প্রতারক part 11

0
1368

প্রতারক part 11
#Roja_islam

নিতু আজ তিন দিন বাড়ী ফিরে না। নিতুর মা বেশ চিন্তিত নিতু তার মার কল ও ধরে না। উনি বেশী চিন্তিত আছেন যদি শিহাব আবার চলে আসে তো কি উত্তর দিবে???
.
কিন্তু শিহাব এই তিনদিন রাগ করেই নিতুকে আর কল দেয়নি। নিতুর আচরণ ভালোলাগিনি তার কিভাবে মুখের উপর না করে দিলো যেতে হবেনা ক্যায়ার নিতে পারবেনা!!! তার উপর শিহাবের ব্যাপার টা ভলো লাগেনি নিতু জন্মদিনে গেছে তাকে না বলে।
.
কিন্তু এখন এসব মাথায়ই নেই তার শিহাবের এখন এক চিন্তা। হীর রিলেশন এ আছে এটা জেনো শিহাবের হজম হিচ্ছে না। তার উপর পার্সোনাল টাইম স্যাপেন্ড করছেঐ ছেলে……!! এসব কথা জেনো তার কানে আই ফোনের হেড ফোন যেমনে বাজে?? সে ভাবে ভাজছে। সে ভাবছে কথা বলবে হীর এর সাথে আজি। তাই ভার্সিটি জাওয়ার জন্য
সে দাঁতে দাঁত চেপে রেডী হয়ে রুম থেকে বেরুলেই। ড্রইং রুম থেকে শিহাবের বাবা। রফিক খান
তাচ্ছল্য স্বর এ বলে।
— বৌ বাবার বাড়ী গেলো তোকে নিয়ে গেলো না কেনো? নিবে কেমনে যেই বৌ এসব ছোট মন মানুষিকরর………!
.
রফিক খানকে থামি দিয়ে শিহাবের মা বলে উঠে।
— সকাল সকাল কি শুধু করলে ছেলেটা বাইরে যাচ্ছে।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


এবার রফিক খান খেঁকিয়ে উঠে।
— তো কি হইছে বাইরব যাচ্ছে অফিসে তো আর যাচ্ছেনা একটাকা কামাই করতে। তার উপর বৌ এনে বসে আছে……..!
.
আর কিছু শুনার আগেই শিহাব তার মার দদিকে একনজর তাকিয়ে বেরিয়ে পড়ে। শিহাব এমনিতেই অপমানিত ফিল করেছিলো সে যেতে চাওয়ার পড়েও নিতু না করেছে। তার উপর বাবার এসব কটু কথা শিহাবের গাঁ জ্বালা করছে।
কিন্তু শিহাব আপাদত এসব বাদ দিয়ে হীর এর সাথে কথা বলতে চায়।তাই সব অপেক্ষা করে ভার্সিটি চলে যায় সে।
.
সকাল থেকে দৌড়ে একরকম রেডী হচ্ছি।তার অবশ্যই বিশেষ কারণ আছে!!
কারণ যেই নিউজ কাল পেয়েছি রাইসার থেকে তা সত্যিকি না জানতেই হবে ঐ গুন্ডা টার ব্যাপারে। কোনো রকম ব্রেকফাস্ট করে আমি ছুটে বেরিয়ে যাই বিল্ডিং থেকে আমার বিশ্বাস কপালে আজ খারাপি আছে। রাস্তা দিয়ে হাটছি আর একটা রিকশা শকুনের দৃষ্টিতে খুজতে চেস্টা করছি এদিক ওদিক ততাকিয়ে কিন্তু হায়। খুঁজতে খুঁজতে কানা হয়ে যাচ্ছি বাট রিকশার দেখা নেই আজব!! তার উপর বিরক্তি। রিকশা ওলারাকি সব ডেট করতে গেছে একসাথে যত্তসব!! রেগেমেগে কি আর করা হাটি হাটি পা পা করছি। এর মধ্যে কানে হর্নের শব্দ এলো খুশীতে লাফিয়ে পিছন ফিরি এই ভেবে যে রাহুল এসেছে আমায় নিতে। কিন্তু হায় পুড়া কপাল। আমার মনে করার মধ্যে এক বালতি পানি ঢেলে দেখি অন্য একটা গাড়ী যাচ্ছে আমায় ক্রস করে। আমি ভতা মুখ করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার হাটা দিলাম সামনে কিছুক্ষণ হাটার পড় আবার কানে হর্ণের শব্দ এলেও পিছু ঘুরলাম না হেটেই যাচ্ছি।কে জানে আবার কতক্ষণ ভতা মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে নিশ্চয় অন্য গাড়ী হবে তাই আমি মনে সুখে থুক্কু দুঃখে হাটছি। কিন্তু এক্টু পড় কিহলো বুঝলাম না পেছন থেকে গাড়ী এসে একদম আমার সামনে ব্রেক করলো কষে বিকট এক শব্দ হলো লাইক সিনেমা ?। ভয়ে চোখ মুখ খিঁচে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি আমি।
.
রাহুল হীর কে ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করতে দেখে বাঁকা হেসে। গাড়ীর দরজার গ্রাস নামিয়ে এক্টু উঁকি মেরে বলে উঠে।
— ভিতুর ডিম এবার চোখ খুলতে পারো মরে যাও নি তুমি। বেঁচে আছো এখনো!!
.
রাহুলের গলা কানে যেতেই আমি চট করে চোখে খুলে দেখি গুণ্ডা টা। কারে বসে হাসছে। আমি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি ভয়ে তার উপর গুন্ডাটার হাসি দেখে রাগ হচ্ছে। এর কোনো মানে হয় মানুষ কে ভয় দেখিয়ে আবার। মানুষ কে খুন করার সুন্দর করে হাসে!! রেগে গেলাম সামনে অনেক প্রশ্ন আছে আমার এই গুণ্ডার থেকে ব্যাটা ভাল্লুক কোথাকার। উনার কারের দরজার সামনে গিয়ে কমরে দু হাত রেখে মেগে বললাম
.
— এই এই আপনি আমার বলেন নি কেনো??
আর এখন এমন করলেন কেনো???
.
এই অন্যরূপি হীরকে দেখে রাহুল অবাক ই হলো কারণ এভাবে কথা বলতে হীর কে এর আগে দেখেনি রাহুল। তারপর ভ্রু কুঁচকে বললো।
— কি বলি নি আমি???
— আপনি যে ডক্টর?? এটা… [এটুকু বলে থামে হীর তারপর ভ্রু কুঁচকে বলে ] আচ্ছা এটা কি আসলেই সত্যি নাকি বিদেশ থেকে এসে আনতাজিই মানুষকে আমি ডক্টর আমি ডক্টর বলে বেড়াচ্ছেন না তো??
.
রাহুল বাঁকা হাসে হীর এর কথা। বোকা মেয়ে আমি যদি বলেই বেড়াতাম আমি ডক্টর আমি ডক্টর তাহলে তুই শুনলিনা কেনো?? যদিও অন্যকেউ হলে এমন উত্তর দিতো রাহুল বাট এখন নিজেকে সামলিয়ে বললো।
— তুমি থামলে তো বলবো তাই না??
— আচ্ছা থামলাম এখন। বলুন কেনো বলেন নি আপনি ডক্টর??
আর কিভাবে সম্ভব এটা??
.
হীরের লাস্ট কথা শুনে রাহুল কপাল কুচকে রেগেই বলে।
— স্টুপিড!! কেনো আমি কি ডক্টর হতে পারিনা??
— না মানে!! আপনার স্টাইল, বডি, পার্সনালিটি, মাথা ভরা এ্যটিটিউট, দেখার পর মাথায় শুধু এটাই আসে আপনি একটা খুব বড় গুণ্ডা, মিন্স মাফিয়া টাফিয়া আর কি। কিন্তু ডক্টর এটা মানতেই পারছিনা।সিরিয়াসলি আপনি ডক্টর আমি মানিনা!কোনো ভাবেই না ডক্টর কাউকে এভাবে মারতেই পারেনা তারা তো মানুষ বাঁচায়!! আর আপনি……!
.
রাহুল কি বলবে ভাবে পাচ্ছেনা। রাহুলের মতো ব্যক্তিকে হীর তার বোকা কথায় চিন্তা করাতে বাধ্য করছে। আসলেই কি তাকে মাফিয়া লাগে ডক্টর ভাবা যায় না। ইস ইট ট্রু?? রাহুল এসব ভাবছে হঠাৎ। ভাবনা বাদ দিয়ে হীর এর দিকে তাকায় হীর এক্সপ্রেইন করেই যাচ্ছে কেনো রাহুল কে ডক্টর মানা যায় না। রাহুল এক দৃষ্টিতে হীর এর ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে প্রচন্ড নড়ছে কথা বলার জন্য। হীর কালো হীজাব আর সম্পূর্ণ সাদা একটা ড্রেস পড়েছে খুব সুন্দর লাগছে মুখে সাজ নেই তাও ভয়ংকর সুন্দরী লাগছে। সকালের রোদের আলোয় হীর চোখে মুখে পরছে ব্রাউন কালার চোখ গুলা চকচক করছে। রাহুল হীর এর রূপ এ চোখ বুলায়। তারপর নিজেই বিড়বিড় করছে।
— আই এম গোনা ম্যাড……….!
.
থেকে যায় রাহুল চোখ সরিয়ে নেয়। পড়ে ভয়ংকর সুন্দরীর সাথে ভয়ংকর কিছু করেও বসতে পারে রাহুল এমন কিছু চায়না আপাদত। শুধু চায় মেয়েটা তার ভয়ংকর অতীত থেকে বেরিয়ে আসুক আর তার সাথী হিসেবে রাহুল হীর এর পাশে থাকতে চায়। মেয়েটা খুব লক্ষী শিহাব যেটা করেছে হীর সেটা প্রাপ্প নয়। আর রাহুল নিজেও যদি হীর এর সাথে উল্টাপাল্টা করে বসে হীর সেটা নিতে পারবেন। আর এসব ভেবে চেঁচিয়ে উঠে রাহুল।
— ইউ ইডিয়ট তোমার এক্সপ্রেইন করলেই আমি ডক্টর থেকে মাফিয়া হয়ে যাবোনা। সো কাম হ্যায়ার। গড়ীতে বসো ভার্সিটি ড্রপ করে দি!!
.
হীর ধমক খেয়ে মিন মিন করে বলে উঠে জীবনেও এই গুন্ডা ডক্টর না। ডক্টর রা কত সুন্দর করে কথা বলে আর এই ভাল্লুক সব সময় খেঁকিয়ে উঠে। ডক্টর রা এমন করেনাকি! আশ্চর্য! জীবনেও এই ছেলে ডক্টর না ইম্পসিবল হুহ।
.
হীরকে এখনো দাঁড়িয়ে ঠোঁট নাড়াতে দেখে। রাহুল দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে।
— বিড়বিড় বন্ধ হলে ফাস্ট গাড়ীতে এসে বসো।
— হ্যাঁ হ্যাঁ বসছি
তো। আস্ত গুন্ডা একটা!!
.
হীর এর কথাশুনে ও না শুনার মতো করে রাহুল ভ্রু কুঁচকে বলে উঠে।
— কিছু বললে!!
— না না তো। বললাম ফ্রী চিকিৎসা নেওয়া যাবে আপনার থেকে ভালোই হলো।
.
বহুকষ্টে রাহুল হাসি থামায়। আর গাড়িস্টার্ট দেয়। হীর গাড়ীতে বসলে। রাহুল ড্রাইভ করছে। হীর এলিয়েন দেখার মতো রাহুল কে দেখছে। ভাব খানা এমন রাহুল আজ এলিয়েন হয়ে গেছে হীর তাই রাহুল কে নতুন করে দেখছে!!
.
রাহুল হীর এর তাকানো দেখে বলে উঠে!!
— প্রেমে পড়ে গেছো??? চোখ দিয়ে গিলে কেনো খাচ্ছো?? খাওয়ার অনেক উপায় আছে বলবো??
.
হীর যেমন রাহুলকে খেতে চায় সত্যিই তাই
হীর কিছুনা বুঝে বোকার মতো বললো।
— কি কি উপায় আছে??
.
রাহুল বাঁকা হেসে বলে।
— অনেক উপায় আছে তুমি খাবা না দেখবা বলো।
.
হীর চিন্তা করে বললো।
— আগে দেখি পড়ে আমি ও খাবো।
.
হীর এর কথায় রাহুল হঠাৎ কষে গাড়ী ব্রেক মারলো। তাদেখে হীর বললো।
— কি হলো গাড়ী থামালেন কেনো??
— দেখবানা কিভাবে খায়।
— অহ হ্যাঁ……!
.
হীর কথা শেষ না হতেই হীর চিৎকার দিয়ে কাঁদছে। কারণ রাহুল হীর এর গলায় খুব জোরে বাইট বসিয়ে দিয়েছে। হীর চোখে পানি টলমল করছে এই বুঝি পড়ে যাবে। কিছুক্ষণ পড় রাহুল ছেরেদেয় হীর কে হীর তব্দা খেয়ে বসে চোখের জল ফেলে আর ঘারে হাত চেপে রাখে ব্যাথায়। আর রাহুল বাঁকা হেসে ড্রাইভিং এ মন দেয়।
.
রাহুল মনে মনে বলে উঠে বোকা মেয়ে একটা। আর হীর গুন্ডা, গুন্ডা বলে রাহুলের গুষ্টিউদ্ধার করছে মনে মনে।তারপর সারাটা সময় চুপ ছিলো দুজন। হীরের ভয়ের চটে আর কোনো প্রশ্ন তার মাথায় আসেনি।
এভাবে ভার্সিটি পৌঁছে যায় তারা।
.
শিহাব আজ অনেক আগেই এসে পড়েছে ভার্সিটি। আর অপেক্ষা করছে হীর আসার। কিন্তু হীর আসছেনা দেখে শিহাব ভার্সিটির গেইটে ডান পাশে গিয়ে একটা টং দোকান থেকে চা খাওয়ার জন্য বসে। শিহাব সব খেলেও সিগারেট খায়না। আগে খেতো কিন্তু হীর এর চাওয়া এটুকুই ছিলো যেনো শিহাব সিগারেট না খায়। না না খেতে খেতে এখন আর খেতেই পারেনা শিহার। কাউকে সিগারেট খেতে দেখলেও হীর এর কথা মনে পড়ে শিহাবে। সামনে থাকা ব্যক্তি কে সিগারেট খেতে দেখে শিহাব এসব ভাবছিলো। এর মধ্যে চোখ পড়ে সামনে ব্ল্যাক একটা কার ভার্সিটির গেটের সামনে থামে। আর তার থেকে একটা সুদর্শন ছেলে বেড় হয়ে গিয়ে পাশের দরজা খুলে দিচ্ছে। তার মধ্যে থেকে হীর বেড়িয়ে আসে এই সিন দেখে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায় শিহাব। তার মাথায় যেমন আকাশ ভেঙে পড়েছে। ছেলেটার সাথে দাঁড়িয়ে হির কথা বলছে শিহাবের জেনো চোখ বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম এসব দেখে শিহাবের বুঝতে লেইট হয় না। ঐদিনের ছেলেটাই এটা ভাবতেই চোয়াল শক্ত করে ফেলে শিহাব।
তারপর গটগট………..
.
.
চলবে?
[ আজ শেষ কথা আর মিস করবোনা গল্প রোজ দিবো। আর অনুভূতি কাল সকালে একপার্ট দিবো। আর হ্যাঁ আপনাদের রিস্পোন্স কমছে!! কেনো ভালো লাগছেনা আর!! তাহলে বলুন শেষ করে দিবো। প্লিজ রিস্পোন্স করে যাবেন। একটা লাইক কমেন্ট লেখার উৎসাহ বাড়ায়। ধন্যবাদ ?]
Roja Islam

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে