ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১৭

0
4486

ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১৭
.
.
আল্লাহ রে আল্লাহ এইটা মেয়ে না অন্য কিছু।আস্ত একটা ডাইনি।আমার
জীবনটার একদম তেরটা বাজিয়ে ছেড়েছে।সকালে কারো উচ্চ শব্দের কারণে ঘুমটা ভেঙে গেল।ঘুম থেকে উঠে বিছানার সামনে তাকিয়ে দেখি লামিয়া দাড়িয়ে আছে।
.
— ওই ওঠো।
— এতো বেলা করে ঘুমাচ্ছো কেন?
— উঠবে নাকি বিছানার উপর পানি
ঢেলে দিব।
.
পানির কথা শুনেই আমি বিছানা থেকে উঠে পড়লাম।একতে শীতের সময়
তার উপর সকাল বেলা।এখন পানি ঢেলে দিলে আমার কি অবস্থা হবে তা ভাবতেই শরীরে কাটা দিয়ে উঠছে।আমি বিছানা থেকে উঠে বললাম:
.
— কি হয়েছে এতো সকালে ডাকাডাকি
করছো কেন?
— তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে
আসো।আমাদের ১০টার দিকেই
রওনা দিতে হবে।
— তুমি একটু দাড়াও আমি আসতেছি।
.
লামিয়ার যাওয়ার কথা শুনে আমার নীল শাড়িটার কথা মনে পড়ে গেল।সেই নীল শাড়ি যেটা লামিয়াকে দেওয়ার জন্য দুদিন আগেই এনেছিলাম।কিন্তুু লামিয়াকে দেব দেব করে আর দেওয়া হয়নি।শাড়িটা পড়লে লামিয়াকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।আমি বিছানা থেকে উঠে সোজা আলমারীর কাছে চলে গেলাম।সেখান থেকে শাড়ির ব্যাগটা নিয়ে এসে লামিয়ার হাতে দিলাম।
.
— এইটা কি?(লামিয়া)
— ব্যাগটা খুললেই বুঝতে পারবে।
— এতো সুন্দর শাড়ি।
— হু তোমার জন্য।
— কিন্তুু আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না।
— চেষ্টা করো দেখো ঠিক পারবে।
.
তারপর আমি সেখান থেকে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।ফ্রেস হয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসলাম।ডাইনিং রুমে এসে দেখলাম শুধু আমি ছাড়া সবাই খাওয়া দাওয়া করে চলে গিয়েছে।আমি গিয়ে বসতেই আম্মু আমার জন্য খাবার বেড়ে দিল।সকালের খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম।রুমের দরজার সামনে আসতেই দেখি লামিয়া শাঁড়ি পড়ার চেষ্টা করছে।কিন্তুু কিছুতেই পারছে না।
আমি লামিয়ার দিকে অচচোখে তাকালাম।লামিয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললো:
.
— ওই এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?(লামিয়া)
— তোমার শাঁড়ি পড়া দেখছি।
— মজা নিচ্ছো তাই না।
— মজা নেব কেন?
— তুমি তো জানো আমি শাড়ি পড়তে
পারি না।
— শাড়িটা একটু পড়িয়ে দেবে?
— আমি পারবো না পড়াতে।
— পড়িয়ে দাও না প্লিজ।
.
কি আর করবো একতে মেয়ে মানুষ তার উপর ঘরের বউ তার অনুরোধ কি আর ফেলতে পারি।আমি লামিয়ার সামনে চলে আসলাম।লামিয়ার সামনে
এসে শাড়িটা নিয়ে লামিয়াকে পড়িয়ে দিলাম।শাড়িটা পড়ানোর সময় হাতের তিন আঙ্গুল দিয়ে ভাজ করে কোমরের ভিতর গুজে দিতেই লামিয়া কেমন জানি শিউরিয়ে উঠে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।এমন সময় মেঘলা রুমে চলে আসলো।মেঘলাকে দেখেই লামিয়া আমাকে ছেড়ে দিল।
.
— দুলাভাই আপনি তো বেশ
ভালো শাড়ি পড়াতে পারেন।
— তাই বুঝি।
— হ্যা তাই তো দেখছি।
— আপু তোর হয়েছে?
— হু।
— দুলাভাই আপনি তাড়াতাড়ি রেডি
হয়ে আসেন।
— আমি আপনাদের জন্য গাড়িতে
বসে অপেক্ষা করছি।
— আচ্ছা।
.
তারপর মেঘলা রুম থেকে বেরিয়ে গেল।আমরা দুজনে রেডি হয়ে গাড়ির সামনে চলে আসলাম।আমি এবং লামিয়া পিছনে বসে আছি।আর মেঘলা গাড়ি ড্রাইভ করছে।লামিয়াকে নীল শাড়িতে দেখতে যা লাগছে না।লামিয়া কে দেখে আর চোখ ফেরাতেই ইচ্ছে করছে না।দেখতে দেখতে লামিয়া আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো।লামিয়ার ওই ঘুম জরানো মুখটা দেখতে আরো সুন্দর লাগছে।আমি অপলক দৃষ্টিতে শুধু লামিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।হঠাৎ করে কড়া ব্রেক করায় লামিয়া ঘুম থেকে উঠে পড়লো।সামনে তাকাতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেল।
.
.
.
.
.
.
#_________চলবে_________

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে