?ভোর?পর্বঃ ২৮।

0
1139

?ভোর?পর্বঃ ২৮।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
ভোরঃঃ ফুপি আমরাতো পরশুদিন যাচ্ছি তাই ভাবলাম তুমি আর মাহিদও আমাদের সাথে চলো। অনেকদিন ঘোরাঘুরি হয়না একসাথে।
|
রিওনাঃঃ ওয়াও গ্রেট… প্লিজ মম চলো চলো চলো….
|
মাহিদঃঃ আমি যেতে পারব না ভাইয়া। আমার খুব জরুরী কাজ আছে। একটুপরই বের হতে হবে আমার। প্লিজ তোমরা যাও।
|
ভোরঃঃ ওকে.. তাহলে ফুপি তুমি চলো আমাদের সাথে।
|
ফুপিঃঃ আচ্ছা বাবা যাবো। তোর কথা তো ফেলতে পারি না।
|
ভোরঃঃ লাভ ইউ ফুপি। তাহলে তোমরা প্যাকিং করে রেখো তোমাদের সব কিছু। আমরা আগামীকাল রাতে রওনা দিবো।
|
রিওনাঃঃ মম আমার কতো শপিং বাকি। আজই সব করতে হবে। আমরাও একটুপর বের হবো। মাহিদ তুই আমাকে আর মমকে শপিংমলের সামনে ড্রপ করে দিয়ে তোর কাজে চলে যেতে পারবি না?
|
মাহিদঃঃ ওকে.. ডান।
|

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

ভোরঃঃ তাহলে তো হয়েই গেলো। ফুপি আমি আসছি আমার অফিসের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে। রিওনা বায়।
|
রিওনাঃঃ বায়। টেক কেয়ার।
|
ভোর চলে গেলো। আলো উপরে রুমে। নিচে আসেনি। আসবে কেন? ভোরের এ পরিবর্তন আলোকে যে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আলো নিজেকে তাই একলা করেই নিয়েছে। নিজের সব প্রিয় আপন মানুষ যখন বদলে যায় তখন সে কষ্ট সহ্য করার মতো থাকে না। তাই তার সান্নিধ্যে না থাকাই ভালো। তার ছায়া দেখলেও কষ্ট বেড়ে যায়। শুধুমাত্র বেবির জন্য আলো নিজেকে শক্ত করে রাখে। রাখতে হয়। আলো যে নিরুপায়। নাস্তার টেবিলে…..
|
রিওনাঃঃ মম… এটাই সুযোগ ভোরকে পুরোপুরিভাবে আমার প্রতি দুর্বল করার। চট্টগ্রাম গিয়ে ভোরের কানে শুধু পানি ঢালবে আলোর বদনামের।
|
ফুপিঃঃ সে তুই চিন্তা করিস না। আমি কি করি দেখিস।
|
মাহিদঃঃ তোমরা ঐদিকে ভোরকে আর আমি এদিকে আলোকে দেখবো। হাহাহা
|
ফুপিঃঃ রেডি হয়ে আয় রিওনা। শপিং এ যাবি না?
|
মাহিদঃঃ হ্যাঁ তাড়াতাড়ি কর রিওনা..
|
রিওনা উঠে রেডি হতে গেলো। তারপর মাহিদ ওদের নিয়ে শপিংমলে গেলো।
|
আলো মাত্র বেবিকে ঘুম পড়িয়ে ঘরটা একটু গুঁচ্ছাছে এমন সময় দরজাটা ঠাস করে খুলে গেলো আর লাফিয়ে উঠলো। পিছন ঘুরে তাঁকিয়ে দেখে মাহিদ দাঁড়িয়ে। আলো ভয় পেলো মাহিদের চোখ দেখে। চোখে একটা হিংস্রভাব। আলো ভয়কে নিজের ভিতর রেখে বললো….
|
আলোঃঃ আপনি এভাবে দরজা খুললেন কেন?
|
মাহিদঃঃ ভাবিনি তুমি দরজাটা আমার জন্য এমন হাল্কাভাবে আটকে রেখেছো। জানলে ধাক্কাটা দিতাম না। (ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে)
|
আলোঃঃ আপনি ভিতরে আসছেন কেন?
|
মাহিদঃঃ কেন আসা কি বারন?
|
আলোঃঃ আপনি আমার রুম থেকে বেরিয়ে যান।
|
মাহিদঃঃ আচ্ছা আগে বলো ভোর তোমাকে কতদিন দেখে না? কতদিন স্পর্শ করে না তোমাকে? এত সুন্দর ফিগার.. উফফ বলিউডের নায়িকাদের মতো।
|
আলোঃঃ আপনি কিন্তু অসভ্যতার লিমিট ক্রস করছেন।
|
মাহিদঃঃ দেখ আলো.. ভোর রিওনাকে চায়। ও রিওনার হয়ে গেছে। তুমি ফাও পড়ে আছো ভোরের পিছনে। তুমি আমার হয়ে যাও। বিশ্বাস করো তোমাকে আমি সব কিছু দিয়ে সুখি রাখব। শারীরিকভাবেও আর মানসিক ভাবেও। প্লিজ আলো আমার হয়ে যাও। বিশ্বাস করো তোমাকে প্রথম দেখাতেই আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। তোমাকে প্রথম ওড়না ছাড়া দেখেই আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। দেখো বাড়িতে কেউ নেই। কেউ কিছু জানবেও না। তুমি একবার আমার সাথে বেডে চলো। তোমাকে satisfied করে দিবো। চলো প্লিজ চলো চলো… (আলোর হাত ধরে নেশাখোরের মতো)
|
আলোঃঃ ঠাসসসসসস…. (একটা চড় দিলো) এসব নোংরা কথা বলার সাহস হয় কি করে আপনার আমাকে? ভোর জানতে পারলে আপনাকে জানে শেষ করে দিবে। আমার রুম থেকে বেরিয়ে যান বলছি এখনি। (রাগীকন্ঠে)
|
মাহিদঃঃ তোর কত সাহস মাহিদকে চড় দিস। ভালোভাবে বলেছিলাম শুনলি না। আজ তোর দেমাগ ভেঙ্গে দিবো।
|
বলেই আলোকে সোফাতে ফেলে দিয়ে আলোর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আলোর মুখ চেপে ধরে আলোর ওড়না দিয়ে আলোর হাত বেঁধে দিলো। আলো কান্না করছে আর পা ধাপাচ্ছে। মাথা এদিকে ওদিক করছে। মাহিদ আলোর মাথা ধরে আলোর কামিজে ধরে টান দিবে ঠিক তখনি মাহিদকে টেনে ফ্লোরে দিলো কেউ। মাহিদ মাথা তুলে তাঁকিয়ে দেখলো দুজন গার্ড।
একজন গার্ড মাহিদকে বেদরম মারতে লাগলো আর একজন আলোর হাতের আর মুখের বাঁধন খুলে দিলো। তারপর মাহিদকে নিয়ে ওরা বের হয়ে গেলো।
|
আলো কিছু বলতে পারছে না। ভয়ে থরথরিয়ে কাঁপছে আর কান্না করছে। বেবির কান্না আলোর কানে যেতেই আলো দৌড়ে বেবিকে কোলে নিয়ে হাউমাউ করে কান্না করছে। অনেকক্ষণ পর আলো নিজেকে সামলে নিয়ে বেবির কান্না থামিয়ে বেবিকে আবার ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে দরজা লক করে দিয়ে ওখানে ধুপ করে বসে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো।
|
দুপরের আযানের শব্দে আলোর ঘুম ভাঙলো। আলো উঠে দেখে বেবি একা একা খেলা করছে। বেবিকে দেখে আলো মুচকি একটা হাসি দিয়ে বেবিকে খাওয়ালো। তারপর বেবিকে রেখে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে বেবি এখনো খেলা করছে। বেবির পাশ শুয়ে বেবির দিকে তাঁকিয়ে রইল। সারাদিনে আর রুম থেকে বের হলো না। বেবির পাশেই শুয়ে বসে কাটিয়ে দিলো। একটু দুর্বল লাগছে আলোর কারন সারাদিনে আলো কিছু খায়নি। কিন্তু খাওয়ার মতো মনোশান্তিও নেই।
|
রাতে…….. টক টক টক…. শব্দ পেয়ে…
আলোঃঃ কে?
|
ভোরঃঃ আমি। দরজা লক করা কেন? খুলুন।
|
আলো ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে দেখে রাত ১২টা প্রায়। আলো গিয়ে দরজা খুলে দিলো। খুলে দিয়ে এসে বেডে বসে রইল। ভোর কিছু না বলে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। আলো রুমে বসে শুনতে পেলো শাওয়ারের শব্দ। আলো কিছু মনে না করে বসে রইলো। প্রায় ২০মিনিট হয়ে গেলো এখনো শাওয়ারের শব্দ আসছে তাই আলো উঠে ওয়াশরুমের দরজাতে ধাক্কা দিলো জোরে। ভোর দরজা খুলে…
|
ভোরঃঃ What????
|
আলোঃঃ আপনি এভাবে অফিসের জামা-কাপড় না ছেড়ে ভিজছেন কেন? ঠান্ডা লেগে যাবে তো।
|
ভোরঃঃ তাতে আপনার কি? যত্তসব।
|
আলোঃঃ আমার কি মানে? কাপড় চেঞ্জ করুন তাড়াতাড়ি। (টাওয়াল হাতে ধরিয়ে দিয়ে)
|
ভোরঃঃ Disgusting….
|
বলেই টাওয়াল নিয়ে ভিতরে ঢুকে কাপড় চেঞ্জ করে শুধু টাওয়াল পড়ে বের হয়ে সোফার কাছে গিয়ে না বসে ফিরে এসে বেডে বসলো। তারপর ফোন নিয়ে….
|
ভোরঃঃ হ্যালো রুমে আসো তোমরা দুজন..
|
বলে রেখে দিলো। একটুপর দুটো গার্ড এলো।
|
গার্ডঃঃ স্যার আসবো?
|
গার্ডদের কন্ঠ শুনে আলো বেলকনি থেকে রুমে এলো।
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ। এই সোফাটা আর এই টি-টেবিলটা আমার চোখে যেনো কোনদিন না পড়ে.. নিয়ে যাও। আর এখানে কাল একটা নতুন সোফা বসাবে আগামীকাল। আমি অডার দিয়ে দিচ্ছি এখনি।
|
গার্ডঃঃ Ok.. sir.
|
তারপর গার্ডরা নিয়ে গেলো সোফা আর টেবিলটা।
|
আলোঃঃ সোফাটা তো সুন্দর ছিলো। ওটা সরাচ্ছেন কেন?
|
ভোরঃঃ সব সুন্দরের মূল্য সবসময় থাকে না। যাইহোক সার্ভেন্ট বললো আপনি সারাদিনে কিছু খাননি। কেন খাননি?
|
আলোঃঃ এমনি ইচ্ছা করছে না।
|
ভোরঃঃ আপনাকে নিয়ে আমার মাথা নেই। আমার বেবির খাওয়াতে কষ্ট হোক আমি সেটা মেনে নিবো না। সো খেয়ে নিন। আপনি না খেলে আমার বেবি কোথায় খাবার পাবে? আমার বেবি তো তার মায়ের বুকের দুধ ছাড়া খায় না। যদিন খেতো তাহলে আপনাকে এসব কিছুই বলতাম না। সো খেয়ে নিন।
|
আলোঃঃ হুমমমম…..
|
ভোরের কথাগুলো আলোর বুকে কাটার মতো বিঁধলো। আলো কিছু না বলে নিচে গেলো। তারপর ভোরের জন্য খাবার নিয়ে এলো।
|
আলোঃঃ আপনার খাবার। খেয়ে নিন।
|
ভোরঃঃ আমি খেয়ে এসেছি বাহির থেকে।
|
আলোঃঃ আপনি সকালে নাস্তাই করেছেন। তাড়াতাড়ি খেয়েে নিন।
|
ভোর কিছু না বলে চুপ হয়ে বসে রইল।
|
আলোঃঃ বেবির জন্য খেয়ে নিন। আপনি না খেলে আমিও খেতে পারব না। আর আমি না খেলে বেবি না খেয়ে থাকবে।
|
ভোর কিছু না বলে খেতে শুরু করলো। ভোরের খাওয়া শেষ হলো আলো সব গুঁছিয়ে নিয়ে নিচে গিয়ে নিজেও খেয়ে নিলো কোনমতে। তারপর রুমে এসে শুয়ে পড়লো। আলো মনে মনে ভাবলো…*ভোরকে বলবে আজকের কথাগুলো* কিন্তু কি ভেবে আর বললো না। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস নিলো।
|
রাত ৪টা… বেবি কান্না করছে। আলো চোখ খুলছে আর দেখে ভোর বেলকনি থেকে রুমে আসছে। ভোরের আসা দেখে আলো চোখ বুঝে থাকে। ভোর বেবিকে কোলে নিয়ে হাটাহাটি করছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। বেবি থামছেই না। তাই বাধ্য হয়ে….
|
ভোরঃঃ আলো আলো আলো….
|
আলোঃঃ উমমমমম (ঘুমের ভান ধরে)
|
ভোরঃঃ বেবি কান্না করছে। একটু থামান না।
|
আলোঃঃ আপনি থামান। আমাকে একটু ঘুমাতে দিন।
|
বলেই আলো পাশ ফিরে শুলো। ভোর পড়ছে মহা বিপদে। বেবি থামছে না। ভোর উপায় না পেয়ে বেবিকে আলোর পাশে শুইয়ে দিয়ে আলোর ওড়না দিয়ে আলোকে ঢেকে আলোর কামিজ উঠিয়ে বেবিকে খাওয়াচ্ছো। আলো বুঝতে পারেনি ভোর এমন করবে। আলো চুপচাপ রইল। বেবি ঠান্ডা হলো তারপর ভোর আলোর কামিজ ঠিক করে দিয়ে বেবিকে ঘুম পড়িয়ে দিলো। আলোও ঘুমিয়ে পড়লো। ভোর ঘুমাবে আর তখনি ফজরের আযান কানে এলো। ভোর উঠে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
|
|
|
চলবে………….
(*বুলবুল* এর জন্য সকালে গল্প দিতে পারিনি। চার্জ ছিলো না ফোনে। Sorry?)
|
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ ?))

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে