প্রিয় – নুসরাত জাহান

0
568

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

প্রিয়,
তোমাকে আমি এখনো স্বচক্ষে দেখিনি, নামও জানা নেই। তাই শুধুই প্রিয় লিখলাম। শুনেছিলাম প্রত্যেকের জন্যই জীবন সখা নির্দিষ্ট করা থাকে। সে হিসেবে তুমি আছো এই বিশ্ব ভ্রম্মান্ডের যেকোনো এক স্থানে, হয়তোবা আমারই প্রতীক্ষায় ক্ষণ গুনছো! নিজেদের কক্ষপথে চলতে চলতেই হয়তো মিলবো তুমি আমি, তারপর শুরু হবে আমাদের যুগল পথচলা।
কোন জোৎস্নালোকিত রাতে, যখন পৃথিবী ভাসবে আলোকের ঝর্ণাধারায়, ভেসে যাবে বিশ্বচরাচর,
আর পথঘাট, প্রান্তর।
হাসনাহেনা কিংবা কাঁঠালচাপার উন্মাতাল ঘ্রাণে মাতোয়ারা থাকবে চারপাশ
তখন আমার হাতটি ধরে, পাশে থেকো তুমি।
আকাশ কাঁপিয়ে যখন নামবে বাদলধারা,
ভিজবো দুজনে সেই প্লাবনে খুব। বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল দিও আমায়। শাড়ি পরে চোখে কাজল আর কপালে টিপ এঁটে তোমার সামানে দাঁড়ালে একটুখানি মুগ্ধতা রেখো তোমার চোখে।

যদি কখনো জীবনে অযাচিতভাবে কোনো কালবৈশাখী আসে, ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় সব, তখন আমার হাত দুটি ধরে রেখো পরম নির্ভরতায়।
একই পথে চলার সময় হয়তো ঠোকাঠুকি হবে, ঝগড়া হবে, অভিমান হবে, মুখ কালো করে ঠোঁট ফুলানো চলবে, সেই মান-অভিমানের পালা মুছে ফেলব দ্রুতই। ভালোবাসা দিয়ে অভিমান কাটাবো। প্রবল বিশ্বাসের আশ্বাস চাওয়া থাকলো তোমার কাছে। জীবনের পরম সায়াহ্নে এসে চোখ বুঁজতে চাই তোমার হাত ধরেই, এখানে আমি হয়তো স্বার্থপর ভীষণ!

আর আমার দিক থেকে তোমার জন্য থাকবে সারাজীবন ধরে জমানো অফুরান ভালোবাসা, যার কোন খেই নেই, তল নেই আছে বিশ্বাস, নির্ভরতা আর পৃথিবী ভাসিয়ে নেওয়া আবেগ। এক পৃথিবী ভালোবাসা নিয়ে প্রতীক্ষায় আমি, কবে সামনে এসে হাত বাড়িয়ে নেবে তার অপেক্ষায়।
ভালো থেকো সে পর্যন্ত।

ইতি,
তোমার জন্য প্রতীক্ষারত
ভীষণ সাদামাটা আমি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে