তোমায় ঘিরে পর্ব-০৮

0
1080

#তোমায়_ঘিরে❤️
#Labiba_Islam_Roja
#Part_08
.
.
🥀
এভাবে কেটে গেছে বেশ কিছুদিন।প্রয়োজন ছাড়া এখন আমার সাথে খুব একটা কথা বলেন না উনি।সকালে অফিস যান রাএে এসে খেয়েই শুয়ে পড়েন।এই ক’দিনে বাচ্চার ব্যাপারটা একেবারে ধামাচাপা পড়ে গেছে।যার কারণে অনেকটা বেটার ফিল করছি আমি।তবে একটা জিনিস লক্ষণীয় আমার সাথে এখন খারাপ আচরণ করেন না উনি।বাসায় ফিরলেও কেমন একটা দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুরেন ।প্রায়ই একা একা কি যেন বিড়বিড় করতে থাকেন।তাছাড়া রামীম ভাইয়ার সাথে ফোনে বাসায় কি যেন ফুসুরফুসুর করেন আমাকে দেখলেই দুজনে চুপ যা নজর এড়ায়নি আমার এটা নিয়ে কখনও জিজ্ঞেস ও করা হয়নি উনাকে।হয়তো উনাদের পারসোনাল কোনো কথা বার্তা হবে।যা শোনার প্রয়োজন নেই আমার।হঠাৎ একদিন আমার কাছে এসে আমার বাবার নাম জানতে চাইলেন উনি…..উনার এমন প্রশ্নে চরম আশ্চর্য আমি।হঠাৎ আমার বাবার নাম নিয়ে পড়লেন কেন উনি….উনার দিকে হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে আছি আমি।শার্টের হাত ফোল্ড করতে করতে আবারও বলে উঠলেন উনি…..
.
আমি জানতাম কিন্তু এখন ভুলে গেছি….কি যেন নাম তোমার বাবার…?
.
আকাশ আহমেদ!
.
ওহ্হ!!আই নো!আচ্ছা ভালো করে দেখে বলতো তুমি এনাকে চিনো কি না….?বা কোথাও দেখেছো এরকম টাইপ কিছু বলে ফোন এগিয়ে দিলেন উনি।ফোন হাতে নিয়ে স্কিনে তাকালাম আমি।ইয়াং সুদর্শন একজন যুবক।মুখে একগাল হাসি নিয়ে গাড়ীর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।চেহারার কোথাও যেন উনার সাথে ছেলেটার কিছুটা মিল আছে।আমি কিছুক্ষণ পিকটা পর্যবেক্ষণ করে বলে উঠলাম “না আমি উনাকে চিনি না”!!
.
ওকে নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে ছেলেটা কে…?আর ওর ছবি তোমাকেই বা দেখালাম কেন আমি।বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছি আমি উনি কি করে জানলেন এই প্রশ্ন ঘোর পাক খাচ্ছে আমার মাথায়!!
.
কি তাই তো!!
.
হুমম!!
.
ও হলো নীলাভ!নাদিরার ভাই!বয়সে আমার বড় তবে আমরা সমবয়সী।তোমাকে দেখানোর উদ্দেশ্য এটাই যেহেতু তুমি এখন এই বাড়ীর সদস্য তাই সবার সাথে তোমার পরিচয় থাকা উচিৎ।ভেবেছিলাম নাদিরা ওকে তোমায় দেখিয়েছে কিন্তু এখন দেখছি না দেখায় নি।আচ্ছা তুমি সিওর তুমি ওকে চিনো না…?ভেবে বলো!!
.
ভালোভাবে মনে করার চেষ্টা করলাম ” নাহ” চিনি না তো আমি।
.
আচ্ছা কিছুদিন আগে হাইওয়ে থেকে একটা ছেলেকে তুমি হসপিটালে এডমিট করেছিলে মনে আছে তোমার….?
.
মাথায় চাপ দিতেই মনে পড়ে গেলো আমার হুম মনে আছে তো!এটা কি ভুলার কথা নাকি!জানেন একদিন আমি আর রাফি মিলে একটা ছেলেকে হাইওয়ে তে পাই রক্তাক্ত কি ভয়ংকর অবস্থা হয়েছিলো উনার।তারপর উনাকে নিয়ে এডমিট করি এবং উনার ফর্ম ফিল আপ করে রাফির তাড়াহুড়ায় চলে আসি।সামনে আমাদের বিয়ে তাই ও নিজেকে কোনো ঝামেলায় জড়াতে চায় নি।তারপর কোনো খোঁজ নেই নি মাথা থেকেই বেড়িয়ে গিয়েছিলো।তবে এটা মনে আছে ডক্টর রা বলে দিয়েছিলো বাঁচার চান্স নেই।আচ্ছা এটা আপনি জানলেন কি করে….?
.
হুমম!!কারণ ওই ছেলে আর কেউ নয় নীলাভ ছিলো!!ওইদিন তোমার কল্যাণেই আজও জীবিত ও।যদি ওকে ওই সময় হসপিটাল না নিয়ে যেতে তাহলে হয়তো…..
.
আচ্ছা উনি এখন কোথায়…?মানে বেঁচে আছেন তাই তো!! তাহলে বাসায় নেই কেন…?
.
হুমম বেঁচে আছে!!কিন্তু এখন একটু অসুস্থ হসপিটালে আছে।কয়েকদিনের ভিতরেই বাড়ী ফিরে আসবে।
.
ওহ্হ মাই গড!!যাক বেঁচে আছেন।আচ্ছা উনার এই অবস্থা হলো কি করে…?
.
বলবো!!সময় হলে সব বলবো।আচ্ছা মেহরীমা!একটু অন্যমনষ্ক হয়ে তুমি যদি জানতে পারো আমি না জেনে তোমার উপর অন্যায় করেছি তখন কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে তুমি….!!
.
উনার কথায় সেই লেভের শকড আমি।কি বলছেন উনি।মানে!!
.
না কিছু না!!বাদ দাও। তোমাকে কিছু কথা বলবো জানিনা কথাগুলো কিভাবে নেবে তুমি।তবুও আজ বলতে হবে আমায়।
.
কিসের কথা বলছেন আপনি…?
.
বলবো কিন্তু তার আগে এক কাপ কফি দিতে পারবে আমায়…?
.
এই প্রথম এমন শীতল কন্ঠে আমার কাছে কিছু চাইলেন উনি।লোকটা দিন দিন কেমন যেন পাল্টে যাচ্ছে।আগের মতো রাগ দেখান না উনি।বেশির ভাগ সময়ই চুপচাপ থাকেন।উনার এই বদলের কারণটা অজানা আমার।কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম আমি গন্তব্য রান্নাঘর।সেখানে গিয়ে কফি বানাচ্ছি তখনই তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন উনি।উনাকে বেড়িয়ে যেতে দেখে দরজা আটকে সোফায় বসে টিভি দেখতে লাগলাম আমি।নাদিরা বাসায় নেই।আন্টিও কোথাও একটা বেড়িছেন।টিভি দেখতে দেখতে কখন যে চোখটা লেগে গিয়েছিলো টেরই পাইনি আমি।হঠাৎ কলিংবেলের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো আমার…..এই সময়ে কে আসলো অসহ্যকর!!নিশ্চয় উনি ফিরেছেন।কলিংবেল বেজে চলেছে অনবরত।দরজা খুলতে মাএ কয়েক সেকেন্ড দেরি হয়েছে আমার তার মধ্যেই এত ডাকাডাকি দরজা খুলেই…..
.
আরে আপনি এতবার বেল বাজাচ্ছেন কেন…?মাএ ৩০ সেকেন্ডে ৩০ বার আল্লাহ গো!!কথাগুলো বলেই দরজার সামনে থাকা মানুষটার দিকে তাকালাম।দরজার সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে হাই ভোল্টেজের শক খেলাম আমি।ধুর কাকে কি বকছি।দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন মেয়ে।মোটামুটি আমার বয়সেরই হবেন উনি।গায়ের রং আমার মতোই বা একটু ফর্সা হবেন।হাইট একদম আমার মতো।একি ইনি কে…?জিব্বায় কামড় কেটে কাকে এতগুলো কথা শুনিয়ে দিলাম আমি!!ইয়ে মানে…!!আমতা আমতা করে সরি আমি ভেবেছিলাম আমার হাসবেন্ড এসেছেন…!!
.
ওহহ!!মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিয়ে ইট’স ওকে!!নো প্রবলেম।
.
পেছন থেকে বললেন রামীম ভাইয়া….হ্যাঁ তোমার হাসবেন্ডও আছে তবে কিছুটা পেছনে।যদিও ঝাড়িটা আরাভের প্রাপ্য ছিলো কিন্তু বেড লাক এখন ও নিয়ে নিলো বলে হাসতে লাগলেন উনি।একটুপর পেছন থেকে সামনে এলেন উনি।দরজা ছেড়ে কিছুটা দূরে দাঁড়ালাম আমি।উনারা তিনজনে ঢুকে পড়লেন রুমে।একটাই প্রশ্ন আমার মেয়েটা কে…?উনাকে আনতেই কি হন্তদন্ত হয়ে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন উনি।মেয়েটাকে সোফায় বসিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন উনি…..
.
শোন ওকে তোমার একটা থ্রি-পিছ দাও।ফ্রেশ হয়ে আসুক।তারপর খেতে দিও।আজ থেকে ও আমাদের সাথেই থাকবে।আমাদের পাশের রুমটায় ওর থাকার ব্যবস্থা করে দাও।উনার কথায় মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম আমি।তারপর মেয়েটাকে বললেন উনি….ডোন্ট ওরি এখন তুমি সেইফ!ভয় পেও না।আর কেউ চাইলেও তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।যাও ফ্রেশ হয়ে আসো তারপর একসাথে লাঞ্চ করবো।
.
মেয়েটা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো থ্যাংকস ভাইয়া!!আপনি না থাকলে হয়তো আজ আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত।এই উপকার কোনোদিনও ভুলবো না আমি।
.
উপকার আর কেথায় করলাম বলো!!যা আমার অনেকদিন আগে করার কথা ছিলো তা আজ করেছি।অনেক দেরি হয়ে গেলো।আমার জন্য অনেক সাফার করেছো তুমি।ইউ নো তোমাকে উদ্ধার করে এখন একটু শান্তি লাগছে আমার।তবে অপরাধবোধেও ভুগছি।দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভুল করেছি,অনেক বড় ভুল করেছি জানিনা এর থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবো আমি!আমার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বললেন উনি।
.
না ভাইয়া এতে আপনার কোনো দোষ নেই!!মানুষ মাএই ভুল!!যা ভুল করেছেন সেটা এবার সুধরে নিন।
.
হুম আচ্ছা যাও!!আর কান্না নয় এবার থেকে হাসি খুশী থাকবে বুঝেছো।
.
উনার কথায় মুখে হাসি ফুটলো মেয়েটির।।হ্যাঁ ভাইয়া এবার থেকে আমাকে ভালো থাকতেই হবে।আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বললো এবার “ভালো থাকবো আমি”!!
.
এই তো গুড গার্ল!!আচ্ছা যাও।আমি হ্যাবলার মতো তাকিয়ে উনাদের কথাবার্তা শুনে চলেছি।কথা শুনে যা বুঝেছি মেয়েটা কোনো বিপদে ছিলো আর সেখান থেকে ওকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন উনি।কিন্তু মেয়েটা উনাকে ভাইয়া বলছে তাহলে মেয়েটা উনাদের চেনা কেউ…?ভাবনার রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছি আমি তখন কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলান আমি।আমার কাঁধে হাত দিয়ে জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন উনি…..
.
মাথা নাড়িয়ে কিছু না বলে মেয়েটাকে নিয়ে আমাদের পাশের রুমে চলে গেলাম আমি।উনাকে ওখানে রেখে রুম থেকে কয়েকটা থ্রি-পিছ এনে ধরিয়ে দিলাম উনার হাতে।আমার সাথে কোনো কথা না বলে টুপ করে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলেন উনি।উনাকে রেখে ড্রয়িংরুমে গেলাম আমি।আবারও দুই বন্ধু মিলে কি যেন ফুসুরফুসুর করছেন এবারও আমাকে দেখে থেমে গেলেন উনারা।আজকে ব্যাপারটায় খুব খারাপ লাগছে আমার তাই বেশ ঝাঁজালো কন্ঠে বললাম…..
.
আপনারা কি এত কথা বলেন বলুন তো!আমাকে দেখলেই চুপ।আমার কথা তাই তো!
.
আমার কথা শুনে ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে রামীম ভাইয়া বলে উঠলেন…. তোমার কথা হতে যাবে কেন…?আসলে আমাদের কিছু পারসোনাল কথা ছিলো ওইগুলোই বলছিলাম আর কিছু না।
.
হুহ (মুখ ভেংচি কেটে)আচ্ছা মেয়েটা কে…?
.
সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন উনি…..আন্টি আর নাদিরা আসুক সবাইকে একসাথে বলবো।চল রামীম আমার রুমে চল।আর তুমি খাবার রেডি করো আর দেখ ওর যেন কোনো অসুবিধা না হয় বলেই হন হন করে চলে গেলেন উনি।উনার পেছন পেছন তাড়াতাড়ি করে রামীম ভাইয়াও গেলেন।যেন আমার প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই এত তাড়াতাড়ি উনাদের।কি তালগোল পাকাচ্ছেন কে জানে…!!
.
সন্ধ্যার পর সবাই মিলে বাসার ছাদে বসে আছি।আন্টি আর নাদিরাও ফিরে এসেছেন।দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে ওই মেয়েটা ঘুমিয়ে গেছে এখনও জাগে নি।আমি ডাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু বারণ করে দিয়েছেন উনি।ও অনেক টায়ার্ড তাই রেস্ট প্রয়োজন।রামীম ভাইয়াও আছেন এই আড্ডায় একমাত্র উনিই নেই।মেয়েটা সম্পর্কে এখনও কেউই কিছু জানে না।আন্টিও উনাকে জিজ্ঞেস করেছেন কিন্তু ওর সম্পর্কে এখনও কিছু বলেন নি উনি।এদিকে মেয়েটাকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই আমার।নিজের কৌতুহল মেটানোর জন্যই রামীম ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম আমি…..
.
আচ্ছা ভাইয়া ওই মেয়েটাকে কোথায় পেলেন…?মুখ দেখে মনে হয়েছিলো খুব বিপদে পড়েছিলো।আচ্ছা ওর সাথে কি হয়েছিলো…?আমার প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই চেয়ারে বসতে বসতে বলে উঠলেন উনি…..
.
ওয়েট আমি বলছি!!
.
আন্টিঃহুম তাই বলো!!আমারও এটা জানা প্রয়োজন।কে এই মেয়েটা…?তুমি ওকে কোথায় পেলে….?আর ও আমাদের সাথে থাকবেই বা কেন…?
.
হুম আন্টি সব বলছি আমি!মেহরীমা আজকে সবটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।তুমিও তোমার অজানা সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবে।হয়তো সবকিছু জানার পর আমাকে ক্ষমা করতে পারবে না তুমি।কিন্তু কি করবো বলো ভুল করেছি সবটা শুনে যদি পারো ক্ষমা করে দিও।
.
উনার কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছি না আমি।ওই মেয়েটার সাথে আমার অজানা প্রশ্নের সম্পর্ক কি…?আচ্ছা মূল কথায় যাওয়া যাক!!নাদিরা নীলাভ ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ডের নাম মনে আছে তোর….?
.
উনার কথায় ভ্রু কুঁচকে গেলো নাদিরার।মাথায় টোকা দিয়ে বলে উঠলো….হুম মনে পড়েছে মেহরু!!যদিও পুরো নামটা ভাইয়ার মুখ থেকে কখনও বার করতে পারিনি আমি তাই এইটুকুই জানি।
.
আরাভ “মেহরু” সেই মেয়েটা না যার জন্য আমার ছেলেটা মৃত্যু শয্যায় ছিলো।যে তার উডবি হাসবেন্ড কে নিয়ে আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো…?
.
হুম আন্টি!!আর আজকে আমাদের বাসায় যে এসেছে সে হলো নীলাভের সেই মেহরু!!
.
উনার কথা শুনে খুব রেগে গেলেন আন্টি….এক্ষুনি ওই রাক্ষুসীকে আমার বাসা থেকে বের করে দাও আরাভ।ওর জন্য আমার ছেলেটা মরতে মরতে বেঁচে উঠছে।আজ এতগুলো দিন আমার ছেলে হসপিটালের বিছানায় শুয়ে আছে।আর তুমি কিনা সেই মেয়েকে আমাদের আাসায় এনে রেখেছো।
.
আন্টি শান্ত হও!!এতে ওর কোনো দোষ নেই।ও সত্যি নীলাভকে ভালোবাসে।আমরা না জেনে ওকে ভুল বুঝেছি।তুমি জানো এই কটা দিন ও কতটা কষ্টে ছিলো,জানো না।ওর বাবা যখন নীলাভ আর ওর সম্পর্কের কথা জানতে পারে তখন নীলাভকে ওকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।কিন্তু নীলাভ শোনেনি।বারবার ওর বিয়ে ঠিক করেছেন সেই সবকয়টা বিয়ে নীলাভ ভেঙ্গে দিয়েছে যার কিছুই জানতাম না আমরা।যখন কোনোভাবেই মেহরুর কাছ থেকে ওকে সরাতে পারছিলেন না তখন নীলাভকে মেরে ফেলার প্ল্যান করেন উনি।সেই প্ল্যানের কিছুই জানতো না মেহরু।কিন্তু নীলাভকে মারার সময় ওরা এটা বলে যে মেহরুর সাথে অসভ্যতা করার কারণে আই মিন ওই প্রেগন্যান্টের ব্যাপারটার কারণে ও বলেছে নীলাভকে মেরে দিতে।এরপর নীলাভকে মেরে হাইওয়ে তে ফেলে দেয় ওরা।সেখান থেকে ওকে উদ্ধার করে হসপিটাল নিয়ে যায় মেহরীমা….!!
.
.
#চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে