তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব~৫

0
2276

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
……..{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~৫

??
আদি সামান্তার হাত ধরলে সামান্তা আদির কাজে শকড হয়ে যায়।আদি সামান্তার হাত ধরে ওকে ড্রান্স ফ্লোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
—–আরে হাত ছাড়ুন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?

আদি কোনো কথা না বলে সামুকে ড্রান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়।সামুর এক হাত ধরে নিজের কাধে রাখে আর নিজের হাত ওর কোমড়ে।সামান্তা চোখ বড়বড় করে ওর কান্ড দেখছে।সামান্তা কিছু বলতে যাবে আদি বলে,
—–হিসসস,,সবাই ড্রান্স করছে।চুপ করে আমার সাথে তাল মিলাও।

সামান্তা চারপাশে চেয়ে দেখে সবাই ড্রান্সে ব্যস্ত।আদির দিকে তাকাতেই দেখে আদি ওর দিকে চেয়ে আছে।সামান্তা আদির সাথে জাস্ট হাত-পা নাড়াচ্ছে।

??

মুঝকো বরসাথ বানা লো
এক লম্বি রাত বানা লো।
আপনে জাজবাদ বানা লো জানা।
মুঝকো আলফাজ বানা লো
দিলকি আওয়াজ বানা লো
গেহরা সা রাজ বানা লো জানা
নেশা হো মেইন বেহেকনে দো
মেরা কাতিল মুঝে জিনে কা
হক তো দো….
??

আদি একঘোরে সামান্তাকে দেখছে।সামান্তার কেমন অস্বস্তি লাগছে।সামান্তা আশেপাশে দেখছে।কেউ ওদের দেখছে কিনা।ড্রান্স করবেনা বলে রাজকে মিথ্যা মাথা ধরার অজুহাত দিলো।আর আদি সেখানে ওকে নিয়ে ড্রান্স করাচ্ছে।
সামান্তা দাতে দাত চেপে ফিসফিস করে বললো,
—–দেখুন এখানে অনেক মানুষ।প্লিজ সিনক্রিয়েট করবেন না।আমাকে ছাড়ুন।

আদির কানে কোনো কথাই ঢুকছেনা।সামান্তা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে আদি বলে,
—–ডোন্ট মুভ।জাস্ট ২মিনিট।

কিছুক্ষণ পর আদি হুট করে সামুকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
—–একা একা বোর হচ্ছিলে,,বেচারির মতো মুখ করে ছিলে তাই একটু টাইম দিলাম।অর নাথিং।
বলেই চুলে ব্রাশ করতে করতে চলে গেলো।সামান্তাকে কিছু বলার সুযোগ দিলোই না।

—–যা বাবা,,নিজেই প্রশ্নদাতা,নিজেই উত্তরদাতা।উনাকে কে বলেছে আমি বোর হচ্ছিলাম,কে উনার গুরুত্বপূর্ণ সময় চেয়েছে।গায়ে পড়া লোক।যত্তসব।

ড্রান্সের মাধ্যমে পার্টি শেষ হলো।মেহমানরা সব বিদায় নিয়ে চলে গেছে।সামান্তা ফ্রেশ হয়ে নিশির রুমে গেলো।নিশি নিজের হাতের রিংয়ের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।
সামু গিয়ে গলা খাকাড়ি দিলো।
নিশি ওকে দেখে বললো,
—–আয় সামু বস।

—–বাহ!! রিং বুঝি খুব পছন্দ হয়েছে?চোখ সরছেনা যে।

—–উহু,,রিংয়ের চেয়ে রিংদাতাকে বেশি পছন্দ হয়েছে।

——ইশশ,,এংগেজমেন্ট না হয়ে আজ বিয়েটা হয়ে গেলে আপুনিটা বেশি খুশি হতো।

——তোকে বলেছে।

——বুঝি বুঝি সব বুঝি ছোট হলেও এটুকু বুঝি।মেরি বেহেন দেওয়ানি বানগায়া।

——শোন আমাকে কথা শুনাচ্ছিস?আমারও দিন আসবে।কোনো দিন তুইও কারো জন্য দেওয়ানি হবি সেদিন দেখবো এই পটর পটর কথা কই যায়?

—–জ্বি নট।সামু কারো জন্য দেওয়ানি হবেনা।এসব দেওয়ানি টেওয়ানি সামুর ডিকশনারিতে নেই।

—–এড হয়ে গেলে বুঝবি।তখন দিনের আকাশে তারা গুনবি।

——অন্ধকার রাতে তারা গুনা যায়,দিনের আকাশে তারা থাকে নাকি?হিহি।

—–ওই যে দেওয়ানি!! প্রেম মানেই পাগলামি।

—–হায়!!

.

সামান্তা লিভিং রুমে বসে ল্যাপটপে এসাইনমেন্টের কাজ করছে।আদি উপরে দাঁড়িয়ে দেখছে।রেলিঙের উপর একহাত রেখে অন্য হাতে ফোন টিপছে।একচুয়ালি ভান করছে।সামু ক্ষনে ক্ষনে ঠোঁটে ঠোঁট কামড়াচ্ছে,কখনো বা নখ আর কখনো মাথা চুলকাচ্ছে,কখনো ভ্রু কুচকাচ্ছে।আদি গভীর ভাবে সেটা পর্যবেক্ষণ করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।
সামান্তা তো জানেও না এ বাড়ির একটা ছেলে ওর উপর কিভাবে নজর রাখছে।ওর জন্য দেওয়ানা হয়ে যাচ্ছে।এই অব্যক্ত অনুভূতির ছিটেফোঁটাও জানা নেই সামুর।

সামু ল্যাপটপ রেখে উঠে বসে বললো,
—–ধুররর,,মাথা পুরো হ্যাং হয়ে গেছে।একটু কফি খেতে হবে।

আদি সিরি দিয়ে নামতে নামতে বললো,
—–আমার জন্য এক কাপ বানিয়ে এনো।

সামান্তা আদির কথা শুনে আদির দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো।আদি সোফায় আয়েশ করে বসতে বসতে বললো,
——কি হলো এভাবে চেয়ে আছো কেন?দেখতে বলিনি কফি চেয়েছি।

সামান্তা চেহায় বিরক্তি ফুটিয়ে বললো,
—–সাদা হনুমান,,আমাকে অর্ডার করছে।(বিরবির করে)

—–কি বললে তুমি? হনুমান টাইপ কিছু বললে?(ভ্রু কুচকে)

—–বললাম হনুমান আমার একদম অপছন্দ।

——তো!!(ভ্রু কুচকে)

—– তো কিছুই না।

সামান্তা কিচেনে চলে গেলো।কিছুক্ষণ পর আদির সামনে এক কাপ কফি রেখে নিজের জিনিসপত্র তুলে নিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।

আদি মনে মনে বলছে, ও তো আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।
কিন্তু আদিকে যে নিজের ইগোর কারণে ওর অনুভূতিগুলো প্রকাশ করছেনা সেটা বুঝতে পারছেনা।ও চায় ওর সামনের মানুষ ওকে বুঝে নিক।ওকে গুরুত্ব দিক।যদি বুঝাতেই না পারে তবে কিভাবে কেউ ওকে বুঝবে।

নিশি ক্লাস করে বেরিয়েছে।ওর ফোনটা বেজে উঠলো।জয় ফোন করেছে।
—–হায় কিউটি কেমন আছো?

—–ভালো।তুমি এসময় ফোন করেছো যে?

—–আই নো তোমার ক্লাস আছে বাট ইটস ইমারজেন্সি।

—–কি হয়েছে জয়?(ভীত কন্ঠে)

—–আসলে রাজ আর সামান্তাকে নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।

—–রাজ আর সামু!! কি কথা জয়?

—–আসলে রাজ সামান্তাকে পছন্দ করে।ফার্স্ট ডে থেকে।কিন্তু রাজ বলতে পারছেনা।ভনিতা না করে বলেই ফেলি রাজ সামান্তাকে বিয়ে করতে চায়।

—–বিয়ে!!

——হ্যা নিশি,,রাজ সামান্তাকে পছন্দ করে।বিয়ে করতে চায়।রাজ যথেষ্ট ভদ্র ছেলে।ওকে ছোট থেকে দেখছি।

—–কিন্তু জয়…

—–হ্যা বলো?

—–আসলে তুমি তো জানোই সামুর মা নেই,বাবা থেকেও নেই।তিনি সামুর প্রতি কেয়ার ফুল না।এখন আমরাই ওর সব।ওর ফ্যামিলি ওর গার্জিয়ান।রাজের বাবা-মা অবশ্যই সামান্তার ফ্যামিলি খুজবে।

——নিশি সেটা রাজও জানে।ও যদি জেনে শুনে বিয়ে করতে চায় তবে প্রব্লেম কি?আর ওর বাবা-মা সেটা নাহয় ও ই বুঝে নিবে।তুমি সামান্তার সাথে কথা বলো প্লিজ।

—–আচ্ছা বলবো।

—–আচ্ছা ক্লাসে যাও।আমি পরে ফোন করবো।

—–ওকে।

.
.

“নিশিপু কি বলছো?আর ইউ ম্যাড?ওই আর জাস্ট ফ্রেন্ড অর নাথিং।আমি রাজকে শুধুমাত্র একজন বন্ধুর চোখে দেখি।সেটা রাজও জানে।তোমাদের সামনেই তো ওইদিন ফ্রেন্ডশিপ করলাম।আমি এই শহরে একদম একা।কোনো বন্ধু নেই এইজন্যই আমি ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেছি।প্রতিটি মানুষের লাইফে একজন ফ্রেন্ড থাকা জরুরি।সেদিক দিয়েই আমি ওকে এতো প্রায়োরিটি দিচ্ছি।যেখানে ফ্রেন্ডশিপ এখনো স্ট্রং হয়নি সেখানে এসব কথা কেন আসছে?আমি রাজকে ওই ধরনের কোনো ইংগিতও দেইনি।ট্রাস্ট মি।”
সামু উত্তেজিত হয়ে কথাগুলো বললো।

নিশি সামুকে বললো,
—–বি কুল বেবি।আই ট্রাস্ট ইউ।ভালোবাসাটা রাজের পক্ষ থেকে।একদম একপাক্ষিক সেটা রাজও বলেছে।

—–আপু প্লিজ দেখো আমি এসবে জড়াতে চাইনা।আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম ছেলে আর মেয়ের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ হয়না।আমি ওর সাথে যোগাযোগ অফ করে দেবো।

—–সামু… কি বলছিস এসব?রাজ বিয়ের প্রপোজাল দিয়েছে প্রেমের নয়।

—–আপু আমি আমার পজিশন ভুলিনি তুমি ভুলে যেতে পারো।

—–না আমিও ভুলিনি।রাজও জানে।জয়ের সাথেও আমি এ নিয়ে কথা বলেছি।ওদের কোনো প্রব্লেম নেই।ওরা শুধু তোর মতামত জানতে চায়।দেখ আমি জয়ের মুখে রাজের যথেষ্ট প্রসংশা শুনেছি।ইঞ্জিনিয়ার দেখতে শুনতে ভালো।বাকিটা তুই ভেবে দেখ।ওরা আমাকে বলেছে তোকে জানাতে তাই জানালাম।তুই ভেবেচিন্তে উত্তর জানাস।নিজেকে একদম প্রেশার দিবিনা।তাড়াহুড়োর দরকার নেই।মন শায় না দিলে না বলে দিবি নো প্রব্লেম।

—–হুম।

নিশি চলে যেতেই সামু মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল।
“আমি রাজকে নিয়ে কি ভাববো?ওর প্রতি তো আমার সেরকম কোনো ফিলিংস আসেই না।ও কেন কোনো ছেলের প্রতিই আমার সেরকম ফিলিংস আসেনা।আই ডোন্ট লাভ হিম।আই ডোন্ট লাভ এনিওয়ান।কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।আমার লাইফটা ডে বাই ডে কমপ্লিকেশন দিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে।রাজ আমাকে প্রথম দিন থেকে পছন্দ করে তাহলে ফ্রেন্ডশিপ কেন করলো?উফফ,,আমি আর ভাবতে পারছিনা।”

সামান্তা বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।তারপর ফোন বের করে ওর ফ্রেন্ডকে ফোন দিলো।রিং হতেই ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ হলো।
—–হ্যালো জানভি…

—–ইয়াহ বেবি বল।

—–দোস্ত হেল্প মি।আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।কিছু কথা বলবো মন দিয়ে শুনবি।কজ আমি ডিসিশন নিতে পারছিনা।

—–ওকে বল।

সামান্তা জানভিকে রাজের ব্যাপারে সবটা বললো।
জানভি কিছুক্ষণ ভেবে বললো,
—–আই থিং তোর হ্যা বলে দেওয়া উচিত।

—–কি বলিস,,ও আমার ফ্রেন্ড।

—–ভাই বিয়ে করার জন্য ফ্রেন্ডই বেস্ট চয়েজ।হাসব্যান্ড যদি ফ্রেন্ড হয় তবে লাইফে প্রচুর সুবিধা।এছাড়া রাজ দেখতে শুনতে ভালো,পোলা ইঞ্জিনিয়ার খারাপ কি।বিয়ে তো একদিন করবিই।তাড়াতাড়ি বিয়া করে ফেল দোস্ত।কতদিন বিয়ে খাইনা।

—–হারামি আমি আছি আমার জ্বালায় আর তুই আছিস খাওয়া নিয়ে।রাক্ষুসি।

—–হিহি,,,যাইহোক ফাজলামি বাদ সিরিয়াস কথা শোন।তোর বাড়ির দরজা তোর জন্য বন্ধ।অন্যের বাড়িতে কতদিন থাকবি।যতই ওরা ভালো মানুষ হোক।ওদের কি দায় পড়েছে?তোকে খাওয়াচ্ছে,পড়াচ্ছে।তাই বিয়ে করে নিজের একটা ফ্যামিলি গড়ে নে।তার আগে রাজের সম্পর্কে জানা জরুরী।রাজকে তোর কেমন লাগে?

—–ওকে দেখে তো ভালোই মনে হয়।ওর আচার আচরণও ভালো।এর বেশী জানিনা।

—–তাহলে বিয়ে করে নে।বিয়ে হলেই ফ্রেন্ড থেকে প্রেম প্রেম ফিলিংস চলে আসবে।ডোন্ট ওরি।আর ফিলিংস না আসলেও সমস্যা নেই।সে দায়িত্ব রাজ নিজেই নিয়ে নিবে।বছর ঘুরতেই বাচ্চার মা বানিয়ে দিবে।

——কুত্তা,,রাখ ফোন।

সামান্তা ফোন রেখে জানভিকে কয়েকশ গালি দিলো।
তারপর জানভির কথাগুলো ভাবতে লাগলো।রাজকে কতটুকু জানে।বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এইটুকু চেনা-জানা কি যথেষ্ট?

আদির মা সোফায় বসে চোখে চশমা পড়ে কিছু কাগজপত্র ঘাটছে।গম্ভীর ভাবে কিছু দেখছে।নিশি সেদিকে একবার চোখ বুলিয়ে ওর মায়ের কাছে গিয়ে বসে।
ওর মা ওর উপস্থিতি বুঝতে পেরে বললো,
—–কিছু বলবে?

নিশি নড়ে-চড়ে বললো,
—–হ্যা,মা তোমাকে কিছু বলার আছে।
যদি খুব বেশি ব্যস্ত না হও…

ওর মা হাতের কাগজগুলো রেখে চশমা খোলে দুচোখের মাঝে নাকের উপর দু আংগুল বুলিয়ে বললো,
—–বল।

—–মা সামুকে নিয়ে কিছু বলতে চাই।

নিশির মা সামুর নাম শুনতেই চমকে উঠে।তিনি বিচলিত হয়ে বললো,
—–কি হয়েছে সামুর?অসুস্থ নাকি?

—–ওহহ মা শুনবে তো আগে।না ও অসুস্থ না।আসলে আমি ওর বিয়ে,,মানে জয় ওর কাজিন রাজের সাথে সামুর বিয়ের কথা বলেছে।এখন যেহেতু আমরা ওর ফ্যামিলি তো….

আদি সবে সিড়ি বেয়ে নেমে ফুলবাবু সেজে বাইরে যাচ্ছে।ওদের কথোপকথন শুনে দাড়িয়ে গেলো।সামুর বিয়ের কথা শুনে ওর পিলে চমকে উঠেছে।কান খাড়া করে দাঁড়িয়ে পড়লো।

আদির মা বললো,
—–বিয়ে সামুর!! আর জয় হুট করে ওর কাজিনের জন্য….

—–মা ঠিক হুট করে না।আসলে রাজ সামুকে পছন্দ করে।জয়ের সাথে আমার যেদিন দেখা হয় তখন সামু আমার সাথে ছিলো সেখানে রাজও ছিলো।ওখানেই ওদের পরিচয়।ফ্রেন্ডশিপ।ওরা একে অপরকে চিনে।

—–তাই নাকি!! এতোকিছুর কিছুই তো আমি জানিনা।সামু যদি চায় আমরা কেন আপত্তি করবো?

—–আই হোপ সামু হ্যা বলবে।

—–তাহলে আর কি।

আদির কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে রাগে।মনে হচ্ছে এই লাইনগুলো ওর কানের ভেতরে গিয়ে জ্বলন্ত আগুনে পরিনত হয়েছে।যা এখন দাও দাও করে জ্বলছে।আর আশেপাশের সব জ্বালিয়ে দিবে।আদির রাগের স্বীকার হচ্ছে ওর হাতে থাকা ফোনটা।হাতের মুঠোয় চেপে ধরে আছে ফোন যেনো দুমড়ে মুচড়ে যাবে।
আদি ফুসফুস করছে রাগে।
“আচ্ছা এতো দূরর…তাই তো বলি আমাকে কেন পাত্তা দেয়না।আমার চয়েজ সে আর তার চয়েজ অন্য কেউ?এভাবে আমাকে সাইড হিরো বানানো হচ্ছে,আদিকে?সাচ এ জোক।এতো বড় অপমান আমি কিছুতেই মেনে নিবোনা।”

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে