তোমায় ঘিরে পর্ব-০৯

0
1084

#তোমায়_ঘিরে❤️
#Labiba_Islam_Roja
#Part_09
.
.
🥀সবাই অবাক হয়ে একসাথে বলে উঠলেন মেহরীমা…!!
.
হুমম মেহরীমা!!ও ই নীলাভকে বাঁচিয়েছে।
.
অবাক হয়ে উনাদের কথা শুনে চলেছি আমি।এরমধ্যে এতকিছু হয়ে গেছে।ইসস!!লোকটা কতটা কষ্টই না সহ্য করেছে।কিছুটা থেমে আবারও বলতে শুরু করলেন উনি…..
.
সেদিন মেহরীমা নীলাভকে এডমিট করে চলে আসার পর হসপিটালে পৌছাই আমি তখনও সেন্সলেস ছিলো নীলাভ।আমি পৌছানোর কিছুক্ষণ পর সেন্স ফিরে আসে ওর।তখন ওকে অটিতে শিফট করার আগে আমার হাত ধরে বলে…..
.
★ফ্লাশব্যাক

_______ভাই আমি হয়তো আর বাচঁব না!!কিন্তু কিছু কথা জানা প্রয়োজন তোর।আমার এই অবস্থা কেন…?কারা করলো…?কেন করলো…?সবকিছু তোর জানা প্রয়োজন।আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি।নাদিরা জানে ব্যাপারটা।এতদিন জানতাম মেহরুও আমাকে ভালোবাসে।কিন্তু আজ জানতে পারলাম ও আমাকে ভুলে নিজের বাবার ঠিক করা ছেলেকে বিয়ে করছে।ভাই ও আমার সাথে ছলনা করেছে,ঠকিয়েছে আমায়।সব মেয়েরাই লোভী!!তার প্রমাণ পেয়ে গেছে আমি।শুনেছি আমার থেকে এস্টাবলিশ ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে যার কারণে আমাকে ভুলে গেছে।তাই এখন আমাকে মেরে ফেলার জন্য ওর বাবাকে বলেছে।কারণ ও জানে আমি থাকতে ওর বিয়ে পৃথিবীর কারো সাথে হতে দেবো না আমি।তাই আমাকেই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলো।আমরা যে একে অপরকে ভালোবাসি আগে থেকেই ওর বাবা ব্যাপারটা মানতে পারেন নি।তাই ওকে ছাড়ার জন্য আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে এসেছেন কিন্তু আমি পিছু হটি নি।এখন মেহরু প্রেগন্যান্ট আমার রুমে ওর প্রেগন্যান্সি রেস্টের রিপোর্টও রয়েছে।ওই সন্তানকে তুই বাঁচিয়ে রাখিস প্লিজ।তুই আমায় কথা দে ওর কোনো ক্ষতি হতে দিবি না।যেভাবেই হোক ওকে পৃথিবীর আলো দেখতে দিবি।জানিস!! মেহরু ওর আগমনে অনেক খুশী হয়েছিলো অনেক স্বপ্ন দেখেছি ওই বাচ্চাটাকে নিয়ে কিন্তু এখন জানিনা কি হলো ওর।আরেকটা কথা ওকে জন্ম দেওয়ার পর মেহরু যা চায় তাই ওকে করতে দিস আটকে রাখিস না।আর আমার সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করিস প্লিজ!!
.
তুই কিচ্ছু চিন্তা করিস না ভাই!!কিচ্ছু হবে না তোর।আর তোর সন্তানেরও কিচ্ছু হতে দেবো না আমি।নীলাভের অবস্থা দেখে চোখে পানি চলে এসেছে আমার।চোখের পানি ফেলতে ফেলতে…..এতদিন আমাদের কেন জানাসনি ভাই।তাহলে এসব কিছুই হতো না!
.
আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিস না!!আমি জানি আমার সাথে কি হতে চলেছে।তোকে না জানিয়ে ভুল করেছি।ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু হলো না।কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে রে ভাই।গলায় জড়িয়ে যাচ্ছে বারবার।চোখগুলো বুঝে আসছে আর চেয়ে থাকতে পারছিনা।ভাই তুই আমার বাচ্চাটাকে বাঁচাবি তো!!
.
হুম বাঁচাবো তোকে কথা দিচ্ছি আমি।আচ্ছা মেয়েটার নাম কি…?বাসা কোথায়…?ওর কোনো ছবি আছে তোর কাছে…?
.
ওওর নাম মেহরু!!উওরায় থাকে।সামনের মাসের ১২ তারিখ ওর বিবিয়ে।আমার ফোনে ওর অনেকগুলো ছবি ছিলো কিন্তু ওরা ভেঙ্গে দিয়েছে।আরেকটা কথা ওর সাথে আমার রে…….
.
★বর্তমানে……
.
আর কিছু বলার আগেই আবারও সেন্সলেস হয়ে যায় নীলাভ!!তারপর আর চোখ খুলেনি।আমি চিৎকার করে পাগলের মতো ওকে ডেকেছি কিন্তু সেই ডাক ওর কান পর্যন্ত পৌঁছায় নি।কি ভয়ংকর সেই দিনগুলি এখনও মনে হলে শিউরে উঠি আমি।এরপর কেটে গেছে অনেকদিন।এখন নীলাভ অনেকটাই সুস্থ।কয়েকদিন পর বাড়ীও ফিরে আসবে।
.
কিন্তু সেই মেহরু যাকে খুঁজে বার করা কঠিন হয়ে পড়েছিলো আমার জন্য।শুধুমাএ একটা নাম আর উওরায় থাকে এইটুকুই জানতাম আমি।এইটুকু দিয়ে কি আর মানুষ খোঁজা যায়…?কিন্তু তাও হাল ছাড়িনি আমার সব লোক লাগিয়ে খোঁজে চলেছি।পুলিশও তদন্ত করে কিছু বলতে পারেনি।
.
দুইদিন পর রিসেপশনিস্টের কাছ থেকে জানতে পারি একটা মেয়ে তার হবু বরকে নিয়ে নীলাভকে এডমিট করে গেছে।কিন্তু বেশিক্ষণ দাঁড়ায় নি প্রচন্ড রকমের তাড়াহুড়োয় ছিলো তারা।এডমিট ফরমে দেখতে পাই মেয়েটির নাম মেহরীমা নূর!!তাড়াতাড়ি করে বাসায় ফিরে আসি নীলাভের রুম থেকে তন্নতন্ন করে প্রেগন্যান্সি টেস্টের রিপোর্ট বের করি আর সেখানেও পেশেন্টের নাম “মেহরীমা”!!ব্যস ঝটলা বাধে ওখানেই।হসপিটালের লিস্টের “মেহরীমা” আর প্রেগন্যান্সি রিপোর্টের “মেহরীমা” আমার কাছে মনে হয়েছিলো একই।আমি এটা ভেবেই নেই যেহেতু উডবি হাসবেন্ড নিয়ে এসেছিলো সেহেতু মেয়েটি নীলাভের গার্লফ্রেন্ড মেহরুই ছিলো।তারপর একজন আর্টিস্টকে ডেকে এনে রিসেপশনিস্টের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী মেয়েটির ছবি আঁকাই।সেই ছবিটা আর কারোর নয় মেহরীমারই!!
.
চুপচাপ উনার কথাগুলো শুনছি আমি।সবাই বেশ চুপচাপ!!কারো মুখে কোনো কথা নেই।সবার দৃষ্টি এখন উনার উপরেই স্থির।কিছুক্ষণ শ্বাস টেনে আবারও বলতে লাগলেন উনি……
.
আমার সব লোক লাগিয়ে দেই উওরার অলিতে গলিতে।১২ তারিখ কোন মেহরীমার বিয়ে সেটা জানার জন্য।এরপর খুঁজে পাই মেহরীমাকে।হ্যাঁ বর্তমানে যে আমার স্ত্রী সেই মেহরীমা নূর কে!!
.
নাদিরাঃভাইয়া তার মানে তুই মেহরু ভেবে বউমণিকে…..
.
হুমম!!নীলাভের অবস্থা তখন খুব খারাপ ছিলো।কোমায় চলে গিয়েছিলো ও। ডক্টর এটাও বলে দিয়েছিলো ওর বাঁচার আশা একদম নেই বললেই চলে।তাই বাচ্চাটাকে পৃথিবীর সামনে নামহীন ভাবে আসতে দিতে চাই নি আর ওর বাবার উপরে রাগ থাকায় ওর বাবাকে কিডন্যাপ করে মেহরীমাকে বিয়ে করি আমি।ভেবেছিলাম নীলাভের কথা মতো বাচ্চা জন্মানোর পর ওকে ডিভোর্স দিয়ে দেবো।আর যদি এরমধ্যে নীলাভ সুস্থ হয়ে যায় তখন মেহরু ওর সাথে থাকতে চাইলে থাকবে সেটা ওদের সিদ্ধান্ত।মেহরীমা কে কিছু খুলে বলতে চাই নি।যেহেতু আমি নীলাভের কিছু হই জানে না সেহেতু নীলাভের পরিচয় দিতে চাই নি।তাই এই ব্যাপারে কখনোই ওর সাথে কথা বলিনি আমি।চেয়েছিলাম নীলাভের সাথে অন্যায়ের প্রত্যেকটা আঘাতের বদলা নিতে কিন্তু পারিনি।বার বার হিংস্র হতে গিয়েও কোথায় যেন আটকে গেছি।কিন্তু ওর রোজকার ব্যবহার অবাক করতো আমায়।যখন কনফিডেন্টলি বলতো ও প্রেগন্যান্ট নয় তখন কিছুটা সন্দেহ হতো আমার।প্রথমে ব্যাপারটা নজর না দিলেও পরে ওর আচার ব্যবহার আমাকে বাধ্য করে ভাবতে কোনো ভুল করে ফেলি নি তো আমি।আমার ধারণার সাথে রামীমও একমত জানায়।তাই আবারও মেহরুর খোঁজ শুরু করি।নীলাভের বন্ধুদের সাথে এ নিয়ে কথা বলি কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারে না।অবশেষে নীলাভের এক বান্ধবীর কল্যাণে ওর সম্পর্কে জানতে পারি।সে মেহরুর ঠিকানা দেয় এবং জানায় যে ১২ তারিখ ওর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো তার দুইদিন আগে মেহরু পালিয়ে ওর কাছে আসে।কয়েকদিন থাকার পর পরশু ওকে ওর বাবা তুলে নিয়ে যায়।বাচ্চার ব্যাপারটা ওর ফ্যামিলি জানতো না মেহরু ভয়ে জানায় নি।কিন্তু যখন জানতে পেরেছে তখন অ্যাবরশনের জন্য অনেক অত্যাচার করে।হসপিটাল পর্যন্ত নিয়ে যায় সেখানে ডক্টরের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে কোনোমতে ওকে বাঁচিয়েছে।সব প্ল্যান রেডি করে ঠিকানা জোগাড় করে দুপুরে রামীম কল দেয় তখনই ওদের বাসায় গিয়ে আজ ওকে তুলে এনেছি আর তখনই আরেকটি সত্যি সামনে এসেছে আমার।
.
সবাই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে উনার দিকে।আর কোন সত্যি জানতে পেরেছেন উনি…..!!
.
নীলাভ আর মেহরু বিবাহিত!!নীলাভ আমাকে যেই কথাটা শেষে বলেছিলো রে….কিন্তু আর বলতে পারেনি।সেটা হলো ওরা লুকিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছিলো আর ওদের ভালোবাসার ফসল ওই বাচ্চা।যেহেতু মেহরু আমাদের বাড়ীর বউ সেহেতু তেমন ঝামেলা করতে পারে নি।ইজিলি ওকে নিয়ে আসতে পেরেছি পুলিশ ওর বাবাকে এরেস্ট করেছে।উনার কৃতকর্মের ফল এবার পাবেন উনি।
.
উনার কথা শুনে অবাকের পর অবাক হচ্ছি আমি।আমাকে এখানে আনার পেছনে এত কাহিনী।তার মানে আমার সাথে যা হয়েছে বিয়ে, প্রেগন্যান্ট সব উনার মিস্টেকের কারণে হয়েছে।উনার একটা ভুল আমার পুরো লাইফ শেষ…!!
.
এই হলো মেহরীমা নূর আর মেহরু নীলাভের কাহিনী।যেই কাহিনী শুরু হয়েছে মেহরুকে নিয়ে আর আমি শেষ করেছি মেহরীমাকে দিয়ে।শুধু নামটাই এক মানুষ ভিন্ন।এই সবকিছুর মধ্যে আমাদের উপকার করেও বিনা দোষে শাস্তি পেয়েছে মেহরীমা!!যা ওকে দিয়েছি আমি।অন্যায় করেছি,চরম অন্যায়!!জোর করে বিয়ে করেছি,ওর বাবা মা’র কাছে ওকে খারাপ প্রমাণ করে দিয়েছি।বিয়ে ভেঙ্গেছি কিন্তু বিয়ে ভাঙ্গার জন্য আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ রাফি ছেলেটার ক্যারেক্টার ভালো ছিলো না।তাই এইজন্য আমি অনুতপ্তও নই।কিন্তু বাকী সবগুলো কাজের জন্য ওর কাছে অপরাধী আমি।আজ ওর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মতো মুখও নেই আমার।কারো জীবন নষ্ট করে ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাওয়াটাও নিতান্তই হাস্যকর।তবে এটাও ঠিক মানুষ মাএই ভুল।ভুল করা মানুষের সহজাত প্রবৃওি।কোনো মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়!!

“যার ভুল হয় সে মানুষ,যে ভুলের উপর স্থির থাকে সে হলো শয়তান।আর যে ভুলের পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়,সে মুমিন”…!!

মেহরীমার সাথে অন্যায় করেছি তার জন্য অনুতাপ অনুশোচনায় ভুগছি আমি।যা করেছি একদম ঠিক হয়নি আামর।মেহরীমা আমায় করবে তো ক্ষমা তুমি…?
.
উনার কথা শুনে বাকরুদ্ধ আমি!!এই মূহুর্তে কি বলা উচিৎ যেন সেই বোধবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছি আমি।মাথা পুরো হ্যাং হয়ে আছে আমার।আমি জানি ক্ষমা মহৎ গুণ।অনেক সময় ক্ষমার অযোগ্য লোককেও ক্ষমা করতে হয় এই প্রত্যাশায়….

” যে আল্লাহ তা’য়ালাও আমার ক্ষমার অযোগ্য অপরাধগুলোও ক্ষমা করে দেবেন”….!!
.
আমাকে চুপচাপ থাকতে দেখে আমার কাছে এগিয়ে আসলেন আন্টি….মাথায় হাত রেখে বলে উঠলেন….!!
.
তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা জানা নেই আমার মা।তুমি আমার ছেলের জীবন বাঁচিয়েছো।কিন্তু প্রতিদানে আমরা কি দিয়েছি বলেই আমাকে জড়িয়ে কেঁদে উঠলেন উনি….উনাকে জড়িয়ে চোখের পানি ফেলছি আমিও।এতক্ষণ নিজেকে পাথরের মূর্তির ন্যায় রাখলেও এখন নিজেকে আটকাতে ব্যর্থ আমি।খুব শব্দ করেই কেঁদে উঠলাম আমি। আমার সাথে সুর মিলাচ্ছেন উনিও।অনেকক্ষণ কান্নাকাটির পর আমাকে ছেড়ে দু’হাতে চোখে মুছে দিলেন উনি….
.
আমি জানি মা যা হয়েছে ভুল হয়েছে।কিন্তু একটা বিয়ে তো মুখের কথা নয়।আরাভ এখন তোমার স্বামী।একজন স্ত্রী হিসাবে তুমি কি পারো না তোমার স্বামীর অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো ক্ষমা করে ওকে নিয়ে সুন্দর করে বাঁচতে।আর যদি চাও তুমি এই জোর করে হওয়া সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে যেতে তাহলে…..আরাভের মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বললেন না উনি।আমার অনুরোধ থাকলো তোমার কাছে তুমি ওকে ক্ষমা করে দিও।
.
রামীম ভাইয়া নাদিরা সবারই এক কথা।উনাকে যেন ক্ষমা করে দেই আমি।সবকিছু ভুলে উনার সাথে নতুন করে শুরু করি।কিন্তু তা কি আদৌও সম্ভব…….!!
.
.
সকালে সোনালি আলো চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার।আড়মোড়া ভেঙ্গে বিছানায় উঠে হাই তুলে বসলাম আমি।এরইমধ্যে কেটে গেছে ছয় ছয়টি মাস।ছ’টা মাস হয়তো খুব কম সময় কিন্তু এই ছ’মাসে আমার সাথে ঘটে গেছে অনেক কিছু।আনমনে এসব ভাবছি তখনই ফোনের স্কিনে ভেসে উঠলো রিদিতার নাম।ওহ্ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েটার বিয়ে পরশু।আজকে ওর বাসায় যাওয়ার কথা আমার।ফোন তুলে ওর ঝাড়ি খাওয়ার আগেই বলে উঠলাম আধঘন্টার মধ্যে আসছি।আমার কথায় মিষ্টি হাসলো রিদি।ফোন রেখে ফ্রেশ হয়ে আম্মুকে বিদায় জানিয়ে ভাইয়ার সাথে রিদিতার বাসার পাড়ি জমালাম আমি।বিয়ে বাড়ী চারিদিকে আত্মীয় স্বজনে ভরপুর।উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে পুরো বাড়ীর লোকজন।হঠাৎ পেছনে কারো ডাক পেয়ে থেমে গেলাম। পেছনে তাকিয়ে এমন কাউকে দেখবো কখনও ভাবতেও পারিনি আমি….!!
.
.
#চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে