প্রতারক part 13

0
1310

প্রতারক part 13
#Roja_islam

রাহুল কারে বসে বাঁকা হেসে বলে উঠে। মিস্টার শিহাব। দুলাভাই ডাকতেই কুতপাত?? আরো অনেক বাকি কিছুদিন পড়ে হীর এর মেয়ে আপনাকে মামা বলে ডাকবে তার জন্য প্রস্তুত হও ব্রাদার।এবার রাহুল তার চোয়াল শক্ত করে বলে উঠে। মিস্টার শিহাব তোকে যদি নাকানিচুবানি না খাইয়েছি তো আমার নাম রাহুল নয়।
তারপর হালকা হেসে সিটে মাথারেখে রাহুল বলে উঠে। এন্ড মাই স্লিপিংকুইন জাস্ট ব্লাস্ট করে দিয়েছো দুলাভাই টা জোশ ছিলো। রাহুল চোখ বন্ধ করে ঐ সময় এর হীর এর কথা গুলা ভাবে তাকে বয় ফ্রেন্ড বলেছে হীর। রাহুল বিড়বিড় করে তুমি বয়ফ্রেন্ড বানিয়েছো। আমি অন্য কিছু বানাবো জাস্ট থরাছা ওয়েট কুইন।
.
তারপর রাহুল চলে যায় কার নিয়ে হস্পিটাল তার বোন এর কাছে। দু এক দিনের মধ্যে জ্ঞান ফিরতে পারে পূর্নির। তার আগে হীর কে কথা বলাতে হবে হিরার সাথে।হিরার মনে কি আছে জানতে হবে। হীরকে রাহুল বলেছে কলেজ থেকে নিয়ে যাবে রাহুল এসে। হীর জেনো ওয়েট করে তার। রাহুল ভাবে যাওয়ার সময় ই কথা বলবে হিরার ব্যাপারে। টেনশন হচ্ছে রাহুলের হিরা কি বলবে!! তাই ভেবে!!
.
নিতু আজ বাড়ী ফিরেছে তবে নিজের না শিহাবের বাড়ী এসেছে।নিতুকে দেখে শিহাবের মা কিছুনা বললেও শিহাবের বাবা এই সেই বলে অপমান করছে নিতুকে। তাই নিতু রেগে শিহাব কে বাড়ী এসে থেকেই ফোন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিস্পোন্স নেই কোনো শিহাবের।রেগে ফেটে পড়ছে নিতু। শিহাবের বাবাকে ইচ্ছা মতো গালি দিচ্ছে ঘরে বসে।
.
শিহাব কেন্টিনে আড্ডা দিচ্ছি সবাই এই সেই কথা বললেও শিহাবের। মাথায় শুধু এক্টু আগের কাহিনীই ঘুরপাক খাচ্ছে।আর নিতুর কল দেখে বেশ বিরক্তি লাগছে তাই সাইলেন্ট করে রেখে দিয়েছে। শিহাব অপেক্ষা করছে হীর এর ক্লাস শেষ হওয়ার। তার ভাবনা এখন তো ঐ রাহুল হীরের সাথে নেই। তাই টাইট দিবে হীরকে সে। ভাবতেই চোয়াল শক্ত হয়ে আসে শিহাবের।
.
এদিকে……
হীর ক্লাসে কোনো মনোযোগ দিতেই পারছেনা। তার এক্টাই চিন্তা সে রাহুল কে এসব কেমনে বললো। রাহুলের সামনে কিভাবে যাবে??কি ভাবলো রাহুল!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


বার বার শুধু হাত কচলাচ্ছি। এটা হচ্ছে চরম অস্বস্তির আর একটা অংশ।আমি যখন অস্বস্তি তে পড়ি তখন হয় কাশী না হাত হয় হাত কচলানো এই দুইটা মুখ্যকাজ করে থাকি। ক্লাসে আছি তাই কাশী টাসি দিয়ে ক্লাসের পরিবেশ নষ্ট করার মানেই হয়না। তাই হাতের উপর অত্যাচার চাকাচ্ছি। ছিঁড়েই ফেলবো আজ হাত দুটি এমন অবস্থা করছি কিন্তু তাদে বিন্দুমাত্র ও অস্বস্তি কমছেনা কেমন টা লাগে অসহ্য। কিন্তু একটা বিষয় অবাক আমি রাহুল কে বফ বলায় এখন অস্বস্তি হলেও ঐ সময় যখন ওর হাত ধরে বলেছিলাম কথা গুলো আমার না লেগেছিলো ভয়, না অস্বস্তি, না অন্য কিছু, ছিলো একরাশ ভরসা। জেনো রাহুল পাশে থাকলে আমি সব কিছুর সাথে লড়াই করতে পারবো কোনো ভয় নেই। আচ্ছা রাহুল পাশে থাকলে ভুলতে পারবো আমি শিহাব কে!! ঐ কালো অতীতকে হয় তো পাড়বো!! কিন্তু রাহুল কেনো থাকবে আমার পাশে! শিহাব ভালোবেসে যা করলো আর রাহুল হুহ!!
.
আমার আজো মনে বহু প্রশ্ন কেনো শিহাব এমন করলো আমার সাথে??? যদি বিয়ে করারি ছিলো বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত ও কেনো সব ঠিক রেখেছিলো আমাদের মধ্যে। আসলে ঠিক রেখেছিলো নাকি৭ রাখার অভিনয় করেছিলো শিহাব?? যাই হোক নিখুঁত অভিনয় ছিলো তাই তো টের ও পাইনি আমারি বেস্ট ফ্রেন্ড…….!
স্টপ হীর নিতু কোনো দিন ছিলোই না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। যা ছিলো দেখানো। ঐ প্রতারক দের কথা ভাবাও পাপ। আমি সব ভুল তে চাই। ভুলে যাবো ঠিক ভুলে যাবো। সেই দিন আসবে খুব তাড়াতাড়ি আসবে আমি আবার আগের মতো হয়ে যাবো ঠিক হয়ে যাবো। চোখে আশা পানি গুলো হাতে নিয়ে একবার দেখেনি। তারপর তাচ্ছল্য হাসি আমি এখনো ঐ পতারকদের কথা ভেবে কাঁদি আশ্চর্য বিষয়। কতটা নির্লজ্জ আমি ভাবতেই নিজের উপর বেশ রাগ হলো। নিজের রাগ নিজে নিয়েই বসে ক্লাস করলাম।
.
ক্লাস শেষে ক্লান্তি আর সেই রাগ নিয়েই। নিচে নামছিলাম হঠাৎ কেও পিছন থেকে হাত আর মুখ চেপে ধরে ফাঁকা একটা রুমে নিয়ে আমায় ছুঁড়ে মারলো এক প্রকার। আমি আর এক্টু হলে মুখ থুবড়ে পড়তাম বহু কষ্টে নিজেকে সামলে দাঁড়ালাম। পিছনে ফিরে শিহাব কে আমার দিকে রাগ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার গাঁ পিত্তি জ্বলে উঠলো। তার উপর শিহাব চেঁচিয়ে উঠলো।
— হাউ ড্যায়ার ইউ হীর। তোমার সাহস দেখি দিন দিন বাড়ছে……..!
.
আর বলতে দিলাম না শিহাব কে রেগে রাগচন্ডি জেনো ভর করলো আমার ভেতর।হেটে সেকেন্ডের ব্যবধানে আমি শিহাবের সামনে গিয়ে কষে শিহাবের দুই গালে দুইটা ঠাশঠাশ চড় বসিয়ে দি। এতো জোরেই দিয়েছি আমার নিজের হাতই জ্বলছে প্লাস কাঁপছে। শিহা স্তব্ধের নেয় দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে। হয় তো ভাবেনি আমি এমন করবো। কিন্তু আজ যা শিহাব ভাববে না আমি তাই করবো। আমি আমার কাঁপা হাত উঠিয়ে আঙুল তুলে শাশিয়ে বললাম।
— তোর মতো প্রতারকের সাহস কি করে হলো আমায় টাচ করার?? আমার কি সাহস কত টুকু জানার!!! শোন কান খুলে শোন আমার থেকে দশ হাত দূরে থাকবি।না হলে লনির মতো গায়াব হতে হবে বুঝেছিস??
.
এইটুকু বলেই আমি গটগট করে হেসে চলে আসি সেখান থেকে। তারপর ভার্সিটির থেকে বেরুতেই দেখি রাহুলের গাড়ী বনিতা না করে গিয়ে বসে পড়ি আমি। আমার খুব ভালো লাগছে ক্লাসে যেই রাগটা নিজের উপর ছিলো শিহাবের জন্য নিজের উপর। সেটা শিহাবের উপরেই বের করতে পেরে মনে যেই চাপা কষ্টের পাথর ছিলো। সেটা আজ অনেক হালকা হয়ে গেছে। আমি চুপচাপ বসে আছি পাশে রাহুল ড্রাইভ করছে। আড় চোখে তার দিকে তাকাতেই বুঝলাম রাহুল চিন্তিত তাই হালকা হেসে আমি বললাম।
— চিন্তা করবেন না আজ আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলবো।
.
হীরের এই কথায় রাহুল বিস্ফারিত হলো। সে তো কিছু বলেনি কথা বলার কথা এখনো তবে বুঝলো কি করে হীর??তবে যে ভাবেই বুঝুক এক্টু রিলিভ লাগছে হীরের কথায় রাহুলের। কারণ সে ভেবেছিলো হীর কথা বলতে রাজী হবেনা। তাই তো তিন দিন বাসা থেকেই বের হয়নি এই মেয়ে তার শাস্তি স্বরূপ ই সকালে কামড় টা দিয়েছিলো হীরের ঘাড়ে। কিন্তু বুঝেনি হীর!! এতোকিছু ভাবলেও হীরের কথার উত্তরে রাহুল কিছু বললোনা। এক্টু পড় বললো।
— আমি তোমায় রোজ ভার্সিটি দিয়ে আসবো আর নিয়েও ওয়েট করবে আমার।
.
হীর সাথে সাথেই বললো!!
— আচ্ছা কেনো করছেন আমার জন্য এতো??
.
উত্তরে রাহুল সেই তীক্ষ্ণ চাহুনির সাথে। বাঁকা হাসি দেয় আর বলে উঠে।
— কুশ্চেন করতে বলিনি। যেটা বলেছি সেটা মাথায় রেখো তাতেই হবে।
— পাড়তে কি আর গুন্ডা বলি???
— সেটাই গুন্ডার গুন্ডামি দেখতে না চাইলে বেশী কথা বলবা না। রাতে ফোন দিবো হিরা কি বলে যানাবা আমায় পূর্নির জ্ঞান ফিরার আগে হিরার প্রবলেম কি জানা দরকার। তাই আজ রাতেই কথা বলো ওকে??
— ওকে কিন্তু একটা কথা!!
— কি কথা??
— মানে আমি বলেছিলাম মার সামনে পূর্নির এক্সিডেন্ট করেছে বলেছিলাম আমি সেদিন বাসায় গিয়ে সেখানে ভাইয়াও ছিলো!!
— সো হোয়াট নাও!!
— মানে পূর্নি এক্সিডেন্ট করেছে শুনে ভাইয়া ইদানীং কেমন জেনো হয়ে গেছে!! আমার মনে হয় ভাইয়া ও পূর্নিকে ভালো..বাসে!!
— তাহলে ওকে ফিরিয়ে দিলো কেনো তোমার ভাই??
— আমার মনে হয় অন্য কোনো কারণ আছে ভাইয়ার রিজেকশন এর পিছনে!!
— কি কারণ থাকতে পারে এমন যে হিরা..!!
— শুনুন চিন্তা করবেন না সেই কারণ টা আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলে জানার চেস্টা করবো।
.
রাহুল আর কিছু বলে না। বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসে হীর কে আর একটা কথা বলে আসে হীর কে তার পূর্নি ছাড়া কেউ নেই। এটুকু বলেই চলে যায় রাহুল। হীর তাকিয়ে রয় রাহুলের যাওয়ার দিকে। এই এক লাইন কথার মধ্যে বুঝতে চাইলে অনেক কিছু বুঝার আছে আর হীর সেটা বেশ ভালোই বুঝেছে!! রাহুলের শান্ত কথাটায় বহু আকুতি আর ছটফট ভাব ছিলো। রাহুল এটাই বুঝিয়েছে আমি তোমার উপর সব ছেড়ে দিলাম।
.
সন্ধ্যা ৬ টা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভাইয়ার সাথে কথা বলার জন্য এখন ১২ টা বাজে সবার খাওয়াদাওয়া শেষ মা, ঘুমিয়ে গেছে। ভাইয়া তার রুমেই আছে তবে কি করছে যানি না। তবে আমি জানি আমায় কি করতে হবে। আল্লাহ ওর নাম নিচ্ছি বারবার। আর ভাবছি আমায় পারতেই হবে। আসলে ভাই বোন যতোটা ফ্রী হয় ততটা ফ্রী আমি নই ভাইয়ার সাথে। আমাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটিও হয়না ভালোবাসা টা প্রকাশ ও করা হয়না। না তেমন কথা হয় ভাইয়ার সাথে আমার তবে আমি জানি ভাইয়া আমায় খুব ভালোবাসে আর আমিও। কিন্তু এসব কথা মনেই থেকে যায় বলা হয়না। আমাদের কাজ ছাড়া তেমন কথা হয় না। আর আজ আমি ভাইয়ার লাইফ নিয়েই কথা বলতে যাবো তাও কি একটা ব্যাপারে। তার উপর আমি ছোট বোন। লজ্জা লাগছে আর ভয় ও ভাইয়া যদি ধমক দেয় বা অন্যকিছু বা তারিয়ে দেয়। তাহলে রাহুল কে কি বললো। ছেলেটা আমার জন্য কতোকিছু করেছে। তারপর আজকে যাওয়ার সময় কথাটা উফফ ….. এটা ভাবতেই। আমি দরজায় টুকা দিলাম ভাইয়ার। দু তিন বার দিতেই দরজা খুলে দিলো।আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ মুখ ফুলে আছে কেনো বুঝলাম না। ভাইয়া আমায় দেখে বললো।
— তুই কিছু বলবি?? এতো রাতে ডাকলি যে কিছু হয়েছে তোর??
.
আমি শান্ত ভাবে বললাম।
— কথা আছে তোমার সাথে ভাইয়া!!
.
হীরা অবাক হলো কারণ হীর তুই করেই বলে তাকে। তবে আজ কি হলো তাও কি ভেবে শান্ত ভাবে বললো।
— ছাদে যাবি??? আমার ইচ্ছে করছে চল যাই!!
.
আমার এক্টু কষ্ট ও হলোনা বুঝতে ভাইয়া কতটা কষ্টে আছে। আমি মুচকি হেসে বললাম।
— চলো আমারো ইচ্ছে করছে।
.
.
ছাদে দাঁড়িয়ে আছি পাশেই ভাইয়া আকাশ দেখছে আমি ভাইয়াকে। ভাইয়া আকাশ দেখতে দেখতে বললো।
— কি জেনো বলবি??
— হ্যাঁ…
এক্টু শ্বাস নিয়ে বললাম। ভালো আছো তুমি ভাইয়া??
.
হিরা চট করে তাকালো হীরের দিকে আজ হিরার সত্যি খুব বড়বড় লাগছে তার বোন কে!! হালকা হাসলো হিরা তারপর বললো।
— তোর সামনে দাঁড়িয়ে আছি মানে ভালোই আছি!!
— প্লিজ ভাইয়া একটা সত্যি কথা বলবে আমায়??একদম সত্যি কিছু লুকানো যাবেনা।
.
হিরা হীরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললো।
— বলবো তবে তোকেও কিছু সত্যি বলতে হবে। রাজী??
.
আমি অবাক হয়ে বললাম।
— কি জানতে চাও তুমি??
— ভুলে গেছিস তুই? আমি ভুলিনি। দু তিন বার সুইসাইড করার চেস্টা করেছিস তুই তিন থেকে চার মাস ঘর বন্দি ছিলি তুই কেনো?? কি ভাবিস কিছু বলি না তাই বলে তোকে এই অবস্থায় দেখে আমার কষ্ট হয় নি। জানতে ইচ্ছে করেনি কেনো আমার বোন এসব করছে। এসব করার জন্য তো বাবা চলে যাওয়ার পড় থেকে তোকে মানুষ করিনি হীর। খুব কষ্ট দিয়েছিস তুই আমায় আর মাকে। কেনো তুই এমন করেছিস জানতে চাই আমি। আমি বা মা কোনোদিন তোর চোখে পানি আসে এমন কিছু করিনি তোকে স্বাধীন থাকতে দিয়েছি আজো আছিস।যা চাই চাওয়ার আগেই পেয়েছিস তুই। তোবে কেনো তুই সুইসাইড করার চিন্তা করলি হীর তোর যদি কিছু হয়ে যেতো তো…….!
.
এক নিশ্বাস এ ভাইয়া এটুকু বলেই থামলো। আর আমি চোখের জল ফেলছি। নিজের কথা ভেবে আমি নিজের অজান্তে কিছু প্রতারক দের জন্য। নিজের কলিজার থেকে দামী কিছু মানুষ কে কতটা কষ্ট দিয়েছি। তা আজ ভাইয়ার প্রতিটা কথায় বুঝতে পাড়ছি। ভাইয়ার অভিমান জড়ানো কথায় আমার বুক ফেটে কান্না আসছে।
.
কিন্তু আমি এও ঠিক করেছি আজ সব বলবো ভাইয়াকে সাথে ক্ষমাও চাইবো। ভাইয়া যা শাস্তি দেয় যা ভাবুক আজ সব বললো। কাছের মানুষের কাছে দুঃখ গুলা বলতে পারলেও শান্তি লাগে আজ আমি শান্তি চাই খুব করে চাই!!
.
ভাইয়া অন্যপাশে তাকিয়ে আছে হয়তো কাঁদছে। আমি আর কিছু না ভেবে বলতে শুরু করলাম সব টা আর কান্নায় ভেঙে পড়লাম। তাও শিহাবের সাথে শুরু থেকে আজ এই মুহূর্ত পর্যন্ত। রাহুল, পূর্নি নিতুর সবার কথা বলেই আমি জোরে একটা নিশ্বাস নিলাম। বিশ্বাস করুন খুব শান্তি লাগছে কষ্ট গুলা ভাগ করতে পেরে। ভাইয়া আমায় জরিয়ে ধরে আছে ভাইয়া কাঁদছে।
.
হিরা কিছুটা স্তব্ধ হয়ে গেলো সব শুনে।
— এতো কিছু একা সহ্য করলি?? কেনো?? আমরা পড় ছিলাম একবার বললি না আমায় হীর।
.
আমি কাঁদতে কাঁদতে হেচকি তুলে বললাম।
— সরি ভাইয়া মাফ করে দে। আমি যা করেছি সব ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দে।
.
হিরা বোন কে শান্তনা দেয়। হীরের কান্না থামছেই না। অনেক সময় পড়ে হীর কান্না থামায়। হিরা ভাবতে পারেনি তার বোন এতোকিছু সহ্য করেছে।
.
হীর অনেক্ষণ পড় ভাঙা গলায় বলে উঠে।
— আমি সব বলেছি ভাইয়া তুই বলবিনা। পূর্নির সাথে এমন কেনো করেছিস??কি হলো বল প্লিজ!!
.
হিরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।বোনের দিকে তাকায়। তারপর বলতে শুরু করে…
.
.
চলবে??
[ এক দিন ছোট দিবো তো একদিন বড়। তা নিয়ে কষ্ট পেও না প্রিয় রিডার্স বাশী। কিন্তু আমি খুব হতাস হই গল্প না পেলে কতো চিৎকার অভিযোগ। কিন্তু রিস্পোন্স এর বেলায়। একদিন আছে তো আর খবর নেই।☺]
Roja Islam

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে