?ভোর? পর্বঃ ২৯।

0
1179

?ভোর? পর্বঃ ২৯।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
আলো দুপুরের রান্নায় সার্ভেন্টদের হেল্প করছিলো। ঠিক তখনি রিওনা এসে….
|
রিওনাঃঃ রিওনাকে নেক্সট টাইম চ্যালেঞ্জ দিতে আসবে না। রিওনাকে চিনতে ভুল করছো। চট্টগ্রাম থেকে ভোর আর আমি বিয়ে করে ফিরবো দেখে নিও।
|
আলোঃঃ হুমমম… আমি এখনো তার লিগেল ওয়াইফ। আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে সে আর একটা বিয়ে করতে পারবে না। আর একটা ডিভোর্স হতে কমপক্ষে তিনমাস সময় নেয় আদালত। আর আমি না.. সেই আমাকে কখনো তার থেকে আলাদা করবে না। তোমার মতো হাজার রিওনা চেষ্টা করে দেখতে পারো। দিন শেষে বিধাতা জয়টা আমার হাতেই দিবে।
|
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে চলে এলো রুমে আলো। এসে ভাবছে… ভোরের ব্যবহার গুলো। ভোর তো ওকে এখন বিশ্বাসই করে না। তাহলে এতবড় মুখ করে রিওনার সাথে কথাগুলো বলা কি ঠিক হয়েছে? (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
|
ভোর অফিস থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চলে এলো। এসে রিওনা আর ওর ফুপিকে রেডি হতে বললো কারন ৯টার ভিতর গাড়ি চলে আসবে। ভোর উপরে গিয়ে আলোকে দেখে……
|
ভোরঃঃ আমার একটা জিন্স আর টি-শার্ট বের করে রাখুন। আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি।
|
বলেই ভোর ওয়াশরুমে চলে গেলো তারপর গোসল করে বের হলো। ভোরকে দেখে….
|
আলোঃঃ বের হবেন কখন?
|
ভোরঃঃ এই ৯টায়। কেন?
|
আলোঃঃ নাহ। এমনি। নিজের প্রতি যত্ন নিয়েন।
|
ভোরঃঃ রিওনা আর ফুপি তো থাকবেই.. ওরা আমার যত্ন নিবে।
|
আলোঃঃ ওহ হুমমম…
|
এর মধ্যে…..
|
ফুপিঃঃ ভোর ভোর ভোর????
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ ফুপি বলো…
|
ফুপিঃঃ গতকাল তো সময় পাই নি আর মনেও ছিলো না। কিন্তু আজ সকাল থেকে মাহিদের ফোন অফ। ওর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ওর বাবা বললো ওখানে যায়নি।
|
ভোরঃঃ মানে কি? কোথায় গেছে ও? গিয়েছে তো গিয়েছে.. ফোনটা অফ করে রাখবে কেন? জানে না.. তোমাদের টেনশন হবে? দাঁড়াও আমি ট্রাই করি।
|
এরপর ভোর কয়েকবার কল দিলো। কিন্তু সুইচড অফ।
|
ভোরঃঃ আলো.. মাহিদ গতকাল বাসায় ফিরেছিলো?
|
আলোঃঃ আ–আমি জানি। আমি রুমে ছিলাম গতকাল… বে—বেরই হইনি।
|
ভোরঃঃ ওহ আচ্ছা। ফুপি তুমি টেনশন নিও না আমি আগামী ২ঘণ্টার মধ্যে মাহিদের খোঁজ বের করে তোমাকে জানাচ্ছি।
|
ফুপিঃঃ আচ্ছা বাবা… একটু দেখ। টেনশনে মরে যাচ্ছি।
|
ভোরঃঃ আহ ফুপি আমি আছি তো। যাও তুমি রেডি হও। অলরেডি ৭:৪১ বেজে গিয়েছে।
|
ফুপিঃঃ আচ্ছা বাবা…
|
ফুপি চলে গেলো।
|
ভোরঃঃ আপনি সত্যি জানেন না.. মাহিদ কোথায়?
|
আলোঃঃ আমি কিভাবে জানবো আজব।
|
বলেই মুখ ঘুরিয়ে নিলে। ভোর আর কিছু না বলে রেডি হতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর……
|

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

আলোঃঃ কবে আসবেন?
|
ভোরঃঃ ১৫দিন পর। রিওনাকে অনেক ঘুরবো তারপর।
|
আলোঃঃ ও—ওহ.. আপনি জামা-কাপড় নিবেন না?
|
ভোরঃঃ না। ওখানে সব অডার করা হয়ে গিয়েছে।
|
আলোঃঃ আপনার মেডিসিন নিবেন না?
|
ভোরঃঃ না। ওটাও অডার করে রেখেছি।
|
আলোঃঃ একটা প্রশ্ন করি?
|
ভোরঃঃ কুইক…
|
আলোঃঃ রিওনাকে বিয়ে করবেন?
|
ভোরঃঃ হুম। আর কিছু?
|
আলোঃঃ আমার দোষ?
|
ভোরঃঃ মাহিদের সাথে ঘনিষ্ঠতা। আমার চোখে কিছুই বাদ পড়েনি।
|
আলোঃঃ এই ছিলো আমার প্রতি বিশ্বাস?
|
ভোরঃঃ বিশ্বাস? হুহ… আমার বেবির দিকে খেয়াল রাখবেন। বায়…
|
বলেই ভোর বের হয়ে যাচ্ছিলো… আলো দৌড়ে গিয়ে ভোরকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দিয়ে…
|
আলোঃঃ আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যেও না… যেও না প্লিজ.. আমি মরে যাবো। আমি তো—তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অনেক।
|
ভোরঃঃ ছাড়ুন… আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
|
আলোঃঃ আমার খুব কষ্টো হচ্ছে ভোর। তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে আমার কি হবে? একটা বার আমার কথা ভাবলে না?
|
ভোরঃঃ (কিছুক্ষণ চুপ থেকে) আপনি আমার কথা ভাবেননি। ছাড়ুন।
|
বলেই এক ঝটকায় আলোকে সরিয়ে দিয়ে হাঁটা দিলো। তারপর আবার দাড়িয়ে….
|
আলোঃঃ বেবির খেয়াল রাখবেন।
|
তারপর বের হয়ে চলে গেলো। বের হতেই দেখে রিওনা রুমের দিকে আসছে….
|
ভোরঃঃ ওয়াও… রিওনা তোমাকে অনেক প্রিটি লাগছে। যাইহোক সব গুঁছিয়ে নিছো।
|
রিওনাঃঃ হ্যাঁ। ভোর চলো নিচে গাড়ি এসে গিয়েছে। লাঙ্গেজ রাখা হয়ে গিয়েছে।
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ চলো।
|
তারপর ভোর… রিওনা আর ওর ফুপি গাড়িতে উঠলো। রিওনা তো সেই খুশি। অবশেষে রিওনার স্বপ্ন পূরণ হলো। গাড়ীটা বেরিয়ে গেলো আর আলো বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ভোরের চলে যাওয়া দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো।
|
আলোঃঃ যদি আমাকে এভাবে ছেড়ে দিবেন তাহলে কেন আমাকে এতো ভালোবাসলেন? কেন রিহামের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করলেন? আমাকে ওর কাছে ছেড়ে দিতেন। বেবিকে নিয়ে কেন বাড়িতে এলেন আর কেনই বা এতো ভালোবাসায় আমাকে পাগল করে আজ আমাকে পাগল ভেবে ছেড়ে চলে গেলেন। কেন? আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আর পারছি না। আমি বাঁচতে চাই না। আপনিহীনা বেঁচে থাকতে চাই না। ভোর ভোর ভোররররররর… আমি মরে যাবো তুমি ছাড়া। মরে যাবো। মরে যাবো। হ্যাঁ আমি মরে যাবো। আমি বেঁচে কি করবো? কি করবেওওওও? আমি দেখতে পারব না তুমি অন্যকারো সাথে আছো। পারব না সইতে। আ—আমি পারব না। পারবো না। পাপাপারর—-
|
নিজের সাথে নিজে এগুলো বলে… আলো উঠে রুমে এসে কিছু খুঁজছে। আর পেয়েও গিয়েছে। খু্ঁজছিলো ধাড়ালো কিছু। একটা ছোট ছুরি পেলো। ছুরিটা হাতে নিয়ে অন্যহাতে চালাবে ঠিক তখনি প্রভাতী কেঁদে উঠে আর আলোর হাত থেকে ছুরিটা পড়ে গেলো। আলো বেবিকে কোলে নিয়ে বেবির মতো কান্না করতে লাগলো। নিজেকে সামলে বেবিকে বুকে নিয়ে একটা কথাই বললে… আমি আমার মেয়ের জন্য বাঁচবো। তারপর বেবিকে ঘুম পড়িয়ে দিতে দিতে নিজেও ঘুম পড়ে গেলো।
|
রাত ২টা ছুঁই ছুঁই… হঠাৎ আলোকে কেউ ঝাপটে ধরলো শক্ত করে। আলোর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আলো নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না। আলো চিৎকার দিবো ঠিক তখন আলোর মুখ চেপে ধরলো…………
|
|
|
চলবে……………
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ?))

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে