হৃদয়ে বন্ধন পর্ব-০১

0
1183

#হৃদয়ে বন্ধন
#part:1
#লেখিকা: Afshana Afrin

ভাইয়া ভাইয়া কোথায় তুমি আমার হিসু ধরেছে চেই খুলতে পারছি না ভাইয়ু! ছোট বাচ্চার কন্ঠ শুনে পাশের রুম থেকে দৌড়ে আসে একটা ছেলে। ছেলেটিকে দেখে ছোট বাচ্চা টা গলা জরিয়ে ধরে বলল, “তুমি কোথায় ছিলে ঘুম থেকে উঠলে যে আমার হিসু পাই যানো না বুজি? বাচ্চাটার কথা শুনে ছেলেটা কান ধরে বলে সরি সোনা বাচ্চা আর হবে না এমন আমি তো একটু কাজ করছিলাম তুমি উঠে পড়বে ভাবিনি। ছোট ছেলেটা ভাব নিয়ে বলে সমস্যা নেই আমি কিছু মনে করিনি। বাচ্চা টার ভাব নেওয়া স্টাইল দেখে হেসে ফেলে ছেলেটি।

*** sir ছোট sir কে ফ্রেশ করিয়ে দিবো। আরেক জন বলে sir ছোট sir কে কি খাইয়ে দিবো। সার্ভেন্ট গুলোর কথা শুনে ছেলেটা গম্ভীর কন্ঠে জবাব দেই ধরকার নেই আজ অফিস যাবো না আমি দেখছি। ছেলেটার গম্ভীর কন্ঠে শুনে সার্ভেন্ট ভয়ে চলে যাই।

“”এতো কন যাদের কথা হচ্ছিলো তাদের একজন হলো অর্নব চৌধুরি আর ছোট জন অরন্য চৌধুরি । অর্নব চৌধুরি চৌধুরি গ্রুপের এমডি । অর্নব এর দাদা অর্নব কে তার অফিস এর এমডি হিসেবে ঘোষনা করে মৃত্যু বরন করেন। সেই থেকে দাদার অফিস এর দায়িত্ব অর্নব এর , দেশের সাথে সাথে বিদেশে ও অর্নব এর ভালোই নাম ডাক। অর্নব এর বয়স 30 আর অরন্য বয়স 4 বছর। ছোট অরন্য কে ফ্রেশ করিয়ে ডাইনিং এ গিয়ে বসে খাবার তুলে খাওয়াচ্ছে অর্নব। খাওয়ানোর মাজে একজন গার্ড এসে বললো বড়ো সাহেব বড়ো sir এসেছেন। গার্ডের কথা শুনে রাগী কন্ঠে অর্নব বলে আসতে বলেন মিঃ আরিশ চৌধুরি কে। গার্ড যেতেই একটু পর ঘরে ডুকে এক জন পুরুষ যে অর্নব এর বাবা আরিশ চৌধুরি । আরিশ চৌধুরিকে দেখে ছোট অরন্য অর্নব এর কুলে উঠে গলা জরিয়ে ধরে। আরিশ চৌধুরি অরন্যর সামনে গিয়ে বলে আসবে না ডেড এর কাছে। ছোট অরন্য না বলে। অর্নব এবার কিছু রাগ আর বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করে কি চাই এখানে? অর্নবের কথা শুনে আরিশ চৌধুরি বলল তোমার বাবা আমি অর্নব ভালো আচরন করো সুধরে যাও। অর্নব রেগে উত্তর দেই আপনি আর ভালো আচরন হাঁসির কথা! যাই হোক কি চাই? আরিশ চৌধুরি বলে আমি তোমাদের বাবা তোমাদের দেখতে আসতে পারি না? অর্নব ভেং করে বলে বাবা! বাবা মাই ফুট আপনাকে কেউ বাবা হিসেবে মানেনা, আপনি আমাদের মায়ের খুনী। এবার আসল কথায় আসোন কেন এসেছেন? দরকার চারা তো আপনি আসেন না। আরিশ চৌধুরি বলে যাক তাহলে বলি অরন্য কে নিতে চাই নীলিমার জন্যে। অর্নব রেগে উওর দেই একদম আমার ভাই এর দিকে নজর দিবেন না। আরিশ চৌধুরি বলে অরন্য আমার সন্তান আমি নিতেই পারি। অর্নব রেগে বলল সন্তান মাই ফুট বাবা হওয়ার কোন যোগ্যতা আছে আপনার। আপনি নামে পিতা আরিশ চৌধুরি! অরন্য আমার কলিজা জন্মের পর থেকে একা ওকে মানুষ করেছি আমি! আমি ও মা আমি ও বাবা আমিই ওর ভাই সব আমি। আপনার সো কোল্ড নষ্টা বউ কে বলে দিবেন আমার অরন্যর দিকে চোখ দিলে চোখ খুলে ফেলবো। অর্নব এর কথা শুনে আরিশ চৌধুরি বলে উনি তোমার মা অর্নব ভদ্র ভাষা ব্যবহার করো । অর্নব রেগে বলল এটা আপনার রক্ষিতা আমাদের মা না এই কথা উচ্চারণ করবেন না আমাদের মা মরে গেছে । আপনার বউ নষ্টা মেয়ে বলে আল্লাহ সন্তান হওয়ার ক্ষমতা দেই নি। তবুও এই নষ্টা নির্লজ্জ মেয়ের লজ্জা নেই। এই মুহূর্তে এই জায়গা থেকে চলে যান বলেই অরন্য কে নিয়ে উপরে চলে যাই আরিশ চৌধুরি মুখ গুমরা করে চলে যাই।

*** অরন্য কে রেডি করিয়ে অর্নব ও রেডি হয়ে বেরিয়ে যাই পার্কের উদ্দেশ্যে। অর্নব গাড়ী চালাচ্ছে আর অরন্য অর্নব এর কুলে বসে গলা জরিয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে। অর্নব অরন্যর মাথায় মাজে মাজে চুমু খাই আর ড্রাইভ করে। পার্কে কাছে এসে গাড়ী পার্ক করে অরন্য হাত ধরে নিয়ে যাই অর্নব ভিতরে। অরন্য কে নাগরদোলায় তুলে প্রথমে এর পর অরন্যর পছন্দের হাওয়াই মিঠাই দিয়ে পাশে একটা দোলনাতে অরন্য কে নিয়ে বসে। এই দিক ওই দিক তাকিয়ে হঠাৎ অরন্য মন খারাপ করে মাথা নিচু করে নেই। অর্নব সাথে সাথে বেস্ত হয়ে অরন্য কে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে আমার সোনা বাচ্চার বলো ভাইয়া কে? অরন্য হাত দিয়ে বা দিকে দেখায় একটা বাচ্চা ছেলেকে মা আদর করছে যেটা দেখে অরন্য মন খারাপ । অর্নব দীর্ঘ শ্বাস ছেরে অরন্য সামনে বসে বলল আমি কি তোমায় আদর করি না অরন্য ? অরন্য বলল করো তো তবুও তো মাম্মী নেই। আচ্ছা ভাইয়া তুমি না বলেছো আমি বড়ো হলে একটা মাম্মী আনবে নতুন তাহলে আনছো না কেন একটা ভাবী আম্মু লাগবে। অরন্যর কথা শুনে অর্নব কিছুটা গম্ভীর হয়ে যাই। অরন্যর হাত ধরে তাঁকে খুশি করার জন্য বলে তুমি একটা ভাবী আম্মু পছন্দ করো নিজে পরে বিয়ে করবো। অর্নব যানে অরন্য এই গুলো পারবে না বাচ্চা তাই সান্ত্বনা দিলো। অরন্য মাথা তুলে হাঁসি মুখে বলল সত্যি? অর্নব বলে তিন সত্যি লিটেল চেম্ফ। অরন্য আচমকা অর্নব এর হাত ছেরে দৌড়ে চলে যাই সামনে। অরন্য যে এই রকম কিছু করবে ভাবতেও পারেনি অর্নব!

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে