সে ফিরে আসবেই পর্ব-০৯

0
1190

#সে_ফিরে_আসবেই
#৯ম_পর্ব
#অনন্য_শফিক



সন্ধ্যা ছ’টার দিকে ডাক্তার এসে আবার দেখে গিয়েছেন মানহাকে।জোর করেই দু বার ওকে অষুধ খাইয়েছি। এই জন্য তাপটা এখন কম। তাছাড়া আমি ওকে জানিয়েছি ওর দাদুর আসার সংবাদটা।বলেছি,’মানহা, তোমার দাদু আসছেন আজ। দাদু এসে তোমার মাকে খুঁজে বের করবেন। তুমিও তোমার দাদুর সাথে মাকে খুঁজতে যাবে।’
মানহার শুকনো মুখে এক টুকরো হাসি ফুটে উঠলো।
আমি ওর গালে আলতো স্পর্শ করে বললাম,’মা, তুমি খুঁজতে যাবে না দাদুর সাথে তোমার মাকে?’
মানহা নিচু স্বরে বললো,’যাবো।’
আমি তখন তার জন্য এক গ্লাস শরবত বানিয়ে নিয়ে এলাম।আর ওর কাছে এসে বললাম,’মাকে খুঁজতে গেলে তো তোমার হাঁটতে হবে। এখন তো তুমি খুব দূর্বল।এই শরবতটা যদি খাও তবে শক্তিশালী হয়ে যাবে তুমি। তখন আর মাকে খুঁজতে কষ্ট হবে না!’
মানহার মুখে শরবতের গ্লাস তুলে দিলাম।মানহা একটু খেয়েই বলছে,’বিচ্ছিড়ি লাগে!লবণের চেয়েও তিতে!’
আমি তখন বললাম,’এটা না খেলে কিন্তু তোমার দাদু তোমায় সাথে করে নিবেন না!’
মানহা তখন জোর করেই শরবতটা গিললো।ওর চোখে আনন্দের ঝিলিক। ঠোঁটে মিষ্টি হাসি।মনে আশা! মাকে সে খুঁজে বের করবেই!
এবং এই মুহূর্তে আমার আরেকটি কথা মনে পড়ছে। নবীজী সাঃ এর যুগের কথা। কয়েকটি দুষ্ট ছেলে বাসা থেকে পাখির ছানা নিয়ে এসেছিল নিজেরা পোষ মানাবে বলে ওদের।আর তখন ছানাদের মা পাখিটা ছেলেদের মাথার উপর দিয়ে বারবার ছক্কর দিচ্ছিলো আর চিৎকার করছিলো শুধু। নবীজী সাঃ তখন ছেলেদের কাছে এলেন। এবং বললেন, ছানাগুলো বাসায় রেখে এসো।ছেলেরা বললো,আমরা তো ওদের পোষ মানাতে এনেছি!
নবীজী সাঃ শুনে বললেন,বাবারা, তোমাদের মায়ের কাছ থেকে যদি তোমাদের কেউ কেড়ে নেয় তখন তোমাদের কী কষ্ট হবে না?তোমরা কী তখন মা ছাড়া থাকতে পারবে?
ছেলেরা একসাথে জবাব দিলো, খুব কষ্ট হবে। আমরা কেউই মা ছাড়া থাকতে পারবো না।কারণ আমাদের মা আমাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসেন! আমরাও আমাদের মা’দের খুব ভালোবাসি।
নবীজী সাঃ তখন ছেলেদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, এই জন্যই বলেছি তোমরা পাখির ছানাদেরকে ওদের বাসায় রেখে এসো।ওরা ওদের মায়ের কাছে থাকুক। মাকে ছাড়া ওদের থাকতে খুব কষ্ট হবে।ওরা তোমাদের মতই। ওদেরও জীবন আছে। ওদের মায়েরাও ওদেরকে খুব বেশি ভালোবাসে!
আমি কী করলাম এটা!কী করলাম!মানহাকে ওর মায়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিলাম!

মাগরিবের নামাজ পড়ে মানহার কাছে এসে বসেছি।ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।মানহা হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো,’বাবা,দাদু কখন আসবে?’
আর ঠিক তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো।
আমার উঠার আগেই মানহা বিছানা থেকে উঠে যেতে চাইলো। কিন্তু ওর শরীরের দূর্বলতার জন্য উঠতে পারলো না।আমি জানি মা এসেছে।তাই মানহাকে কোলে করে নিয়ে দরজার কাছে গেলাম।আর এক হাতে দরজার ছিটকিনি খুলে দিতেই চমকে উঠলাম।মা এসেছেন। এবং তার সাথে নীলা।মানহার মা নীলা। আমার প্রিয়তম স্ত্রী!
মানহা ওর মাকে দেখেই এক লাফে ওর কোলে উঠে গেল। তারপর নীলার বুকে তার মুখ গুঁজে রাখলো। মানহা অসুখে নেতিয়ে পড়েছিল।শরীরে এতোটুকুও শক্তি ছিল না তার। কিন্তু মাকে পাওয়ার পর তার গায়ে অত শক্তি এলো কী করে!
নীলা কাঁদছে।মানহাকে কোলে তুলে নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে।মা বললেন,’হয়েছে। এখন কান্নাকাটি বন্ধ করো। আগে ঘরে যাও।ফ্রেস হও।মেয়েরে সুস্থ করো। এরপর কান্নাকাটি করার অনেক সময় পাইবা!’
নীলা চোখ মুছলো। তারপর মানহাকে বুকে চেপে ধরে নিয়ে ঘরে ঢুকলো।
মা বললেন,’মাগরিবের ওয়াক্ত আছে কি না দেখ তো!’
আমি ঘড়ি দেখলাম। ওয়াক্ত চলে গেছে।
মাকে বললাম,’না মা ওয়াক্ত নাই।’
মা বললেন,’ঠিক আছে।কাজা পড়তে হবে। আচ্ছা শোন,তুই বেলকনিতে বস।আমি হাতমুখ ধুয়ে আসতেছি।তোর সাথে কথা আছে।’
আমি বললাম,’জ্বি আচ্ছা।’

সন্ধ্যা সাতটা ত্রিশ মিনিট।আমি আর মা বসে আছি বেলকনিতে।নীলা মানহাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।
মা বললেন,’এখনও কী নীলার প্রতি রাগ আছে?’
আমি সহজ গলায় বললাম,’না নাই।’
মা অবাক হয়ে বললেন,’অন্য একটা ছেলের সাথে নিজের স্ত্রী একসাথে ছিল।এ নিয়ে কতকিছু হলো।আর তুই সব ভুলে গেলি!রাগ পর্যন্ত নাই?’
‘না নাই। ‘
‘নাই কেন?’
‘মানহার জন্য। আমার এখন মনে হচ্ছে আমাদের সন্তানের জন্য আমাদের দুজনকেই সেক্রিফাইস করতে হবে।’
‘এটা আগে বোঝা উচিৎ ছিল। এখন থেকে কোন কিছু করার আগে হাজার বার ভেবে নিবি। শুধু নিজের কথা ভাববি না। সংসারের সবার কথা ভাববি। তারপর ডিসিশন নিবি!’
আমি বললাম,’জ্বি আচ্ছা।’
মা এবার বসা থেকে উঠে গিয়ে বললেন,’তোকে একটা কঠিন কাজ করতে হবে। যদিও এটা করতে তোর কষ্ট হবে। কিন্তু কাজটা তোর করতেই হবে।আমি গিয়ে নীলাকে পাঠাচ্ছি।ওর সাথে কথা বল। আগে তোদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর হোক। তারপর কঠিন কাজটার কথা ও নিজেই বলবে!’
আমি মাথা কাত করে সম্মতি জানালাম।

মা উঠে যাওয়ার খানিক পর নীলা এসে দাঁড়ালো আমার পাশে।আমি ওকে বসতে বললাম। নীলা বসলো আমার পাশের চেয়ারে। আমার পাশে সে অনমনা হয়ে বসে আছে।
আমি ওর একটা হাত ধরে বললাম,’সরি নীলা!’
নীলা আমার হাতটা শক্ত করে ধরে কেঁদে ফেললো। তারপর কান্নাভেজা গলায় সে বললো,’আমিও সরি ফাহাদ! আমার উচিৎ ছিল তোমার কাছে আগেই সব ভেঙ্গে বলা। কিন্তু কীভাবে ভেঙে বলবো বলো। তোমার সাথে বিয়ের আরো দু বছর আগে থেকে জেনে এসেছি তমাল নেই।খুন হয়েছে কারোর হাতে। এমনকি তার লাশ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি!যা পাওয়া গেছে তা ছাই। পুড়ে থাকা হাড্ডি।
তারপর হঠাৎ এসে সে হাজির।তাও কতো কতো বছর পর! এমন অবস্থায় কে ঠিক থাকতে পারে বলো?’
আমি শান্ত গলায় ওকে জিজ্ঞেস করলাম,’তমালের সাথে তোমার কেমন সম্পর্ক ছিল একটু বলবে!’
নীলা বলতে শুরু করলো এবার।সে বললো,’তমালরা আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতো।ওর বাবা ছিল না।মা গার্মেন্টসে কাজ করে ওকে পড়াশোনা করাতো। তমালের তখন সদ্য মাস্টার্স কমপ্লিট হয়েছে।আর ও তখন জবের পড়াশোনা বাদ দিয়ে উঠে পড়ে লেগেছিল ইউরোপিয়ান কান্ট্রি গুলোতে সেটেল্ড হওয়ার জন্য। যদিও তার জন্য এটা খুব কঠিন ছিল। ওদের হাতে পয়সা কড়ি ছিল না। কিন্তু ওর বিশ্বাস ছিল ও ওখানে যেতে পারবে।আর সে আমায় বলতো ওখানে যেতে পারলেই মা তার কাছে আমায় বিয়ে দিতে আর কোন মানা করবেন না।
এই তমালের সাথে কীভাবে যেন আমার সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। গভীর সম্পর্ক। তারপর মা একদিন আমাদের ছাদের উপর দেখে ফেললেন। দেখে ফেলার পর মা আমায় খুব শাসালেন। কিন্তু আমি তার বারণ শুনলাম না। এরপর তমালের মাকে বাসা থেকে বের করে দিলেন মা।তমালরা তখন গিয়ে উঠলো আমাদের বাসার পাশের এক বাসায়। আমাদের সম্পর্ক তখনও কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। বরং একজনের প্রতি অন্যজনের টান বেড়েছে।আমরা দুজন বাইরে ঘুরাফেরা করতাম।কলেজ ফাঁকি দিয়ে রিক্সা করে সারা শহর ঘুরে বেড়াতাম তমালের সাথে। একদিন মার চোখে আবার ধরা পড়ি।মা সে রাতে আমায় খুব মারধোর করেন। মারতে মারতে বলেন ওকে ভুলে যেতে। কিন্তু আমি দমে যাই না।সাহস করে বলি,মরে গেলেও ওকে ভুলতে পারবো না!
এরপর আবার সাহস করে ওর সাথে দেখা করি। মিশতে থাকি।মা শাসন করলে আমি সরাসরি মাকে বলি,আমায় যদি মেরেও ফেলো তবুও ওকে ভুলা সম্ভব না।
মার রাগ তখন আরো বাড়ে। তিনি কসম কেটে বলেন,এই ফকিরনীর বাচ্চাকে শহর ছাড়া না করে তিনি ঘুমাতে যাবেন না!
কিন্তু মা ওকে শহর ছাড়া করতে পারেন না।তমালও দমে যাওয়ার পাত্র ছিল না। মা ওদের শহর ছেড়ে চলে যেতে বললে তমাল কঠিন গলায় মাকে ধমকি দেয়।বলে,শহর কী আপনার কেনা নাকি যে আপনি বললেই চলে যেতে হবে?
এই কথা মা কিছুতেই সহ্য করতে পারেননি। তিনি এর প্রতিশোধ তুলতে চাইলেন আমার থেকে।সে রাতে তিনি প্রচণ্ড রকম মারলেন আমায়।আর বললেন, জীবনের জন্য ওকে ভুলে যেতে। কিন্তু আমি মাকে এক কথায় বললাম। বললাম,এটা সম্ভব না।
মা তখন বললেন,সম্ভব আমি করবোই করবো।

সে রাতে গোপনে বাবা আমার সাথে কথা বলেছিলেন।বাবা আমায় সান্তনা দিয়ে বলেছিলেন ঠিক ভাবে পড়াশোনা করতে।আর তমালকে বলতে সেও যেন ভালো করে চাকরির জন্য পড়াশোনাটা করে।ওর চাকরি হলে বাবা আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করবেন।
কিন্তু এর সপ্তাহ খানেক পরই তমাল খুন হয়ে যায়।কে বা কারা তাকে খুন করেছে তা জানা যায়নি।হত্যা করার পর প্রমাণ যেন না থাকে এই জন্য লাশ একটা পরিত্যক্ত ভবনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল একেবারে।যার জন্য তাকে চিনতে পারা যায়নি। এমনকি সে রাতের পর তার মাকেও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি!

তমাল খুন হওয়ার পর আমি পাগলের মতো হয়ে যাই। সারাদিন কান্নাকাটি করি। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেই।বাবা এতে খুব ভেঙে পড়েন।
তমাল খুন হওয়ার ঠিক তিনদিন পর বাবা সোইসাইড করে মারা গেলেন।মা তখন আমায় বললেন,’শুধুমাত্র তোর জন্য তোর বাবা মারা গেলো।তোর বাবা মেনে নিতে পারেনি তোর এই সম্পর্ক।তুই এমন এক ছেলেকে ভালোবেসেছিলে যে ছিল গুন্ডা।গুন্ডা বলেই ওকে এভাবে মেরে ফেলে রেখেছে। এখন কী তুই আমাকেও মারতে চাস?আমি তো মা!তোর এমন অবস্থা দেখে আমি ভালো থাকবো কীভাবে বল!’
মার কথা শুনে আমার খারাপ লাগে।আর ধিরে ধিরে বুকের ভেতর কষ্ট চাপা দিয়ে মাকে বুঝাই আমি ঠিক আছি।আমি ভালো আছি। এরপর দু বছর কেটে গেলে তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়।আমরা অনেক অনেক দিন ধরে সংসার করি।সুখেই দিন কাটাই। মানুষ জীবিত মানুষকে সহজে ভুলতে পারে না। কিন্তু মৃত মানুষকে সহজে ভুলে যায়। আমিও প্রায় ভুলে যাই তমালকে। কিন্তু কদিন আগে হুট করে যখন ও আমার বাসায় চলে আসে তখন ভীষণ অবাক হই।আর সবকিছু শুনে কী করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারি না! নিজেকে আমি হারিয়ে ফেলি অতীতে।আর আমি চলে যাই একটা ঘোরের ভেতর!’
নীলার চোখ ভরে উঠেছে জলে।সে শাড়ির আঁচল দিয়ে তার চোখের জল মুছলো।
আমি ওর হাতটা চেপে ধরে বললাম,’একটা মৃত মানুষ অত অত বছর পর হঠাৎ জীবিত হয়ে তোমার কাছে ফিরে এলো কী করে?’
নীলা বললো,’ও সেদিন মরেনি। কিন্তু মা পরিকল্পনা করেছিলেন ওকে মেরে ফেলবার জন্য। কিছু গুন্ডাও নাকি ভাড়া করে ফেলেছিলেন তিনি।বাবা সবকিছু জেনে ফেলেন।
এবং মাকে থামানোর জন্য তিনি মার কাছে বলেন তিনি তমালকে নিজে খুন করবেন।এর জন্য গুন্ডা ভাড়া করার কোন প্রয়োজন নাই।গুন্ডাদের মাধ্যমে এসব করালে রিস্ক থাকে।ধরা পড়লে কার জন্য এই কাজ করেছে তার নাম বলে দেয় পুলিশের কাছে!
মা শুনে নাকি খুব এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলেন তখন।আর বাবা অপেক্ষা করছিলেন এলাকায় কবে একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে সেদিনটির জন্য।আমরা শহরে যে জায়গাটায় থাকি ওখানে কদিন পর পর খুন খারাবি হয়। মানুষের লাশ পাওয়া যায় ঝোপ ঝাড়ের আড়ালে, পরিত্যক্ত ভবনে,ড্রেনে, পঁচা পুকুরে। আমাদের এখানে সস্তায় খুনি ভাড়া পাওয়া যায়।
বাবা আগে থেকেই সবকিছু বলে রেখেছিলেন তমাল আর তার মাকে।যেদিন কোন খুনের ঘটনা ঘটবে সেদিনই ওদের শহর ছেড়ে সড়ে যেতে হবে। এবং কোথায় যেতে হবে তাও বাবা ঠিক করে রাখলেন আগে থেকেই। এরপর খুব দ্রুত একটি ভয়াবহ খুনের ঘটনা ঘটে গেলো। এমনকি খুন হওয়া লাশ পুড়ে যাওয়ার কারণে চেনা যাচ্ছিলো না এটা কে। এই সুযোগটাই বাবা কাজে লাগালেন।তমাল আর তার মাকে ইশারা করলেন শহর ছেড়ে চলে যেতে।ওরা দ্রুত কেটে পড়লো।আর বাবা মার কানে ফিসফিস করে বললেন,কাজ শেষ। তমাল খতম। এই ঘটনার ঠিক তিনদিন পরই বাবা মারা যান।বাবা মারা যান গলায় রশি পেঁচিয়ে। বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে তেমন শোক করতে দেখিনি। তখন কিছু বুঝিনি। কিন্তু তমাল সবকিছু খুলে বলার পর এখন সন্দেহ হচ্ছে। সন্দেহ নয় এটা মনে হয় সঠিক ধারণাই। আমার মনে হচ্ছে বাবা সোইসাইড করেননি। আমার মনে হয় মা পরিকল্পনা করে বাবাকে খুন করেছিলেন!
নীলা কাঁদছে। খুব করে কাঁদছে ও।
ওর কথাগুলো শুনে আমার গা কাটা দিয়ে উঠেছে।আমি এবার নীলাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। তারপর বললাম,’বাবাকে মা খুন করতে যাবেন কেন?আর বাবা যখন জেনে গিয়েছিলেন মা গুন্ডা ভাড়া করেছেন তখন তিনি মাকে কিছু বলেননি কেন?আর তমাল যেহেতু খুন হয়নি তবে ও এতো বছর তোমার কাছে আসেনি কেন? এখন হঠাৎ করে এলো কেন?ও এতো দিন কোথায় ছিল লুকিয়ে?’
নীলা কান্নাভেজা গলায়——

(গল্পটা সিরিয়াসলি নেয়ার কোন প্রয়োজন নাই। এবং বাস্তবতার সাথে মিলানোরও কোন প্রয়োজন নাই। এটাকে শুধুমাত্র গল্প হিসেবেই নিন।এমনও কী হতে পারে?চরম হাস্যকর, লেইম পর্ব একটা, আবোলতাবোল লিখলেই গল্প হয়ে যায় না এসব বলারও প্রয়োজন নাই। এটাকে জাস্ট কাল্পনিক একটা কাহিনী হিসেবেই পড়ুন।)

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে