ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১৬

0
4340

ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১৬
.
হ্যাঁ আমি তো একজন ধর্ষক আর ধর্ষকের কখনো কারো স্বামী হওয়ার কোন অধিকার নেই।ধর্ষকরা হলো সমাজের সবচেয়ে নৃকৃষ্ট ব্যাক্তি।যাদের কেউই পছন্দ করে না।আমি ছাদ থেকে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে বাইকটা নিয়ে চললাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার উদ্দেশ্য।আমি বাইকটা টং চায়ের দোকানের সামনে দাঁড় করালাম।চায়ের দোকানে কিছু সময় বসে থাকার পর আমার সব বন্ধুরা সেখানে চলে আসলো।আমি বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছি।এমন সময় আমার এক বন্ধু বললো:
.
— কিরে বিয়ে করে আর বাসা থেকে
বের হতেই চাস না।(রিফাত)
— বাসায় সুন্দরী বউ রেখে বাহিরে বের
হতে মন চায় না।তাই না।
— না রে দোস্ত।আসলে তেমন সময়ই
হয়ে ওঠে না।
— থাক আমাদের কে আর মিথ্যা
কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই।
— আচ্ছা।এখন বাদ দে তো এইসব।
— না না মাম্মা ওইটা বললে
তো হবে না।
— নতুন বিয়ে করলে আমাদের
ট্রিট কই?
— এখন তোদের সকলকে ট্রিট
দিতে হবে।
— হ্যা দিতে হবে।চল।
— কোথায়?
— কোথায় মানে রেস্তুরেন্সে।
— এখন আমার কাছে তো
এতো টাকা হবে না।
— সেটা বললে তো শুনবো না।
.
ওরা আমাকে এক প্রকার জোর করেই রেস্তুরেন্সে নিয়ে গেল।একেকটা কিভাবে খাচ্ছে দেখেন।হারামজাদা রা মনে হয় আমাকে ফকির করে চাড়বে।যখন যার যা লাগছে সব কিছুই একসাথে অডার দিচ্ছে।খাওয়া দাওয়া শেষে ওয়েটার এসে বিলের স্লিপটা হাতে ধরিয়ে দিল।হায় আল্লাহ টানা দশ হাজার দশ টাকা বিল করে ফেলছে।হালারা তো আমার বারটা বাজিয়ে ছেড়েছে।এখন আর কি করার টাকাগুলো দিয়ে সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে কলিং বেল বাজানোর কিছু সময় পর ফ্লোরের দরজা খুলে দেওয়া হলো।দরজাটা খুলতেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।দরজার সামনে দেখি মেঘলা দাড়িয়ে আছে।
.
— আরে মেঘলা তুমি কখন
আসলে।(আমি)
— এই তো একটু আগে।
— বাসার সবাই কেমন আছে।
— সবাই ভালো আছে।
— এখানেই দাড়িয়ে কথা বলবেন
নাকি ভেতরে আসবেন।
.
আমি সেখান থেকে ভেতরে চলে আসলাম।আমার শালিকাটা তো হেব্বি দেখতে।আগে জানলে লামিয়ারে না মেঘলারে বিয়ে করে নিয়ে আসতাম।তবে একদিক থেকে ভালই হয়েছে।এক সাথে দুই বউ পেয়েছি।একটার সাথে আরেকটা ফ্রি।বউয়ের ছোট বোন মানে শালিকা তো বউয়ের মতোই তাই না।
রুমে এসে বসার কিছু সময় পরই আম্মু আমাকে ডাক দিল।কাছে আসতেই আম্মু একটা ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিল।
.
— শাকিল শোন।(আম্মু)
— জ্বি আম্মু বলো?
— এই টাকাগুলো ধর।
— আমার হাত খরচ দিচ্ছো বুঝি।
— তোর হাত খরচ তো আগেই দিয়ে
দিয়েছি।
— তাহলে এখন টাকা দিচ্ছো কেন?
— মেঘলা আসছে।টাকাগুলো দিয়ে
বাজার করে নিয়ে আয়।

আমি রুম থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসলাম।রাস্তায় এসে একটা রিক্সা নিয়ে বাজারে চলে গেলাম।একেকটা জিনিসের কি দাম রে বাবা।দামের কারণে জিনিসগুলোর সামনে যেতেই ইচ্ছে করে না।বাজার করতে করতে বিকাল
হয়ে গেল।বাজার থেকে একটু ফাঁকে এসে রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
রাতে খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে বসে বসে ল্যাপ্টপ চালাইতেছি।এমন সময় লামিয়া রুমে আসলো।রুমে আসার পর লামিয়া বললো:
.
— ঘুমাবে কখন তুমি?(লামিয়া)
— তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।আমি একটু
পর ঘুমাবো।
— মেঘলা কালকে ওর সাথে আমাদের
যেতে বলছে।
— তুমি যাও আমি যাব না।
— তুমি কেন যাবে না?
— এমনিতেই।
— তোমাকেও আমার সাথে যেতে হবে।
— আমি বললাম না যাব না।
— তুমি না গেলে আমি কখনো আর
এই বাড়িতে ফিরে আসবো না।
(কান্না জরিত কন্ঠে বললো লামিয়া)
— ওকে আমি যাবো।এবার happy?
— হুম।
— আচ্ছা এখন ঘুমিয়ে পড়ো।
.
তারপর লামিয়া ঘুমিয়ে পড়লো।তার কিছু সময় পর আমিও বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।আল্লাহ রে আল্লাহ এইটা মেয়ে না অন্য কিছু।আস্ত একটা ডাইনি।আমার জীবনটার একদম তেরটা বাজিয়ে ছেড়েছে।সকালে কারো
উচ্চ শব্দের কারণে ঘুমটা ভেঙে গেল।ঘুম থেকে উঠে বিছানার
সামনে তাকিয়ে দেখি……….
.
.
.
.
.
.
#_______চলবে_______

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে