নি।”
“তাহলে আপনার ফোনের স্ক্রিনে যে আমি এক ছবি দেখলাম যেখানে আপনি একটা মেয়ের কপালে…কপালে চুমু খাচ্ছিলেন।” সুরভি এবার চোখ নামায়।
“ওর সাথে একসময় সম্পর্ক ছিলো আজ নেই।”
“তাহলে আপনি নিজের প্রাক্তনের ছবি দেখে ঘুরে বেড়িয়ে অন্যের সাথে ধাক্কা খান?”
“মিস সুরভি, আপনাকে আমি জানাতে চাই যে আমার বোন এবং বাবা ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে আপনার সাথে বিয়ের কথা বলার জন্য এনেছেন। এবং আমি আপনাকে এত উওর দিতে বাধ্য নই।”
“তাহলে আমিও এমন কাওকে বিয়ে করতে চাই না যে এখনো নিজের প্রাক্তনের শোক থেকে বের হতে পারে নি।”
“এজ ইউর উইশ। আপনি যা সিদ্ধান্ত নিবেন তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।” শান্ত গলায় বলে আহনাফ। তার এমন শান্তভাবে কথা শুনে সুরভীর মেজাজটা আরও বিগড়ে যায়। সে চলে যায় সেখান থেকে।
.
.
সভ্য ইনারাকে মলম লাগিয়ে দিয়ে নিজেই গেল রান্না করতে। ক্রিমি পাস্তা বানায় সে। সাথে কেবল ইনারার জন্য চকোলেট মগ ব্রাউনী।

ইনারা ড্রইংরুমে বসে টিভি দেখছিলো। সভ্য খাবার রান্না করে এনে ইনারার সামনে দেয়। সে দেখে টিভিতে জোহান ও আইজার নতুন ছবির ইন্টারভিউ আসছে। সে নিজেও বসে সামনের টেবিলে। বলে, “ফিল্ম টাউনে সবচেয়ে ফেমাস কাপলের মধ্যে একজন।”
ইনারা সভ্যের দিকে তাকায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “দুইজনের এক্টিং ফিল্মে আহামরি না হলেও আসল জীবনে অনেক ভালো। কীভাবে তিনবছর ধরে অভিনয় করে আসছে। ব্লাডি চিটার।”
“ওহ তাই?”
“আপনি তো হারিয়ে গিয়েছিলেন, তাই বোধহয় জানেন না। আমাদের এনগেজমেন্ট হবার কথা ছিলো। আমার আর জোহানের আরকি। তার একমাস আগে হুট করে খবরে দেখি তাদের রিলেশন। একবারে সময় পালটে দিলো।”
ইনারার মুখে তার ও জোহানের কথা শুনে সভ্যের যেমন বিরক্তি লাগে, তেমন রাগও লাগে। সে উঠে এখানে যেতে চায়। কিন্তু এর আগেই দেখে ইনারা তার হাত দিয়ে চামচ উঠিয়েও খেতে পারছে না। তাই সে নিজে যেয়ে বসে ইনারার পাশে। নিজে ইনারাকে খাওয়াতে নিলেই ইনারা বলে, “আমি আপনার হাতে খাব? অসম্ভব।”
“ঢঙ না করে খেয়ে নেও।”
“আগে বলেন আপনি নিউজপেপারে কল দিবেন। দেখেন আপনার কারণে আমার হাত পুড়ছে, তাই আমি খেতে পারছি না। আমার পেটে যে ইঁদুর কাবাডি কাবাডি করে মেরাথোন করছে তারা আপনাকে অভিশাপ দিবে কিন্তু।”
“আমি বলেছিলাম তোমাকে গরম পাতিলে হাত দিতে?”
“আপনি মানবেন কি-না তাই বলুন। আমি নাহলে খাব না। সারারাত না খেয়ে থাকলে আমার শরীর খারাপ হবে। শরীর খারাপ হলে তারপর আপনার দাদাজানের কাছে খবর যাবে। খবর গেলে আপনিও কাজ থেকে যাবেন।”
সভ্য বিরক্তি নিয়ে তাকায় ইনারার দিকে, “কাজের সময় বুদ্ধির আকাল পরে, আর আজাইরা সময় এসব মাথায় আসে তোমার? আমি অলরেডি সকালেই কল দিয়েছিলাম। রহমান ছবি ও হেডলাইন দুটোই দিয়ে দিয়েছে। ইনফ্যাক্ট কাল নিউজ চ্যালেনেও এ খবর আসবে। এবার খুশি?”
ইনারা ভাব নিয়ে মাথা নাড়ায়।
“খাও তাহলে।”
ইনারা খাবার মুখে নিয়ে ধ্যান দেয় টিভিতে। আর সভ্য ধ্যানমগ্ন ইনারাতে। সে মনে মনে ভাবে, “এত মগ্ন হয়ে কী আজও তুমি জোহানকে দেখো। এত কিছুর পরও। তোমার এত ক্ষতির পরও। অথচ আমার স্পর্শ থেকেও তোমার ঘৃণা লাগে। কেন ইনারা? কেন? তুমি আমাকে এক মুহূর্তের জন্য ভালোবাসলেও তো পারতে। আমি সারাজীবন তোমাকে নিজের ভালোবাসা দিয়ে যত্নে রাখতাম। কিন্তু আমার ভাগ্যে তুমিই নেই।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে সভ্য। ইনারার মুখে আবার খাবার তুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করে, “তুমি সব ছেড়ে ছবির সাথে এই হেডলাইন দিলে কেন? তুমি চাইলেই আইজাকে ফাঁসানোর কোনো হেডলাইন দিতে পারতে।”
“আমি আমার কাজ করেছি। বাকি কাজ জনগণই করবে।” ইনারা সভ্যের দিলে তাকিয়ে বলল, “আপনি আমার আরেকটা কাজ করতে পারবেন?”
সভ্য বাঁকা হাসে, “কাজ করাতে হলে আমার কথা মেনে চলতে হবে।”
“আপনি এত অসভ্য কেন?”
“তোমার সাথে অসভ্যতা না করলে তুমি তো সভ্য থাকো না।”
ইনারা চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকায় সভ্যের দিকে। তারপর চোখ ঘুরিয়ে বলে, “বিরক্তিকর!”
.
.
“আমাদের সবার প্রিয় নায়িকা আইজার সাথে এক সময় সিনেমায় যুক্ত থাকা ইনারার ছবি পাওয়া গেছে। দুইজনকে অনেক কাছের মনে হচ্ছে। তিনবছর পূর্বে ইনারার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে আসল ভিডিও অন্যভাবে প্রকাশ করা হয় এবং তার চরিত্রে প্রশ্ন তোলা হয়। সকলে ভাবে সিনেমায় বিনিয়োগকারী কাদের মোল্লার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে সম্পূর্ণ ভিডিও বের হয়। যেখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে ইনারার সাথে জোরাজোরি করা হচ্ছিল এবং সে সাহসিকতার সাথে লড়াই করে নিজের সম্মান বাঁচিয়েছে। সকাল থেকে আবার এই ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো তারকা আইজা তার এত কাছের কারও সম্মানের জন্য লড়াই না করে বসে আছেন কেন? এত বছর এই বিষয়ে কোনো কথা বলেন নি কেন? এবং ইনারাই বা এখন আছে কোথায়? তারকা আইজার মুখে এসব উওর পাওয়ার জন্য দেখতে থাকুন….”

ইনারা টিভি বন্ধ করে দেয়। তাকায় রহমানের দিকে, “থ্যাঙ্কিউ রহমান ভাই। আপনি একদম পার্ফেক্ট কাজ করেছেন।”
“আমি কি করলাম ম্যাম। সব আপনার বুদ্ধি ও ছোট স্যারের ক্ষমতা। আপনি গতকাল রাতে যে আবার কিছু লোক দিয়ে পূর্বের ভিডিওটা বিভিন্ন প্লাটফর্মে ছড়াতে বললেন। আর নিউজ আসতেই তা ভাইরাল হতে শুরু করল। সকলে আপনার সাহসিকতার গুনগান গাচ্ছে। তবে বলতে হবে আপনি সেভাবে লোকটাকে মেরেছেন আমার প্রাণ শান্তি হয়ে গেছে। ওকে ম্যাম পরবর্তী কাজ বলুন, সামনে কি করতে হবে আমার।”
ইনারা পা’য়ের উপর পা তুলে বসে তার ও আইজার ছবিটি নেয়। ছবিটির দিকে তাকিয়ে তীক্ষ্ণ হেসে বলে, “আপনার এখন আর কোনো কাজ করতে হবে না রহমান ভাই। যা করার এখন আইজা করবে। আমার ভালোবাসার আইজা আপু এখন পাগলের মতো আমাকে খুঁজে বেড়াবে।”

চলবে….

[দয়া করে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে