ভালোবাসা পর্ব-১২ এবং শেষ পর্ব

0
1251

ভালোবাসা (এক অনুভূতি)
অন্তিম পর্ব
লেখা kashfuzjahan

সকাল থেকেই পুরো বাড়িতে সাজ সাজ রব। আর হবে নাই বা কেন। বাড়িতে যে দুটো বিয়ে হচ্ছে। তাই সকলেই খুব ব্যস্ত। আরশি আর নওশি পার্লারে গেছে সাজতে। অন্যদিকে নিলয় আর আদ্রিয়ান তৈরি হচ্ছে। ঠিক এই সময়

– পাপাইইইই ( আয়ান)

– বলো বেটা ( নিলয়)

– তুমি আর নতুন পাপাই তো আন্টি আর মা কে বিয়ে করছো তাই না?? ( আয়ান)

– হুম কেন বেটা ( আদ্রিয়ান)

– বড় মামুর মামি আছে। ছোট মামুর মনি আছে। তোমরাও বিয়ে করছো। তাহলে আমার বউ কোথায় পাপাই। আমি কবে বিয়ে করব। ( আয়ান)

আয়ানের কথা শুনে কাশতে থাকে নিলয়। কারণ তার কাছে এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। কি বলবে সে??

-ও পাপাই বলো না কি করব। আমার বউ কোথায়?? আমি কবে বিয়ে করব?? ( আয়ান)

– দেখ বাবা আমরা বিয়ে করছি কারণ আমরা বড় হয়ে গেছি। কিন্তু তোমার তো মাত্র ৬ ইয়ার্স ওল্ড। তোমার যখন ২৬ হবে তখন সুন্দর একটা মেয়ের সাথে বিয়ে দিব। কিন্তু তার আগে পড়াশোনা করে ভালো মানুষ হতে হবে। ( আদ্রিয়ান)

– পড়াশোনা শেষ করলেই আমার বিয়ে দেবে তো?? প্রমিজ?? ( আয়ান)

– হ্যা রাজা মশাই অবশ্যই দিব। একদম চিন্তা করবে না কেমন?? ( আদ্রিয়ান)

– সত্যিই বলে যতই বাবার মতো হাজার জন থাকুক না কেন?? বাবা শুধু বাবাই হয় ( নিলয় মনে মনে)।

কথা শেষ হবার আগেই নিলয় আর আদ্রিয়ানের ডাক পরল কারণ বউয়েরা চলে আসছে সাথে উকিল ও এসেছে তাই তাদের নামতে হলো।

নিচে নামতে নামতে আদ্রিয়ানের নজর নওশির উপরে পড়ল। এতো বছর পর আদ্রিয়ান যেন আবার নতুন করে সেই জংলি বিড়ালটার প্রেমে পরল। গাঢ় লাল রং এর পোষাকে যেন তার সৌন্দর্যের মাধুরী কয়েকগুন বেড়ে গেছে। নামতে নামতে সিড়ি থেকে পড়েই যাচ্ছিল আদ্রিয়ান কিন্তু নিলয় সামলে নেয়। সকলে এক সাথে হেসে ওঠে।

অবশেষে সকল ইসলামি নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রি পেপার এ সাইন করে ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হয়। আদ্রিয়ান বলে দেশে ফিরে নিলয়দের বিয়ে আবার ধুমধাম করে দেবে।৷

রাতের বেলা,,

সকলে অনেক ক্লান্ত তাই ঘুমিয়ে পড়লেও জেগে থাকে ৮ টি চোখ। কারণ তাদের যে আজ ঘুমালে চলবে না।

– আরশি??

– হুম

– জানো আজ আমার অনেকদিনের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে।

– যেমন

– সব সময় ভাবতাম এমন কেউ থাকবে যে আমাকে অনেক ভালোবাসবে। আজ সে স্বপ্ন সার্থক

– তাই??

– হুম। তবে এটা রোমাঞ্চ টাইম। বলেই নিলয় জড়িয়ে নেয় আরশি কে।

অন্যদিকে।

– জানো আদ্রিয়ান, সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। মনে হয় ঘুম ভাঙ্গলেই সব শেষ। ( নওশি)

– হুম কখনো ভাবি নি। আবার দেখা হবে। আল্লাহ চাইলে কি না হয় বলো। ( আদ্রিয়ান)

– ঠিক। হয়তো অনেক পুর্ণ করেছিলাম তাই আবার আল্লাহ তোমাকে ফিরিয়ে দিল।

– আচ্ছা দেশে ফিরে সবার আগে কোথায় যাবে??

– রাঙ্গা মাটি, যেখান থেকে এই জিবনের শুরু ওখান থেকে।

– আচ্ছা ঠিক আছে, এখন তো একটু আদর করতে দাও। পরেরটা পরে হবে। উমমমম কাছে আস।

***
এই যে আরও কি খুজেন আমি ভালো মেয়ে আর কিছু দেখি নি। তবে শুনেছি নিলয় আর আরশির একটা মেয়ে হয়েছে আর আয়ান আগেই বলে রেখেছে ওকে বিয়ে করবে। তবে নোয়া তার পড়া শোনা বিয়ে ব্যস্ত। নওশি আর আদ্রিয়ান আর বাবু নেয় নি কারণ দেশের জন সংখ্যা এমনিই বেশি।

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে