সে ফিরে আসবেই পর্ব-১০ এবং শেষ পর্ব

0
1544

#সে_ফিরে_আসবেই
#১০ম_এবং_শেষ_পর্ব
#অনন্য_শফিক



নীলা কান্নাভেজা গলায় বললো ,’তমাল এতো দিন মালোয়েশিয়ার একটা জেলে বন্দী ছিল।সে মালোয়েশিয়া গিয়েছিল ওখানে টাকা ইনকাম করে সে ইউরোপিয়ান কোন কান্ট্রিতে যাবে বলে। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। মিথ্যে একটা খুনের মামলায় তাকে দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয়েছে।যখন প্রমাণ হয় সে নির্দোষ তখন ছাড়া পায়। এবং ওখানে কিছুদিন কাজ করে কিছু রোজগার করে। তারপর দেশে ফিরে এসে দেখে তার মা আর নাই।মরে গেছে। তারপর সে আমার খুঁজে এলো। কিন্তু বাসায় সেদিন মা ছিল না।তাই মার সাথে ওর দেখা হলো না।সে তখন অন্য কারোর কাছ থেকে জানতে পারলো যে আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এবং সে এখানকার বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করেছে। তারপর সে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে।আর আমার কাছে এসে আমায় দেখে সে পাগলের মতো আচরণ করতে শুরু করলো।সে বলতে লাগলো, কীভাবে আমি সবকিছু ভুলে গেলাম! কীভাবে ওকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারলাম! এবং সত্যি বলতে ওকে দেখে আমিও পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। আমার তখন মনে হয়েছিল আমার পায়ের নীচে কোন মাটি নাই!’
নীলা কথাগুলো বলছে আর কাঁদছে।আমি জানি ওর খুব কষ্ট হচ্ছে! আপনি হয়তোবা ভাবছেন এতো কিছুর পরেও কীভাবে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারে?
হ্যা পারে। এবং অনেকেরই এমন অতীত থাকে। ভুল বোঝে কিংবা কোন পরিস্থিতির কবলে পড়ে তার ভালোবাসার মানুষটা দূরে সরে যায়। তারপর অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে যায় ভালোবাসার মানুষ হারানো ছেলেটি কিংবা মেয়েটির! তারপর অনেক অনেক দিন পর তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে আবার দেখা হলে, ওদের ভুল বোঝাবুঝি দূর হলে তখন ওরা খুব অসহায় হয়ে পড়ে। এই সময়টাতে তারা একটা ভরসার হাত চায়। সান্ত্বনা দেয়ার মতো একটা মানুষ খুঁজে।সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার মতো একজন কাছের মানুষের খুব প্রয়োজন হয় তখন।
নীলাকে আমি গ্রহণ করতে না পারতাম। কিন্তু এতে আমি ভালো ফল পেতাম না কিছুতেই।মানহার জীবনটা নষ্ট হতো। আমার এবং নীলার জীবনটাও।’
নীলা আবার বলতে শুরু করলো।সে বললো,’তমাল প্রথম প্রথম খুব পাগলামি করেছে।সে বলেছে আমায় ছাড়া কিছুতেই থাকতে পারবে না। ওকে দেখে আমিও ভেঙে পড়েছিলাম।মনে হয়েছিল আমি দুটানাই পড়ে গেছি।মনে হয়েছিল আমার জীবনটা নষ্ট হতে যাচ্ছে। কিন্তু শেষদিন তমাল নিজেই আমায় বললো,’তার এক বন্ধু সুইজারল্যান্ড থাকে। খুব দ্রুত সে ওখানে চলে যাবে। তাছাড়া সে চায় না আমার সুন্দর সংসারটা নষ্ট করতে। আমিও তাকে বলেছিলাম, তুমি মৃত জানতাম বলেই আমি বিয়েতে রাজি হয়েছিলাম।আমি যদি জানতাম তুমি বেঁচে আছো তবে কারোর ক্ষমতা ছিল না অন্য কোথাও আমায় বিয়ে দিয়ে দেয়ার!’
আমি বললাম,’নীলা সব বুঝতে পেরেছি।’
নীলা বললো,’আমি কী তোমার কাছে মাফ পাবো?’
আমি ওর একটা হাত মুঠো করে ধরলাম। তারপর বললাম,’তুমি ভুল নয়। এবং আমিও ভুল নয়।তমালও ভুল নয়।সবাই পরিস্থিতির শিকার। পরিস্থিতি আমাদের সাথে খেলা খেলেছে।এর জন্য কেউ কারো কাছে মাফ চাওয়ার কিছু নাই!’
নীলা স্বর্দি বসা গলায় বললো,’তুমি খুব ভালো।’
আমি ওর দিকে আধো অন্ধকারে তাকিয়েই বললাম,’তুমিও।’
তারপর আমাদের কাছে মা এলেন। এসে আরেকটা চেয়ারে বসলেন। তারপর মা নীলাকে বললেন,’নীলা, তুমি কী তোমার মাকে খুব ভালোবাসো?’
নীলা বললো,’তেমন না।কারণ ছোট বেলা থেকেই মাকে দেখে এসেছি দাদুর সাথে খারাপ আচরণ করতে। বারবার মা তাদের বংশের গৌরব গাঁথা গাইতেন আর দাদুকে হেনস্থা করতেন। লজ্জা দিতেন। লজ্জা দেয়ার কারণ দাদু ছিলেন সামান্য দর্জি। কিন্তু ভাগ্য গুণে বাবা পড়াশোনা করে প্রথম শ্রেণীর একটা জব পেয়ে যান। তারপর আমাদের দিন ঘুরে যায়।আর মার সাথে বাবার বিয়েটা হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের পর মা কখনোই সন্তুষ্ট ছিলেন না। আমাদের সব আত্মীয় স্বজনেরাই গরীব ছিল।ফুপুরাও।এই জন্য মা তাদের সহ্য করতে পারতেন না।মার বড়লোকী ধাত ছিল।মার এই ধাতটা আমার খুব বেশি অপছন্দের ছিল!’
মা এবার নীলাকে বললেন,’মাকে অপছন্দ করো বলেই কী তোমার মনে হয় যে তোমার বাবাকে তোমার মা হত্যা করেছেন?’
নীলা খানিক সময় চুপ রইলো। তারপর বললো,’অপছন্দের কারণে না ঠিক। আমার এটা এমনিই মনে হয়েছে।’
মা এবার বললেন,’আমি তোমার কথা শুনে বুঝতে পারছি তোমার মা ভয়াবহ ধরণের মহিলা।বড়লোকী স্বভাব কিংবা সমাজে তার আভিজাত্য ধরে রাখবার জন্য তিনি তোমার গরীব প্রেমিককেও হত্যা করতে গুন্ডা ভাড়া করেছিলেন।এতেই প্রমাণিত হয় তিনি কতোটা ভয়াবহ ধরণের মহিলা। কিন্তু এর জন্য এটা ধারণা করা ঠিক না যে তোমার মা তোমার বাবাকে হত্যা করেছেন। বরং এটা হতে পারে যে তোমার মাই সম্পূর্ণ রকম দায়ী তোমার বাবার মৃত্যুর জন্য!’
মার কথা শুনে নীলা কিছু বলতে চেয়েছিল। কিন্তু এর আগেই ওকে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম,’মা,আমরা একটা কাজ করলে এটা সহজে বুঝতে পারবো।জানতে পারবো আসল কাহিনী। আগামীকাল আমি আর নীলা মার সাথে দেখা করতে যাবো।আর গিয়ে এক এক করে তমালের বিষয়ে সব বলবো। এমনকি শেষ মুহূর্তে বলবো, আপনি বাবার খুনি।এটাও আমরা জানি। তখন সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। উনার উত্তর শুনেই অনুমান করা যাবে সত্যিটা।আর উনি যদি সত্যি সত্যি বাবার খুনি হন তবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আদালতে তার নামে নীলা নিজে বাদী হয়ে মামলা করবে!’
মা বললেন,’আচ্ছা তাই হোক।’
নীলাও এ কথায় সম্মতি দিল।

পরদিন সকাল বেলা আমরা চলে গেলাম মার কাছে।মা আমাদের দেখেই কেমন ভয় পেতে শুরু করলেন।কথা বলতে গিয়ে দলা পাকিয়ে ফেলেন।অন্য কোন সময় তার কাছে গেলে তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠতেন। নীলার সাথে কতো গল্প করতেন।মানহাকে কোলে করে নিয়ে সারা বিকেল ছাদে হাঁটতেন।ওর সাথে মজার মজার কথা বলতেন। কিন্তু এবার তিনি আমাদের সাথে যা করছেন তা খাপছাড়া।
নীলা সন্ধ্যা বেলায় হঠাৎ মাকে বললো,’মা তোমার সাথে আমার কথা আছে!’
মা কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন,’কিসের কথা! কোন কারণে কী তুই আমায় সন্দেহ করছিস।তোর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তুই আমার প্রতি ক্রোদ্ধ!’
মার এই আচরণে আরো পরিস্কার হওয়া গেলো যে তিনি অনেক কিছুই লুকোতে চাইছেন।তার অপরাধ। অপরাধ‌ প্রকাশ হওয়ার ভয়ে তিনি খাপছাড়া আচরণ করছেন। হয়তোবা তিনি ভাবছেন এসব আচরণ করলে তাকে আমরা নির্দোষ মনে করবো। কিন্তু তিনি এটা বুঝতে পারছেন না যে এইসব আচরণই তার জন্য কাল হচ্ছে। তিনি নিজে নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন জালের ভেতর!
নীলা মার কথা শুনে হেসে ফেললো। হেসে বললো,’কোথায় সন্দেহ করেছি তোমায়?আমি তোমায় শুধু বলেছি তোমার সাথে কথা আছে।এতোটুকুই তো!’
মা তখন অস্থির হওয়া গলায় বললেন,’ফাহাদ ওইদিন আমাদের বাসায় এসেছিল মানহাকে নিয়ে।তুই নাকি বাসা থেকে রাগ করে কোথায় চলে গিয়েছিলে।সে এসে বললো ওই ছোট লোকের বাচ্চা তমাল তোর কাছে ফিরে এসেছে।আমি তখন বললাম,তমাল তো খুন হয়েছিল।এতে ফাহাদ আমায় সন্দেহ করেছে।’
মা কথাগুলো বলে কাঁপছেন থরথর করে।
নীলা বললো,’রাখো তো তোমার তমাল ফমালের কথা।তমাল মরে গেছে সেই কবে।মৃত মানুষ আবার জীবিত হয় কী করে ? ফাহাদ তোমার সাথে মজা করেছে। আসলে তমালের বিষয়ে সে সব জেনে গেছে। কিন্তু এছাড়াও আরেকটা বিষয় সে জেনেছে।’
মা তখন নীলার হাত ধরে ঝাকুনি দিয়ে বললেন,’কী বিষয়ে জেনেছে?’
‘তুমি তমালকে গুন্ডা দিয়ে খুন করিয়েছো।’
মার জবান যেন মুহুর্তের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল! আর তার কপাল ঘামতে লাগলো খুব করে। তিনি আঁচল দিয়ে বারবার তার কপালের ঘাম মুছছেন।ঘাম মুছতে মুছতে তিনি বললেন,’তোর জামাই একটা বদের হাড্ডি। সবকিছু নিয়ে মজা করে।এটা নিয়েও মজা করছে তাই না? কিন্তু ওকে বলে দিস আমি এইসব নোংরা মজা মাস্তি পছন্দ করি না!’
নীলা তখন হেসে বললো,’মজা নয়।এটা আমিও জানি। তুমি যে সকল গুন্ডাদের ভাড়া করেছিলে তারা আমার কাছে বলেছে।’
মা তখন উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করলেন। নীলার গালে তিনি রাগে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বললেন,’তুই পাগল হয়ে গেছিস!তাই আবোল তাবোল বকছিস! নিজের জন্মদাত্রী মাকে তুই দোষারোপ করছিস।একটা ছোট লোকের বাচ্চার খুনের জন্য আমাকে দোষ দিচ্ছিস!’
নীলা তখন বললো,’শুধু একটা খুন নয়।তুমি দুটো খুন করেছো।’
মা চমকে উঠে বললেন,’মানে?’
‘তমাল এবং বাবাকে।’
মার রাগ তখন দেখে কে। তিনি হামলে এসে পড়েছেন নীলার উপর। নীলার গলা চেপে ধরে বলছেন,’তোর সাহস বেড়েছে।যা তা বলছিস। তোকে আমি শেষ করে ফেলবো।’
আমি অন্য ঘরে ছিলাম। ওখান থেকে সব শোনা যাচ্ছিল। এবার নীলা ঝুঁকির মুখে।আমি তাড়াহুড়ো করে ওখান থেকে দৌড়ে এলাম।আর মার কাছ থেকে নীলাকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম,’মা আপনি অত নীচ! ছিঃ! নিজের অপরাধ ঢাকতে এবার নিজের মেয়েকেও শেষ করে দিতে চাচ্ছেন।’
মা এবার কাঁদতে শুরু করলেন।
নীলাও কাঁদতে শুরু করলো।
নীলা কাঁদতে কাঁদতে বললো,’আমি থানায় যাবো। সবকিছু বলে দেবো পুলিশের কাছে।’
মা তখন নীলার একটা হাত খপ করে ধরে ফেললেন।আর বললেন,’আল্লার কসম!আমি শুধু তমালকে খুন করার জন্যই গুন্ডা ভাড়া করেছিলাম। কিন্তু গুন্ডাদেরকে না করে দিয়ে তোর বাবা নিজেই ওকে খুন করেছিলো।এই ঘটনার পর তোর বাবা আবার আমায় ডিভোর্স দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলো। তোকে না শুনিয়েই আমাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়েছে। এমনকি সে আমায় মেরেছেও।’
নীলা এবার সোজা বলে দিলো,’এই জন্য তুমি বাবাকে মেরে ফেলেছিলে।যেন আর তোমাকে ডিভোর্সী হতে না হয়?’
মা এবার কাঁদতে শুরু করলেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বললেন,’এটা সত্য যে আমি তোর জীবন থেকে তমালকে সরিয়ে দিতে গুন্ডা ভাড়া করেছিলাম। কিন্তু তোর বাবা কীভাবে যেন এটা জেনে ফেললো।আর তখন তোর বাবা আমায় বললো সে নিজেই তমালকে খুন করবে। তারপর একদিন বাসায় এসে বললো তমালকে সে খুন করেছে। কিন্তু এরপর থেকেই তোর বাবা আমার সাথে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে দেয়।কেন এমন করে আমি কিছু জানি না! তাছাড়া তোর বাবাকে আমি কেন মারবো? নিজের স্বামীকে কী কেউ মেরে ফেলতে পারে!’
নীলার চিকন বুদ্ধি দেখে আমি অবাক হই।সে হুট করে তখন মাকে বলে,’আসল কথা হলো বাবা যে তমালকে খুন করেনি তা তুমি জেনে গিয়েছিলে।বাবা শহর থেকে তমালকে পালিয়ে যেতে হেল্প করেছিল। তাছাড়া বাবা তোমায় এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের জন্য ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলো। তুমি তখন নিজের সম্মান বাঁচাতে বাবাকে খুন করো!’
মা স্বীকার করতে চান না কিছুতেই। তিনি বলেন,’তোর কানে কেউ বিষ দিয়েছে।’
কিন্তু নীলাও দমবার পাত্রী নয়।সে বলে,’তুমিই বাবার খুনি। আমার কাছে উপযুক্ত প্রমাণ আছে।প্রমাণ হাজির করলেই বুঝতে পারবে সবকিছু।’
মা তখন মুখ ফসকে বলে ফেললেন,’এটা মিথ্যা কথা।প্রমাণ কী করে থাকবে? রুমের দরজা তখন বন্ধ ছিল।আমি আর ও ছাড়া ঘরে আর কেউ ছিল না!’
কথাটা বলতে শুরু করে মা হঠাৎ থেমে যান।
আর কিছু বলতে পারেন না তখন।
নীলা আর আমি বুঝে যাই মুহূর্তে সবকিছু।বুঝে ফেলি আমরা মা-ই এসবের মূল।তমালকে তিনি খুন করতে চেয়েছিলেন বংশীয় গৌরব রক্ষা করতে।আর বাবাকে খুন করলেন নিজের সম্মান রক্ষা করতে।

মায়ের পায়ের নিচে বেহেস্ত কথাটা সত্য কিন্তু সব সময় নয়। নীলার মাও এই পর্যায়ে পড়েন। নীলা তাই তার মাকে মা-ই মানেনি। একজন ভয়ংকর খুনির জন্য তার মায়া হয়নি।সে তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো আদালতে ।মামলায় নীলা জিতেছে। খুব সহজেই প্রমাণিত হয়েছে তমালকে তার মা খুন করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।আর তার স্বামীকে তিনি শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। এই জন্য আদালত মাকে শাস্তি দিয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যুদণ্ড এখনও কার্যকর হয়নি।মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে নীলা আর আমি একটা নফল রোজা রাখবো।এতিম মিসকিনদের দাওয়াত করে খাওয়াবো।আর বাবার আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবো।

(কাল্পকিন গল্প। বাস্তবতার সাথে মিলাতে যাবেন না কেউ!)

—সমাপ্ত—

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে