হ্যাকারের_লুকোচুরি সিজন_২ পর্ব-৮

0
1222

হ্যাকারের_লুকোচুরি সিজন_২ পর্ব-৮

বাধ্য হয়ে রাফিকে ফোন বন্ধ করতে হলো। কিছুক্ষণের ভেতর কার্গো বিমানটি দ্রুতগতিতে ছুটতে শুরু করলো রানওয়ে বরাবর। রাফি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখছে আর আতংকে তার বুক ধুকপুক করছে, কি ঘটে যাওয়ার কথা বললো মাফিয়া গার্ল! কোন অশুভ কিছু নয় তো?

বিমানটি উড়ে চলেছে মেঘ ভেদ করে। সবকিছু ভাবতে ভাবতে বেশ কিছুটা সময় পার করে ফেলে রাফি। কার্গো বিমানের জানালা দিয়ে ছোট ছোট প্রদীপের মত আলো দেখে রাফির নিজের বাড়ির কথা মনে পড়ে আবার। বাসায় কথা বলা দরকার। কার্গোপ্লেনের এরোপ্লেন মোড টাইম শেষ হওয়ার সাথে সাথে ফোনটা অন করে রাফি। বাবাকে ফোন দেয়, কিন্তু বলে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাবা মাঝে মাঝেই ফোনে চার্জ দিতে ভূলে যান ভেবে মায়ের নাম্বারে ফোন দেয় রাফি, সেটাতেও সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। রাফির কপাল কুঁচকে যায়। তাহলে সত্যি সত্যিই কি কোন খারাপ কিছু হলো! তাড়াতাড়ি তোহার নাম্বার বের করে ডায়াল করতে যাবে তখনই ফোন আসে আননোন সোর্স থেকে, মাফিয়া গার্ল।

– তোমার পরিবারের কারো নাম্বারই আর সচল নেই।

রাফি – মানে কি? কি হয়েছে সব খুলে বলো! তাদের ফোন বন্ধ কেন? কোথায় তারা? কি হয়েছে তাদের?

– তারা সবাই ভালো আছে। তাদের নিরাপত্তার জন্যই তাদের ফোন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

রাফি – কিন্তু কেন? তাদের উপর কেউ হামলা করেছিলো কি? তাদের সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে?

– তারা একটা বাড়িতে নিরাপদ আছেন, তাদেরকে নিয়ে ভেবো না।

রাফি – ভাববো না মানে? এটা আমার পরিবার! আমার পরিবার নিয়ে আমি ভাববো না তো কে ভাববে! কোথায় তারা!

– আমি যদি এখন তাদের ঠিকানা ও তোমাকে দিয়ে দেই তবুও তুমি কিছুই করতে পারবে না। তাহলে শুধুশুধু কেন টেনশন বাড়াচ্ছো। তারা ভালো আছে, সুস্থ আছে। তোমার বৌ অনেক বুদ্ধিমতী মেয়ে। সে সবকিছু সামলে নিয়েছে।

রাফি – আমার পরিবার কোথায়? তারা পুলিশ প্রোটেকশনে ছিলো। তারপরও কেন তাদের অন্য কোথাও সরাতে হলো? খুলে বলো আমাকে সবকিছু।

– তোমাকে যে ট্রেনিং প্রোগ্রামের কথা বলা হয়েছিলো সেটা মিথ্যা ছিলো। যে এন্টি সাইবার ক্রাইম ডিভিশনের আন্ডারে তোমার ট্রেনিং এর কথা বলা হয়েছিলো সেই প্রতিষ্টানে এই মৌসুমের ট্রেইনী লিষ্টে তোমার বা NSA এর কারো নাম ই নেই।

রাফি – তাহলে যে আমাকে চিঠি দেয়া হলো? সরকরিভাবে আমাকে ট্রেনিং এ পাঠানো হয়েছে।

– কিন্তু অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশনে তোমাকে ট্রেনিং এ পাঠানোর কথা থাকলেও অরিজিনালী এই সিজনে তুমি ইনলিষ্টেড কোন ট্রেইনি নও। এটা ঠিক যে তোমার নাম রিকমেন্ড করা হয়েছিলো এবং তোমাকে নির্বাচন ও করা হয়েছে কিন্তু সেটা পরবর্তী মৌসুমের জন্য, এই মৌসুমের জন্য নয়, সেটি আরো ১ মাস পরে।

রাফি – সরকারি কাগজপত্রে ভুল হয় কিভাবে? এত বড় ভুল?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



– জেনে বুঝেই এই ভূলটা করা হয়েছিলো। কাগজপত্র ঠিকইই আছে। তোমার ট্রেনিং কালিন ছুটির পার্মিশন ও আছে কিন্তু সেটা একমাস পরের। তোমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে মেরে ফেলার ফন্দি আঁটা হয়েছিলো এইমাসেই।

রাফি – কিন্তু কে? আমাকে অফিসিয়ালী ট্রেনিং অর্ডার দিয়েছিলেন ডাইরেক্টর স্যার, তিনিই আমার বিমানের টিকিট দিয়েছেন তিনিই আমাকে জানিয়েছিলেন এই মাসে ট্রেনিং এর কথা। তাহলে কি!!!!!!

– ঠিকই ধরেছো। তোমার ডাইরেক্ট স্যার ই তোমার জন্য এই মৃত্যুফাঁদ তৈরী করেছেন। NSA এর ডিজিটাল লগবুকে তোমাকে অনুপস্থিত শো করছে অর্থাৎ তুমি বিনা পার্মিশনে ছুটি কাটাচ্ছো।

রাফি – আমাকে কম করে হলেও ১০ ধরনের কাগজে সিগন্যাচার করে ট্রেনিং এ পাঠানো হয়েছে। তুমি বললেই আমি মেনে নেবো না যে এত বড় যোগসাজশ ঘটেছে।

– তো জানতে পারি তুমি ঠিক কোথায় বসে সব কাগজে সিগন্যেচার করেছো? কোন সাক্ষী আছে তোমার এইসব কথার?

রাফির কপালে ভাঁজ পড়ে, সবগুলো কাগজপত্র ডাইরেক্টর স্যারের সামনেই সই করেছিলো রাফি। এমনকি অফিসের সব কলিগদের রাফিই জানিয়েছিলো ট্রেনিং এর কথা, কোন প্রঙ্গাপন ও জারি হয়েছিলো না। রাফি ছাড়া আর কেউ ই জানে না যে এসব ডাইরেক্টর স্যারের কারসাজি।

– খুব বেশী চিন্তায় পড়ে গেলে তো? এই মানুষটার হাতেই তুমি তোমার পরিবারের দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলে! আজ আমি তোমাকে এইসব জানাচ্ছি বলে তুমি জানতে পারছো, ভেবে দেখো যদি আমি না জানতাম তাহলে কোথায় থাকতে তুমি।

রাফি – প্রমাণ দেখাও যে তুমি সত্য বলছো। প্রমান ছাড়া আমি তোমার একটা কথাও আর বিশ্বাস করবো না। আর ডাইরেক্টর স্যার কেন আমাকে মারতে চাইবে!

– প্রমান চাও তো? আচ্ছা। বিমান থেকে নামো, সবধরনের প্রমান দেয়া হবে তোমাকে।

রাফি – আমি আমার পরিবারের সাথে কথা বলতে চাই।

– সেটা আপাতত সম্ভব নয়। তাদের কাছে এখন কোন কমিউনিকেশন সিস্টেম নেই। যখন সম্ভব হবে তখন আমিই কথা বলিয়ে দেবো। আপাততঃ তোমার পরিবার আমার জিম্মায়। আমি থাকতে তাদের কোন ক্ষতি হতে দেব না।

রাফি – আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এই কার্গোপ্লেন? বাড়ির রাস্তা ফেলে কেনই বা যাচ্ছি অন্য কোথাও?

– তোমার ডাইরেক্টর স্যার খুব সুন্দরভাবে তোমাকে এই কারেন্সি চুরির কেসে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। কিছু ভুয়া প্রমানপত্র জোগাড় করে তোমাকে পলাতক ঘোষনা করেছে। তোমার অবর্তমানে তোমার ফ্যামিলিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পার্মিশন ও বের করে ফেলেছে তোমার ডাইরেক্টর স্যার। তাই বাধ্য হয়ে তোমার পরিবারকে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে।
রাফি চুপ করে থাকে কিছুক্ষণের জন্য। মাফিয়া গার্ল যদি সত্য বলে তাহলে আসলেই রাফির তার পরিবারকে বিপদের মুখে ফেলে রেখে এই মৃত্যুফাঁদে পা দিয়েছিলো। কিন্তু এত অল্প সময়ে এতকিছু ঘটে যাওয়াটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না রাফির কাছে। নাহ, সবকিছু যাচাইবাছাই না করে আর কোন মন্তব্য করতে চায় না রাফি।
রাফি – যত দ্রুত সম্ভব আমার পরিবারের সাথে আমার কথা বলানোর ব্যবস্থা করো, প্লিজ।

– সে ব্যবস্থা আমি করছি। আর হ্যাঁ কার্গোপ্লেনটি তোমাকে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ধনী দেশে নিয়ে যাচ্ছে। বিমানটি সরাসরি একটা আর্মি বেস এ ল্যান্ড করবে। ওখান থেকে তোমাকে তোমার গন্তব্যে পৌছে দেয়া হবে।

রাফি – কিন্তু আমার গন্তব্য কোথায়!

– সময় হলেই জানতে পারবে। এখন বিশ্রাম নাও। কাল অনেক কাজ আছে।
রাফি ফোনটা কেটে দেয়। মেঘের উপর দিয়ে ভেসে চলেছে কার্গোপ্লেনটি।
রাফি মনে মনে ভাবতে থাকে কেন নিজের সিক্রেট আইডেন্টিটি মাফিয়া বয় ছেড়ে প্রকাশ্যে একজন Cyber Crime Analysist Officer হতে গেলো! দেশের জন্য ভালো কিছুই করতে চেয়েছিলো রাফি সবসময়। কিন্তু মুহূর্তের ভেতর সবার কাছে শত্রু হয়ে যেতে হবে এটা কখনই ভাবে নি রাফি। দেশের জন্য কিছু করতে গেলে যে এতবড় মাসূল দিতে হয় এটা রাফির সত্যিই অজানা ছিলো। নিজের পজেটিভ মনকে নেগেটিভিটির ছায়ায় দেখতে মোটেই অভস্থ্য নয় রাফি। কিন্তু নিজেকে পজেটিভ রাখার সব শক্তি হারাতে বসেছে সে। এতসব ভাবনাচিন্তার সমুদ্রে সাঁতার কাটতে কাঁটতে রাফি যে কখন ঘুমিয়ে যায় তা সে নিজেও জানে না। হঠাৎ কিছুটা ঝাকিতে রাফির ঘুম ভেংগে গেলো। সকাল হয়ে গেছে মেঘের উপর। কিছুক্ষণের ভেতর হয়তো বিমানটি ল্যান্ড করবে তাই সিগন্যাল দিচ্ছে সিটবেল্ট বেধে নিতে এবং ফোন সুইচ অফ করতে। রাফি ফোন বন্ধ করে আর কিছুটা আড়মোড়া দিয়ে ল্যান্ডিং এর প্রস্তুতি নেয়।
বেশ ঝাক্কি খেতে হলো কার্গোপ্লেনটি ল্যান্ড হতে। রাফি শক্ত হয়ে বসে রইলো তার সীটে, মনে হচ্ছিলো এটাই শেষ যাত্রা। অবশেষে কার্গো প্লেনটি থামলো।
মাফিয়া গার্ল বলেছিলো এখান থেকে কেউ একজন রাফিকে নিয়ে যাবে গন্তব্যে কিন্তু কে নেবে কোথায় নেবে কিছুই জানে না রাফি। ফোন অন করে যথারিতী *6666# নাম্বার ফোন দেয় রাফি।
কিছুক্ষণের ভেতর ফোন দেয় মাফিয়া গার্ল।

– ল্যান্ড করেছো?

রাফি – এইমাত্র ল্যান্ড করলো। কে আমাকে নিতে আসবে, কোথায় যাচ্ছি?

– একটা সবুজ রং এর আর্মি জীপ। রানওয়ের আশেপাশে ওই গাড়িটা ছাড়া আর কোন গাড়ি থাকার কথা না।
রাফি আশে পাশে তাকিয়ে একটাই জীপ দেখতে পায়।

রাফি – হয়তো পেয়েছি। কিন্তু কি বলবো ড্রাইভারকে।

– বলো ” I am the package”

রাফি – I have the package?

– না না, I am the package.

রাফির কাছে উদ্ভট লাগলেও জীপের ড্রাইভারের কাছে গিয়ে মাফিয়া গার্লের শিখিয়ে দেয়া কোড বললো। ড্রাইভার কোন প্রতিউত্তর না দিয়ে গাড়িতে বসতে বললো।
রাফি ব্যাগদুটো নিয়ে গাড়ির পেছনে গিয়ে বসলো।
ড্রাইভার নিজ মনে গাড়ি চালাতে শুরু করে।
রাফি – কিন্তু আমরা যাচ্ছি কোথায়?

– যে অস্ত্র ব্যবসায়ীর বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলে তার কাছে।

রাফি – মানে! তার কাছে কেন!

– কেন কি! তার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে না! তার ব্যাগ হার্ডড্রাইভ সব ফেরত দিতে হবে তো!

রাফি – সে যদি জানে যে আমি তার বাংকারে ঢুকে পড়েছিলাম তাহলে তো আমাকে গুলি করে মারবে।

– অতটাও সহজ নয়। সে তার বাড়ির সিকিউরিটি স্ট্যাটাস দুনিয়াকে দেখানোর জন্য একটা ডিক্লিয়ারেশন দিয়েছিলো। ২৪ ঘন্টার ভেতর যদি কেউ তার বাংলোতে ঢুকে যে কোন কিছু চুরি করে আনতে পারে তাহলে তিনি চোরকে যে কোন কিছু দিতে তৈরি।

রাফি – ওই বাংলোতে কেউ ঢোকার সাহসই বা কেউ করবে কেন? জান গেলে কি আর জান ফেরত আসবে?

– তুমি তো ঠিকই ঢুকেছিলে, তাও সবচেয়ে সিক্রেট বাংকারে।

রাফি – আমি তো না জেনেই……… কিন্তু এই চুরির আয়োজনের উদ্দেশ্য কি?

– অস্ত্র ব্যবসায়ী পিকাচু কে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে একটা ইন্টেলিজেন্ট সিকিউরিটি এসিস্টেন্ট হিসেবে। সে নিজেই পিকাচু কে চুরি করেছে এর ডেভলপার গ্রুপের কাছ থেকে আর ডেভলপারের সবাইকে মেরে ফেলেছে।

রাফি – তার মানে বিক্রির আগে পিকাচুর নৃষংশতার একটা ডেমো দেখাতে চেয়েছিলো সে!.

– একদম ঠিক।

রাফি – কিন্তু পিকাচু তো কাউকে মারে নি। কোন ডেমো ই শোঅফ হয় নি।

– মেরেছে। তুমি কার্গো প্লেনে ওঠার পর পিকাচুর সব পার্মিশন রেষ্ট্রিকশন খুলে দেই আমি। পিকাচু রেষ্ট্রিকশন ফ্রী হয়ে আর্মি বেসে যাওয়ার আগেই আর্মড ট্রাক কন্ট্রোল করা বন্ধ করে দেয়, ফলে সন্ত্রাসীরা আর্মড ট্রাক খুজে তোমাকে না পেয়ে আবার বাংলোতে ফিরে আসে। রেষ্ট্রিকশন ছাড়া পিকাচু কি করার ক্ষমতা রাখে তা তোমার আইডিয়াতেই আছে। একটা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকেও জ্যান্ত ছাড়ে নি পিকাচু।

রাফি – আমি কোন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখতে চাইছিলাম না। তারপরও এমনটা ঘটলো। আচ্ছা কেউই কি আসে নি চুরি করতে?

– সেটা বলা সম্ভব নয় কারন পিকাচু কাউকেই জিন্দা ছাড়ে নি।

রাফি – তাহলে আমি এখন ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে কি করবো?

– বন্ধুত্ব করতে যাবে এবং তোমার পুরস্কার আনতে যাবে। কিছুক্ষণের ভেতরেই তুমি একটা উপশহরে পৌছাবে, সেখানে গাড়ি বদল হবে এবং তোমাকে সিকিউর করে অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।

রাফি – সিকিউর! মানে হাত পা চোখ বেধে!

– বলা যায়, অমনই কিছু একটা।
রাফি – কোথা থেকে এনে কোন বিপদে ফেলছো আমায় তুমি?

– চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। Good luck.
রাফি কথা বলা শেষ করে গাড়ির জানালার দিয়ে দেখতে থাকে। শহরটা খুবই সুন্দর , সাজানো গোছানো রঙিন শহর।
আধঘন্টা বা তার একটু বেশী সময় পর গাড়িটা একটা রাস্তার মোড়ে দাঁড়াল। ড্রাইভার ইশারা করে গাড়ি থেকে নামার জন্য। রাফি ব্যাগ গুলো নিয়ে নেমে পড়ে গাড়ি থেকে। চার রাস্তার মোড় অথচো একটা গাড়িও নেই। মানুষজনেরও বালাই এই একেবারেই।
রাফি দেখতে পায় দূর থেকে একটা গাড়ি আসছে। কাছাকাছি আসতেই রাফি বুঝতে পারে এটা একটা লিমুজিন। রাফির সামনে এসে দাঁড়ায় গাড়িটা। একজন হোমড়াচোমড়া লোক গাড়ি থেকে নেমে রাফিকে গাড়িতে উঠতে বলে। অন্য কোন উপায় না থাকায় রাফিকে গাড়িতে উঠতে হলো। গাড়ির ভেতর পুরাই আলাদা, বাঘের চামড়া দিয়ে বানানো সোফার কভার। মদের বোতল সহ আরো অনেক কিছু দিয়ে সাজানো পুরো লিমুজিনের ভেতরটা। গাড়িটা তখনও দাড়িয়ে। বাইরের লোকটা ভেতরে এসে বসে রাফিকে একটা ছোট্ট বোতল দেয়।

রাফি – (ইংরেজীতে) আমি এ্যালকোহল নেই না।

লোকটা – এটা এ্যালকোহল নয়। সিডেডিভ। তোমাকে বেহুস করে দেবে। গন্তব্যে পৌছানোর পর তোমার জ্ঞান ফেরানো হবে। এখন জলদি।
বলেই একটা পিস্তল বের করে রাফির বুক বরাবর ধরে।
লোকটির সোজাসাপটা জবাব আর পিস্তলের নল দেখে রাফির গলা আটকে আসে, কিন্তু আর কোন উপায় না থাকায় মাফিয়া গার্লকে একশো এক টা গালি দিতে দিতে রাফি বোতলে মুখ খুলে গালে চালান করে দেয় পুরো বোতলের সিডেডিভ।
কিছুক্ষণের ভেতর চোখগুলো ভারী হয়ে আসতে থাকে রাফির। হাত পা অসাড় হয়ে যায়, ধীরে ধীরে জ্ঞান হারায় রাফি।
লিমুজিনটা চলতে থাকে রাফির পরবর্তি গন্তব্যের দিকে।

বিঃদ্রঃ
লেখার মান এবং পাঠকদের প্রত্যাশা ঠিক রাখার জন্যই মাঝে মাঝে ব্রেক নেই। সাথেই থাকুন, ইনশাআল্লাহ নিরাশ হতে দেবো না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে