লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ৭

0
2191

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ৭
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ ঘুমের মধ্যে চিৎকার শুনতে পাচ্ছি। ঘুমে তাকাতে পারছি না চোখ খুলতে চেয়ে ও খুলছি না চোখ বন্ধ করেই খাটে থেকে নরে চলেছি হঠাৎ আরেকটা চিৎকার কানে আসতেই চোখ খুলে ঘুরান দিয়ে উঠতে যাব। কিন্তু তা আর পারলাম কই থপ করে খাটে থেকে মেঝেতে পরে গেলাম। মেঝেতে পরে বসে আছি বক্ম খাট হওয়ায় বেশি নিচে পরলে ও ব্যাথা কমই পেয়েছি কারণ বক্ম খাট উচু কম এটা আমি নিচে বসেই সামনে দাড়িয়ে থাকা লোকটির দিকে তাকালাম। সে এতো ক্ষণ চিৎকার করলে ও এখন চুপ করে আছে নিশ্চিত আমাকে পরতে দেখে চিৎকার বাদ দিয়ে আমাকে দেখছে আমি রাগ লজ্জা দুটো মিশ্রণ করে উপরে তাকাতেই আর ও রেগে গেলাম। এই তো সেই ছেলে মামুনির ছেলে এই ছেলে এভাবে ষাঁড়ের মতো চেচামেচি করতেছিল আর যার জন্য কিনা আমি নিচে পরে গেলাম ভয়ে। খচ্চর ছেলের জন্য আমি পরে গেলাম রেগে উঠে দাড়ালাম ছেলেটা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আচমকা হু হু করে হেসে উঠলো পেট ধরে হেসে চলেছে। রাগে আমার শরীর কাপছে কতো অসভ্য হলে কারো বিপদে হাসতে পারে।
সারা রাস্তা আমাকে অপমান করেছে এখন আবার রুমে এসে এভাবে অত্যাচার।

— এই যে মিস্টার আপনি এখানে কি করছেন? সারা রাস্তা আমাকে জালিয়েছেন আপনার জন্য শুধুমাত্র আপনার জন্য আমি বাইরে রোদ্রের মধ্যে এক ঘন্টা দাড়িয়ে ছিলাম। এখন আবার আমি একটু শান্তিতে ঘুমোচ্ছিলাম তখন এসে চিৎকার করে আমার শান্তির ঘুম নষ্ট করলেন। আপনার জন্য আমি খাট থেকে পরে ব্যাথা পেলাম আর আপনি এখন মজা নিয়ে হাসছেন?? [ রেগে দাতে দাত চেপে বলল মিষ্টি ]

কথা গুলো এক ধুমে বলে রেগে তাকিয়ে আছে উওর এর আশায় কিন্তু উপর পাশের লোক কিছু না বলে হেসে চলেছে আর একবার তাকাচ্ছে।

— কি হলো কথা বলছেন না কেন? এমন পাগলের মতো হাসছেন কেন অন্যকে ডিসটার্ব করে আপনি মজা নিচ্ছেন মামুনি কে বলে ই আপনার যদি খবর না করছি না?

— কি বললে আমার খবর করবে?

— হুম আপনি রীতিমতো আমাকে অপমান অত্যাচার করে চলেছেন?

— আমি তোমাকে কিছু করিনি? আমার রুমে এভাবে শুয়ে না থাকলে আমি কিছু বলতাম না।

— আপনার রুমে তো আমি কি করবো মামুনি আমাকে এ রুমে থাকতে বলেছে তাই এসেছি। এখানে আমার কি দোষ?

— মামুনি মানে আম্মু তোমাকে এ রুমে থাকতে বলেছে?

— হুম বিশ্বাস না হলে শুনে দেখেন।ওয়েট আমি ডাকছি মামুনিকে কে?

বলেই মামুনি ডাকতে যেতে নিলাম তার আগেই মামুনি এসে উপস্থিত। এসেই জিগ্গেস করতে লাগল ” কি হয়েছে”

— আম্মু এই মেয়ে আমার রুমে শুয়ে ছিল আর তুমি তাকে আমার রুমে থাকতে বলেছে? বাট হুয়াই আর কি কোন রুম নাই তুমি ভালো করে ই জানো আমার রুমে আমি কাউকে এলাও করি না আর তুমি ওকে এখানে থাকতে দিলে।

— কি সব বলছিস বাবু আমি মিষ্টি কি এ ঘরে থাকতে বলবো কেন? আমি তো ওই রুমে….
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
— তুমি থাকতে বলেছো ও বলেছে? কি হলো বলো?

— আমি এখানে কেন বললো আমি ওই রুমে মিষ্টি আমি তো তোকে বললাম দ্বিতীয় টায় তুই প্রথম টায় ঢুকে গেছিস।

তার মানে আমি ই গন্ডগোল করেছি। তখনই ভুলে গেছিলাম কিন্তু তাই কি এমন হয়েছে একটু শুয়েছিই তো তাই এমন করার কি আছে।

— মামুনি আমি ভুলে মনে হয় এসেছিলাম। আমার না গোলমাল করে গেছিল কোন তাই এতো না ভেবে রুমে এসে শুয়ে পরেছি। তাই বলে ওনি আমাকে এভাবে অপমান করবে তুমি বলো আমি চিৎকার শুনে ভয়ের চোটে নিচে পরে গেছি ওফ হাতে ব্যাথা ও পেয়েছি। একবার আমাকে নিয়ে জিগ্গেস করলো না উল্টো বকে যাচ্ছে কেন এসেছি আমি কি চিনি নাকি বলো একটু ভুল হতেই পারে।

— বাবুন মিষ্টি ঠিকই বলেছে।ভুল করেই শুয়ে পারে তাই তুই এভাবে ওকে বলতে পারিস না ও আমাদের বাড়ির মেহমান তাই ওকে সরি বল।

— আম্মু আর ইউ ম্যাড আমি ওকে সরি বলবো ইমপসিভল।

— দেখেছো মামুনি সরি বলে না? আমার জন্য তোমার অনেক জামেলা হচ্ছে আমি থাকবো না এখানে আমার কোচিং করা লাগবে না।

— কি সব বলছিস ও বলবে না ওর বাপ বলবে সরি? ওই সরি বল,

এমন সময় একটা আধ বয়সকো লোক রুমে ঢুকে আসে।

— রেহেনা আবার বাপ কে টানছো তুমি? আমি আবার কি করলাম?

— তুমি কিছু করো নি তোমার ছেলে মিষ্টির সাথে খারাপ বিহেভ করছে। মেয়েটা আজই এলো কয়দিনই বা থাকবে এতেই এতো অপমান সরি বলত বলো তোমার ছেলেকে?

দুজন মিলে আমাকে সরি বলতে বলছে ছেলেটাকে। আমি মিটিমিটি হেসে কাণ্ড দেখছি ছেলেটা রেগে আমার দিকে তাকালো আমি কিছু না বলে মামুনি র দিকে তাকিয়ে অসহায় মুখ করলাম মামুনি এক দমক দিলে এবার বাবু হুম মামুনি তো বাবুই বলল কি নামে ছরী বাবু মষে হয় বাচ্চা মিনমিন করে দাথে দাতে চেপে রেগে সরি বলল।
মামুনির সাথে আমি আমার রুমে এলাম।
মামুনি চলে গেল আমি তো সেই খুশি ভালোই হয়েছে আচ্ছা জদ্ব হয়েছে আমাকে খাটে থেকে ফেলা।

ডায়নিং টেবিলে বসে আছি। মামুনি খাবার আনছে। সিড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি বাবু আসছে হাতে ফোন একাধারে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। ওই ভাবেই চেয়ার টেনে বসলো। আমি পাশে বসে তাকিয়ে দেখছি হঠাৎ আমার দিকে তাকালো আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ ফিরিয়ে নিলাম তাকিয়ে আছে কিনা দেখার জন্য আবার তাকালাম না তাকিয়ে নেই। ফোনে কি যেন করছে এতো কী করে কে জানে খেতে বসে ও টিপছে।

— খেতে এসে ও ফোন কতো দিন বললাম খেতে আসলে ফোন রেখে আসবি এতো কি করিস ফোনে?

— দরকারি কাজ।

— কি রাজকার্য যে খেতে বসে করতে হয়? সারা দিন তো টট করো পরতে তো বসো না একবার এখন তুমি কাজ করছো এসব ফোনের আকামের কাজ বাদ দিয়ে খেয়ে নাও আর একটু পড়া লেখা কর।

— আম্মু তুমি কি কখনো আমাকে ফাস্ট বাদে সেকেন্ড হতে দেখেছো?

— আবার সেই কথা ফাস্ট যে কিকরে হস আমি বুজি না সারা দিন রাত পরতে তত দেখি না। আর একটা কথা কাল মিষ্টি কি নিয়ে ওর কোচিং সেন্টারে যাবি ওকে রাস্তা চিনিয়ে দিয়ে আসবি আর ভর্তি করে?

— আমি পারবো না। অন্য কেউকি বলো এই মেয়েকে নিয়ে আমি কোথায় ও যেতে পারবো না। আমার জরুরি ক্লাস আছে কাল।

— অন্য কাকে বলবো তোর আববুর কাল মিটিং আছে জরুরি তাই তোকেই যেতে হবে।

— আমি যেতে পারবো না এই বেয়াদব মেয়েকে নিয়ে।

–বাবুন ঠিক করে কথা বলো।

আমি তাদের কথা শুনছি কিছু বলছি না কিছু বললে ও কি আমি তাদের বাসার আছি। তারা যা বলবে সেটা করা উচিত মামুনি যাকে বলবে তার সাথেই যাবো এই বাবুন হলে তার সাথে পড়া লেখা নিয়ে কোন র্তক আমি করতে চাই। বাবুন ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেল।

পরদিন

রুমে বসে কথা শুনতে পাচ্ছি।

— আম্মু দেখো দশটা বাজে কতো সময় ধরে রেডি হচ্ছে শুনি। এই জন্য মেয়েদের কোথায় নিয়ে যেতে চাই না এতো সাজতে পারে এরা কিন্তু তুমি তো আমাকে পাঠিয়ে ই ছারবে।

আমাকে নিয়ে কথা বলছে আমি নাকি সাজি বেশি। সব কিছুতেই অপমান ন করলে চলে না।

চলবে❤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে