রাত যখন গভীর পর্ব-১+২

0
2066

Story : #রাত_যখন_গভীর
writer:#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া

প্রতিদিন রাতে রিনি অদ্ভুত শব্দ করে।শব্দগুলো ব্যথা পেয়ে করে আবার আনন্দে করে ওর শব্দগুলো শুনলেই বুঝতে পারা যায় । আবার কাকে যেন বলে খুব লাগছে। উফ!!!!ছাড়াও না প্লিজ।।।
আসলে অদ্ভুত শব্দটি আর কথা গুলো রিনি বিবাহিত হলে চিন্তার বিষয় ছিলো না তার মা বাবার জন্য। রিনি অবিবাহিত মেয়ে।কলেজ পড়ে। মা বাবার রুমের থেকে একটু দূরত্বে রিনির রুম।তবে একটু জোরে কথা বললে বা শব্দ করলে রিনির মা বাবার রুমে শুনতে পাওয়া যায়।
রিনির মা খুব চিন্তিত। কারণ রিনি কি তাদের চোখের আড়ালে বাসায় ছেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। তা ও বাসায়?
রিনির মা আজ রাতে না ঘুমিয়ে রিনির রুমের সামনে পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু রাত গভীর হতেই কোন এক অজানা খেলায় মেতে উঠলো রিনি।রিনির মা রাবেয়া খুব চিন্তায় পড়ে যায়।
রিনি কে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া নিয়ে জিজ্ঞেস করে কোন লাভ হয়নি।রাবেয়া বলেছিল ঃ রিনি তুই কি আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসায় তুর বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আসিস?
আর নষ্টামি খেলাতে মেতে থাকিস প্রতি রাতে?
রিনি বলে ঃ মা তুমি এসব কি বলছো?আমি কারোর সাথে প্রেম অবধি করিনি। আর শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া তো দূরের কথা। আর যদি এমন কিছু হতো তাহলে সহস্র হোটেল আছে ওইখানে যেতাম। তোমাদের সাথে এক ঘরে থেকে এমন কিছু কল্পনাই করতে পারিনা।
রাবেয়া মেয়ে কে অবিশ্বাস করেনি।কারণ সে যা বলছে সব ঠিক কথাই।মেয়ে তো এমন কিছু চাইলে ঘরের বাইরে অনায়াসে করতে পারতো। তাহলে কি হয় প্রতি রাতে রিনির ঘরে।মেয়ের উপর বিশ্বাস থাকলেও
সন্দেহ যেন একটু রয়েই যায়।।। তাই
রাবেয়া আজ রাতে মেয়ের রুমে লুকিয়ে থাকবে।সন্তানের ভালো মন্দ দেখা মা বাবার কর্তব্য।আর খারাপ কিছু করে থাকলে শাস্তি দিতে হয়। না হয় জীবনে এমন ভুল বারবার করার সম্ভাবনা থাকে। তাই রাবেয়া আজ কে
ঠিক রাতে চুরি করে রিমির খাটের নিচে লুকিয়ে পরে । আজ রাতে দেখবে কি হয় এই রুমে তার মেয়ের সাথে।তাদের চোখের আড়ালে। এগুলো ভাবতে থাকে আর অপেক্ষা করতে থাকে। এইভাবে অনেক সময় চলে গেল। আর
রাত গভীর হতে থাকে।তখন রাবেয়া দেখলো……..

চলবে….

story : #রাত_যখন_গভীর 😎
writer:#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :02
তখন রাবেয়া দেখলো, উজ্জ্বল একটা লালচে বৃত্তা কার কি যেন রিনির রুমে প্রবেশ করেছে জানালার ছিদ্র দিয়ে । এই লালচে বৃত্তটির উজ্জ্বলতা আসতে আসতে বেশি হতে লাগলো।আর বৃত্তের আকার ও বড়ো হতে লাগলো। আর এটা যেন লালচে রংয়ের কোন বৃত্ত নয়।এই যেন আগুনের তৈরি একটা বৃত্ত । রাবেয়া স্পষ্ট দেখতে পেল না।তবু মেয়ের জন্য তার কষ্ট হলেও দেখার চেষ্টা করছে। আসলে সন্তান এর জন্য মা বাবা সব কিছু করতে পারে। অবশেষে অস্পষ্ট ভাবে দেখলো লালচে বৃত্তাকার জিনিসটা একটা সুদর্শন যুবকে রুপান্তর হয়ে যাই।
রাবেয়ার চোখ জ্বলে উঠে।আর সম্ভব হচ্ছে না তাকিয়ে থাকা।আর চোখ বন্ধ হয়ে আসে। আর সাথে সাথে ঘুম চলে আসে। রাবেয়া গভীর ঘুমে মগ্ন। বেশ কিছু সময় পর রাবেয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আর দেখে ঘুমন্ত অবস্থায় রিনি বাথরুমে গিয়ে গোসল করে। তবে পানি কখন বালতিতে পুরাই ?
শব্দ হয়নি কেন পানি পড়ার?
আর ও অবাক হয়ে যাই, যখন দেখে ঘুমন্ত অবস্থায় রিনি বাথরুম থেকে বেরিয়ে পড়ে। আর সেইম কাপড় পড়ে বেরিয়ে আসে। যে কাপড় পড়ে ঘুমিয়ে ছিল এই কাপড় পড়ে আবার বাথরুম থেকে বেরিয়ে পড়ে তাহলে ভেজা কাপড় গুলো কই?
আর চুল ও শুকণো কেন?
রাবেয়ার মাথা আর কাজ করছে না।
একসময় সেন্স লেস হয়ে পড়ে। সকাল এ সূর্যের প্রথম কিরণে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আর দেখে রিনি ঘুমাচ্ছে। খুব সাবধানে লুকিয়ে রিনি র রুম থেকে বেরিয়ে আসে।
রিনি র বাবা কামাল কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। আর বলে অফিসে যাবে না?
রেডি হয়ে নাও।কিন্তু রাবেয়া কাল রাতে কি হলো কিছু ত বলো?
রাবেয়া বলে বলবো আগে অফিস থেকে আসো।
রাবেয়া রিনি কে ডেকে দেয়। রিনিঃ মা উঠ?
রিনিঃ মা আরেক টু ঘুমায়। কেন জানি সমস্ত শরীর ব্যথা করছে!
রাবেয়া কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। রান্না করে। আর নাস্তা করতে রিনি আর কামাল কে ডাকে। কামাল নাস্তা করে অফিসে চলে গেল।
আর রিনি নাস্তা করে কলেজ যাবে বলে রেডি হতে লাগলো। রাবেয়া বলে কলেজে আজ যেতে হবে না।
রিনি বলে ঃ কেন?
তখন হঠাৎ রাবেয়া,, ,,,,,
চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে