মেঘবদল পর্ব-০২

0
801

#মেঘবদল
লেখক-এ রহমান
পর্ব ২

মাহমুদা পায়চারী করছে ডাইনিং এর এপাশ থেকে ওপাশ অনবরত। কারণটা নুরুল রহমানের জানা নেই। তাই তিনি তেমন গুরুত্ব দিলেন না। পেপারের পাতাটা উলটাতেই খুব ভালো একটা খবর চোখে পড়ল তাঁর। রাজনীতির প্রতি তার আগ্রহের কোন সীমা নেই। টিভি হোক বা পেপার সব জায়গাতেই তিনি সারাদিন রাজনীতির খবর শোনেন। এতে মাহমুদা চরম বিরক্ত হয়। কিন্তু সেটাতে তাঁর কোন যায় আসে না। এসব বিষয়ে তিনি খুব একটা পাত্তা দেন না। খুব আগ্রহ নিয়ে খবরটা পড়লেন তিনি। কিন্তু তীব্র উত্তেজনার মাঝে তাঁর মনে হল এই মুহূর্তে এক কাপ চা হলে খুব ভালো হতো। সাধারনত তিনি সারাদিন কয়েক কাপ চা খান। কিন্তু আজ তাঁর মনে হল মাহমুদার মন মেজাজ ভালো নেই। কারন তাঁর মন মেজাজ যখন ভালো থাকে না তখন হিসেব করে সকালে এক কাপ আর বিকেলে এক কাপ চা পাওয়া যায়। আজও ঠিক তেমনটাই ঘটতে চলেছে। সামনে বড় দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকাল। এখন ১ টা বাজে। একটা শ্বাস ছেড়ে ঘাড় বেকিয়ে মাহমুদার দিকে তাকালেন। বেশ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে তাকে। কোন বিষয় নিয়ে খুব বেশী চিন্তায় আছেন। মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেছে। দৃষ্টি দরজার দিকে স্থির। নুরুল সাহেব অনেকটা সময় তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো পুরো ঘটনা। এদিকে চায়ের পিপাসাটাও বেড়েই চলেছে। মাহমুদার মেজাজ অনুযায়ী এই দুপুর বেলা ভাত খাওয়ার সময়ে চা খেতে চাওয়াটা ঠিক কতটুকু অপরাধ হবে সেটার হিসেব করতে লাগলেন। কিন্তু হিসেব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে গেলেন। মাহমুদাকে দরজার দিকে স্থির তাকিয়ে থাকতে দেখে গম্ভির সরে জিজ্ঞেস করলেন
–ইভানের মা? কেউ কি আসছে বাসায়?

মাহমুদা চমকে উঠলো। গভির ভাবনায় ছেদ পড়ায় একটু বিরক্ত হল। কিন্তু সেটা প্রকাশ করলো না। সামলে নিয়ে বলল
–ইভানের জন্য অপেক্ষা করছি।

কথাটা শুনে কপালে ভাজ পড়ে গেলো তাঁর। সন্দিহান কণ্ঠে বলল
–ওর জন্য এভাবে অপেক্ষা করার কি আছে? তোমার ছেলে বাইরে গেছে বিদেশে নয়। ঘুরেফিরে চলে আসবে। এতো বড় ছেলে হারিয়ে যাবারও কোন সম্ভাবনা নেই।

মাহমুদা দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো। নুরুল সাহেব পেপার ভাজ করে রেখে উঠে গেলেন স্ত্রীর সামনে। শান্ত গলায় বললেন
–কি হয়েছে আমাকে খুলে বল। তোমার কথার মাঝে কেমন অসংগতি খুজে পাচ্ছি। কি করেছে তোমার ছেলে?

মাহমুদা তিব্র বিরক্ত নিয়ে তাকাল। বলল
–ছেলেটা কি শুধু আমার? এভাবে বারবার তোমার ছেলে তোমার ছেলে বলছ কেন?

–আমি সেটা বলিনি। তোমার ছেলে বলছি কারন সে তো আমার কথা খুব একটা গ্রাহ্য করে না। বাবা হিসেবে তেমন গুরুত্ব আমার তাঁর কাছে নেই। তাই অধিকার বোধ থেকে আমার ছেলে বলতে পারি না।

মাহমুদা প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকাল। বাবা ছেলের মাঝে অদৃশ্য এক প্রতিযোগিতা চলে। যেখানে বাবা ছেলেকে তাঁর মতো বানাতে চায়। আর ছেলে নিজের মন মতো চলতে চায়। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে প্রধান্য দেয়। এটাই বাবার পছন্দ না। আর তাদের এই প্রতিযোগিতা দেখতে দেখতে মাহমুদা হাপিয়ে উঠেছে। নুরুল সাহেবের দিকে তাকিয়ে মাহমুদা খুব শান্ত সরে বলল
–ইভান একটু অন্য রকম। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করে। এতে এমন দোষের কি আছে বল?

নুরুল রহমান মৃদু হাসলেন। চোখটা নামিয়ে বললেন
–আমার বয়স হয়েছে ইভানের মা। আমি সব সময় চেয়েছি আমার এক মাত্র ছেলে ব্যবসার হাল ধরবে। কিন্তু এসবের প্রতি তো তাঁর কোন আগ্রহ নেই। সে নিজের ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত। চাকরি করবে। বিদেশে যাবে। আমি এখন আর এসব সামলে উঠতে পারি না। শরীর খুব একটা সায় দেয় না আগের মতো।

কথাটা বলেই তিনি থেমে গেলেন। মাহমুদা অসহায়ের মতো তাকাল। নুরুল সাহেবের শরীর এখন আগের মতো নেই। প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। মাহমুদা অতি নরম সুরে বলল
–পুরো ব্যবসাটা দেখাশোনার জন্য একটা লোক রেখে দিলেও তো পারো। তাহলেই নিজেকে আর এতো পরিশ্রম করতে হয় না।

নুরুল সাহেব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বলল
–নিজের হাতে তিলে তিলে গড়ে তোলা এই ব্যবসা আমি অন্য কারো দায়িত্তে কিভাবে দিতে পারি মাহমুদা? এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে আমাকে কতো ত্যাগ করতে হয়েছে সেটা তো তুমি ভালো করেই জানো।

মাহমুদা বিরক্ত নিয়ে তাকালেন। ইভান না হয় নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে দেশের বাইরে চলে যেতে চায়। কিন্তু নুরুল সাহেবও ছেলে মানুষের মতো আচরন করছে। ছেলেটা তাঁর স্বাধীনচেতা। এটা বাবা মেনে নিলেই হয়তো তাদের বাবা ছেলের এই দূরত্ব মিটে যেতো। দুজনকে অনেক বুঝিয়েছে সে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। দুজন দুজনের সিদ্ধান্তে অটল। ছেলে বিদেশে যাবে আর বাবা তাকে নিজের ব্যবসার দায়িত্ব দিতে চায়। নিজের গোপন দীর্ঘশ্বাসটা গোপন রেখে দিলো। কোন কথা বলল না। এই মুহূর্তে তাঁর এসব নিয়ে যুক্তি তর্ক করতে ইচ্ছা করছে না। কারন তিনি মহা চিন্তায় ব্যস্ত। কলিং বেল বেজে উঠলো। মাহমুদা এক প্রকার দৌড়ে গেলেন দুরজা খুলতে। দরজা খুলেই ইভান কে দেখে এক গাল হেসে বললেন
–তুই এসেছিস বাবা?

ইভান সৌজন্য হেসে মাথা নাড়ল। কোন কথা বলল না। মাহমুদা বুঝতে চেষ্টা করলো ঠিক কি হয়েছে। কিন্তু হাবভাব দেখে কিছু বুঝতে পারল না। নিজের কৌতূহল দমাতে না পেরে জিজ্ঞেস করেই বসল
–কথা হয়েছে ঈশার সাথে?

ইভান ততক্ষনে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়িয়েছিল। থেমে গেলো। মায়ের দিকে ফিরে কড়া গলায় জবাব দিলো
–তুমি কি আমার নিজের মা? সেটা নিয়ে কিন্তু আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

মাহমুদা থতমত খেয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। নুরুল সাহেব বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন পরবর্তী কথা শোনার জন্য। ইভান একটু গলা তুলেই বলল
–নিজের মা হয়ে তুমি কিভাবে নিজের ছেলের জীবনটা এভাবে ধংসের দিকে ঠেলে দিতে চেষ্টা করছ। কি বুঝে ঐ মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছ তুমি? কোন দিক থেকে তোমার মনে হল ঐ মেয়ে আমার যোগ্য।

কথাটা শুনেই নুরুল সাহেব বড় বড় চোখে তাকালেন। মা ছেলের কথার অর্থ তিনি ধরতে পারছেন না। ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলেন
–কি নিয়ে কথা বলছ? আর কার বিয়ে?

ইভান তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল তার মায়ের দিকে। প্রকাশ্যে বাবার বিরোধিতা করলেও মনে মনে সে বাবাকে খুব ভালবাসে। তাই তাঁর মা এতো বড় একটা ঘটনা বাবাকে জানায় নি সেটা ভেবেই তাঁর বিরক্ত লাগছে। নুরুল সাহেব স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে গম্ভির গলায় বললেন
–কথা বল মাহমুদা। কার বিয়ের কথা বলছ?

ইভান খুব শান্ত ভাবে বলল
–আমার বিয়ের কথা হচ্ছিলো। তোমার ভাইয়ের মেয়ের সাথে। কিন্তু সেই মেয়ে কোনদিক থেকেই আমার যোগ্য না। ওরকম একটা অহংকারী বদ মেজাজি মেয়েকে বিয়ে করে নিজের জীবন নষ্ট করার চেয়ে সারাজীবন একা থাকা অনেক ভালো।

কথা শেষ করেই ইভান ঘরে চলে গেলো। নুরুল সাহেব মাহমুদার সামনে দাড়িয়ে তীক্ষ্ণ গলায় বললেন
–কার কথায় তুমি এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছ?

মাহমুদা করুন চোখে তাকাল নুরুল সাহেবের দিকে। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
–ঈশা ইভান কে পছন্দ করে। সেটা সে নিজে তাঁর ডাইরিতে লিখেছে। আর আমি সেটা নিয়ে ঈশার বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছি। তারাও সম্মতি দিয়েছে। কোন সিধান্ত নেয়ার আগে আমি তাই ইভান আর ঈশাকে আলাদা করে কথা বলতে বলেছিলাম। তাদের কথা বলার পরেই মতামত নিয়ে কথা বাড়াতাম। কিন্তু…।

মাহমুদা থেমে গেলো। নুরুল সাহেব ধরা গলায় বললেন
–দেখেছ স্বাধীনতার পরিনাম। তোমার স্বাধীনচেতা ছেলে আজ মেয়েটার অনুভূতিকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। যোগ্যতা নিয়ে কথা তুলছে। আর তোমাকেও বলছি মাহমুদা। এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তোমার ছেলের সাথে ভালো করে কথা বলে নিতে। তাহলে আজ মেয়েটাকে এতো কষ্ট পেতে হতো না। তোমার যোগ্য ছেলে শুধু স্বপ্ন ভাংতে পারে। গড়তে পারে না।

নুরুল সাহেব নিজের ঘরে চলে গেলেন। মাহমুদা অপরাধীর মতো এক জায়গাতেই দাড়িয়ে থাকলেন। তাঁর মস্তিস্ক জুড়ে একটাই প্রশ্ন সে কি তবে ঈশার সাথে অন্যায় করলো। কেনই বা ইভান তাকে মেনে নিতে পারছে না।

নিজের ঘরে দাড়িয়ে বাইরে বাবা মায়ের সমস্ত কথা শুনছিল ইভান। তাঁর বাবা যে এই বিষয়টা নিয়ে কষ্ট পেয়েছে সেটা সে বুঝতে পারছে। কিন্তু তাঁর কিছুই করার নেই। সে পরিস্থিতির স্বীকার। পকেট থেকে ফোনটা বের করে স্ক্রিন অন করে ঈশার হাস্যজ্জল ছবিটা দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
–তোর জন্য আমিই নাহয় সবার কাছে অপরাধি হলাম। শুধু তুই ভালো থাকিস।

————–
–বাসর রাতটা কি বারান্দাতেই কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছা আছে?

জারিফের গম্ভির আওয়াজে ভয় কেঁপে উঠলো ফারিয়া। বারান্দার গ্রিল ধরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিল। একা একা এতক্ষন বসে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছে। তাই বারন্দায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। জারিফ কখন এসেছে সেটা বুঝতে পারেনি। ঐ বাড়ি থেকে আসার পর ফারিয়ার মন মেজাজ কোনটাই ভালো নেই। আর এখন জারিফের এমন কথা শুনে রাগ এখন শরীরের প্রতিটা শিরায় শিরায় জেগে উঠছে। নিজেকে শান্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। জারিফের কাছাকাছি গিয়ে পাঞ্জাবির কলার দুই হাতে চেপে ধরে বলল
–তুমি কি ভাবছ আমি এখন তোমার সাথে বাসর করবো?

জারিফ ফারিয়ার হাত দুটো ছাড়িয়ে নিয়ে পাঞ্জাবি ঠিক করতে করতে বলল
–বিয়ে করেছ যখন বাসর তো করতেই হবে।

ফারিয়া চোখ বড় বড় করে তাকাল। জারিফ গভির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। দুই কদম পিছিয়ে গিয়ে বলল
–এসবের মানে কি?

জারিফ ভ্রু কুচকে তাকাল। বলল
–তুমি এতটাও ছোট না যে আমার কথার মানে বুঝতে পারছ না। আমি খুব সহজ ভাবে বলেছি।

ফারিয়া পিছনে থাকা চেয়ারে বসে পড়ল। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
–জারিফ তুমি না আমার ফ্রেন্ড? তাহলে এসব কি বাজে কথা বলছ? আমাকে একা পেয়ে সুযোগ নিতে চাও? আমি তো তোমাকে ভালো ভেবেছিলাম। তুমি এমন ছেলে সেটা…।

–শাট আপ!

জারিফের ধমকে ফারিয়া তাঁর কথা শেষ করতে পারল না। জারিফ দ্রুত পায়ে এগিয়ে গিয়ে ফারিয়ার দিকে ঝুকে বলল
–ফ্রেন্ড আগে ছিলাম। এখন তুমি আমার বউ। সারাদিন না খেয়ে থেকে কবুল বলে বিয়ে করেছি। ভুলে গেছ? আর বউয়ের কাছে এসব কথা বলা যায়। আর ছেলে হিসেবে আমি যথেষ্ট ভালো সেটার সার্টিফিকেট তোমার বাবা মায়ের কাছ থেকে নিতে পারো। তারা ভালো করেই জানে বলেই তাদের এই নিয়ন্ত্রনহীন মেয়েকে আমার ঘাড়ে গছিয়ে দিয়েছে। আমার থেকে ভালো তো তোমাকে আর কেউ জানে না। বাড়ির লোকজনের কাছে তুমি তো একদম ভদ্র মেয়ে। কিন্তু বাইরে কি সেটা তো আমি ভালো করেই জানি।

ফারিয়া রেগে গেলো। জারিফ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়াল। বেশ জোরে বলল
–তোমার ঘাড়ে গছিয়ে দিয়েছে মানে?

জারিফ নিজের জামা কাপড় বের করতে করতে বলল
–এটাকে গছিয়ে দেয়াই বলে। যখন তুমি আমার বন্ধু ছিলে তখনও আমি তোমাকে এভাবে ভাবিনি। ইনফ্যাক্ট তোমার প্রতি আমার বিন্দু মাত্র ইন্টারেস্ট নেই। অথচ সেই তুমি আমার বউ। আমি তোমাকে শুধু আমার ফ্রেন্ড বলেই মেনে নিয়েছি। কিন্তু তোমার বাবার ষড়যন্ত্রে শেষ পর্যন্ত বিয়ে অব্দি গড়াল।

ফারিয়া রেগে দাতে দাত চেপে বলল
–এসবের মধ্যে আমার বাবাকে টানছ কেন? তোমার বাবাও তো কম যায় না। উনি নিজে গিয়ে আমার বাবাকে বলেছেন ভাই সাহেব আপনার মেয়েকে আমার ছেলের জন্য নিতে চাই।

–আমার বাবা নাহয় বলেছিল। কিন্তু তোমার বাবা কি বুঝে রাজি হয়ে গেলো? এরকম একটা হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়েটা কোন দিক থেকে মানায়? এই বয়সে বুদ্ধি সুদ্ধি লোপ পেয়েছে মনে হয়।

ফারিয়া বড় বড় চোখে জারিফের কথা শুনছে। এতো বেশী রেগে গেছে যে তার কথা বলার ক্ষমতাও সে হারিয়ে ফেলেছে। জারিফ ওয়াশ রুমের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল
–এভাবে দাড়িয়ে থাকার দরকার নেই। ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়। আর হ্যা তোমার প্রতি আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই। তাই একদম নিশ্চিন্তে এই ঘরে থাকতে পারো। তোমার মতো মেয়েকে বন্ধু হিসেবেই মানা যায়। এর থেকে বেশী কিছু অসম্ভব।

শেষের কথা গুলো বেশ তাচ্ছিল্য করে বলেছে জারিফ। ফারিয়াকে কোথাও আঘাত করলো কথা গুলো। একটা মেয়ে হিসেবে তার জন্য এটা সত্যিই অপমান। বিয়ে তো হল কিন্তু এর পরিনতি কি?

চলবে……

(রিচেক করা হয়নি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে