ভালোবাসায় তুমি আমি পর্ব-০৬

0
928

#ভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব_০৬
#নির্মল_আহমেদ

পুষ্পা অনেক খুঁজে অবশেষে লেবুর জল পেলো। চটজলদি লেবুর জল এনে তোমার হাতে দিলো আর বললো,’এই নিন লেবুর জল। আপনি গিয়ে তিশাকে খাওয়ান। এদিকে আমার অনেক কাজ তাই আমি যেতে পারছিনা।’
‘ আচ্ছা ঠিক আছে আপনাকে যেতে হবে না আমি যাচ্ছি।’

তনয় আবার লেবুর পানি নিয়ে সেখানে আসলো যেখানে তিশার দাঁড়িয়ে থাকার কথা। কিন্তু না তিশা সেখানে নেই। চারিদিকে কিছুক্ষণ খুঁজলো তনয়। তনয় দু-তিনবার ভালো করে চারিপাশটা খুঁজলো কিন্তু তিশাকে দেখতে পারলো না। এমনিতেই সে মদ খেয়েছে, নিজের উপর একদমই কন্ট্রোল নেই। এই পরিস্থিতিতে বাসায় যেতে পারবে না। তাহলে কোথায় গেল? তনয় বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। প্রথমে তিশার কয়েকজন বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল। কিন্তু তারাতো মদ্যপায়ী। তারা কিভাবে বলবে তারাই তো কন্ট্রোলে নেই। এরপর পুষ্পা কে জিজ্ঞেস করল যে তিশা কে দেখেছে কিনা। কিন্তু সেও কোন তিশার খবর দিতে পারল না। তনয়ের সাথে সাথে পুষ্পাও অনেকটা চিন্তায় পড়ে গেল।
‘ভাইয়া এবার কি হবে? তিশা কোথায় যেতে পারে? আমার তো মনে হয় না সে একা একা বাসায় যাবে। অন্তত আমাকে বলতো ও।’
‘হুম। সেটাই তো আমিও ভাবছি। কোথায় যেতে পারে তিশা।কিছুক্ষণ ভাবার পর তনয় আবার বলল,
‘আচ্ছা ঠিক আছে। আমি বাইরের দিকটা একটু দেখে আসছি। হয়তো বাইরে আছে।’
‘তাহলে আমিও যাব ভাইয়া!’
‘না না তোমার যাওয়ার দরকার নেই। আজ তোমার বার্থডে সবার সাথে আনন্দ ফুর্তি করবে। তুমি বরং এখানেই থাকো‌ আমি বাইরের দিকটা একটু দেখে আসছি।’
বলেই তনয় বাইরে চলে আসলো। বাইরে তেমন লোক নেই। শুধু দু তিন জনকে দেখা যাচ্ছে যারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছে। একজন ওয়াচমেন কিংবা তার ওয়ান লাঠি নিয়ে সদর দরজার কাছে চেয়ারে বসে আছে। তনয় ভাবল ওনার কাছে কোন ইনফরমেশন পাওয়া যেতে পারে।তিশা যদি এখান থেকে বেরিয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই দেখেছেন। ভাবতে ভাবতেই তনয় গিয়ে লোকটিকে সরাসরি জিজ্ঞেস করল,
‘আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া! আপনি কি একটু আগে কোন মেয়েকে এখান দিয়ে বাইরে যেতে দেখেছেন। এই ২০-২১ বয়স হবে।’
লোকটি কিছু মনে করার চেষ্টা করছেন প্রায় 15 16 সেকেন্ড পর জবাব দিলেন,
‘দেখুন এখান দিয়ে অনেকেই আজ যাতায়াত করছে তাই এতগুলো লোককে মনে রাখা তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও আমার মনে আছে, একটু আগে একটা মেয়ে মদ খেয়ে হয়তো খুবই কাবু হয়েছে তাই হয়তো একটি ছেলে তাকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এটাই মনে আছে।’
তনয়ের কেমন যেন খটকা লাগলো ব্যাপারটা। এদিকে তিশা ও মদ খেয়ে প্রচন্ডভাবে কাবু। কিন্তু লোকটি যে বললেন কোন এক ছেলে তাকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা কি অন্য মেয়ে নাকি তিশা? তনয়ের এখন কি করনীয় তা সে বোধগম্য করতে পারছিনা। সবকিছু কেমন অগোছালো লাগছে। তার কেন জানি মনটা বারবার কু ডাকছে।পুষ্পার কাছ থেকে নেওয়া তিশার নাম্বারে পঞ্চম বারের মত আর বল ফোন করল সে। প্রতিবারের মত এবারেও রিং হচ্ছে কিন্তু তুলছে না। তনয় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মাথার চুল যেন ছিড়ে ফেলতে চায়। পার্টি স্টেজে তিশা নেই অর্থাৎ তিশা বাইরে কোথাও আছে। তাই বাইরেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। ভেবেই তো নয় আর বিলম্ব না করে সামনের দিকে আরো এগোতে থাকলো। জানে না সে এখন কোথায় যাবে কিন্তু তাকে দিশা কে খুঁজে বার করতেই হবে। এটা যেন এক অদৃশ্য মায়া। আর সেই মায়া সে অজান্তেই আবদ্ধ হয়ে গেছে। চলতে চলতে হঠাৎ দেখলো রাস্তার একটি ফোন পড়ে আছে। তনয় কৌতুহলী নিয়ে ফোনটা হাতে তুলে নিয়ে দেখল সেখানে পাঁচটি মিসডকল। আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে পাঁচটি নাম্বারে মিস কল এসেছে সেই নাম্বারটি তারাই। তার আর বুঝতে বাকি রইল না এটা তিশার ফোন। কিন্তু রাস্তায় কিভাবে আসলো? তাহলে তিশাকে কেউ ধরে নিয়ে যায় নি তো আবার? এদিকে ওই লোকটি বলল যে একটি মেয়েকে কোন এক ছেলে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এসব ভেবেই তোমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল। সেই মুহূর্তে আকাশ বিদীর্ণ করে বেরিয়ে আসলো বজ্রপাত। তনয় অবাক চাহনিতে আকাশের দিকে তাকালো। আকাশে একটি তারা নেই। আজ কেউ হয়তো বৃষ্টি আসবে।

‘আমার জান। দেখো তোমায় আমি কোথায় নিয়ে এসেছি। সরি আমার জান আশা ছিল তোমায় সুন্দর এক খাটে নিয়ে যাব কিন্তু কি আর করার তুমি তো আমার পাত্তাই দিতে না। কিন্তু আজকে যখন বাচ্চা ছিলে তখন দেখো এই ভাঙ্গা গুদামঘরে নিয়ে আসতে হলো। তা ছাড়া তো আর কোন উপায় নেই। এখানে আমাদের কেউ খুঁজেও পাবে না, কেউ ডিস্টার্ব করবে না।…. কি হল আমার তিশা সুন্দরী কথা বলছো না কেন? কথা বল….?’

তিশা সেন্সলেস হয়ে পড়েছে। আর না হবেই বা কেন? তার শরীরের উপর কি কম ধকল যাচ্ছে? একদিকে সেক্সের ট্যাবলেট অন্যদিকে তিন গ্লাস মদ। তাই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তাতে সোহাবের কোনো যায় আসছে না। তার চাই শুধু শরীর। তা ছাড়া আর কিছু না। যেখানে তারা আছে সেটা একটা আলুর গুদামঘর। সেই গুদাম ঘরের মালিক সোহাবের বন্ধু।সোহাবের অনুরোধে তিশাকে নিয়ে এখানে আসতে দিয়েছে কিন্তু তার বিনিময় গুদামঘরের মালিককেও সুযোগ দিতে হবে অর্থাৎ সোহাবকে একা মধু খেতে দেবে না।

তনয় বিমর্ষ হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলছিল। তখন হঠাৎ তার নজরে এলো গাছ তলায় একটি বাইকের নিচে একটা পার্স পড়ে আছে। তনয় সেদিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে পার্সটির দিকে এগিয়ে গেল। পার্সটি হাতে তুলে নিতেই সে অনেকটা চমকে উঠল কারন এটি তিশার পার্স। কারণ সেদিন তিশা তার গাড়িতে এই পার্সটাই ছেড়ে এসেছিল। তনয়ের আর বুঝতে বাকি রইলো না যে তিশা এখানে কোথাও আছে। কিন্তু কোথায় আছে সেটাই তাকে খুঁজে বার করতে হবে! ভেবেই তো আমায় চারি পাশে তাকালো। সামনে একটা দোকান দেখা যাচ্ছে। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে এখানে যতসব দোকান আছে সব বন্ধ কিন্তু সেই দোকানটি শুধু খোলা ছিল। দূর থেকে তোমায় বুঝতে পারল দোকানটা সবজির। দোকানের পিছনে একটি সম্ভবত গুদামঘর রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন সবজি রাখা থাকে।
তনময়ের কেন জানো বিষয়টা খুবই সুন্দর লাগে। সে একটুও বিলম্ব না করে সেই গুদাম ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু গুদাম ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিল না। কিন্তু সে হল ছাড়লো না। ক্রমাগত দরজায় ধাক্কা দিতে থাকলো।

এদিকে গুদাম ঘরের ভিতরে কার্য সম্পন্ন করার চেষ্টায় ছিল সোহাব ও গুদাম ঘরের মালিক। এমন সময় দরজায় কারো ধাক্কা শুনতে পেয়ে দুজনেই রীতিমত অবাক ও ভয়ে কম্পিত। এই জনমানবহীন জায়গায় হঠাৎ কে আসতে পারে? সোহাব গুদাম ঘরের মালিক কে নির্দেশ দিল,
‘এই তুই তো বলেছিলি এখানে কারো আসার সম্ভাবনা নেই। তাহলে এসব কি হচ্ছে?’
গুদাম ঘরের মালিক ভাবলো বাইরে আবহাওয়ার পরিস্থিতি খুব ভালো না। ক্রমাগত বজ্রপাত ও ঝড় চলছে। তাই বাতাসে হয়তো দরজায় ধাক্কা লাগছে, এটাই সে সোহাব কে বোঝালো। সোহাবো তাই ভেবে নিল।
এপাশে তনয় ধাক্কাধাক্কি করে যখন কোন লাভ হচ্ছে না। তখন অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। দরজায় একটা ফুটো ছিল, সেই ফুটো দিয়ে ভেতরে কি হচ্ছে তা দেখবার চেষ্টা করল। ভেতরে যেহেতু লাইট ছিল, তাই ভিতরের ঘটনাগুলি দেখতে তার একটুও অসুবিধা হয়নি। যা দেখলো তাতে তার লোম খাড়া হয়ে উঠেছে। তারা তিশাকে একটা মাদুরে শুয়েছে আর দুটি ছেলে সেখানে দাঁড়িয়ে কি যেন সব যুক্তি করছে। এটা দেখার পর তনয় ভিতরে যাওয়ার জন্য আরও আকুল হয়ে উঠল। কিন্তু তারপর ভাবল ওরা দুজন আসে একা। তাদের দুজনের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। তাই সে একটা বুদ্ধি আটল। তাড়াতাড়ি মোবাইল বার করে সেখানে বাংলাদেশ পুলিশের গাড়ির সাউন্ড চালু করে দিল। আর দরজার ফটো দিয়ে ভেতরের ঘটনাটি দেখতে থাকলো।
তনয় সবেমাত্র তার কার্য সম্পন্ন করবার জন্য তিশার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে তখনই তার কানে বেজে উঠলো সেই পুলিশের গাড়ির সাউন্ড। শুকনো গলায় বলল,
‘এই সাদাফ এটা কি হলো?’পুলিশ কোথা থেকে আসলো?’
সাদাফ এমনিতেই পুলিশের গাড়ির শব্দ শুনে ভয়ে ভীতু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তখনই সোহাবের একথা শুনে বলল,
‘এখনো পুলিশ আসেনি। বাঁচতে চাইলে পালা। আমি ভাই এসবই নেই আমি তো এখান থেকে পালালাম। এখন ঠিক কর তুই কি করবি?’
বলতে বলতেই সাদাফ সেখান থেকে ভেনিস। এদিকে সোহাব পড়েছে দু তরফায়। একদিকে পুলিশ আর অপরদিকে তিশা। এখন কী করবে সে? যাইহোক আগে জীবন বেঁচে থাকলে তিশার মতো আরও অনেক কাউকে পাবে। ভেবেই সেখান থেকে সেও পালালো পিছনের দরজা দিয়ে।

তনয় প্রথমে একটা হাসি দিল। এদের কান্ড দেখে।তারপর সেও পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল। তিশা সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে। করুনার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। ঠান্ডায় ক্রমাগত কাঁপছে তিশা। তা দেখে তনয়ের বুকের বাপাশ যেন শীতল হয়ে আসলো।তাড়াতাড়ি দুই হাত প্রসারিত করে অর্থাৎ পাঁজাকোলা করে তাকে কোলে তুলে নিল। এখানে তার থাকাটা একদমই উচিত হবে না। তনয় তিশাকে তুলে নিতেই অনুভব করল তিশার বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আছে। লাল লিপস্টিক ঠোঁটদ্বয় থর থর করে কাঁপছে, যেন মনে হচ্ছে কিছু বলতে চাইছে। তনয়ের আজ তিশার জন্য দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ছে। চটজলদি তার গায়ের কোট টা তিশাকে পরিয়ে দিল। তারপর তাকে পাঁজাকোলা করে নিয়েই বাইরে বেরিয়ে আসলো। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিশাকে হসপিটালে এডমিট করাও উচিত। না হলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাইরের প্রাকৃতিক ভয়ঙ্কর পরিবেশ তিশাকে হসপিটাল অবধি নিয়ে যেতে বাধা প্রাপ্ত করছে। তবুও তনয় থামছে না। কিন্তু হঠাৎ নেমে আসলো ঝর ঝরে বৃষ্টি। বৃষ্টির শীতল পানি গায় পরায় কাঁপতে আরম্ভ করলো। এবার কি করবে তনয়? এখনতো যে করেই হোক তিশাকে উষ্ণ রাখতে হবে। তনয় দৌড়ে প্রথমে একটি গাছ তলায় গিয়ে দাঁড়ালো। সেখান থেকেই তোমার একটি কুঁড়েঘর দেখতে পেল। এখন মাথার নিচে একটা ছাদ থাকলেই যথেষ্ট। ভেবেই তনয় তিশাকে কুঁড়ে ঘরের দিকে নিয়ে গেল।

কুঁড়েঘর তা অনেকটা জীর্ণ। সেখানে কেউ থাকে বলে মনে হয় না। একটি দরজা ও জানালা আছে। তারমধ্যে জানালাটি ভাঙ্গা। তনয় প্রথমে দরজার কাছে গিয়ে ডাকলো,
‘কেউ আছেন? কেউ কি আছেন ভিতরে? যদি থাকে তাহলে সাড়া দিন। আমরা খুবই বিপদে পড়েছি। দয়া করে আমাদের যদি একটু আশ্রয় দেন তাহলে খুব উপকৃত হব। শুনছেন, কেউ কি আছেন ভিতরে?’
অনেক ডাকাডাকির পর এ কোন সাড়াশব্দ পেল না তনয়। বুঝতে পারল ভিতরে কেউ নেই। তাই তো নয় ভাঙা জানালা দিয়েই কোনমতে তিশাকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করল। তোমায়ে তারাতারি ফোনের ফ্লাশ লাইট অন করল। সেখানে একটি অগোছালো বিছানা ছিল। তনয় তিশাকে সেখানে শুয়ে দিল। একটি ধূলি যুক্ত পুরনো কম্বল দেখতে পেল বাদ বিচার না করেই সেটি তিশার গায়ে জড়িয়ে দিল। তিশা ধূলি যুক্ত কম্বল টাই গায়ে হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরল। তনয়ের ও ভীষণ শীত লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই এখন তিশাকে বাঁচাতে হবে আগে। সে তিশার পাশে গিয়ে বসে পড়ল। ফ্লাশ লাইট তিশার মুখের উপর ফেলতেই সে দেখল তিশার ঠোঁটদ্বয় এখনো কাঁপছে। তনয়ের ভয় আরো বেড়ে গেল। এতকিছুর পরেও তিশার কাঁপুনিতে ক্ষান্ত করা গেল না। তিশার হাত টেনে তনয় তার হাত দিয়ে কচলাতে থাকল। তিশার শরীর গরম করার জন্য।
কিন্তু এসবেও কিছু কাজ হচ্ছে না। তনয় উঠে জানালার কাছে দাঁড়ালো। বাইরে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভাবলো,’তিশার শরীর কিছুতেই গরম হচ্ছে না। এরকম চলতে থাকলে তো তিশা কে বাঁচানো যাবেনা। এখনতো তিশার গা গরম করার একটাই উপায় আছে আমার কাছে। কিন্তু সেটা করা কি ঠিক হবে। এটা অন্যায় হয়ে যাবে না!’তখনই তনয় শুনতে পেল কেউ যেন বলছে,’কোন অন্যায় হবে না। তুমি তিশার বিয়ে করা স্বামী।’
‘কিন্তু তিশা… তিশা তো আমাকে মেনে নেবে না। আর তার অনুমতি না নিয়ে এটা করলে সে যদি রেগে যায়। তিশার দিকে একবার তাকিয়ে সে বলল,’তিশা! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও! এছাড়া তোমাকে বাঁচানোর আর কোন উপায় নেই।’
বলেই তনয় তিশার দিকে এগিয়ে গেল।
😃🥰😍🤩☺️😊🥀🌻

ভোর পাঁচটা। বৃষ্টি আর নেই। তিশা আর তো নয় একে অপরকে আঁকড়ে পিষ্টে বিছানায় শুয়ে আছে। হঠাৎই তিশার ঘুম ভেঙে গেল, ঘুম ভাঙতেই সে অনুভব করল কেউ তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। আর কেমন জানি একটা দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে। মাথা ঘোরাতে সে দেখল তনয় তার পাশে শুয়ে আছে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। দুর্গন্ধ টা আসছে কম্বলটা থেকে। তাড়াতাড়ি শেষ কম্বলটা ছুঁড়ে ফেলে দিল। সে বিশ্বাস করতে পারছে না এই কম্বলটা জড়িয়ে সে এতক্ষণ শুয়ে ছিল। সবচেয়ে বড় কথা সে তো আমার পাশে কি করছে? কালকে রাতে কি হয়েছিল সেটা ভাবতে লাগলো…
..…
#চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে