তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব~৬

0
2341

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
……{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~৬

??
আদি এক দৃষ্টিতে মেঝের দিকে চেয়ে আছে।গভীর ভাবনায় বিভোর।আদি ঘাড় কাত করে চুল ঝাকি দিয়ে নিজেকে রিলেক্স করলো।
তারপর নিজেকে বলছে,
—–কুল আদি কুল।থার্ডক্লাশ একটা মেয়ের জন্য নিজের মুড কেন খারাপ করছিস।আজ সারাদিন পার্টি করবো।আদি আবার তার পুরনো লাইফে ব্যাক করবে।
আদি কাউকে ফোন করে বললো,
—–পার্টি এরেঞ্জ কর।আজ হোল ডে পার্টি করবো।পুরো খরচ আমার।

আদি রেডি হয়ে কড়া পারফিউম লাগিয়ে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে রহস্যময় হাসি দিলো।

আদি প্রচুর ড্রিংক করে বাড়ি ফিরেছে।তবে মাঝরাতে নয়।১১টার দিকে মাতাল অবস্থায় বাড়িতে ঢুলতে ঢুলতে ঢুকছে।সামু লিভিং রুমে বসে টিভি দেখছিলো।আদি কয়েক পা এগিয়ে ধপাস করে মেঝেতে পড়ে গেলো।
সামু শব্দ শুনে শব্দের উৎস খোজতেই আদিকে পড়ে থাকতে দেখলো।সামু বুঝতে পারেনি ড্রিংক করে ব্যালেন্স রাখতে না পেরে পড়ে গেছে।আদি মেঝে থেকে ঢুলতে ঢুলতে উঠে দাড়ালো।সামনেই সামুকে দাড়ানো দেখলো।সামু তখনও বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে।
আদি আবারও পড়ে যেতে নেও সামু এগিয়ে আসে।

আদি ইশারায় আংগুল তুলে বললো,
—–নো…
সামু দাঁড়িয়ে যায়।
আদি কিছুটা এগিয়ে বিরবির করে বললো,
—–আই হেইট ইউ।
আদির কথার ধরণ দেখে সামু বুঝতে পারলো আদি ড্রাংক।সামু সরে আদিকে রাস্তা দিলো।মাতাল মানুষের থেকে যত দূরে থাকা যায়।আদি সিড়ি বেয়ে উঠে গেলো।উঠে সেখানেই ধপ করে বসে পড়ল।সামান্তা কি করবে বুঝতে না পেরে উপরে উঠে নিশিকে ডাকলো।
নিশি আদির এই অবস্থা দেখে আদির পাশে বসে।
তারপর ফিসফিস করে বললো,
—–ভাইয়া,,এই ভাইয়া উঠো।রুমে চলো।

আদি আদো আদো চোখ খোলে বললো,
—–আমি যাবোনা,,,আদি কোথাও যাবেনা।দিস ইজ মাই হোম।

—–ভাইয়া বাবা দেখলে ঝামেলা হয়ে যাবে তুমি সেটা ভালো করেই জানো।

—–আদি কাউকে ভয় পায়না।ডাক বাবাকে,,আমি তাকে ভয় পাইনা।কই মি.আহনাফ চৌধুরী?ডাক তাকে..

নিশির আদির মুখ চেপে ধরলো।
—–ভাই ভাই চুপ করো।বাবা শুনতে পাবে।ভালো ছেলের মতো রুমে চলো।তারপর যা খুশি বলো।উঠে দাড়াও প্লিজ।

আদি নিশির সাথে উঠে দাড়ালো।নিশি আদিকে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে নিজের কাধে ভর করে।আদি আবারো পড়ে যেতে নিলে সামু ধরতে যায়।
আদি আবারো আংগুল আর চোখের দৃষ্টি দিয়ে সামুকে নিষেধ করে।
——স্টে এওয়ে ফ্রম মি।ডোন্ট ডেয়ার টু টাচ মি।

নিশি সামুকে বললো,
—–হুশে নেই।

সামু ইশারায় ইটস ওকে বুঝালো।নিশি আদিকে রুমে নিয়ে যাচ্ছে সেটা আদির বাবা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।নিশি ওর বাবাকে দেখে থমকে যায়।
নিশি ওর বাবার দিকে চেয়ে ঢুক গিলে।
—–বা,,বায়ায়া।(আমতা আমতা করে)

—–লাট সাহেবকে ঘরে দিয়ে এসো।যা কথা হবে আগামীকাল।(গম্ভীর মুখে)

আদি ওর বাবার কন্ঠ শুনে চোখ ছোট ছোট করে বাবার দিকে তাকালো।কিছু বলতে যাবে তখনই নিশি আদির মুখ চেপে ধরে।
তারপর রুমে নিয়ে শুইয়ে দিলো।
—–ভাইয়া চুপ করে ঘুমিয়ে পড়ো।

—–আই হেইট হার,,,(বিরবির করে)
নিশি কান পেতে শোনার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছু বুঝতে পারছেনা।

নিশি বিরক্তি নিয়ে বললো,দূরর….ঘোড়ার ডিম বলছে।

~সকাল~

নাস্তার টেবিলে থমথমে অবস্থা।সামান্তা ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নাস্তা করতে টেবিলে এসেছে।

আদির বাবা টোস্ট মুখে দিতে দিতে বললো,
——নবাবজাদা উঠে নি?

সবাই তার কথা শুনে হতবাক।আদি দুপুরের আগে উঠে না এটা এ বাড়ির সবাই জানে আর তিনি সাড়ে ৮টায় ছেলের খোঁজ নিচ্ছে।
নিশি বললো,
——বাবা ভাইয়া এতো তাড়াতাড়ি উঠে না।

—–ডেকে নিয়ে এসো।(গম্ভীর ভাবে)

সবাই বুঝতে পারছে খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে।নিশি ওর মায়ের দিকে অসহায় ফেস করে তাকালো।
—–মায়ের দিকে চেয়ে লাভ নেই।যাও ভাইকে ডেকে আনো।

নিশি উঠে আদিকে ডাকতে চলে গেলো।নিশি ১০মিনিটের মাথায় আদিকে নিয়ে আসে।
আদিকে তুলতে নিশির অনেক কষ্ট করতে হয়েছে কিন্তু বাবার কথা বলায় উঠে এসেছে।
আদিকে দেখে সামু উঠে যেতে নিলে আদির বাবা বাধা দেয়।
——নাস্তা কমপ্লিট করো।

সামান্তা আবার বসে পড়ল।নিচের দিকে চেয়ে হাজারো অস্বস্তি নিয়ে খাবার মুখে তুলছে।
আদি বাবার সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে দাড়ালো।গতকালের জন্য যে ওকে আজ লেকচার দিবে সে আগেই জানা আছে।

——তো শাহজাদা আদিল চৌধুরী,,বাপের বাদশাহীর ফয়দা আর কতদিন উঠাবেন?

আদি মাথা নিচু করে আছে।ওর বাবা ওকে পিন্স মেরে কথা বলছে চুপ থাকাই শ্রেয়।
আদির বাবা চেচিয়ে বললো,
—–স্পিক আপ…

আদি ওর বাবার দিকে একবার চেয়ে আবারো চুপ করে গেলো।
—–আমার ছেলে আমার রক্ত পানি করা টাকায় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঢুলতে ঢুলতে বাড়িতে ফিরে।ছিহ!! কিসের অভাব ওর?কিসের কমতি রেখেছি আমি ওর?
২৬বছর বয়স ওর।আর কবে নিজের ক্যারিয়ার গড়বে?কবে?এখন অফিসে যাবে,বিজনেস দেখবে।সবটা বুঝে নিবে।আমি আর কত করবো?বয়স হয়েছে আমার।
রাত ১০টার মধ্যে যেনো আমি তোমাকে বাড়িতে দেখি।নয়তো বাড়ির বাইরে আজীবনের মতো।মনে থাকে যেনো।
আদি চুপ করে আছে।সেটা দেখে আদির বাবা বললো,
—–কিছু বলছি তোমাকে।

আদি নিচুস্বরে বললো,
—–জ্বি শুনেছি।

তারপর আদির মাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
—–ছেলের দোষ আর কত আড়াল করবে?এই যে বাচ্চা মেয়েটা ওর এক্সিডেন্ট কিভাবে হয়েছে?

আদির বাবার কথা শুনে সামু চোখ তুলে তাকালো।বাকি সবার শ্বাস আটকে যাওয়ার উপক্রম।আদির মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।

—–সামান্তার এক্সিডেন্ট আদির গাড়িতে হয়েছে নাহ?কি সামান্তা?
সামান্তা আহনাফ চৌধুরীর দিকে ভীত দৃষ্টি নিয়ে তাকালো।একবার আদির দিকে চেয়ে আদির মায়ের দিকে তাকালো।তারপর আমতা আমতা করে বললো,
——জ্বিনা আংকেল।

আদির বাবা মুচকি হাসলো।তারপর নরম স্বরে বললো,
——বাহ,,আমার গুনধর ছেলেকে প্রটেক্ট করার অনেক লোক আছে।
কিন্তু সামান্তা তুমি কি জানো কার জন্য মিথ্যা বলছো?ও মানুষরুপি একটা অমানুষ।ও নিজের জেদ,রাগ আর অহংকার বজায় রাখতে যেকোনো লেভেল পার করে দিবে।নিজের জেদে যে কাউকে তছনছ করে দিবে।ও বিষাক্ত সাপ।বুঝেছো?

আদির বাবা টিস্যু দিয়ে নিজের মুখ মুছে উঠে গেলো।অফিসের জন্য বেরিয়ে গেলো।
আদির বাবা মেইনডোর পার হতেই আদি টেবিল থেকে গ্লাস নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মারে।হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই ছুড়ে মারছে।
আদির মা আদিকে থামতে বলছে।
আদি সামান্তার সামনে গিয়ে মুখে হিংস্রতা ফুটিয়ে বললো,
—–হ্যাপি নাও?খুশি হয়েছো?এটাই তো চেয়েছিলে?

আদির কথায় সামু ভরকে গেলো।সামুকে আদি এসব কেন বলছে বুঝতে পারছেনা।
আদির মা আদিকে টেনে সরিয়ে বললো,
—–বিহেভিয়ার ঠিক করো।কাকে কি বলছো,কেন বলছো?

আদি চিতকার করে বললো,
—–ঠিকই বলছি।ওর জন্য… ওর জন্য,,আজ আমার লাইফ হেল হয়ে গেছে।এ সব কিছুর জন্য ও দায়ী।যেদিন থেকে আমার লাইফে এসেছে সব এলোমেলো হয়ে গেছে।ভালোই তো ছিলাম কিন্তু ও এসে সব শেষ করে দিয়েছে।

আদির মা বললো,
—–আদি ও কিছু করে নি।যা করার তুমি করেছো।

সামুর চোখ ছলছল করছে।গলায় কিছু একটা দলা পাকিয়ে রয়েছে।এখানে ওর দোষটা কই সেটা বুঝার চেষ্টা করছে।

আদি আবারো বললো,
—–আমার গাড়িতে এক্সিডেন্ট হয়েছে এর বেনিফিট কি ও পায়নি?টেল মি।
ওর ট্রিটমেন্ট এর খরচ আমার ফ্যামিলি দিয়েছে।ও আমার বাড়িতে থাকছে,পড়ছে।আমার ফ্যামিলি ওর পুরো দায়িত্ব নিয়েছে।বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা মেয়ে যার যাওয়ার জায়গা নেই সে আমাদের বাড়িতে আরামসে থাকছে রানীর মতো।

সামান্তা আর নিজেকে সামলে নিতে পারছেনা।সামান্তার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।আদির মা আদিকে চুপ করালো।
—–আদি স্টপ..!!ফর দ্যা গট সেক।

আদির মা সামুর কাছে গিয়ে দাড়ালো।
—–সামু!!ও এখন রেগে আছে।রেগে গেলে কন্ট্রোললেস হয়ে পড়ে।কি বলে বুঝতে পারেনা।

সামু চোখের পানি মুছে বললো,
——ইটস ওকে আন্টি।উনি তো ভুল কিছু বলেনি।
সামু আর ভার্সিটি যায়নি।নিজের রুমে চলে গেলো।

সামু যেতেই আদির মা বললো,
—–কোথায় কখন,কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা এতো বছরেও শিখলে না।নিজের সমস্ত রাগ ওর উপর ঢাললে।ছিহ!শেম অফ ইউ।
আদির মা আর নিশি দুজনেই বিরক্তি নিয়ে চলে গেলো।

আদি প্রথমত সামুর উপর রেগে ছিলো।আর ওর বাবা ওকে এতগুলো কথা শুনালো।সব ডিপ্রেশন আর রাগ সামুর উপর ঢেলে দিলো।আদিও দ্রুত পায়ে উপরে চলে গেলো।
নিজের বেডে গিয়ে বসে নিচের ঘটনা মনে করলো।
“বেশ করেছি আমি বেশ করেছি।আমাকে কষ্ট দিয়ে নিজে ভালো থাকবে?নেভার।আমি ওর লাইফ ছাড়খার করে দেবো।”

সামু ওয়াশরুমে বেসিনের উপর ভর ছেড়ে দাড়িয়ে অঝোরে কাদছে।এতোক্ষণ সবার সামনে চোখের পানি আটকে রাখার চেষ্টা করেছে।তারপর নিরবে চোখের পানি ফেলেছে।এখন শব্দ করে কাদছে।ওর ভিতর চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
খুব কষ্ট হচ্ছে।কষ্টগুলো কান্না হয়ে ঝড়ছে।

.

সামু অন্ধকারে গার্ডেনে বসে আছে।আকাশের দিকে চেয়ে আছে।মানুষ অকারণে আকাশ দেখেনা।যখন খুব অস্থিরতায় ভুগে কিংবা একাকিত্ব বোধ করে তখন আকাশকে তার সঙ্গী ভাবে।সব অভিযোগ নিয়ে বসে।একে একে মনে জমে থাকা হাজারো অভিযোগ ছুড়ে দেয়।সামুও তাই করছে।
“আমি কাকে বলবো?কাকে অভিযোগ করবো?যখন এ শহরের মানুষগুলো দুঃখে জর্জরিত।যেখানে প্রতিনিয়ত তাদের ভারী দীর্ঘশ্বাস দেয়ালে চাপা পড়ে যায়।যেখানে কেউ তাদের আর্তনাদ শুনতে পায়না।দীর্ঘশ্বাস গুলো জড়ো হতে হতে বিষাক্ত হয়ে পড়ে।যেখানে সুস্থ মানুষও মুক্তভাবে শ্বাস নিতে পারেনা।প্রয়োজন বোধে শ্বাস নিতে গিয়ে তাদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে কষ্টের কালো ছায়া।
আম্মু আমাকে কেন এই নির্মম পৃথিবীতে একা ফেলে গেলে?যেখানে একজন বাবাও তার মেয়ের হতে পারেনা।শুধু নিজের হয়।আজ খুব একা লাগছে।খুব একা।”

সামু নিজের চোখের পানি মুছে নিলো।
কাধে আরো স্পর্শ পেলো।সামু ঘুরে নিশিকে দেখতে পায়।নিশি ওর পাশে বসে বললো,
—–জানি খুব কষ্ট পেয়েছিস।পাওয়ারই কথা।ভাইয়ার কথার ধরণই এমন।আমরা অভস্ত্য হয়ে গেছি।কিন্তু তুই তো আর এসবে অভস্ত্য না।প্লিজ ভাইয়ার কথা মনে ধরে বসে থাকিস না।আমি মা,বাবা তোকে খুব ভালোবাসি।কোনো দয়া আমরা করছিনা।সবটাই ভালোবাসা।তোকে ফ্যামিলির একজন মনে করি।

সামান্তা স্নান হেসে বললো,
—-আমি ঠিক আছি।

—–চল তোর মন ভালো করে দেই।তোর হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিবো।চল।

.

সামু গভীরঘুমে আচ্ছন্ন।ঘুমের মধ্যে মনে হচ্ছে কেউ ওকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।কারো উষ্ণ নিশ্বাস ওর উপর পড়ছে।সামু চোখ মেলতে চাইছে কিন্তু পারছেনা।মনে হচ্ছে দুচোখের পাতায় আঠা লাগানো।
আদি সামুর পাশে বসে আছে।ওকে গভীর ভাবে দেখছে।ওর গালে আলতো করে হাত রাখলো।গালে দাগ পড়ে গেছে।বুঝাই যাচ্ছে কেদেছে খুব।আদি চোখের পানির দাগে হাত দিয়ে স্লাইড করছে।
আদি সামুর কপালে ঠোঁট ছোয়াতে গিয়ে থেমে গেলো।হটাৎ মনে পড়লো ওর আর রাজের কথা।
আদি উঠে দরজা খোলে বেরিয়ে গেলো।
কিছুক্ষণ পর সামান্তা চোখ মেললো।ওর মনে হচ্ছে কেউ ছিলো।কেউ ওকে ছুয়েছে।সামান্তা হাতরে সেলফোন নিয়ে লাইট অন করে আশেপাশে দেখলো।কাউকে না পেয়ে ভাবলো হয়তো স্বপ্ন ছিলো।

আদি নিজের রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
“যা আদির নয়,তা কারো নয়।দরকার পড়লে আমি সেই জিনিসটাই উপড়ে ফেলবো।ধ্বংস করে দেবো।”
বলেই আদি বাকা হাসলো।

চলবে…

[লেখিকা এই সিজনে আদিকে ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে।?? আদি নিজেই ভিলেন হয়েছে,আমি বানাইনি??]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে