?ভোর? শেষ পর্ব

0
1961

?ভোর? শেষ পর্ব
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
ভোরঃঃ Princess? princess? my princess… (উচ্চস্বরে)
|
প্রভাতীঃঃ বাআআ বাবাই (গুটিগুটি পায়ে দৌড়ে খিলখিল করে হাসতে হাসতে)
|
আলোঃঃ মামনি ধীরে… পড়ে যাবে তো।
|
প্রভাতী পিছনে ঘুরে আলোর দিকে তাঁকিয়ে একটা ভুবণ ভোলানো হাসি দিয়ে আবার দৌড়াতে শুরু করলো। ভোর সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে প্রভাতীকে কোলে নিয়ে উপরে ছুড়ে আবার লুপে নিলো। প্রভাতী বাবাকে পেয়ে তার ছোট ছোট হাত দিয়ে ভোরের কপালের ঘাম মুছে দিলো। আলো একটু দূরে দাঁড়িয়ে বাবা-মেয়ের কান্ড দেখছে।
|
প্রভাতীর বয়স ১বছর ৩মাস চলছে। কুটুস কুটুস ২টা দাঁত উঠেছে। ৪-৫ টা কথা বলতে পারে। অন্যকিছু বলতে পারে না। তার মধ্যে বাবাই আর নানু একদম স্পষ্ট বলতে পারে।
|
ভোরঃঃ দেখেছো আলো তুমি আমার কষ্ট বুঝো না। কোনদিন একটু ঘাম মুছে দিয়েছো? দেখো আমার মেয়ে তার বাবার কষ্টো বুঝে। কি যত্ন নিচ্ছে আমার দেখো।
|
আলোঃঃ তাই তো। এজন্য ভেবেছে আমি কিছুদিন বাবার বাসা থেকে ঘুরে আসবো। আপনার সেবায় তো আপনার মেয়ে আছেই।
|
ভোরঃঃ বুঝি বুঝি। এগুলো হিংসে হিংসে। princess মামনি আমাদের হিংসে করে।
|
প্রভাতীঃঃ পতা.. (আলোর দিকে তাঁকিয়ে)
|
আলোঃঃ যা বাবা এই মেয়ে কি করে বুঝলো এসব কথা? একদম বাপের মতো হইছে। হুহহহহহ (মুখ ভেঁংচি কেটে)
|
ভোরঃঃ My princess তুমি কি খেয়েছো রাতে?
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


প্রভাতী মাথা নাড়িয়ে হুম বলে ভোরের গলা জড়িয়ে ধরলো। ভোর রুমে যাওয়ার সময় আলোর কানের কাছে মুখ নিয়ে…..
|
ভোরঃঃ আজ একটু বেশিই সুন্দর দেখাচ্ছে তোমাকে। (বলে চলে গেলো)
|
আলোঃঃ সুন্দর বলছে… মতলব খারাপ। (মনে মনে)
|
আলো নিচে গিয়ে খাবার রেডি করলো সার্ভেন্টদের সাথে। তারপর উপরে রুমে এসে দেখে প্রভাতী ঘুম ভোরের কোলে।
|
আলোঃঃ প্রতিদিন অফিস থেকে এসে মেয়েকে এভাবে ঘুম পড়ানো কি ঠিক নিজে ফ্রেশ না হয়ে?
|
ভোরঃঃ হুশশশ আমাদের মাঝে আসবে না। নাও ওকে একটু শোয়াই দাও বকবক না করে।
|
আলো কিছু না বলে আস্তে করে প্রভাতীকে পাশে শোয়ালো।
|
আলোঃঃ কি হলো? ফ্রেশ হতে যাচ্ছেন না কেন?
|
ভোরঃঃ খুব টায়ার্ড লাগছে। তুমি একটু ফ্রেশ করিয়ে দিবে? (করুন কন্ঠে)
|
আলোঃঃ ইশশশ আসলেই চোখ মুখে একটা তীব্র ক্লান্তি ভাব আছে। আজ মনে হয় বেশিই ধকল গিয়েছে অফিসে। এতকিছুর পরও মেয়েকে তার ঘুম পড়ানো লাগবেই। বুঝি না তখন ক্লান্তি কি কাজ করে না? মনে হয় না। মেয়ে মানো তো তার অন্য একটা পৃথিবী। (মনে মনে)
|
ভোরঃঃ কি হলো কি ভাবো?
|
আলোঃঃ কিছু না। চলুন…
|
ভোরঃঃ সত্যি ফ্রেশ করিয়ে দিবে?
|
আলোঃঃ দিবো কিন্তু একটা শর্তে।
|
ভোরঃঃ কি শর্ত?
|
আলোঃঃ আমাকে একটুও বিরক্ত করা যাবে না। এই ক্লান্তিটা যেন থাকে।
|
ভোরঃঃ তোমাকে দেখলেই ক্লান্তি দূরে চলে যায়। হুহহ আসছে ওনাকে বিরক্ত করবো না। কি করি দেখো। (মনে মনে)
|
আলোঃঃ বলুন রাজি?
|
ভোরঃঃ ওকে রাজি। (মন খারাপের ভং ধরে)
|
আলোঃঃ কোনো মতলব আটেননি তো মনে মনে? (ভ্রু কুঁচকে)
|
ভোরঃঃ তুমি কি রানী ভিক্টোরীয়া যে তোমাকে দেখে আমার মনে তোমাকে বিরক্ত করার মতলব আসবে? ফ্রেশ করিয়ে দিলে দাও না দিলে যাও। বলাই ভুল হয়েছে আমার। (একটু রাগী ভাব নিয়ে)
|
আলোঃঃ হুমম ঠিক। ভুলে গেছিলাম আমি তো সুন্দরী না। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। চলুন (মুচকি হেসে)
|
ভোরঃঃ মুহাহাহাহা দিয়েছি আগুন লাগিয়ে। (মনে মনে) হ্যাঁ চলো।
|
আলো ভোরের টাই টা খুলে তারপর ভোরের একটা ট্রাউজার আর টি-শার্ট নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো। ভোর ওয়াশরুমে ঢুকে বাথটাবের উপর একপাশে বসে আছে। আলো গিয়ে….
|
আলোঃঃ উঠে দাঁড়ান শার্টটা খুলতে হবে।
|
ভোর উঠে দাঁড়ালো। আলো অনেকটা ডিসটেন্স রেখে ভোরের শার্টের দুটো বোতাম খুলে ভোরের দিকে তাঁকালো। ভোর অন্যদিকে তাঁকিয়ে আছে এটা দেখে আলোর চোখে পানি চলে এলো। কারন ভোর ওকে দেখছে না এটা দেখে। পানিতে চোখ টলমল করছে। এখনি পানির বাঁধ ভেঙ্গে অঝড়ে ঝড়বে এমন অবস্থা। শার্টের বোতাম সব খুলে….
|
আলোঃঃ ঘু—ঘুরে দাঁড়ান… শার্ট খুখুলতে হবে। (কথা বেঁধে)
|
ভোর একটানে আলোকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলো আর আলো ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো….
|
ভোরঃঃ কি হয়েছে? কান্না কেন? নড়াচড়া করছো কেন?
|
আলোঃঃ ছা—-ছাড়ুন। (কান্না করতে করতে)
|
ভোরঃঃ আমার বৌকে আমি কেন ছাড়ব? (জোর করে ধরে রেখে)
|
আলোঃঃ না। আ—আমি কারো বৌ না। (নিজেকে ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করতে করতে)
|
ভোরঃঃ ইয়াহু কি মজা। তুমি বলেছো তুমি আমার বৌ না। ওহ কালই আর একটা বিয়ে করব। (একগাল হাসি দিয়ে)
|
আলো ভোরের দিকে তাঁকিয়ে উচ্চস্বরে কেঁদে উঠলো।
|
ভোরঃঃ এই এই মজা করেছি। মজা করেছি। সত্যি মজা করেছি। কেঁদো না। প্লিজজজ কেঁদো না।
|
না আলো থামছে না। উপায় না পেয়ে ভোর আলোর গলায় মুখ গুঁজে দিলো। ভোরের পরশ পেয়ে আলোর কান্নার গতি একটু কমে গেলো কিন্তু পুরোপুরি কমলো না। গলা থেকে মাথাটা তুলে আলোকে আরও কাছে টেনে….
|
ভোরঃঃ তুমি বিশ্বাস করো আমি অন্য কাউকে বিয়ে করবো তোমাকে ছেড়ে? (আলোর চোখের দিকে তাঁকিয়ে)
|
আলো মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো। আর ভোর সাথে সাথে আলোকে ছেড়ে দিলো।
|
ভোরঃঃ আমার প্রতি তোমার এই বিশ্বাস? গুড। তুমি যেতে পারো আমি নিজেই ফ্রেশ হচ্ছি।
|
আলো ভোরের আর একটু কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে….
আলোঃঃ আপনার মনের ভিতর যা চলে সেটাই বলেছি।
|
ভোরঃঃ কি? (আলোর মাথা ধরে চোখ রক্তাক্ত বর্ণ ধারন করে)
|
আলোঃঃ আ—আমি ভয় পাচ্ছি। (ভোরের চোখ দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে)
|
ভোর বুঝতে পেরেছে আলো সত্যি ভয় পেয়েছে। আলোকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিলো ফ্রেশ না হয়েই। আলো চোখ খুলে ভোরের হাত ধরলো। ভোর দাঁড়িয়ে পড়লো। আলো গিয়ে ভোরকে জড়িয়ে ধরলো। ভোর জড়িয়ে ধরছিলো না তাই আলো ভোরের হাত দুটো ধরে নিজেই নিজেকে প্যাঁচিয়ে নিলো ভোরের বাহুডোরে। ভোরের হাত ভোর সরিয়ে নিবে তখনি….
|
আলোঃঃ এবার কিন্তু কান্না শুরু করলে থামানো মুশকিল হয়ে পড়বে বলে দিচ্ছি।
|
ভোরঃঃ কেন? (সামনে তাঁকিয়ে)
|
আলোঃঃ কান্না করবো?
|
ভোর নিজের হাত নিজের পায়ের সাথে একটা পাঞ্চ দিয়ে ঘুরে এসে আলোর ঠোঁটজোড়া দখল করে পাগলের মতো চুমু খেতে শুরু করলো। আলোও ভোরের সাথে সমান তালে রেসপন্স করলো।
|
প্রায় মিনিট ৫ পর.. ভোর আলোকে ছেড়ে দিয়ে বাথটাবের উপর বসে আলোকে নিজের একপায়ের উপর বসিয়ে আলোর কোমড় প্যাঁচিয়ে ধরলো।
|
আলোঃঃ বসলেন যে? ফ্রেশ হবেন না?
|
ভোরঃঃ আরও কিছুক্ষণ পরে। চার্জ পেয়েছি তাই সারাদিনের ক্লান্তি সব দূর হয়ে গিয়েছে।
|
আলোঃঃ চার্জ পেয়েছেন মানে?
|
ভোরঃঃ ঐ যে তোমার ঠোঁটে।
|
আলোঃঃ চুপ।
|
ভোরঃঃ আরও একটু চার্জ দিবা?
|
আলোঃঃ চুুুুউউউউপপপপপপ… (ভোরের মুখে হাত দিয়ে)
|
ভোরঃঃ ওকে রাতে ফুল চার্জ দিয়ে দিও। (হাত সরিয়ে)
|
আলোঃঃ আহ বদ। আপনি ফ্রেশ হন আমি যাচ্ছি।
|
ভোরঃঃ পারব না। তুমি করিয়ে দাও।
|
আলো আর কিছু না বলে ভোরের শার্টটা খুলে একটা টাওয়াল ভিজিয়ে সারা শরীর মুছে দিচ্ছিলো হঠাৎ ভোরের বুকটা মুছে একটা কিস করে দিলো ভোরের বুকে।
ভোর তো অবাক।
|
ভোরঃঃ এই কি করলে?
|
আলোঃঃ জানি না। (লজ্জা পেয়ে)
|
ভোরঃঃ কিস দিলে কেন?
|
আলোঃঃ এমনি। (মিটিমিটি হেসে)
|
ভোরঃঃ তুমি কিস দিলে কেন সেটা তো বলো?
|
আলোঃঃ কেন? খারাপ লাগছে? সরি। আপনাকে আর দিবো না। অন্য কাউকে দিবো। (মুচকি হেসে)
|
ভোরঃঃ কাকে দিবি? (আলোর বাহু চেপে ধরে)
|
আলোঃঃ আমাকে জ্বালাইছো..কাঁদাইছেো বাছাধন এবার আমিও একটু জ্বালাই। (মনে মনে)
অন্য কাউকে মানে অন্য কোনো পুরুষকে।
|
ভোরঃঃ অন্য পুরুষকে কি দিবি? (আলোর পেট চেপে ধরে রাগীকন্ঠে)
|
আলোঃঃ আহ লাগছে… ছাড়ুন।
|
ভোরঃঃ কি দিবি তাই বল… (রাগীলুকে)
|
আলোঃঃ আমার সব… (জিদ করে)
|
ভোরঃঃ তোর সব আমার… শুধু আমার। আর একবার যদি বলিস অন্যকারো কথা একদম জানে মেরে ফেলবো বলে দিলাম। (আলোর গলা চেপে ধরে)
|
আলোঃঃ দিবো যখন বলেছি তো দিবোই। (রেগে গিয়ে ভোর ব্যথা দিয়ে ধরায়)
|
ভোরঃঃ দিবি তাই না? দাঁড়া… (পুরো অগ্নিছাপ মুখে)
|
বলে আলোকে শাওয়ার নিচে নিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে আলোকে ভিজিয়ে দেয়।
|
আলোঃঃ কি করলেন? আমাকে ভিজালেন কেএএএএ আহহহ….
|
আলো আর বলতে পারলো না তার আগেই ভোর ওকে টেনে ঠোঁটজোড়া দখল করে নিলো। ঠোঁটের উপর নির্যাতন চালিয়ে আলোর ঘাড়ে…গলায়.. গালে লাভ বাইট দিয়ে দিলো। ধীরে ধীরে ভোর আলোর মাঝে একদম ডুবে গেলো। আলোও ভোরের নির্যাতন নিতে নিতে ভোরের মাঝে হারিয়ে গেলো। ভোরের স্পর্শ সহ্য না হওয়ায় ভোরের পিঠে.. বুকে আচড়ে দিলো।
|
রাত ২টা প্রায়… ভোর সোফাতে বসা আর আলো একটা টাওয়াল পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ভোরের কোলে গুটিশুটি দিয়ে বসেছে তো বসেছে। একবার উঠে শুধু ভোর খাবার নিয়ে এসেছিলো তারপর আলোকে কোলে নিয়েই নিজেও খেয়েছে আর আলোকেও খাইয়ে দিয়েছি আর এখন দুজন বসে পিনপিন করে কথা বলছে কারন দুজনের চোখে একটুও ঘুম নেই। ঘুম আসবে কি করে? ঘুমের সময় যদি অন্যকাজ করে তাহলে তো ঘুমেরা আসবে না। আলোকে চেঞ্জ করতে বলেছিলো ভোর। কিন্তু আলো এখন পারবে না বলে দিয়েছে। ভোরও আর কথা বাড়ায় নি। জানে বলে লাভ হবে না। এ জিনিসের মাথায় যখন যা চাপে সে তাই করে বিশেষ করে ভোরের কোলে বসলে আর নামার কোনো নাম-গন্ধ নেয় না।
|
ভোরঃঃ চলো ঘুমানোর চেষ্টা করবে..
|
আলোঃঃ উফফ না।
|
ভোরঃঃ এভাবে কতক্ষণ বসে থাকবে?
|
আলোঃঃ সারা রাত… কোনো সমস্যা?
|
ভোরঃঃ না। আচ্ছা ড্রেস তো পড়ে নাও। এভাবে টাওয়াল পেঁচিয়ে থাকাটা ভালো না।
|
আলোঃঃ আচ্ছা.. আলমারি থেকে আমার নাইটি আর একটা প্লাজো নিয়ে আসুন আমি পারব না। (মুখ বাঁকিয়ে)
|
ভোরঃঃ আচ্ছা…
|
আলোকে পাশে বসিয়ে ভোর আলমারি থেকে একটা লাইটি আর একটা প্লাজো নিয়ে এলো।
|
ভোরঃঃ এই নাও….
|
আলোঃঃ পড়িয়ে দিন..আমি পারব না পড়তে।
|
ভোরঃঃ এতোরাতে আমাকে জ্বালাচ্ছো কেন?
|
আলোঃঃ টানা ১:৩০ মিনিট ওয়াশরুমে আমাকে জ্বালাইছেন..কাঁদাইছেন তাই। বলতে পারেন রিভেঞ্জ মানে প্রতিশোধ.. হুহহহহহ।
|
ভোরঃঃ ওহ… আর তুমি? তুমি জ্বালাও নি?
|
আলোঃঃ মোটেও না….
|
ভোরঃঃ তাহলে এগুলা এগুলা এইগুলা কি? (নখের আচড় দেখিয়ে)
|
আলোঃঃ ওগুলো কি আমি জানি? আমি করেছি? আমার মনে হয় ওগুলো ফাটা দাগ। আপনি মুটু তো তাই আপনার শরীর ফেঁটে গেছে। (মুচকি হেসে)
|
ভোরঃঃ তাই না?
|
আলোঃঃ জ্বী তাই। আর আপনি আমাকে কামড়ে কি করেছেন দেখুন? মনে মাংস জীবনে খাননি..রাক্ষস একটা। বেয়াদব আমার এখনো জ্বলছে গলা..ঘাড়..গাল। (কান্নার ভং ধরে)
|
ভোরঃঃ আসো জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেই।
|
বলে সব বাইটে এক এক করে চুমু খেয়ে….
|
ভোরঃঃ কমেছে???
|
আলোঃঃ হুমমমম… আপনি শুয়ে পড়ুন আমি আসছি ড্রেস পড়ে।
|
ভোরঃঃ না..আমাকে বলেছো পড়িয়ে দিতে আমিই দিবো।
|
আলোঃঃ এমনি বলেছি। আপনি যান। আমি পড়ছি দিন…
|
ভোরঃঃ আমি পড়াবো মানে আমিই পড়াবো।
|
বলে আলোকে ড্রেস পড়িয়ে দিলো।
|
ভোরঃঃ চলো….
|
আলোঃঃ কোথায়?
|
ভোরঃঃ ছাদে….
|
আলোঃঃ বেবি???
|
ভোরঃঃ বেবি তো ঘুমাচ্ছে। আচ্ছা বেবিকে বেবির দোলনাতে শোয়াও তাহলে আর সমস্যা হবে না।
|
আলো গিয়ে বেবিকে দোলনাতে শোয়ালো। তারপর ভোরের সাথে ছাদে গেলো। ছাদের একপাশে ভোর আলোকে দাড় করিয়ে আলোর সামনে দাড়িয়ে আলোর দুপাশে হাত ছাদের গ্রিল ধরে….
|
ভোরঃঃ সারা জীবন আমাকে ভালোবাসবে এভাবে? তোমার ভালোবাসায় আগলে রাখবে? কখনো আমাকে একা করে যাবে না তো? (আলোর চোখের দিকে তাঁকিয়ে)
|
আলোঃঃ মৃত্যু ব্যতীত ছেড়ে যাবো না। আর আপনাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি।
|
ভোরঃঃ I love You…. আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
|
আলোঃঃ আমিও আপনাকে ভালোবাসি বেবির বাবাই।
|
ভোরঃঃ একটু তুমি করে বলো না…
|
আলোঃঃ তুমি বলতে আমার লজ্জা করে। আর আপনি করে বলতে ভালো লাগে। অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে আপনি বুঝবেন না।
|
ভোরঃঃ কিছুসময়ের জন্য বল প্লিজজজ… (মিনতি কন্ঠে)
|
আলোঃঃ বলো কি বলবো…
|
ভোরঃঃ বলে ভোর তোমাকে ভালোবাসি..
|
আলোঃঃ তোমাকে ভালোবাসি ভোর…
|
ভোরঃঃ উম্মাহহহহ। (কপালে চুমু দিয়ে)
|
আলোঃঃ পাগল….
|
ভোরঃঃ জানো একটা জিনিস ভাবলাম…
|
আলোঃঃ কি ভাবলা?
|
ভোরঃঃ আমার princess এর জন্য একজন খেলার সাথী দরকার।
|
আলোঃঃ মানে? (ভ্রু কুঁচকে)
|
ভোরঃঃ মানে হলো.. এবার একটা prince আনতে হবে।
|
আলোঃঃ জ্বী না… এখন না। আরও ৫/৬ বছর পর।
|
ভোরঃঃ না। তুমি বুঝতেছো না। Princess এর একজন খেলার সাথী দরকার।
|
আলোঃঃ তুমি এই নিয়ে ৫বছর পর কথা বলবে এর আগে যদি আর কখনো বলো তবে ৫ বছর এর আগে আমাকে একটু স্পর্শও করতে পারবে না। এবার ডিসিশন নাও… (গম্ভীর মুডে)
|
ভোরঃঃ খচ্চর বৌ একটা। আমার prince কে নিয়ে আসবো আরও ৫ বছর পর। এটা কিন্তু ঠিক না ভেবে দেখো।
|
আলোঃঃ ভেবে দেখলাম.. তুই ৫ বছরের আগে আমাকে স্পর্শ করতে আসিস পারলে.. (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ এই না না। সরি সরি। আমার Prince লাগবে না। ৫ বছর পরই prince কে আনবো। তবুও তুমি এমন ডিসিশন নিও না। আমি তোমাকে স্পর্শ ছাড়া থাকবো কি করে? হাতটাও ধরতে পারবো না। লাগবে না। লাগবে না আমার prince. হ্যাঁ লাগবে না বাবাহ।
|
আলোঃঃ ঠিক তো?
|
ভোরঃঃ একদম ঠিক। একদম। তবুও এসব জারি আমার উপর পেশ কইরো না।
|
আলোঃঃ হুমমমম..
|
ভোরঃঃ হুম কিন্তু একবার ভাবলে ভালো হয় না? (মিনমিন করে)
|
আলোঃঃ কি? (চোখ বড় বড় করে)
|
ভোরঃঃ না..কি..কই? কিছু না। কিছু না। (নিঃশ্বাস নিতে নিতে)
|
আলোঃঃ হুমমমম… চলুন ঘুম পাচ্ছে আমার।
|
ভোরঃঃ হুম চলো…..
|
ছাদ থেকে নেমে রুমে এসে শুয়ে পড়লো। ভোর অন্যদিকে ঘুরে শুয়ে পড়লো। আসলে ওর একটু মন খারাপ হয়েছে prince এর জন্য। আলো ভোরের ওভাবে ঘুরে শোয়াতে বেশি চেতেই গেলো….
|
আলোঃঃ না আমি বুঝলাম না.. এখন কি আমি একটু ঘুমাতেও পারব না?
|
আলোর কথা শুনে ভোর তাড়াতাড়ি আলোর দিকে ফিরলো। আলোও গিয়ে ভোরের বুকে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করলো কিন্তু ভোর আলোকে জড়িয়ে ধরলো না।
|
আলোঃঃ তুমি কি চাচ্ছো? আমি না ঘুমাই এটা?
|
ভোর আলোকে জড়িয়ে ধরলো কিন্তু আলো ফিল করলো ভোরের নিচ্ছাতে আলোকে ধরেছে। তাই আলো রাগে সরে গিয়ে উঠে বসলো….
|
ভোরঃঃ কি হলো উঠলে কেন?
|
আলো ভোরের কথা শুনে রাগে ভোরের কলার চেপে ধরে ভোরের উপর ঝুঁকে….
|
আলোঃঃ ঘুমাতে দিচ্ছিস না। আবার কথা বলিস? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ আমি কি করলাম?
|
আলোঃঃ তুই prince prince করেই তো আমাকে এখন ঘুমাতে দিচ্ছিস না। যা তোর সাথে আর ঘুমাবো না তবুও ৫বছরের আগে prince আসবে না। (রাগীমুডে)
|
ভোরঃঃ prince দিবা না আবার আমার কাছেও থাকবে না? তা হবে না।
|
বলে আলোকে জড়িয়ে ধরলো আর আলো নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ভোর আলোকে ঝাপটে ধরে বসেছে।
|
ভোরঃঃ ছাড়বো না জানো তবুও কেন এমন করছো। শান্ত হয়ে যাও।
|
আলো শান্ত হয়ে গেলো ভোরের বুকে মাথা রেখে। ভোর আলোকে শক্ত কর জড়িয়ে ধরে একটা হাসি দিয়ে….
|
ভোরঃঃ এ জিনিস ছাড়া ভোর বাবু তুমি অচল। একদম অচল।
|
আলোঃঃ আলো তুমিও অচল এ জিনিস ছাড়া। (শক্ত করে ধরে)
|
দুজন ধীরেধীরে ঘুমিয়ে পড়লো। প্রায় আধাঘণ্টা পর আলো মাথা উঁচু করে তাঁকিয়ে দেখে ভোর ঘুম। আলো ভোরের কপালে একটা চুমু খেয়ে…
আলোঃঃ ভালোবাসি পাগল অনেক ভালোবাসি….
|
বলে ভোরকে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। তার কিছুক্ষণ পর ভোর চোখ খুলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আলোকে একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মনে মনে বলতে লাগলো…….★★সত্যিই আমি অচল তুমি ছাড়া। তোমাকে ছাড়া আমার একদমই চলবে না। আর যে তোমাকে কেড়ে নিতে আসবে সেই শেষ হয়ে যাবে। ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি। ভোরের অস্তিত্ব আলোতে★★???
|
—————–সমাপ্ত————-
|
অবশেষে গল্পটা শেষ করতে পেরেছি। গল্পটার সময় অনেক অসুস্থতা ভোগ করেছি এবং করছি যার দরুন নিয়মিত গল্পটা দিতে পারিনি। সত্যিই আমি দুঃখিত। যাইহোক গল্পটা কেমন ছিলো জানাবেন। ইনশাআল্লাহ পরবর্তী গল্প নতুন কিছু নিয়ে আসবো আর সুস্থতার সাথে আসবো যেন আপনাদের কোনো অনীহা না জন্মে। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা এই গল্পের সাথে থাকার জন্য। ??
|
ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন আশা করি। ☺☺

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে