ভালোবাসায় তুমি আমি পর্ব-০৪

0
917

#ভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব_০৪
#নির্মল_আহমেদ

তনয়ের আর কি করার অবশেষে তুলিকে নিয়ে তার ঘরে যেতে হল। তিশা শুধু অবাক চোখে তাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিছু বলতেও পারছে না। হঠাৎ তার মনে হলো এদের কথোপকথনের মাঝে তারও থাকাটা প্রয়োজন। সে দেখতে চায় তনয় কি বলে। সে আপুর ঘরে যাওয়ার জন্য সিঁড়িতে পা রাখছিল তখনই তার বাবা আতিক রহমান বললেন,

‘এই তিশা কোথায় যাচ্ছিস? তুলির রুমে?’

‘হুম আসলে…..’

‘না না তোর যেতে হবে না। তুই বরং রান্নাঘরে গিয়ে তোর মাকে রান্নায় একটু হেল্প কর।

তার বাবার কথায় তিশার একটু মন খারাপ হলো। মন খারাপ নিয়ে বলল,

‘আচ্ছা ঠিক আছে, বাবা।’

বলেই সে রান্নাঘরের দিকে গেল আর তুলি আর তনয়ের মাঝে কি সব কথা হচ্ছে তা শোনার খুব ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু সুযোগ না থাকায় তা শুনতে পারলো কই?
কিছুক্ষণ পর তয়ন ও তুলি বেরিয়ে এসলো। তাদের মাঝে বিশেষ কোন কথাই হয়নি। কারণ দুজনেই ছিল লাজুক টাইপের। তাই তাদের মাঝে হাই-হ্যালো ছাড়া তেমন কোনো কথা হয়নি। এরপর আরও কিছুক্ষণ থাকার পর তনয়রা চলে গেল তারা পরে ফোনে জানাবে যে বিয়ে হবে কিনা!
তবে এটা বলা চলে যে,বিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে গেছেই। কারণ তনয়ের বাবা আয্র তিশার বাবা বন্ধু হওয়ায় তারা প্রায় আগেই বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল এখন শুধু তনয় আর তুলির মতামত টা জানার পালা কেবলমাত্র। আর আসাদুল চৌধুরী বিশ্বাস তার কথা ফেলতে পারবে না তনয়। তবুও তোমায় যার সাথে সারা জীবনটা কাটাবে তাকেই যদি তার পছন্দ না হয় তাহলে তার বাবার মতামত দিয়ে কি হবে তাই আসাদুল চৌধুরী বাসায় গিয়ে তোমাকে বললেন,

‘আচ্ছা বাবা তনয়! মেয়ে তো দেখলি,কথাও বললি আলাদা। তা তোর কি পছন্দ হয়েছে? আমি কি তাদের বলবো যে তুই বিয়েতে রাজি!’

তনয় চিরকাল যা বলে এসেছে তাই বলে উঠলো,’আচ্ছা বাবা! তুমি আমাকে এতদিন ধরে যা বলেছ তাই করেছি! কি করেছি কিনা? তাই আজকেও তুমি যা বলবে, আমি তাই করবো। এতে বলাবলির কি আছে। আমি তো বুঝতে পারছি না।’

‘তবুও জীবনটা যেহেতু তোর, তাই সিদ্ধান্তটাও তোর একান্ত প্রয়োজন। তুই যদি বলিস তাহলে আমি বিয়েটা ক্যানসেল করবো।’

তনয় ভাবল,’তার বাবা এবং তিশার বাবা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। তাই তাদের ইচ্ছে আমাকে আর তুলিকে বিয়ে দেবে এবং এখন যদি আমি বলি যে আমি বিয়ে করব না। তাহলে হয়তো তাদের এতদিনের ইচ্ছেটা মাটিতে মারা যাবে। তাই আর অতশত না ভেবে বলেই ফেলল,

‘আচ্ছা বাবা! আমি রাজি। তুমি বলে দাও।’

ছেলের কথায় বেশ খুশি হলেন আসাদুল চৌধুরী। খুশি মনে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন হঠাৎ কিছু একটা মনে হতেই তিনি আবার পিছনে ফিরে তনয়কে বললেন,

‘আচ্ছা তনয় তুই আবার আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে গিয়ে কাউকে ছেড়ে দিচ্ছিস না তো আই মিন আমি বোঝাতে চাইছি তুই কাউকে ভালবাসিস না তো আবার? যদি বেসে থাকিস তাহলে বলতে পারিস। আমি তার সাথেই তোর বিয়ে দেব।’

তনয় মুচকি হেসে জবাব দিলো,’না বাবা আমার সেরকম কেউ নেই তুমি ছাড়া।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে আমি তাহলে ওদিকে ফোন করে জানাচ্ছি, যে বিয়ের প্রস্তুতি চালু করতে। সামনের মাসেই বিয়ে হবে। ও হ্যাঁ আরেকটা কথা। আমি তুলিকে তোর নাম্বার দিয়েছি। ও কিন্তু যখন তোকে ফোন করতে পারে। ওর সাথে কিন্তু একটু ভালো ভাবে কথা বলবি। যাতে এই কদিনের মধ্যে তোদের সম্পর্কটা আরও সুমধুর হয়ে উঠতে পারে। ঠিক আছে?’

তনয় একটা বিরক্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলল। এসব তার একদমই ভালো লাগে না। তবু বাবার সম্মান রাখবা তুমি বলবে,’আচ্ছা ঠিক আছে বাবা। চেষ্টা করব।’

এদিকে,,,
তিশার মুডটা খারাপ তাই সে নিজের রুমে চিপস খাচ্ছে আর ফোনে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে চ্যাটিং করছে। তবুও মুড ফিরিয়ে আনতে পারছে না সে। হঠাৎ করে সেখানে তুলিয়া গোপন ঘটল তাকে বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছে। এসেই বলতে শুরু করল,

‘এই তিশা জানিস? আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আগামী মাসের ১২ তারিখ।’তারপর নিজের বিয়ের ঘোষণা নিজেই করছে ভেবে তুলি একটু চুপসে গেল। কিন্তু এটা শোনার পর তিশা ধরপরিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়ল। কিঞ্চিৎ ভয়ও অবাক মিশ্রিত সুরে বলল,

‘কি বলিস! তোর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে? কিন্তু হাউ দিস পসিবল?’

তুলি একটু অবাক কন্ঠে জানতে চাইল,’হাউ থিস পসিবল,মানে ? কি বলছিস তুই?’

তুই সে বুঝতে পারল কথাটা বলা ঠিক হয়নি। তাই কথাটি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বললো,

‘না মানে এমনি বললাম আর কি। তা ছেলে কি নিজে তোকে পছন্দ করেছে?’

‘হুম। ছেলে তো নিজেই পছন্দ করেছে‌। ছেলের বাবাই তো বললেন যে ছেলের নাকি আমাকে খুব পছন্দ হয়েছে। তাই তো বিয়েটা এত তাড়াতাড়ি দিচ্ছেন।’

তিশা প্রথমে অনেকটা রেগে গেলেও পরে রাগান্বিত কন্ঠে বলে, ‘ও ছেলে তাহলে তোকে খুব পছন্দ করেছে তার পছন্দ তো করবেই কারণ তুই হোলি একটা পরী আর…’বাকিটা আর বলল না তিশা।

‘আর জানিস ছেলের নাম্বার দিয়েছে। আরে ধুর! বারবার ছেলে বলছি কেন ওর নাম তো তনয়।’

তিশা ভ্রু কুঁচকে তার আপুর দিকে তাকিয়ে বলল,’ও নাম্বারো দিয়েছে তাহলে! তা আপু তো কি ছেলেটাকে বেশ পছন্দ হয়েছে!’বলেই তিশা তুলির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তুলি কিছু বলল না। শুধু মাথা নিচু করে একটা মুচকি হাসি দিলো।

তিশা আর বুঝতে বাকি রইলো না যে তার আপুর তনয়কে পছন্দ হয়েছে। একটা হাসি দিয়ে সে মনে মনে ভাবল,’মিয়া বিবি রাজি, তো কি করিবে কাজি। লাভের দিকে আমিই বলিদান হলাম।’তারপর ভাবল,’আচ্ছা আমি কেমনে সব ভাবছি? আমি বা উনি কেউ তো চাইনা আমাদের বিয়েটা বাস্তবিক স্থান পাক। এটা জাস্ট একটা অ্যাক্সিডেন্ট ছিলো। তাহলে? না আর এই বিষয়ে ভাববো না!’আনমনা হয়ে এসব ভাবছিল তিশা তখন ঐ তুলি আবার বলল,

‘আচ্ছা কি ভাবছিস তুই এমন করে? বাদ দে ওসব। চল তনয়কে ফোন করি!’

‘না আপু তুমি করো। আমায় বেরোতে হবে।’

‘বেরোতে হবে মানে, কোথায় যাবি?’

‘আজ পুষ্পার বার্থডে। তাই পুষ্পা আমাকে ইনভাইট করেছে। ওদের বাসায় আজ পার্টি হবে সেখানে যাচ্ছি।’

‘ও পার্টি। তা বাবা যেতে দেবেন তো?’

‘দেবে না মানে!’

‘আচ্ছা ঠিক আছে চেষ্টা করে দেখ। আমাকে তো কোনদিন দেইনি।’

‘হুহ! তোকে যেতে দেয়নি জন্য কি আমাকেও দেবেন আমি দেখ না কিভাবে ম্যানেজ করি বাবাকে।’

এরপর তিশা তার বাবার কাছে চলে গেল। এটা সত্যি যে আতিকুর রহমান তার মেয়েদেরকে কখনোই রাত্রে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তিশা আজ মনে মনে শপথ নিয়েছে যেভাবেই হোক সে আজ পুষ্পা দের বাসায় যাবেই, কারণ সে কথা দিয়েছে। প্রায় আধাঘণ্টা তিশা তার বাবাকে বোঝানোর পর অবশেষে তিনি এই প্রথম রাজি হলেন মেয়েকে রাত্রে বাইরে বেরোতে দেওয়ার। তিশা তো খুবই খুশি তার বাবাকে বানাতে পেরেছে এবং সর্বোপরি সে পুষ্পা বার্থডে পার্টিতে এ্যাটেণ্ড করতে পারবে। তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে সে একটি ভালো ড্রেস পরে নিল। তার বাবা বলে দিয়েছেন কোন শট টাইপ এর জামা প্যান্ট পরা যাবে না আর রাত দশটার আগেই বাসায় ফিরতে হবে। তিশা ড্রেসের নিয়মটা পালন করল কিন্তু দশটার আগে বাড়ি আসা নিয়মটা সে সঠিক ভাবে পালন করতে পারবে কিনা তা তার সন্দেহ আছে!
তিশা বাসা থেকে সাড়ে 7 টায় রওনা দিয়েছিলাম পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় আধা ঘণ্টা লেগেছে। পুষ্পা ছিল সম্ভ্রান্ত পরিবারের। তাই বার্থডে সেলিব্রেশন এ কোন ত্রুটি রাখেনি পুষ্পার মা-বাবা। চারিদিকে লাইট আলো মিউজিক আর লোকেদের হুড়োহুড়ি। তিশা সেখানে পৌছতে পুষ্পা বলল,

‘এই তিশা। তোর আসতে এত দেরি হল কেন বলতো? ছোঁয়া অঙ্কিতা এরা কতক্ষণে এসে গেছে। আর তোর এখন আসার সময় হল।’

তিশার কপাল দিয়ে ঘাম ঝরছে, সে ঘাম মুছতে মুছতে বলল,

‘আরে আর বলিস না ইয়ার। বাড়িতে অনেক বুঝিয়ে তবেই বেড়োতে পেরেছি। তুই তো জানিস আমার বাবাকে।’

‘হুম তাতো জানি। আর এটাও জানি যে তুই যেভাবেই হোক আঙ্কেলকে ম্যানেজ করে আসতে পারবি।’

‘হুম তা তো আসতেই হতো। বেস্টুর বার্থডে বলে কথা।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে। চল ইন্জয় করবি। আজ কিন্তু বারোটার আগে তোকে যেতেই দেবো না, আগেই বলে রাখলাম কিন্তু সে কথা।’

তিশা একটু ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,’কি বলছিস তুই এসব? তোকে আমি আগে বলেছি না যে ১০ টার আগে আমি চলে যাব আর তুই কিন্তু রাজিও হয়ে গেছিলিস। কিন্তু এখন এসব কি বলছিস?’

‘হুম তখন রাজি হয়ে গেছিলাম। কিন্তু এখন বলছি বারোটার আগে নো বাসা। understand!’

‘দ্যাখ পুষ্পা এরকম করিস না, তাহলে বাবা আমাকে আর বাসাতেই ঢুকতে দিবে না।’

পুষ্পা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,’নো চিন্তা তুই আমার সাথে থাকবি।’বলেই তিশাকে সেখান নিয়ে গেল পুষ্পা।

তিশা চারিদিকে তাকিয়ে দেখল সবাই মর্ডান ড্রেস পড়েছে। শুধু সে ছাড়া। সেজন্য তার একটু দুঃখ অনুভব হল কিন্তু মানিয়ে নিলে ব্যাপারটা। পুষ্পা তিশাকে অন্যান্য সব বন্ধু-বান্ধবদের কাছে নিয়ে গেল। তারা সবাই একসাথে আড্ডা দিয়ে থাকেন। তারা তাদের মত থাকা জয় বলল,

‘হে গাইস আজকে কিন্তু সবাইকে ড্রিংস করতে হবে। সেটা আমি আগেই বললাম।’

জয় এর এরূপ মন্তব্যের অনেকেই সমর্থন করলেও তিশা ও ছোঁয়া করল না। তিশা বলল,

‘নো নেভার। এটা আমার দ্বারা কখনো হবে না। এমনিতেই আমি এসব একদম পছন্দ করি না। আর এসব খাবার পর যদি বাসায় যাই আর বাবা যদি জানতে পারে, তাহলে আমাকে তো কেটে ফেলে দেবে।’

জয় বলল,’আরে ব্রো ! ডোন্ট টেনশন তারও ব্যবস্থা আছে। শেষে সবাইকে আমি লেবুর রস খাইয়ে দেবো নেশা একদম কেটে যাবে।’

ছোঁয়া জয়কে রাগ দেখিয়ে বলল,’তুমি লেবুর রস খাওয়াবে আমাদের? ড্রিঙ্কস করার পর তুমি বা কোথায় পড়ে থাকবে। আর সে কিনা আমাদের নেশা কাটাবে! যতসব!’

‘ছোঁয়া তুমি আমাকে এমন ভাবে বলতে পারলে!’

‘হ্যাঁ পারলাম কারণ তুমি অমনিই।’

পুষ্পা তাদের ঝগড়া থামিয়ে বলল,’আহ! চুপ করবি তোরা? আচ্ছা ঠিক আছে ছোঁয়া আর তিশা না হয় ড্রিংস করবে না আর বাকিরা না হয় করব আমরা।’

‘হুম!’

বার্থডে সেলিব্রেশন শেষ। এখন শুধু পার্টি চলবে। বেস্ট ডিজে গান চালু হয়েছে মাইকে। সবাই কাপল বা সিঙ্গেল ডান্স দিচ্ছে। তিশার এসব একদম পছন্দ নয় তাই সে এক কোণায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ছোঁয়াও পুষ্পা তাকে অনেকবার পড়েছে ডান্স করার জন্য। কিন্তু সে রাজি হয়নি। তিশার চুপ করে দাড়িয়ে আছে তখনও সে দেখল নীল শার্ট ও জিন্স পরা একটি ছেলে দাড়িয়ে আছে। সে শুধু তার পিঠটা দেখেছে। তাতেই তার মনে হলো তাকে সে চেনে। সে কৌতুহলী দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে হঠাৎ ছেলেটা মুখ ঘোরালো। সাথে সাথেই তিশার চিনি দিল এটা তনয়। সে হা হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। অনেকটাই হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে তাকে আজ। কিন্তু উনি এখানে কিভাবে? এসব ভাবতে ভাবতেই তিশা তমের কাছে গেল। তনয় ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ তিশাকে আসতে দেখে সে অবাক হয়ে ফোনের মাইক্রোফোন এর কাছে মুখ এনে বলল,’আচ্ছা রাখো পরে ফোন করছি!’

‘আবার তুমি!’তনয় বিরক্তির স্বরে কথাটা বলল।

‘হ্যাঁ আমি। আমি এখানে আমার বেস্টুর বার্থডে উপলক্ষে এসেছি। কিন্তু আপনি এখানে কি উপলক্ষে এসেছেন সেটা তো বুঝতে পারছিনা। পুষ্পা নিশ্চয়ই আপনার বান্ধবী নয়।’

‘হুম। পুষ্পা আমার বান্ধবী না। কিন্তু ওর বড় ভাই তো আমার বন্ধু। সেই আমাকে এখানে ইনভাইট করেছে। তাই এসেছি। আপনার কোন প্রবলেম?’

‘হুম। প্রবলেম আছে। আপনাকে দেখলে আমার খুব রাগ হয়। গা জ্বলে। তাই প্লিজ আমার সামনে থাকবেন না।’

‘তোমার সামনে থাকব না মানে? আর আমাকে দেখে তোমার রাগ হয় কেন?’

‘কেন রাগ হয় সেটা আমি বলতে পারব না। শুধু জানি আপনি আমার সামনে থাকবেন না!’

‘এই যে শুনো মিস সরি মিসেস এটা তোমার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। তুমিও যেমন এখানে ইনভাইট পেয়ে এসেছো আমিও তেমন এখানে ইনভাইট পেয়ে এসেছি। সো তোমার এখানে যা অধিকার আমারও তাই অধিকার। এখন যদি আপনি আমাকে দেখতে না পান তাহলে আপনি এখান থেকে যেতে পারেন, আমি কেন খামোকা খামোখা যেতে যাবো।’

তিশা আর কিছু না বলে রাগান্বিত হয়ে একটা ভেংচি কেটে সেখান থেকে চলে গেল। তনয় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল….

তিশা রাগে ফুঁসছে। সে দেখল বাকি সব বন্ধু-বান্ধবীরা মদ খেয়ে মাতাল ড্যান্স দিচ্ছে। তার কিছু ভালো লাগছে না এবং সে খুবই রেগে আছি তোমার উপর। হঠাৎ তার মনে হল সে মদ খাবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সে পুষ্পাকে গিয়ে বলল,’এই পুষ্পা আমাকে মদ যেত যত পারিস। আজ প্রাণখুলে খাব।’

তিশার এই কথায় পুষ্পা অবাক হয়ে তার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে রইল।…..

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে