?ভোর?পর্বঃ ৩২।

0
1386

?ভোর?পর্বঃ ৩২।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
আলোর ঘুম ভাঙলো.. চোখ মেলে দেখে ভোর ঘুমাচ্ছে। আলো ভোরের দিকে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে থেকে একটা মুচকি হাসি দিয়ে ভোরের কপালে একটা চুমু খেয়ে বেড থেকে নেমে যাবে ঠিক তখনি মনে পড়লো আলোর..ও ভোরকে জ্বালাবে। তাই……..
|
আলোঃঃ এই উঠুন.. উঠুন। এতো ঘুম কিসের উঠুন? (ভোরকে ধাক্কা দিতে দিতে)
|
ভোরঃঃ উফফ কি হয়েছে? বিরক্ত করছো কেন? ঘুমাচ্ছি দেখছো না? (হাল্কা চোখ খুলে)
|
আলোঃঃ এতো ঘুম আসে কোথা থেকে শুনি? উঠুন… উঠুন বলছি।
|
ভোরঃঃ উফফফ কেন? (চোখ পুরোপুরি খুলে)
|
আলোঃঃ আমার জন্য এক কাপ কফি নিয়ে আসুন যান।
|
ভোরঃঃ সার্ভেন্টকে বলো…
|
আলোঃঃ পারব না। আপনি যান।
|
ভোরঃঃ তাহলে তুমি যাও। তোমার পা নেই? তুমি যেতে পারছ না?
|
আলোঃঃ না নেই। যাবেন কি না? (রাগীকন্ঠে)
|
ভোরঃঃ উফফফ রাগ দেখানোর কি আছে? যাচ্ছি। (বিরক্তির ছাপ মুখে)
|
ভোর চোখ ঢলতে ঢলতে চলে গেলো কফি নিয়ে আসতে। আলো একটা ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে ওয়াশরুমে গেলো ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে ভোর আবার শুয়ে পড়েছে।
|
আলোঃঃ আপনি আবার শুয়ে পড়েছেন? উফফ উঠুন। আমার কফি কই?
|
ভোরঃঃ ঐ তো ওখানে… দেখছোওওও
|
না* টা না বলে আলোর দিকে তাঁকিয়ে রইল। আলো টাওয়াল দিয়ে কপালের পানিগুলো মুছবে ঠিক তখনি ভোর হাতটা ধরে বসে আলোর।
|
আলোঃঃ কি হলো হাত ধরেছেন কেন?
|
ভোরঃঃ কপালের এই বিন্দু বিন্দু পানি গুলো আমাকে টানছে। আর তোমার এই কপালের সামনে থেকে হাল্কা ভিজে যাওয়া যে চুলগুলো গাল অবধি এসেছে এগুলোও টানছে আমাকে। অপূর্ব লাগছে। (আস্তে করে)
|
আলোঃঃ ইশশশ এভাবে কেউ বলে? ছেলেটা আমাকে মেরেই ফেলেবে। (মনে মনে)
|
ভোরঃঃ লজ্জা পাচ্ছো?
|
আলোঃঃ হুমমমম… (নিচের দিকে তাঁকিয়ে)
|
ভোরঃঃ ভেঙ্গে দিবো? (আলোর মুখ উপরে তুলে.. চোখে চোখ রেখে)
|
আলোঃঃ ধ্যাত… কফি কই? (ভোরকে ধাক্কা দিয়ে)
|
ভোরঃঃ ঐ যে খাও….
|
আলো কফির মগে চুমুক দিতেই ভোর এসে মগটা নিয়ে ও একটা চুমুক দেয়।
|
আলোঃঃ মাত্র একবার চুমুক দিলাম এরমধ্যে চুমুক দেয়া লাগে আপনার?
|
ভোরঃঃ হুশশশ.. নাও। একটা রিকোয়েস্ট করবো রাখবে প্লিজ????
|
আলোঃঃ আগে শুনি তারপর ভেবে দেখবো…
|
ভোরঃঃ ভাবাভাবি না। আজ তুমি শাড়ি পড়বে।
|
আলোঃঃ আচ্ছা।
|
ভোরঃঃ লক্ষী বৌ।
|
আলোঃঃ কিন্তু আমারও যে একটা শর্ত আছে?
|
ভোরঃঃ কি? (ভ্রু-কুঁচকিয়ে)
|
আলোঃঃ আজ দুপুরের রান্না আপনি করবেন। আর আমি খাবো। (চোখ টিপি দিয়ে)
|
ভোরঃঃ রান্না? (অসহায়ের ভাব করে)
|
আলোঃঃ জ্বী রান্না।
|
ভোরঃঃ ওকে। তবে তুমি পুরো রান্নার সময় আমার পাশে থাকবে শাড়ি পড়ে।
|
আলোঃঃ পাগল নাকি? বেবির কি হবে?
|
ভোরঃঃ বেবির দায়িত্ব আজ সার্ভেন্টের। এখন তো বেবি সার্ভেন্টের কাছে?
|
আলোঃঃ হুম। ওকে। আচ্ছা যান ফ্রেশ হয়ে আসুন.. নাস্তা করবেন।
|
ভোরঃঃ ওকে ডিয়ার বৌ।
|
প্রায় দুপুর ১২টা…. আলো শাড়ি পড়ছে কিন্তু হচ্ছে না…তাই উপায় না পেয়ে..
|
আলোঃঃ ভোর? ভোর? ভোরওওও… (উচ্চস্বরে)
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ বলো কি হয়েছে? আর এভাবে শাড়ি পেঁচিয়ে আছো কেন? (রুমে এসে)
|
আলোঃঃ শাড়ি পড়তে পারছি না। ( মন খারাপ করে)
|
ভোরঃঃ হাহাহা… আচ্ছা আমি হেল্প করব? (হাসতে হাসতে)
|
আলোঃঃ হাসবেন না। পড়ব না শাড়ি। (রাগীলুকে)
|
ভোরঃঃ আচ্ছা সরি। আমি হেল্প করছি চলো….
|
ভোর আলোর শাড়িতে হাত দিবে তখন….
|
আলোঃঃ দাঁড়ান দাঁড়ান.. ঐ টাওয়ালটা দিন… (টাওয়াল দেখিয়ে)
|
ভোরঃঃ কি করবে টাওয়াল? (টাওয়াল আলোর হাতে দিয়ে)
|
আলোঃঃ বলা যায় না আপনি যে লুচু। কি দিয়ে কি করেন? (টাওয়াল পেঁচাতে পেঁচাতে)
|
ভোরঃঃ টাওয়াল সরাও।
|
আলোঃঃ না। পড়ান শাড়ি।
|
ভোরঃঃ আমি টাওয়াল সরাতে বলেছি। (রাগীমুডে)
|
আলোঃঃ না। পারব না।
|
ভোরঃঃ তোমার সরাতে হবেও না।
|
বলেই একটানে টাওয়াল ছুঁড়ে ফেলে দিলো।
|
আলোঃঃ আপনি ফেললেন কেন?
|
ভোরঃঃ তোমার শাড়ি পড়তে হবে না। যাও চেঞ্জ করে নাও। আমাকে না তুমি নিজের বর হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছো? না আমাকে ভালোবাসো? হুহ যাও চেঞ্জ করে নাও। আমি বাহিরে চলে যাচ্ছি রুমের।
|
বলেই চলে যেতে যাচ্ছিলো ভোর… আলো ভোর হাত ধরে টেনে আলোর কাছে নিয়ে এসে…. ভোরের একহাত ধরে আলোর বুকের উপর নিয়ে যায়। ভোর আলোর দিকে অবাক চোখে তাঁকিয়ে থাকে। আলো ভোরের হাত দিয়ে আলোর বুকের শাড়ির অংশ ফেলে দিয়ে….
|
আলোঃঃ পড়িয়ে দিন শাড়ি… (মৃদুস্বরে)
|
ভোর কিছু না বলে শাড়ির অংশটা উঠিয়ে আলোর বুকে দিলো। আলো সাথে সাথে ফেলে দিলো। ভোর কিছু না বলে আবার উঠিয়ে দিতে গেলে আলো ভোরের হাত ধরে রাগীলুকে চেয়ে থাকে। ভোর আর কিছু না বলে আলোর শাড়িটা পুরোপুরিভাবে খুলে ফেলে। তারপর শাড়ির এককোনা আলোর উন্মুক্ত পেটে গুঁছতে গেলো..আলো ভোরের হাতের স্পর্শ পেয়ে একটু দূরে সরে যায় চোখ বন্ধ করে। ভোর এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে থাকে। আলো নিজে থেকেই আবার ভোরের কাছে আসে। ভোর মাথাটা আলোর কানের কাছে নিয়ে……
|
ভোরঃঃ I want to see your nave…please (মৃদুস্বরে)
|
আলো ভোরের কথা শুনে পাথর হয়ে গেলো। ভোর সামনে দাঁড়িয়েই রইল। আলোর রেসপন্স না পেয়ে ভোর চলে যাচ্ছিলো। আলো আবার টেনে ধরে… আস্তে করে আলোর পেডিকোটটা একটু নিচু করে। ভোর আলোর নাভীর দিকে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে থেকে হাঁটুগেরে বসে আলোর নাভীতে একটা চুমু খায় হঠাৎ করে….. আলো পুরো শকড। আলো ভোরের মাথাটা ধরে সরিয়ে দিয়ে পিছনে সরে গেলো।
|
ভোরঃঃ কাছে আসো।
|
আলোঃঃ আপনার স্পর্শ সহ্য হচ্ছে না। শাড়িটা পড়িয়ে দিন।
|
ভোরঃঃ সহ্য তো করতেই হবে। কাছে আসো। (আলোকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে)
|
আলোঃঃ ছা—ছাড়ুন। (মৃদুস্বরে)
|
ভোরঃঃ কাছে টেনেছো তোমার ইচ্ছায়। ছাড়বো আমার ইচ্ছায়।
|
আলোঃঃ আমার ভুল হয়েছে আপনাকে শাড়ি পড়াতে বববববব… কি—–কি করছেন?
|
ভোরঃঃ আদর…. (আলোর কানে মৃদু কামড় দিয়ে)
|
আলোঃঃ এতে বেহায়া হয়েছেন কেন?
|
ভোরঃঃ তোমার বরকে দেখে সব মেয়েরা বেহায়া হতে চায় আর তুমি পাত্তা দাও না। তাই আমি তোমার প্রতি বেহায়া হওয়ার ডিসিশন নিয়েছি। (আলোর ঘাড়ে মুখ গুঁজে)
|
আলোঃঃ শা—-শাড়িটা পড়িয়ে দিন প্লিজজজজ।
|
ভোরঃঃ কেন আমার আদর ভালো লাগছে না?
|
আলোঃঃ আর আদর দিলে… আমি এখন কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবো। (মৃদুস্বরে)
|
ভোর একটা মুচকি হাসি দিয়ে… আলোর ঘাড় ছেড়ে আলোকে কোলে তুলে বেডে নিয়ে গিয়ে আলোর উপরে ঝুঁকে…..
|
ভোরঃঃ আমি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি তোমার নাভী দেখার পর… সরি।
|
বলে আলোর ঠোঁটজোড়া দখল করে নিলো। আস্তে শাড়িটা টেনে পাশে ফেলে দিলো ভোর। আলোও নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেললো।
|
আলোর ঠোঁট ছেড়ে গলায়… কপালে… গালে পাগলের মতো ভোর চুমু দিয়ে যাচ্ছে। আর আলোর একটু একটু করে লজ্জা ভাঙতে শুরু করলো। আলো ভোরের চুলগুলো মুঠো করে ধরছে বার বার।ভোর আলোর উন্মুক্ত পেটে চুমু খেতে লাগলো আর আলো বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলো। আলো গলা কাটা মুরগির মতো শুধু ছটফট করতে লাগলো ভোরের এমন ভালোবাসায়। একটা সময় ভোরের হাত গিয়ে ঠেকলো আলোর পেডিকোটের উপর। পেডিকোটের ফিতাতে হাত দিলে আলো ভোরের হাতটা চেপে ধরে….
|
আলোঃঃ আ——-আমি prepare না। পি—–প্লিজ (আস্তে করে)
|
ভোরঃঃ হুম….
|
বলে মাথাটা উঁচু করে আলোর কপালে একটা চুমু খেয়ে আলোকে দাঁড় করিয়ে আলোকে শাড়িটা পড়িয়ে দিয়ে নিচে চলে গেলো ভোর। আর আলোর চোখে পানি চলে এলো ভোরকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। কিন্তু আলো কি করবে? হঠাৎ ই আলোর ঐ কথাটা মনে পড়লো… আগে জানলে তোর মতো মেয়েকে বিয়ে করতাম না। আলো জানে এটা ভোর ইচ্ছা করে বলেনি… মনের কথাও না ভোরের। আলোকে ভোর অনেক ভালোবাসে। কিন্তু তবুও কথাটা আলোর বুকে ভিতর হয়তো গেঁথে গিয়েছে তাই কথাটা মনে পড়লো। ঐ যে আমরা যাদের অতিরিক্ত ভালোবাসি তাদের মিথ্যে মিথ্যে ছোট কথাটাও বুকে তীরের মতো গেঁথে যায় কারন ভালোবাসা। ভালোবাসার মানুষের কাছে থেকে একটু কটু কথা যেন এ হৃদয়ের সহ্য হয় না। আলো ভাবছে আর কান্না করছে ভোরকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য। কিন্তু আলো যে ইচ্ছা করেনি এটাও ভোরের বুঝতে হবে। তা না হলে যে ভালোবাসায় যে মরিচিকা পড়তে শুরু করবে।
|
ভোরঃঃ কি হলো এখানে বসে আছো যে? কিচেনে যাবে না?
|
ভোরকে দেখে আলো দৌড়ে এসে ভোরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে…..
|
আলোঃঃ আ—আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি আপনাকে হার্ড করতে চাইনি। আমি ইচ্ছা করে কিছুই করিনি… বিলিভ মি। i’m sorry.. so sorry…
|
ভোরঃঃ পাগলি… it’s ok. সময় নাও আর no কান্নাকাটি। আমি জানি তুমি ইচ্ছা করে কিছু করো। চলো কিচেনে। (আলোর চোখ মুছতে মুছতে)
|
আলোঃঃ sosososorry….
|
ভোরঃঃ আহ… চলো তো। আর এসব ভাববে না। চলো চলো…
|
আলো চোখের পানি মুছে একটা মৃদু হাসি দিয়ে ভোরের সাথে কিচেনে হাঁটা দিলো।
|
|
|
চলবে……….
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ ?))

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে